কি সব পাগল ছাগল দিয়ে টকশো চালায়??? বঙ্গবন্ধু নয়, তসলিমা-প্রভারা নাকি শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী
লিখেছেন লিখেছেন ইহসান আব্দুল্লাহ ১৩ আগস্ট, ২০১৩, ১২:৪৭:২৭ রাত
খুঁটা ঝাকানি কমতো হল না। সত্যই মিতা হক কি বলেছিল? না শুনে যারা মন্তব্য করছেন তাদের জন্য
‘আমাদের একটি আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আছে। আমাদের দেশ বাংলাদেশ। এখানে বিভিন্ন ধরনের লোক বাস করে। এই দেশে শুধুমাত্র আদিবাসীরাই আদিবাসী কিন্তু বাংলাদেশি। বাকি সবাই কিন্তু আমরা বাঙালি। ‘বাঙালি’ যারা, ঈদের দুই দিন পরে হরতাল ডেকেছে। তারা পরিচিত ধর্মীয় সংগঠন হিসাবে। আমরা বলছি, আমাদের পরিস্কার একটি রেখা আছে। আমার ধর্মের চর্চা, ধর্মের কাজ সেভাবে করবো। তবে আমার একটি কমন পরিচয় থাকবে (বাঙালি)।
একাত্তর টেলিভিশনের ওই টকশোতে অংশগ্রহণকারী নাট্যকার মামুনুর রশীদ, অভিনেতা তারেক আনাম ও উপস্থাপক মিথিলা ফারজানার উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ তুমি আমি শাড়ি পড়ে বসেছি। মামুন ভাই, তারেক ভাই পাঞ্জাবি পড়ে বসেছে। তারা কেউ দাঁড়ি টুপি লাগিয়ে নেই। কেউ লম্বা সিঁদুর পড়েও নেই। কেউ হিন্দু, শিখ। আমাদের একটি কমন পরিচয় আছে। ছেলেরা এক ধরনের পোশাক পড়বে আর মেয়েরা এক ধরনের পোশাক পড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা এতো বাজে, আজকাল বাংলাদেশে রাস্তায় বেরিয়ে, কোন ডাক্তারখানায় বা হাসপাতালে গিয়ে, যেখানে একটু লোকজনের সমাগম বেশি, যেখানে ওয়েটিং রুম আছে, লোকজন অপেক্ষা করছে, সেখানে দেখি যে, একমাত্র আমিই বাঙালি। আমি শাড়ি পড়ে গেছি আর আমার মাথায় ঘোমটা নেই। আজকাল তারা এইটুকু মুখ (শুধুমাত্র চোখ খোলা থাকে) বের করে রাখছে। এতে তারা আর যাইহোক বাঙালি নয়।
ওই টকশোতে তিনি বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি আর জামায়াত, ওদেরতো একটাই অস্ত্র। মিথ্যা কথা বলা, ইতিহাস বিকৃত করা। যারা হেফাজতে ইসলামের মঞ্চে গিয়ে শরবত খাওয়ান। তারা নতুন নতুন অশ্লীল সিডি তৈরি করে গ্রাম-গঞ্জে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রজেক্টর নিয়ে, ইলেট্রিক যন্ত্র নিয়ে দেখিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা বর্তমান সরকারের সমর্থক। (কিছুটা হলেওতো সমর্থন আছে, কারণ তারা মূল বিষয়ে একমত আমাদের সঙ্গে। তারা অসাম্প্রদায়িক এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। এক্ষেত্রে আমি অবশ্যই স্বীকার করবো আমি এ দলকে সমর্থন করি। আমার ভয় নেই।) তাদের ভাল কাজের প্রচার হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিডিও ফিল্ম এবং ওয়াজ গ্রামগঞ্জে প্রচার হয়েছে।
এসময় তারেক আনাম মিতা হকের কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ওরা পলেটিক্যাললি অগ্রসর হচ্ছে। তাহলে তোমারা যাকে সমর্থন করছো তারা পলিটিক্যাললি অগ্রসর হয়নি কেন? তখন মিতা হক বলেন, ওরা মেধাহীন
ভিডিও দেখুন এখানে
আমার বাংলাদেশে তারাই বাঙ্গালী যারা রোকেয়া প্রাচীদের মতো, সুবর্না মস্তফাদের মতো, আর প্রভাদের মতো বিকিয়ে দিতে পারে। এদের মধ্যে প্রভা হচ্ছে উত্তম বাঙ্গালী। এদের বাদে আরও অনেক বাঙ্গালী আছে যাদের নিত্য নতুন স্বামী পরিবর্তন করতে হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও কিছু বাঙ্গালীর খোঁজ পাওয়া গেছে পরিমল-পান্না প্যানেল। এবং আরও কিছু বাঙ্গালী আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় আছে। সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী তাসলিমা নাসরিন এখন কলকাতায়। পার্টটাইম প্রেমিক খুঁজছে। ফুল টাইম নাকি বোরিং লাগে।
আসলে এরাই কি বাঙ্গালী? নাকি বিকৃত শিক্ষা ব্যবস্থার ফসল স্বরূপ বিকৃত মানুষিকতার জীব জন্তু? শাহবাগের ছবির হাটে, সহরাওয়ার্দির চিপায় বসে যারা সারা দিন গাজা সেবন করে? মাঝরাত পর্যন্ত মদ্যপান করে ছেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে নিজের সম্ভ্রম হারিয়ে কূল না দেখে বিরহ সঙ্গীত চর্চা করে? সারা জীবনে স্বামী রূপে কাওকে না পেয়ে মানুষিক বিকৃতি ঘটে? এরাই নাকি বাঙ্গালী। যদি তাই হয় তাহলে একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে ভুল করিনি। এমন স্বাধীন বাংলাদেশ চাইনি। যে দেশে বাঙ্গালী মুসলমানরা আলাদা হয়ে যাবে। আমি মুসলমান এজন্য যদি আদালত আমার বাঙ্গালিত্ব নিষিদ্ধ করে দেয় দিক। আমার বোন হিযাব পরে আর এতে যদি আধুনিক যৌন কর্মীদের গা জ্বালা করে করুক।
হায়রে একাত্তর টিভি!!! তোর কপালে যে কি আছে আল্লাহ্তায়ালা ভালো জানেন।
বিষয়: রাজনীতি
১৭৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন