ব্লগার নজরুল ইসলাম টিপু অসুস্থ! সকলের দোয়া কাম্য
লিখেছেন লিখেছেন সালমা ০৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৮:৫২:২৯ রাত
গত ৭ই জুলাই, রোজার দিনে, জোহরের নামাজের অজু করতে গিয়ে বাম পা ওয়াশ বেসিনের উপর তুলেছিলেন। যেসব অফিসে ওজু করার ব্যবস্থা নাই, সেখানে স্টাফেরা এভাবেই ওজু করে থাকেন। তিনি পা একটু উপরে তোলা মাত্রই, কোমরের অস্থি সন্ধিতে টান অনুভব করেন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এটাকে খুবই মামুলী ব্যাপার মনে করেছিলাম কেননা বিগত ২০ বছর এভাবেই ওজু করে আসছি। তা ছাড়া এথলেট দের মত, আমি আমার পা দুখানা মাথার পিছনে তুলে ঘারে আটকাতে পারি এবং হাতে ভর দিয়ে দোলনা খেতে পারি। তখন কিছু হয়নি, দুই ফুট উচ্চতায় পা তুলতে সমস্যা হবে কেন”?
উপরের কথাগুলো তিনি এভাবেই ডাক্তারকে জানিয়েছেন। কিন্তু ঘটনার পরদিন তাঁর কোমরের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং হাঁটুর নিচে পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে যেতে থাকে। তখন তাঁর পায়ের চামড়ার সেন্স কমে আসে।
ডাক্তার জরুরী ভিত্তিতে রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে এবং এম,আর,ই করেন। তিনি জানান কোমরের অস্থি-সন্ধিতে মাংস ছিঁড়ে গেছে। কোমরে কয়েকটি ইনজেকশন দেওয়ার পরও যখন ব্যথা থামছিল না অগত্যা ডাক্তার মেরুদণ্ডতে বিশেষায়িত ইনজেকশন দিয়েছেন। ডাক্তার ধারণা করেছেন হয়ত অপারেশন করা লাগতে পারে। সে জন্য আরো পর্যবেক্ষণ লাগবে।
নড়াচড়া করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রায় ২০ দিন তিনি হাঁটতে পারেন নি এমনকি দাঁড়াতেও সক্ষম ছিলেন না। তবে উঠিয়ে দিলে চেয়ারে বসতে ও শুইতে পারতেন।
ডাক্তার তাঁকে অনেক ঔষধ খেতে দিয়েছেন এবং এক দিন পর পর তাঁর ফিজিও থেরাপি চলছে। যথারীতি শারিরীক অনুশীলন তথা এক্সারসাইজ ও চলছে।
এসব ঔষধে তিনি কিঞ্চিত উপকৃত হয়েছেন। কয়েকদিন ধরে সামান্য হাঁটতে পারছেন। যেহেতু কোমর বাঁকা করতে কিংবা বসতে পারেন না। সেহেতু তিনি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে অপারগ হয়েছেন।
তিনি দীর্ঘ বছর প্রতি ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সহিত আদায় করতেন। অসুস্থতা হেতু বহু জামায়াত তিনি মিস করেছেন। আপাতত আমাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে বাসায় থাকলে তার ইমামতিতে তিনি ঘরোয়া পরিবেশে কিছু জামায়াতের সুযোগ নেবার চেষ্টা করেন।
তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। আমি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম সবাইকে তাঁর অসুস্থতার কথা জানাব কিনা? তিনি বলেছিলেন, আল্লাহ তাঁকে এমনিতেই সুস্থ করে তুলবেন তাই সবাইকে ঘটনাটি জানানোর কোন দরকার নাই।
অনেক সম্মানীত ব্লগার তাঁর কাছে মেইল করে, মন্তব্য করে জানতে চাচ্ছেন আসলে তাঁর অসুস্থতার ধরণ কেমন? তাই তাঁর অনুমতি নিয়ে আজকে আমি এই পোষ্ট খানা দিলাম। তিনি যখন একটু সুস্থ বোধ করেন, সেই ফাঁকে ব্লগে উপস্থিত থাকারও চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন জনের মেইলের উত্তর দেন।
দীর্ঘ ৩২ দিন পরও তাঁর অবস্থার পরিবর্তন আশানুরূপ হচ্ছে না। খুবই ধীর গতিতে কিছুটা ক্ষীণ উন্নতি চোখে পড়ে। আপনারা সবাই তাঁর জন্য আন্তরিকতার সাথে দোয়া করবেন।
বিষয়: বিবিধ
২৫৭৮ বার পঠিত, ৫৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহান আল্লাহ্ উনাকে সুস্থতা দান করুন। আ-মী-ন।
এই সমস্যায় ভাল হতে অনেক সময় লাগে শুনেছি। তবে পুর্ন বিশ্রাম এই ইনশাআল্লাহ পূর্ন সুস্থতা দেবে।
আমাদের সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ওনার বর্তমান অবস্থা কি, একটু জানাবেন প্লিজ।
একদিন ওনার দোকানে গিয়ে উনাকে পেলাম না, মোবাইল নাম্বার লিখে রেখে আসলাম। কিছুক্ষণ পর উনি ফোন করে সরাসরি আমার অফিসে উপস্থিত। আমি ঐ দিন অনেক আশ্চার্য হয়েছি, সত্যিই টিপু ভাই একজন আন্তরীকতাপূর্ণ মানুষ।
اسئل الله العظيم رب العرش العظيم ان يشفيه
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
হে আল্লাহ এই ভাইয়াকে সুস্থ্যতা দান করুন ।
সত্যি ওনার অসুস্থতার খবর জেনে হূদয়ে ব্যথা অনুভব করেছি যা প্রকাশ যোগ্য নয়, ওনি ব্লগে অনেক দিন অনুপুস্থিত ছিলেন ওনাকে খুবই মিস করেছিলাম, সহ ব্লগারদের কাছথেকে জানতে পারি কর্মব্যস্ততার কারনে তিনি ব্লগে সময় দিতে পারছেন নাহ্।
মনে মনে ভাবতাম হয়তো কর্মব্যস্ততা কমলে ফিরবেন। আসলে তাই হলো কর্মব্যস্ত কমলে ব্লগে এসে আমাদের অনুপ্রাণা দেবার পাশাপাশি মূল্যবান কিছু লেখা উপহার দিয়েছেন।
আল্লাহ কাছে একটাই প্রার্থনা টিপু ভাইকে যেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করেন, আমিন।
সালমা নামে ব্লগ! অথচ ছবি একজন পুরুষ এর। বুঝতে পারছি না আপনি কে। যদি সম্ভব হয় আপনি টিপু ভায়ের কি হন জানাবেন। নিকটির বয়স ২ বছরের বেশি কিন্তু পোস্ট মাত্র ৫টি।
মুহতারাম কে মহান আল্লাহ দ্রুত শিফায়ে কামেলাহ দান করুন....এই দুয়া আমাদের!!
লাবাসা তওয়াহহুরুন ইনশাআল্লাহ
গত দু’তিন সপ্তাহ ধরে টিপু ভাইকে ব্লগে সক্রিয় দেখে খুব ভাল লাগতো। কিন্তু ওনার অসুস্থতার কথা জানতে পেরে খুবই পেরেশান অনুভব করেছি।
সেদিন মুহতারামা ভাবী সাহেবার সাথে ফেইসবুকে আলাপচারিতায় এতো জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন তা বুঝতে পারিনি! যদিও বা কোনদিন সরাসরি দেখা স্বাক্ষাতের সুযোগ হয়নি, তথাপি যুগ যুগ ধরে চেনা জানা একান্ত আপনজনের মতোই আজকে মুহতারামা ভাবী সাহেবার লিখিত ব্লগে বিস্তারিত জানতে পেরে নিজেও দুঃখ এবং কষ্ঠ অনুভব করছি। আমি একজন নগন্য ভক্ত পাঠক মাত্র। হয়তো আমার মতো অনেকেই শ্রদ্বেয় টিপু ভাই অসুস্থ্য হওয়াতে পেরেশানীতে ব্যথিত। তাই মহান আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে দোয়া ও প্রার্থনা করছি আমাদের সবার অন্তরের পেরেশানী দুর করে দিয়ে প্রিয় টিপু ভাইকে দ্রুত এবং পরিপূর্ণ সুস্থ্যতা দান করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পুনরায় ফিরিয়ে দিক- আমিন।
আমি উনার লেখা খুব পছন্দ করি। উনি দারুন লেখক। অন্তর থেকে তার রোগ মুক্তির দোয়া করলাম।
প্রিয়জনের অসুস্থতার খবর জানার হক্ব রয়েছে, এটা থেকে আমাদের বঞ্চিত করা ঠিক হয়নি মনে করি!
আল্লাহতায়ালা তাঁকে স্থায়ী আরোগ্য দান করুন!
এবং
আপনাদেরকেও সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন!
পরিবারের মূলখুঁটি দুটোর যে কোনটা অসুস্থ হলে কী অবস্থা হয় তা অভিজ্ঞজনেরাই বোঝেন!!
চিকিতসা ও ভাইয়ের অবস্থা হালনাগাদ করতে অনুরোধ রইল!
০ হায় ! হায় ! আমিও তো এই থিওরী এপ্লাই করি । উপরে ওযুর জন্য লাইন ধরতে হয় বলে নিচ থেকে আগে ভাগেই এভাবে ওযু করি !
অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে কোন ফ্র্যাক্চার হয় নি - আল'হামদুলিল্লাহ!
হয়ত মাস খানেক বিশ্রামে থাকতে হতে পারে । সাথে ফিজিও থেরাপীও ।
ব্লগিং করতে কোন অসুবিধা হবার কথা না , বরং বিশ্রামে থাকার কারণে অফিস যেতে হবে না বিধায় ধুমায়া ব্লগিং করতে পারার কথা ।
ইন শা আল্লাহ ভাল হয়ে যাবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন