পিশাচশিল্প
লিখেছেন লিখেছেন আহসান সাদী ০৫ আগস্ট, ২০১৫, ১২:১৬:১০ রাত
সভ্যতার ইতিহাসে মানুষ মারার চমৎকার সব উপায় আবিষ্কারের গবেষণা চলছে বহুদিন ধরেই। হিটলার সাহেবের গ্যাস চেম্বার ছিলো ইতিহাসের এক নবদিগন্ত। এই পদ্ধতিতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই একগাদা মানুষকে চমৎকারভাবে মেরে ফেলা যায়। গুলি করে মেরে ফেলার সনাতনী প্রক্রিয়টাতে খরচ ছিলো বড্ড বেশী। মানুষপিছু একটা গুলি স্রেফ অপচয় এবং এটার সমাধান হিসেবে স্বল্প খরচে গ্যাস চেম্বারের এমন যুগান্তকারী আবিষ্কারের কারণে হিটলার ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
গ্যাস চেম্বারের সমসাময়িককালে আমেরিকায় জনাব আইনস্টাইনের নেতৃত্বে মানুষমারা প্রকল্প আরো বেগবান হয়। লিটলবয় এবং ফ্যাটম্যান নামের দুই শক্তিশালী বোমা পরীক্ষামূলকভাবে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে স্থাপন করা হয়। অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া যায় এতে। আড়াই লক্ষ্য মানুষকে স্বল্প-সময়ে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মেরে ফেলার ঘটনা ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। সভ্যতা আরো একধাপ এগিয়ে যায়।
এই গবেষণা চলছেই। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। উদাহরণ হিসেবে জনাব মিন্টু সাহেবের কথাই ধরা যাক। মানুষ মারা প্রকল্পকে তিনি প্রায় কুটিরশিল্পের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন। এখানে নেই কোনো গ্যাসের ব্যাবহার কিংবা অন্য কোনো মুল্যবান জ্বালানীর। প্রয়োজন কেবল নিকটস্থ গ্যারেজের চাকায় বাতাস দেয়ার সাধারণ মেশিনটা। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় প্রাকৃতিক উপায়ে একজন মানুষের পেছনদিকে কেবল বাতাস প্রবেশ করানোর মাধ্যমে তার ফুসফুস ফাটিয়ে ফেলে মেরে ফেলা সম্ভব। রাকিব নামের একটা ছোট্ট কিশোরের উপর এই গবেষণাটা চালানো হয় এবং এতে শতভাগ সফলতা পান বিজ্ঞানী মিন্টু।
-------------------------------
এ প্রসঙ্গে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, “শিশুটির শরীরে অস্বাভাবিক পরিমাণ বাতাস প্রবেশ করানোয় তার পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি ছিড়ে গিয়েছিল, ফুসফুসও ফেটে যায়।”
মৃত্যুর পূর্বে রাকিব তার মাকে বলছিলো, ''মা আমি আর বাঁচব না, যন্ত্রণায় আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। ও মা আমাকে তুমি বাঁচাও মা।”
সভ্যতা এভাবেই এগিয়ে চলছে।
--------------------------------------
প্রবাদঃ কাক কখনো কাকের মাংশ খায় না।
মন্তব্যঃ এটা কাকের সমস্যা। মানুষের সমস্যা না!
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ...
পিশাচের ইতিহাস যেন আমাদের ভাগ্য না জোটে।
ইনশাআল্লাহ। আপনাকে ধন্যবাদ।
Thanks for reading...
ওয়ালাইকুম আস সালাম,
আজ পত্রিকায় দেখলাম এগারো বছরের এক শিশুর চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। মাছ চুরিতে জড়িত থাকার 'সন্দেহে'এই ঘটনা।
আপনার লিখা পড়ে আমার মনে এলো, গল্পকার বোতলের ছিপি খুলে জিন'কে বের হতে যেমন দেয় আবার কসরৎ করে সেই জিনকে বোতলে ও আটকাতে পারে।
দূর্ভাগ্য এই যে বাংলাদেশের মানুষ গল্প মনে করে সত্যিকারের জিন'কে ছেড়ে দিয়েছে এবং দিয়ে চলছে।
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন