লং মার্চ নিয়ে বিশ্ববরেণ্য আলেম মাওলানা জিয়াউল হাসানের কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন ইহসান আব্দুল্লাহ ০৪ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:০৩:২৯ রাত
সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন,“একাত্তরে যখন পাকিস্তানি সেনা আর তাদের দোসররা এ দেশে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছিল, তখন হেফাজতের নেতারা কোথায় ছিলেন?
“জামায়াত নেতা গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদী, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান এবং বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী ও আব্দুল আলিম গংরা মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিল। ধর্মের দোহাই দিয়ে তারা যে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠরাই মুসলমান ছিল।”
“আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের নামায-রোজা যেভাবে ফরজ করে দিয়েছেন ঠিক সেভাবেই দলমত নির্বিশেষে সকল যুদ্ধাপরাধী ঘাতকদের বিচার করাও পবিত্র কুরআনের বিধান অনুযায়ী আমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “তারা মাওসেতুংয়ের মতাদর্শের লংমার্চের ধারক ও বাহক। পবিত্র কোরআন ও ইসলামকে আল্লাহ নিজেই হেফাযত করার ঘোষণা দিয়ে ১৫ নং সূরা হিজরের ৯নং আয়াতে চিরস্থায়ীভাবে বিধান দিয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ইন্না নাহনু নাযযালনাজ যিকরা ওয়া ইন্না লাহু লা-হা-ফিজুন, অর্থাৎ ‘আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্য আমিই উহার সংরক্ষক’।”
হাফেয সাহেব বেশ ভালো বলেছেন মনে হচ্ছে। কিন্তু (আগে নাউজুবিল্লাহ পড়েন)যারা আল্লাহ্ রাসুলকে ট্রাফিক জ্যামে ফেলে দিলেন, কানা বলে গালি দিলেন, শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে আসলে ফাসি দিবেন বললেন। তখন উনি কোথায় ছিলেন। নাকি হাফেয সাব শুধু মুখস্ত করা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ব্লগ টোল্গ দেখেন না, নাকি দেখেও শয়তানের পদ লেহন করছেন। কয়েক হাফেয ভাইকে দেখলাম মিরপুরের প্রজন্ম চত্বরে কোরআন খতম দিতে বসেছেন। কিসের জন্য। আপনি কোরআন নিয়ে ওঠার পরপরই তো শুরু হয় তারেনারে। আরে ভাই কোরআন তেলায়তের মধ্য দিয়ে যাত্রা পালার অশ্লীল নাচ শুরু হলে এই সব হুজুরদের কি আসমান জমিনের মধ্যে থাকার কোন অধিকার আছে। ভালোই শুরু করেছেন, কত টাকার বিনিময়ে কোরআনের আয়াত গুলো বিক্রি করা শুরু করেছেন। এভাবে হিজরের ৯নং আয়াতের বিনিময়ে কত নিয়েছেন। এটা নিশ্চিত আপনি যা বলেছেন তাঁর ওপর যদি আমরণ আপনি অবিচল থাকেন এবং যাদের নিয়ে বলেছেন তারাও যদি তাদের পথে অবিচল থাকে তাহলে আপনি বলেন জাহান্নামের জালানি কে হবে?
কিছু মনে করেন না আমি আপনাকে মিত্থুক বলবো এই কারনে যে আপনি সঠিক ভাবে না জেনে ৩০ লক্ষ কথাটা ব্যবহার করেছেন। আপনি ধোঁকাবাজ কারণ সকল যুদ্ধাপরাধী বলতে জামাতের ফিরিস্তি তুলে ধরলেন। জানোয়ার বললে খারাপ শোনায় তাই বললাম না, কারণ আপনার জ্ঞান বুদ্ধি যে ভাবে লোপ পেয়েছে তাতে আপনি মানুষের পর্যায়ে আছেন কিনা সন্দেহ। জাহান্নামকে ভয় করুন। তাগুদের তাবেদারি করবেন না। আপনার জন্য, সময় থাকলে পরুনঃ
জাহেলিয়াতের মোকাবেলায় আলকরান-বুদ্ধিজীবি আল্লাহ্ আপনাকে দিয়ে ইসলামের ক্ষতি না করিয়ে নিক এবং ইসলামের বিজয়ে অগ্রনি ভুমিকা রাখার তৌফিক দান করুক।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন