রোযা ও রোযাদারের ফজিলত

লিখেছেন লিখেছেন বইঘর ১৭ জুলাই, ২০১৩, ০৬:৩৩:২৪ সন্ধ্যা

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন, আদম সন্তানের প্রিতিটি আমল তার নিজের জন্য, কিন্তু রোযা এর ব্যতিক্রম। কেননা এটি আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। রোযা ঢালস্বরুপ। অতএব তোমাদের কারো কাছে যখন রোযার দিন আসে তখন সে যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং চেঁচামেচি না করে। কেউ যদি তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে ঝগড়া করতে আসে, তখন সে যেন বলে দেয়, আমি রোযাদার, আমি রোযাদার। ঐ মহান সত্তার শপথ, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পছন্দনীয়। রোযাদারের জন্য দু'টি আনন্দ রয়েছে। সে যখন ইফতার করে তখন একটি আনন্দ লাভ করে, আবার যখন সে প্রতিপালকের সাক্ষাত লাভ করবে, তখন রোযার বিনিময় পেয়ে আনন্দিত হবে। [বুখারী ও মুসলিম]

বুখারী শরিফের অপর এক বর্ণনায় এসেছে- যে রোযাদার আমার উদ্দেশেই পানাহার ও কাম-বাসনা ত্যাগ করে, রোযা আমার জন্যই এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। এ মাসে একটি পুণ্যের পুরষ্কার হচ্ছে দশগুণ।

মুসলিম শরিফের অপর বর্ণনাতে রয়েছে যে, আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের সওয়াব দশ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, কিন্তু রোযা এর ব্যতিক্রম। কেননা এটি কেবল আমারই জন্য, আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব। বান্দা আমার উদ্দেশেই তার কামনা-বাসনা ও আহার থেকে বিরত থাকে। রোযাদারের জন্য দু'টি আনন্দের মুহুর্ত রয়েছে। একটি তার ইফতারের সময়, অপরটি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাত লাভের সময়। আর অবশ্যই রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পছন্দনীয়। [মুসলিম শরিফ]

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াতে বলেন- হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।

আল্লাহ তাআলা আমোদের সকল কে রমযানের পবিত্রা রক্ষা করে তার উপর যথা যথ আমল করার তাওফীক দান করুন আমীন!!

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File