জামায়াত ও তার প্রতিপক্ষের একই রূপ
লিখেছেন লিখেছেন ৭১ বলছি ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:২৩:৪৩ রাত
কয়েকটা বিষয়ে কট্টর জামাত-শিবিরের সমর্থকদের লগে হেগো বিপরিত আদর্শের মানুষগো তেমন কোন পার্থক্যই নাই।
১। কট্টর জামাত-শিবিরের সমর্থকরা নিজেগো বিরুদ্ধে কোন লিখা দেখলেই লেখকরে আক্রমণ কইরা 'ভারতের দালাল', 'ইসলামের শত্রু' ইত্যাদি কয়। আর এরা ভারতের বিরুদ্ধে কিংবা তথাকথিত প্রগতিশীলগোর বিরুদ্ধে কোন লিখা দেখলেই ঝাঁপাইয়া পড়েন 'রাজকার', 'ছাগু', 'পাকিস্তানের দালাল' ইত্যাদি বস্তাপঁচা শব্দ লইয়া।
২। যুক্তি দিয়া কেউই মুক্তি খোঁজার চেষ্টা করেনা। বরং আইজকাইল দুই গ্রুপই পরস্পরের মাথা ফাটাইতে চায়। যার কারনে বুদ্ধির দুয়ার খোলেনা। চিন্তার ক্ষেত্র বড় অয়না।
৩। দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতীক সংস্পর্শের কারনে বিপরিত আদর্শের কিছু কর্মকান্ড ছোঁয়াছে রোগের মতো আক্রমন করছে- এমনকি এরা এতে সংক্রামিতও হইছে। যেমন= নেতার কোনো সমালোচনা করলে সে বাদ। উপরের জনকে তেল দেয়া।
৪। ওরা হেগো বিপরিতদের মতোই চরম রাজনৈতিক দল। এরা নিজেগোরে রাজনৈতিক দল না কইয়া ইসলামী আন্দোলন কয় ঠিকই- কিন্তু রুপ ঐ একটাই। কারন ইসলামী আন্দোলন কোনো পঙ্গু আন্দোলন না যে এইডা হুদা রাজনৈতিক ই হইবো। এইডা যদি হেইরকম কিছু অইতো তাইলে সামগ্রিক আন্দোলনই অইতো।
তয় সবচেয়ে বড় ফারাক যেইডা- প্রতিপক্ষ শক্তিশালী বুদ্ধিজীবি গোষ্ঠী ও মিডিয়া সরঞ্জম লালন পালন করে--- কিন্তু জামায়াত নিজেরা নিজেগোরে খুব বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনের কর্মী মনে করে অথচ সিলেবাসের বাইরে যে জ্ঞানের বিশাল দুনিয়াআছে হেইডার খবরও নাই- পড়া লেহাও করেনা- একাডেমিক জ্ঞান শূন্যের কোঠায়--বরং মনে করে স্বয়ং আল্লা নাইমা আইবো তাগো সুন্দর সমাজ আর আল্লার দিন কায়েমের লইগা, যার ফলে এই সব ফাউল উপাদান (বুদ্ধিজীবি ও মিডিয়া) পোষার কোনো কাম নাই।
বিষয়: রাজনীতি
৮৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন