বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের আভাস
লিখেছেন লিখেছেন ইহসান আব্দুল্লাহ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:২২:৪২ দুপুর
লণ্ডনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট -এর মন্তব্য- "বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে"
ওহে বাঙ্গালী জাতি শোন তাহলে বলি, এই আওয়ামী সরকার যদি সাইদিকে ফাসি দেয় আর ২০১৪ তেও যদি নির্বাচন করে তাহলে দেশের ৯০% ভোট হাসিনা হারাবে। আর যদি ফাসি না দেয় মিডিয়া ও বাম রামরা উঠে পড়ে লাগবে। সুতারাং পথ একটাই চূড়ান্ত শাস্তি। আর এতে জামাতও কম ছাড়বে না। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যে তারা ঘোষণা করেছে তিন লাখ কর্মী নাকি জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত। তাহলে দেশ আগামীতে ছোট্ট একটা গৃহ যুদ্ধের দিকে এগোবে। আর এমন পরিস্থিতি অনেক আগেই জামাতকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং জামাত সন্দেহে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদেরকেও নাজেহাল করা হবে। এতে কোনরকম আন্দোলন করা হলে সকল প্রকার ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ করা হবে। দেশের পরিস্থিতি যা দাঁড়াবে তা হল জরুরি অবস্থা। এতে সরকার ক্ষমতা ছাড়বে না। আওয়ামী সরকার আওয়ামীলীগকে আবার সরকার বানাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সপ্ন স্বপ্নই থাকবে বিএনপির।
জামাতকে নিষিদ্ধ করলে বিএনপি জোট ভাঙবে, তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। আর দেশের এই পরিস্থিতিতে বিএনপি মাঠে থাকলেও এই হাঁস গুলোকে দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন হবে না। সামান্য শাহবাগের রাজনীতি বিএনপির বাচ্চা ফুটানো মুরগী গুলো ধরতে পারলো না। যদি বিএনপি আন্দলনেও যায় আওয়ামী সরকার সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেবে। এবার ল্যাও ঠ্যালা। বিএনপিকে মাঠে ক্যান, দেশেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদের রাজনীতি হচ্ছে “আমি লন্ডন থেকে বলছি”। মাহমুদুর রহমান ঠিকই বলেছে, “এক গৃহবধূকে এদেশের জনগন তিনবার প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে, বাঙ্গালী জাতিকে অকৃতজ্ঞ বললে ভুল হবে” বাঙ্গালী মেজর জিয়াকে ভালোবেসে খালেদাকে ভালবাসছে, তারেককে ভালোবাসছে, বিনিময়ে যা পাইছে তা শান্তি প্রিয় এই জাতি কখনো ভুলবে না। তোমরা বরং লন্ডন যাও, এখানে তোদের এক্কেবারে মানাইছে না। আমাদের এই বাংলাদেশ, লক্ষ্য জীবনের বিনিময়ে অর্জিত। হেসে খেলে লুটপাট করে রাজনীতি করার জন্য নয়।
এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগও কম যায় না, আবুল যেভাবে পদ্মা সেতুটা খাইলো, আপনি ভুললেও দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ কখনো ভুলবে না। সুরঞ্জিতের রেল ভক্ষণ, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ চুপ ছিল, কেও কিছু বলে নি। শুধু মনে লালন করছে, “বলব কথা ছোট্ট ঘরে, সরাবো তোদের সিল মেরে” কিন্তু হায় বাংলার এই খেটে খাওয়া মানুষ গুলো তো জানে না, ভোটের নির্বাচন আর হবে না, হয়েছেই বা কবে! হয়েছিল ১৯৭০ এ কিন্তু ক্ষমতা আমরা পাইনি। যে জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ। বাংলার এই শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলেরা যুদ্ধ করে জয় ছিনিয়ে আনলো। আজ শাহবাগেও যুদ্ধের ডাক দেয়া হইছে, কিন্তু অবস্থা ভিন্ন। কেও বিশ্বাস করুক আর না করুক, আপনার বোন ধর্ষণ হয়েছিল বলেই আপনি যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আপনার বাবাকে, আপনার ভাইকে আপনার চোখের সামনে গুলি খেয়ে মরতে দেখেছেন বলেই যুদ্ধে গিয়েছিলেন, কিংবা দেশের জন্য। পরে একটা সার্টিফিকেটও পেলেন, আজ তা দিয়ে আমার চাকরিটা কেঁড়ে নিয়ে আপনার ছেলেকে দিয়েছেন। আমি বলবনা আপনার বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, আপনার বাবার জীবনের বিনিময়ে, কিংবা আপনার সেই দেশ প্রেমকে বিকিয়ে, আপনার ছেলের চাকরিটা হল। তবে এততুকু বলব আপনারা আমাদের প্রতি অন্যায় করছেন, অবিচার করছেন। সেই সময়ে পাকিরা ধর্ষণ করতো আর এখন আপনার ছেলে মহিলা পুলিশরে ধর্ষণ করে। (লুল)!!!!!!! ওরা লুট করতো, আর এখন এই কুত্তা গুলো কি করে তার ফিরিস্তি জানলেও অনুভুতিতে লাগবে না।
http://www.amarbornomala.com/details11467.html
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/11/27/175146
একটু কষ্ট করে ছাত্রলীগ লিখে গুগলে সার্চ দেন।
যতই চাপাচাপি করেন, শাগবাগ থেকে এই কুত্তা গুলো না সরলে আন্দোলন সফল হবে না। ৭০ এ মুজিব ক্ষমতা পায়নি বলে আপনি যুদ্ধ করে ক্ষমতা ছিনিয়ে এনে মুজিবকে দিয়েছিলেন। তো ভালোই করেছেন, বাকশাল দেখেছেন, রক্ষী বাহিনী পেয়েছেন, আরও অনেক অভিজ্ঞতা আপনাদের। বুদ্ধিমানের মত এবার হাসিনাকে ক্ষমতায় আনুন, আর দেখুন আরেকটি নয়া বাকশাল...।
বিষয়: রাজনীতি
১৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন