Gangster থেকে Dawah Machine: Dunya to Deen !
লিখেছেন লিখেছেন আত্মসমর্পিত ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:১২:৩৭ রাত
আমেরিকায় বেড়ে উঠা, এডি [Eddie] আমেরিকান ড্রীমের ঘোরে ছিলো। আর ত্রিশ বছর বয়সের আগেই অর্জন করেছিল সবকিছু- টাকা, গাড়ী আর নারী।
“But beneath the surface…”
কিন্তু “beneath the surface” এমন এক লোকের গল্প – যে দুর্দশাগ্রস্স্ত আর ভঙ্গুর হৃদয়ের ; যে রাস্তাকে [streets] বেছে নিয়েছিলো রণক্ষেত্র আর নাইটক্লাবকে আশ্রয়ের স্থান হিসেবে। এরপর ও যে নিজেকে বার বার সপেঁ দিচ্ছিলো জুট-ঝামেলা আর মৃত্যুর মুখে, আর সে এভাবেই সে আবিষ্কার করলো তার সবচেয়ে বড় রণক্ষেত্র তার নিজের মধ্যেই নিহিত!
আর এই হচ্ছে বিপর্যস্ত এডির গল্প- যার জন্ম বাফেলো, নিউইয়র্কে এক যুগোস্লাভীয় অভিবাসী পরিবারে; যার শুরু শিকাগোয় যেখানে এডির ছোটবেলায় তার পরিবার এসেছিলো।
বাবা-মা দুজনই কর্মজীবী হবার সুবাদে তার ছিলো প্রচুর সময়; সেই সুবাদে তরুণ এডি তার দিনকাল অতিক্রম করছিলো এমনভাবে যা যেকেনো পিতামাতার জন্য দুঃস্বপ্নস্বরূপ: মন্দসঙ্গ, স্কুলত্যাগ আর Gang মেম্বারশীপ!
আর এই নিয়ে এডির চাচা আফসোস করে তার ভাইপোর সে সকল দিনের কথা রোমন্থন করে বলেন: “শিশুরা বাগানের ন্যায়; আর আপনি যদি তাতে এক সপ্তাহ তাতে সেচ না দেন তবে আগাছা গজায়”।
আরো অনেক দুর্দশাগ্রস্থ আত্মার ন্যায় এডির মনন জেগে উঠলো; কারাবন্দীত্বের নির্জনতার বছরগুলোয়। আর, তা ত্বরান্বিত করে তার নিকটবর্তী সঙ্গী আর পরিবারেরর অনুপস্থিতি- যা তাকে উপলব্ধিতে সহায়তা করে।
আর, কারাপ্রকোষ্টে এডি ভাবছিলো: “…এই লোকগুলো আমার তোয়াক্কা করে না।“
আর এরপরেই তার অন্তরে আসলো চুড়ান্ত প্রশ্ন যা প্রতিটি আত্মারই নিজেকে করা উচিত: “আমি আমার জীবন নিয়ে কি করছি?”
কিন্তু, তার কারামুক্তির পরে তখনো এডি আলোর দিশা পায় নি; আর তা তার আত্মমগ্নতায় নিমজ্জিত হওয়ায় ফুটে উঠা বিচ্যুতিই ধীরে ধীরে তার মুক্তির আবাহন নিয়ে আসতে শুরু করলো…
কিন্তু যখন ধীরে ধীরে আধ্যাত্মিকতা তার আত্মাকে পরিশুদ্ধতার দিকে নিয়ে গেলো; এডি ভাবেন তার নিজেক যুদ্ধ এখানেই শেষ নয়।
আর ইসলাম গ্রহণ আর The Deen Show প্রতিষ্ঠার পরে এক স্কুলে বক্তৃতাকালে এডি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন: “আপনার তিন ধরনের ভাই আছে; রক্তসম্পর্কীয় ভাই, মানবতায় ভাই আর বিশ্বাস তথা ঈমানের তরে ভাই ”।
এক সময়ের Gangster; যাকে নুমান আলী খান বলেছেন Dawah Machine। তার প্রতিষ্ঠিত The Deen Show সমসাময়িক বিষয় আর বিখ্যাত ইসলামী ব্যক্তিত্ত্বের উপস্থিতির কারনে বেশ প্রাণবন্ত আর শিক্ষনীয়।
ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত, মিডিয়ার তৈরী ‘ইসলামী চরমপন্থা’ আর আধ্যাত্তিকতাশূণ্য বিশ্বে এডির এ ইসলাম গ্রহণ চিন্তাশীলদের চক্ষু খুলে দিবে; এমনই প্রত্যাশা।
আর এডির এই কাহিনী অস্থির বিশ্বে প্রতিটি তরুণেরই; যার হাহাকার আর গোমর কান্না আমরা শুনতে পাই না।
আর এডি রেডজোভিচের [Eddie Redzovic] মুক্তির এ আখ্যান সে সকল তরুণদের জন্য হতে পারে পাথেয়।
Watch here:
From Dunya to Deen: Eddie Redzovic story
http://www.youtube.com/watch?v=c_MARYHA40A
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন