আধ্যাত্মিক শূণ্যতা
লিখেছেন লিখেছেন Musayib ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:২৬:১৮ দুপুর
আমার ভালো লাগা একটি Post----
শিরোনামটা এমন দিলাম কারণ আমি একটা ভিডিও দেখলাম, কিছু শিখলাম যার শিরোনামটাও এরকমই ছিলো। এই শিক্ষাটা আমার জন্য সময়োপযোগী আর গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তাই সবার সাথে শেয়ার করে দেয়ার উদ্দেশ্যে লিখতে বসেছি। ভিডিওটি ছিলো উস্তাদ নুমান আলী খানের -- "spiritual void"
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছেন যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদেরকে বিলিয়ে দেন। অর্থাৎ তারা আল্লাহর দ্বীন প্রচারে নিয়োজিত থাকেন, অন্যদেরকে আল্লাহর পথে ডাকেন, জ্ঞানের কাজ করেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজ করেন। মোটকথা, সত্যিকার অর্থেই (লোক দেখানোর জন্য না) তারা নিজেদেরকে দাওয়াতের কাজে নিয়োজিত রাখেন। কিন্তু এই কাজে ব্যস্ত থাকতে থাকতে অনেক সময় নিজেদের দিকে খেয়ালটা রাখা হয়না।
ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, আমি হয়ত অনেক কাজ করছি, অনেক ব্যস্ত থাকছি সত্যিকার অর্থেই দাওয়াতের কাজে, দ্বীনের কাজে -- কিন্তু আমার নামাজে আর আগের মতন খুশু আসেনা, মনের প্রশান্তি আসে না, আমার কুরআন পড়ায় তেমন আনন্দ লাগেনা। ব্যক্তিগত আচরণের সৌন্দর্য্যে নিজেদের অজান্তেই ভাটা পড়ে যেতে থাকে, আর সেটা আমরা মাঝে মাঝেই অনুধাবন করতে পারি। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন কুরআনুল কারীমে, যা তিনি বনী ইসরাইলদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেনঃ
"তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?" [সূরা বাকারাঃ ৪৪] quran
আত্মিক অবস্থা এমন হলে সেটা অবশ্যই চিন্তা করার একটা বিষয়। আর নিজেদেরকে ভুলে যাবার এই ব্যাপারে সতর্ক হবার পরে কী করে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে, তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা জানিয়ে দিয়েছেন পরের আয়াতেঃ
"ধৈর্য্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।" [সুরা বাকারাঃ ৪৫] quran
অর্থাৎ এমন অবস্থায় আবার ফিরে যাওয়া দরকার নামাযের দিকে। এই আত্মিক শূণ্যতাটা পূরণের উপায় আবার নামাযেই মন ফিরিয়ে আনা। আর এই কাজটা বিনয়ী লোকদের পক্ষেই সম্ভব। এটা একটা স্মরণিকা যা আবার আমাদের নামাযে মন দেবার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। জান্নাতে যাবার চাবি যেই নামায, তাকে আবার আঁকড়ে ধরার একটা তাগাদা অনুভব করায়। আর তাই, আরেকবার নামাযে আগ্রহী হতে আমাদের সেই হাদিসটার কথা স্মরণ করা দরকার --
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
" লোকেরা যদি জানতো আযানে ও প্রথম কাতারে কী আছে, ( অর্থাৎ কত সওয়াব) এবং লটারি করা ছাড়া এর সুযোগ পাওয়ার আর কোন উপায় না থাকতো, তাহলে অবশ্যই লটারি করতো।
লোকেরা যদি জানতো প্রথম ওয়াক্তে নামায পড়ায় কী আছে, তাহলে এর জন্য সবাই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতো।
আর লোকেরা যদি জানতো এশা ও ফজরের নামাযে কী আছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও ওই দুই ওয়াক্তে জামায়াতে হাজির হতো "। [বুখারি ও মুসলিম]
নির্ঘন্টঃ
হাদিস সংগ্রহঃ আত তারগীব ওয়াত তারহীব প্রথম খন্ড - ১৫৭
ভিডিও লিঙ্কঃ http://www.youtube.com/watch?v=2Ir_q8ZPWjg
By Shopnochari Abdullah
বিষয়: বিবিধ
১২৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন