ঘুচে যাক এই কালো রাতের আঁধার
লিখেছেন লিখেছেন বইঘর ১০ মে, ২০১৩, ০১:৩৪:০৭ রাত
হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর মাঝরাতে সরকারি বাহিনীগুলো যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে তা ২৫শে মার্চ কাল রাতের চেয়েও জঘন্যতম।
৭১’র ২৫শে মার্চ রাতের হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় হতাহতদের একটা হিসাব বের করা গিয়েছিলো, কিন্ত ৬ই মে কাল রাতে কী পরিমাণ আলেম ও আল্লাহর দীন-শিক্ষার্থীকে শহিদ করা হয়েছে তার কোনো হিসাব না সরকারের কাছে আছে, না দেশবাসীর কাছে।
শুধু শহীদ করা নয়; লাশগুলো পর্যন্ত গুম করে ফেলেছে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪২ বছরে এর চেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ আর ঘটেনি। এ এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইসলাম এবং মুসলিমবিদ্বেশী আওয়ামী সরকার। সরকারের এ বীভৎসরূপ হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকেও লজ্জা দিয়েছে।
সেই কালো রাতে শহীদ বুয়েটের মেধাবী ছাত্র রেহান আহসান
রাত ১১টা থেকেই শাপলা চত্বরের চারপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনী অবস্থান নিতে থাকে।
এক পর্যায়ে দেশের সকল মিডিয়া কর্মীদেরকেও সমাবেশস্থল থেকে বের করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এতে কি প্রমাণ হয়? নিশ্চয়ই পরিকল্পিত একটা হত্যাযজ্ঞের জন্যই এই আয়োজন।
আর এ তাণ্ডব পরিচালিত হয় রাত তিনটার দিকে যখন, নবীপ্রেমিক মানুষগুলো আল্লাহ আল্লাহ যিকিরে ব্যস্ত ছিল। কেউ বা ঘুমন্ত। তারা কতটা কাপুরুষ যে, রাতের অন্ধকারে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে! শহীদ করেছে অগণিত আলেম ওলামাকে। এদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য? মহান আল্লাহও এদেরকে ক্ষমা করবেন না।
ওলামাগণ হলেন নবীগণের উত্তরাধিকারী।
সুতরাং আলেমকে অপমান করা মানে আল্লাহর নবীকে অপমান করা। আলেমকে হত্যা করা মানে নবীকে হত্যা করার শামিল। আর একজন নবীকে হত্যার অপরাধ কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়।
পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের এই বর্বরতা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
এরা কেমন মায়ের সন্তান; যাদের হাতে নিহত হয়েছে শত শত নিষ্পাপ আলেম, কুরআনে হাফেজ, একটি পবিত্র ফুল, যাদের ঘ্রাণে সুষভিত হতো একটি জাতি।
যাদের ব্যাপারে ঘোষণা এসেছে ১০ জন; বা তার দু’হাত দিয়ে যত গুলো লোক ধরে এমন পাপি বান্দাকে নিয়ে জান্নাতে যাওয়ার।
এদের হাত কি এতটুকুও কাপেনি? তবে এরাতো মনে হয় ঐসব পাপের ফসল যাদের পিতার পরিচয় খুজতে গেলে হয়তো যেতে হবে......
এমন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষাও জাতি হারিয়ে ফেলেছে। ঘটনার পর থেকে মানুষ নির্বাক, স্তব্ধ। এরপর যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে তা আরও জঘন্য।
যারা কুরআনের খেদমতে নিজেদের সারাটা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, তাদেরকেই আবার কুরআন ও ধর্মীয় বই পোড়ানোর দায়ে মামলা দিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন চালিয়ে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে।
প্রভু হে! আমাদের পাপেই আজ আমরা জালিমের কবলে পড়েছি। তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও, আর তোমার কালাম ও রাসূলের ইজ্জত রক্ষায় জালিমদের নিশ্চিহ্ন করে দাও। পিশাচদের হাতে তোমার নবীর উম্মতদের আর লাঞ্ছিত করো না।
-এস এম আমিনুল ইসলাম
বিষয়: বিবিধ
২২৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন