আমার ব্যলকনি: এক বালতি মাটি ও একটি অবহেলিত লতা

লিখেছেন লিখেছেন সালমা ১৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:৫৮:৩২ দুপুর



প্রবাস জীবনে ছেলেকে দেশের মাটি ও কৃষি বিজ্ঞানের অংশ বিশেষ পড়াতে গিয়ে, নিজেই মাটির সাথে জড়িয়ে গেলাম। মানুষের সামান্য প্রচেষ্টায় যে কেমন সফলতা আসতে পারে তা আমি লিখে বুঝাতে পারব না। মরুভূমির দেশে ছয় তলার একটি বাসায় বসবাস করছি, বাহিরে একটি লম্বা ব্যালকনি আছে। পুরানা ভবন হলেও এখনও দেখতে দারুণ। বর্তমান সময়ে ব্যালকনি যুক্ত ভবন তেমন একটা তৈরি হয় না। আমার আজকের কাহিনী এই ব্যালকনিকে ঘিরেই।

বাজার থেকে স্বামী তিতা করল্লা এনেছিল। কেটে দেখি করলা বাহিরে সবুজ দেখালেও, ভিতরে সব বিচিই লাল হয়ে আছে। মরুভূমির দেশে এমনিতেই সবজির আকাল, তার উপর তিতা করলা গুলো ভেতরে পেকে যাওয়াতে খারাপ লাগল। হঠাৎ চিন্তা করলাম বাহিরে কে জানি মাটি সহ একটি মৃত ফুলের টব রেখে গেছে। ভাবলাম সেই মাটিতেই লাগিয়ে দিই বিচি গুলো। টবটি ব্যালকনিতে রাখলাম এবং সযত্নে বিচিগুলো পুতে দিলাম।

সপ্তাহ খানেক পরেই দেখি বিচি থেকে চারা বের হচ্ছে! সাহেব কে বললাম কয়েকটি টব জোগাড় করে দিতে। তিনি তথ্য নিতে এক বন্ধুর কাছে ফোন করলেন। বন্ধুটি তারপর দিনই এক বস্তা মাটি ও কয়েকটি টব নিয়ে হাজির হলেন। আমিও অতি আনন্দে কাজে লেগে গেলাম। করলার লতা বাইতে থাকল একটি ছোট্ট পরিসরে।



এবার বেগুনের বিচি লাগালাম তাও উঠতে রইল। অতিরিক্ত টবে রসুনের কোয়া ঢুকিয়ে রাখলাম কয়েকদিন পরে সেটাও মাথা গজাল! পিঁয়াজ দিলাম সেটাও কথা বলল। এভাবে একে একে বাজার থেকে আনা বিভিন্ন সবজির অংশ বিশেষ ঢুকিয়ে রাখলাম কোনটাই ব্যর্থ হলনা। পুঁই শাকের একটি পরিত্যক্ত দণ্ড মাটিতে গেঁথে দিলাম, কয়েকদিনের মাথায় সেটাও তর তর করে সতেজ হয়ে উঠল। অবস্থা এমন হল পুঁই শাকের জন্য আর বাজারে যেতে হলনা। ঘরের প্রয়োজনীয় শাক ব্যালকনি থেকেই আসা শুরু হল!

ব্যালকনিতে করলার লতা ছড়িয়ে দেবার সুযোগ নাই। আমি প্রত্যেকটি গাছকে নিবিড় পরিচর্যা শুরু করলাম। কয়েকদিন পর থেকে অনুভব করতে লাগলাম এগুলো যেন সন্তানের মত। এগুলোকে ছেড়ে কোথাও বেড়াতে যেতেও খারাপ লাগে। গভীর রাত্রে উঠেও কতবার যত্ন করেছি পানি দিয়েছি তার ইয়ত্তা নাই। পানি দিলে মনে হয়, সেগুলো আমার সাথে আনন্দ প্রকাশ করছে। প্রতিটি গাছ সুন্দর ভাবে সাবলীল গতিতে একটি ব্যাল-কনিকে ঘিরে বেয়ে উঠতে রইল।



পুরো ব্যালকনি টি সবুজে ভরপুর হয়ে গেল। আবুধাবি শহরের জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক থেকেই ব্যলকনির গাছ গুলো নজরে আসে। কৌতূহলী ব্যক্তিরা খুঁটিয়ে দেখতে চেষ্টা করে, সেগুলো প্লাস্টিকের নাকি সত্যিকারের লতা। ওদিকে বেগুন গাছে বেগুন আসল, টম্যাটো, পুই শাক চলতে রইল। করলার লতা বাড়তে রইল। আমি লতাগুলো স্কচ টেপ দিয়ে দেওয়ালে আটকাতে থাকলাম। সপ্তাহ খানেক পড়েই ফুল আসা শুরু করল। না জানার কারণে প্রথম দিকের কিছু ফল নষ্ট হল। এবার সকালে উঠেই সদ্য ফোটা বেবি ফুল গুলোকে নিজ হাতে পরাগায়ন ঘটাতে থাকলাম। আশ্চর্য হলাম একটি ফুলও ব্যর্থ হচ্ছেনা। দেখলাম শতভাগ সফলতার সহিত প্রতিটি কন্যা বেবি বাড়ন্ত করলা হিসেবে বেড়ে উঠল।

এতে আমার সাহেবের কৌতূহল বাড়ল, তিনি আরো উৎসাহী হলেন। বস্তুত কৃষির প্রতি তার ভয়ানক আকর্ষণ আগে থেকেই ছিল। আমরা শহরে বড় হয়েছি, কোনদিন গ্রামের কৃষি জীবন দেখিনি, হাতে কোনদিন মাটি লাগাই নি, প্রয়োজন পড়েনি। সাহেব দূরের নার্সারি থেকে আরো কিছু মাটি, সার, ন’টা ফুল (সকাল নয়টায় ফুটে), গন্ধরাজ ও অর্কিডের চারা কিনে আনলেন। এবার তিনিও সার্বিক সহযোগিতা করতে লাগলেন।



দেওয়াল বেয়ে উঠা তিতা করল্লার লতা থেকে অনেক করলা খেয়েছি। সাহেবের বন্ধুরা দেখতে আসে, আমার বান্ধবীরাও দেখতে আসে। অনেকে ব্যালকনিতে বসে একটু সময় কাটাতে চায়, চা পান পর্ব চলে, কেউ কেউ নিজের ফটো তুলে। পাশের ভবন থেকেও কৌতূহলীরা ফটো তুলে। ইতিমধ্যে বাজার থেকে আনা আলুর চোখ থেকে নতুন চারা উঁকি দিচ্ছিল, চোখ গুলো তুলে পানির বোতলে মাটি ঢুকিয়ে বসিয়ে দিলাম। সেখানেও আলু জন্মাচ্ছে! দেরী করে ফেলেছি, বিশেষজ্ঞ একজন বলল যদি একটি বস্তায় তিনটি করে চোখ লাগাতাম তাহলে কয়েক কেজি করে আলু জন্মাত।

আমার ব্যালকনিতে ঘণ্টা দুয়েক সূর্যের আলো আসে। যদি অর্ধ বেলা আলো পাওয়া যেত তাহলে ফলন অনেক বেশী হত। একটি কথা বলাই হয়নি, অনেক করলা খেয়েছি! সত্যি বলতে কি মাত্র ১ বালতি মাটিই ছিল এই সাফল্যের পুঁজি!

সাহেবের কুমড়ার শাক ও কুমড়া ফুল খুবই পছন্দ, ছেলের পছন্দ মিষ্ট কুমড়া, আমার সবটাই। আমিরাতে কুমড়া শাক ও ফুল খুবই দুর্লভ সবজি। বাজারে ‘তারা’ আকৃতির একপ্রকার কুমড়া পাওয়া যায়। কাটা কুমড়া থেকে কয়েকটি খসিয়ে মাটিতে লাগালাম, সপ্তাহ খানেক পরে বড় বড় পাতা সহ সেগুলো গজানো শুরু করল। আমার খুবই খুশী লাগল, কেননা সাহেবের মনের মত ডিশ তৈরি করেত পারব। মাসের মাথায় ফুল আসা শুরু করল, বড় বড় রসালো পাতা তো আছেই। এটা এক অন্য ধরনের আনন্দ। ইদানীং দেখলাম কন্যা কুমড়ার ফুল ফুটছে। মানুষের ঘরে কন্যা সন্তান আসলে অনেকেই মন বেজার করে কিন্তু সবজি লতার ক্ষুদ্র কন্যাটিও বেজায় আনন্দ দেয়। কুমড়ার লতাগুলো করল্লার মত লটকানো যাবেনা, তাই ভেবে পাচ্ছিনা কি করা যায়।

টম্যাটোর ফুলে এতদিন ভরপুর ছিল, এখন গাছ ভরা সতেজ কাঁচা টম্যাটোয় ভরপুর। এসব দেখে সাহেবের এক বন্ধু রাত্রে ফোন করে জানালেন তাড়াতাড়ি নিচে নাম, তোমার জন্য বড় একটি উপহার এনেছি! সাহেব বাসায় ঢুকার পর তো মনে হল কেয়ামত চলছে। ভয়ানক দুর্গন্ধযুক্ত এক মাটির বস্তা নিয়ে বন্ধুবর হাজির! জৈব সারের বস্তাগুলো সাহেবের প্রকৌশলী বন্ধু বহু দূর থেকেই তার গাড়িতে বহন করে এনেছেন। এদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে মানুষের পায়খানা গুলো পাইপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো দিয়েই জৈব সার তৈরি হয়। এদেশের বাগানগুলোতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়না। আগ্রহী যে কেউ এই সার সংগ্রহ করতে পারে। সাহেবের বন্ধুটির কাছে আমাদের এই কাজে আনন্দ লেগেছে বলে শহরের বাহিরে অনেক দূরে গিয়ে নিজের গাড়ীর পরিবেশ বরবাদ করে এগুলো বহন করে এনেছেন!



ব্যালকনির এই বাগান ময় পরিবেশ দেখে সর্বদা পাখিদের আনাগোনা ছিল। সকালে ময়না, ঘুঘু, চড়ুই, বুলবুলি ও টুনটুনি বেড়াতে আসে। একদিন দেখলাম এক জোড়া ময়না আর ঘুঘুর মাঝে ঝগড়া বিতণ্ডা চলেছ। ব্যালকনিতে সর্বদা তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা থাকে, তবে এরা খানা নিয়ে ঝগড়া করছে না তা বুঝতে পারলাম। কয়েকদিন পর ঝগড়া থিতিয়ে গেল। ঘর পরিষ্কার করার জন্য ঘরের কার্পেট টি গোল করে খাড়া করে রেখেছিলাম, গোলাকার বান্ডিলের কার্পেটের মাথাটি বাটির মত গোলাকার বৃত্ত তৈরি করেছ। এক সকালে দেখলাম একটি ঘুঘু কার্পেটের উপর বসে আছে, পরে বুঝলাম, কার্পেটের মাথার গোলাকার স্থানের দখলদারিত্ব নিয়েই ময়না আর ঘুঘুর ঝগড়া চলছিল। ঘুঘু জোড়া কার্পেটের মাথায় বাসা বেধেছে। ঝগড়ার কারণে সময় নিয়ে বাসা বানাতে পারেনি, তাই খড়ি-কাটিও প্রয়োজন মত জোগাড় করতে পারেনি। চার পাঁচটি খড়ির উপর বসেই ডিম পেরেছে। পুরুষ পাখিটি সাধ্য মত দুই একটি কাটি যোগাড় করছে আর নারী পাখিটি সংগৃহীত কাটি সাজিয়ে ডিমে তা দিচ্ছে। আমিরাতে ঘুঘু পাখি মানুষকে একদম ভয় পায়না, পায়ের সামনেই হাটা হাটি করে। আত্মীয়তার সেই সূত্রে আমি কয়েকটি কাটি যোগাড় করে, তার সামনে রাখলাম। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম সে আমাকে বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে আমার কাটি গুলো ঠোট দিয়ে নিয়ে বাসা বানানোর কাজে মন দিচ্ছে। এই দম্পতি বাচ্চা জোড়া ফুটাতে না ফুটাতেই আরেক জোড়া এসে জায়গাটি পছন্দ করে গেল এবং তারাও তাদের সংসার পাতার কাজ শুরু করে দিল। ততদিনে আমার দামী কার্পেট তাদের মলের বাহারি বর্ণে রঙ্গিন হয়ে উঠল।

এত খুশীর সংবাদের মাঝে সমস্যাও কম ছিল না। প্রতিনিয়ত চোরের উপদ্রব ছিলই! রোপণ করা বিচি চুরি থেকে শুরু করে আলু গাছের চারা উল্টিয়ে আলু নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত কোনটাই বাকি থাকত না। ছয় তলার উপরেও যে চোরের উৎপাত হতে পারে আগে জানা ছিল না। চোর শুধুমাত্র চুরি করেই ক্ষান্ত হত না, আমাদের জন্য কিছু নিয়েও আসত। মুরগীর গোশত বিহীন হাড়, মাছের কাঁটা, চড়ুই পাখির পচা লাশ, ডিমের খোসা সহ নানাবিধ বিরক্তিকর জিনিষ। হ্যাঁ, আপনারা ঠিকই ধরেছেন, আমি ইঁদুরের কথাই বলছি। ডিশ এন্টেনার তার বেয়ে সড় সড় করে উপরে উঠে আসে। নিজের সংগৃহীত বাজে খাদ্য নিয়ে ছয় তলায় উঠে আমার বাগানের সবজি দিয়ে মিলিয়ে খায়। ডিশের তারের সাইজ আর ইঁদুরের হাতের পাতা একই সমান, তাই তার বেয়ে উঠাটা খুবই সহজ। গৃহস্বামী আবার ইঁদুর ধরায় ওস্তাদ! শোল মাছের মত খালি হাতে খপ্পর করে ইঁদুর ধরে মূহুর্তে আছাড় মেরে হত্যা করার দক্ষতা বেশ মজবুত। ইঁদুর ধরা কিংবা ছোঁয়া আমার কাছে খুবই অপছন্দনীয়, অন্যদিকে ছেলেটি ইঁদুরকে ভয় পায় ভয়ানক ভাবে। তাই তার পিতাকে এইভাবে ইঁদুর ধরতে বারণ করে। আমার পিড়াপিড়িতে অবশেষে ইরানী দোকান থেকে ইঁদুর ধরার খাঁচা জোগাড় হল, এভাবে প্রতি দুই দিন অন্তর অন্তর মোটা সোটা ইঁদুর নিহত হয়ে এক পর্যায়ে উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আসে।



আমার ব্যালকনিটি বড় হলেও, সেটা কোন উঠান তো নয়। গ্রামের বাড়ীর একটি ছোট্ট উঠানের চেয়েও ছোট। তারপরও এই সামান্য পরিসরে যে পরিমাণ ফলন ও ফসল পেয়েছি, খোলা জায়গা হলে আরো বেশী পরিমাণ অর্জন সম্ভব হত। সর্বোপরি, আমাদের দেশ পচা মাটির উর্বর দেশ। আমাদের দেশে যেভাবে মাটির অভাব নেই সেভাবে আলো পানির ও অভাব নেই। অভাব শুধু ইচ্ছা ও আগ্রহের। বর্তমানে দেশে যেভাবে বেকারের অভাব নাই, অবহেলিত স্থানেরও অভাব নাই। আমার বিশ্বাস প্রতিটি গৃহিনী যদি তার আশ পাশের সামান্য জায়গাগুলোতে এভাবে হাত লাগায় তাহলে সংসারে কিছুটা অভাব দূর হবে। মনের মাঝে পরিতৃপ্তি আনন্দ ফিরে আসবে আর আন্তরিক গৃহবধূ পেয়ে স্বামী-শাশুড়িও সুখী হবে।

বিষয়: বিবিধ

৪৪৮৪ বার পঠিত, ৮১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

208753
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : অসাধারন বর্ননাশৈলির জন্য প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই...আপনারা যেভাবে শৈল্পিক ছোঁয়া দিয়েছেন ছোট্ট ব্যালকনিতে তা সতিই প্রশংসানীয়...শেষপ্রান্তে দারুন একটি কথা বলেছেন, আমাদের বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞজনেরা। সেখানে আপনার ফর্মুলা চালু করতে সরকারীভাবে যদি প্রচারনা চালায় যে প্রত্যেকে তার বাড়ীর আশপাশে খালি যায়গায়/ছাদে/ব্যালকনীতে শবজীর গাছ লাগায় তবে আশা করি বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা সহজ হয়ে যাবে।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
157439
সালমা লিখেছেন : উৎসাহ মূলক প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
157448
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমিই প্রথম হতে চেয়েছিলাম, পোস্টটা যে এত্ত লম্বা, তা জানাছিলোনা, পড়তে পড়তে দেরী হয়েগেলো Whew! Whew! পুরস্কার হিসেব একটা জিনিস চাইতাম, সেই সুযোগটাও হাতছাড়া হয়েগেলো Crying Crying না পড়ে ফার্স্ট হওয়াটাই ভালো Crying Crying
208754
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : ১বছর ১মাস ২৭ দিনে এটাই আপনার প্রথম লেখা। অভিনন্দন আপনাকে। আপনার লেখায় এতো যাদু আর আপনি কিনা লেখালেখি করেননা। একজন ব্লগার হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমাদেরকে আপনার লেখনী পাঠে বঞ্চিত করার জন্য এবং পাশাপাশি অনুরোধ করছি নিয়মিত লেখার জন্য। শুভকামনা রইলো...শুভ হোক আপনার ব্লগিং জীবন। Rose Rose Rose
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
157440
সালমা লিখেছেন : না আমি পেশাদারী কোন লেখিকা নই। স্বামীর উৎসাহ উদ্দীপনায় লিখতে হাত দিয়েছি। লিখাটি তাঁকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়েছি। তাই হয়ত লিখার ভাষা আর মন্তব্যের ভাষা ভিন্ন হবে। সোনার বাংলাদেশ ব্লগে লিখতাম, এখানেও নিয়মিত লিখব।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:০৬
157450
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : গুরুজ্বীর সাথে একমত Loser Loser

যদি নিয়মিত না লিখেন, ডিশের ক্যবলের মাধ্যমে বড় সাইজের মেঘা-ইঁদুর পার্সেল করবো বাসায়, যাতে ইঁদুরের বিরক্তির বিষয়হলেও লিখেন। Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:০৬
157451
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @সালমা আপু
208756
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
এহসান সাবরী লিখেছেন : পিলাচ
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
157444
সালমা লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়ির সবজি বাগানে আসার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
208757
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪৩
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : মাশাআল্লাহ ! এত সুন্দর বাগান। একটু হিংসে ও হচ্ছে। কারণ কি জানেন গত ৬/৭ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠা বারান্দার বাগানটি প্রায় ধ্বংস। অথচ কি না করেছি। গবাদি গশুর গোবর মেশানো মাটি, শুকনো চা পাতা, ঘরে বানানো জৈব সার কোন আদর যত্নই তো বাদ দিইনি।এত আলোকিত বারান্দা আমি সেই রোদে রীতিমত চুল শুকাই অথচ গাছ সাহেবদের মনে হয় পছন্দ হয়নি। শুরুতে বেশ চনমনে বেড়ে উঠলেও সব গুলো এখন ইন্তেকাল করেছে। তাই বাড়ির বাইরে একটি খালি প্লটে করেছি। আলহামদুলিল্লাহ করলা গাছে এত করলা ধরে। কিন্তু এখানেও সমস্যা ইদানিং প্রায় করলার ভেতরে পোকা। কি যে করি যদি কোন সমাধান জেনে থাকেন জানালে খুবই উপকৃত হব। আপনার বাগানের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:০৯
157452
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আপ্নার কইতরি কন্যাকে খিলাফত দিয়েদেন বাগানের দেখাশুনা করার। আশা করা যায়, সুফল পাবেন Tongue Tongue @নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২৫
157487
সালমা লিখেছেন : হয়ত আপনার মাটি কিংবা আলোর তাপে সমস্যা আছে, আমিও এই কাজে দক্ষ নই, লিখাতেই বলেছি। আমার করলা গাছেও পোকা হয়।

গত সপ্তাহে ওমরা থেকে ফিরে দেখলাম পুরো বাগান ইদুরে শেষ করে দিয়েছে। অনেক ক্ষতি করেছে। এই পোষ্টটি ওমরায় যাবার আগে লিখেছিলাম, তখনও আমি ব্লগে লিখা পোষ্ট করার অনুমতি পাইনি। কয়েকদিন আগে পেয়েছি, তাই আজ পোষ্ট করেছি।

আমার সাহেব আপনার সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে বহুবার ফোন দিয়েছিল কিন্তু ওনার ফোনটি আউট অব সারভিস জানাচ্ছিল। তিনি সৌদি আরবে অবস্থিত অনেক ব্লগারের সাথে কথা বলেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
208758
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪৪
মোকাররম৭৬ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২৫
157488
সালমা লিখেছেন : বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ।
208761
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৫১
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মানুষ ইচ্ছা করলে অনেক কিছুই করতে পারে। এটি হল তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মানুষ যদি তার ইচ্ছাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তার দ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ফায়দাও সে নিতে পারে। সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ব্যতীক্রম ধর্মী সাফল্য গাঁথা এই পোষ্ট টি ষ্টিকি করা হউক।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৭
157474
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আপার পোষ্টটা স্টিকি করা হোক।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
157489
সালমা লিখেছেন : আপনাদের দুই জনকে অনেক ধন্যবাদ্
208763
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
আবু সাইফ লিখেছেন : মারহাবা!!! Rose Rose Thumbs Up

জাযাকুমুল্লাহ!!! Praying Praying

আমার আবেদন এত তাড়াতাড়ি মজ্ঞুর হবে কল্পনাও করিনি-
Happy>- Happy>-

আপনার কলমের শক্তি জানা আছে-
যা লিখবেন তা-ই অনন্য হবে নিশ্চিত...
তাই পোস্ট নিয়ে কথা বললাম না Nail Biting

Good Luck
কিন্তু এতদিন না লেখার জন্য অবশ্যই ....
নাহ, থাক, অভিযোগ স-ব বাদ

কলম (কীবার্ড) যখন হাতে উঠেছে, Hurry Up
এখন নিত্য-নতুন লেখা পেলেই খুশী Cheer



Praying Praying Praying
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
157490
সালমা লিখেছেন : এতদিন ব্লগে লিখা পোষ্ট করার অনুমতি পাইনি। কয়েকদিন আগে পেয়েছি, তাই আজ পোষ্ট করেছি। অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ। দোয়া করবেন যাতে লিখতে পারি।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
157661
আবু সাইফ লিখেছেন : ব্লগে আছেনঃ ১ বছর ১ মাস .. দিন
অনুমতি পেতে এত্তো দেরীী.. Thinking Surprised Worried

যা-ই হোক, আমি দাবী করতেই পেয়ে গেছি- এতেই আমার বড্ড আনন্দে লাগছে Thumbs Up
(ঝড়ে বক... I Don't Want To See হোক না, ক্ষতি কী) Big Grin

দোয়া করি, চাই-ও Praying Praying Good Luck
208767
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:২০
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : শুরুতেই আল্লাহ্ রাব্বুল আলমীনের শোকরিয়া আদায় করছি, এমন একজন গুণী, প্রতিভাবান লেখিকাকে আমাদের মাঝে দেয়ার জন্য। Praying Praying

আপ্নার লিখার স্টাইল অসাধারন। আমি একটু অলস টাইপের, লেখা লম্বা দেখলে তেমন একটা পড়িনা I Don't Want To See কিন্তু আপনার লেখাটা পুরোপুরি না পড়ে পার্লাম না Thumbs Up Thumbs Up

আল্লাহ্ রাব্বুল আলমীন আপনার লেখায় যেন বারাকাহ দান করেন, আমীন।Praying Praying নিয়মীত লেখার সবিনয় অনুরোধ রইলো।

Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck

প্রতিটি গৃহিনী যদি তার আশ পাশের সামান্য জায়গাগুলোতে এভাবে হাত লাগায় তাহলে সংসারে (কিছুটা নয় -- আমার মনেহয় অনেকটা) অভাব দূর হবে।
Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck

শ্রদ্ধেয় গৃহকর্তাকেও ধন্যবাদ, উনার রিকুয়েস্টের কারনেইতো আমরা আপ্নার এত্ত সুন্দর উপহারটি পেয়েছি। যাজাকুমুল্লাহু খাইর।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
157491
সালমা লিখেছেন : সত্যি কথা বলতে কি, আমি পেশাদারী কোন লেখিকা নই। স্বামীর উৎসাহ উদ্দীপনায় লিখতে হাত দিয়েছি। এই লিখাটি দীর্ঘসময়ে লিখেছি, ভাবলাম কেউ হয়ত উদ্দীপনা পাবে। অনেক ধন্যবাদ।
208769
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
ইমরান ভাই লিখেছেন :


অবাক হবার মত বিষয়। আপনার জন্য ফুলটা
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
157457
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এটাকি সূর্যমুখী? আমার নিকের দিকে মুখকরে তাকিয়ে আছে তো, তাই বল্লাম Tongue Love Struck Tongue
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩১
157492
সালমা লিখেছেন : ধন্যবাদ, সুন্দর ফুল।
১০
208773
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
রাইয়ান লিখেছেন : সুন্দর বর্ণনাশৈলিতে দারুন উপভোগ্য একটি লেখা । আপনি একটি ব্যালকনিতে সবুজের সমারোহ ঘটিয়েছেন , ভাবতেই ভালো লাগছে । নিয়মিত লিখবেন ।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩১
157493
সালমা লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ইনশায়াল্লাহ লিখব।
১১
208777
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
আবদুল্লাহ বাংলাদেশী লিখেছেন : অসাধারণ লেখা, খুব চমৎকার। অনেক অনেক ধন্যবাদ বোন। "শোল মাছের মত খালি হাতে খপ্পর করে ইঁদুর ধরে মূহুর্তে আছাড় মেরে হত্যা করার দক্ষতা বেশ মজবুত" এই লাইনটা পড়ে অনেক হাসলাম। যাক, কাজের কথায় আসি, তাহলে আপনাদের বাসায় দাওয়াত পাওনা হয়ে গেলো, টাটকা সবজি খেতে হবে।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৩
157494
সালমা লিখেছেন : আপনাদের মত গুনী জনকে দাওয়াত করে খাওয়াতে পারলে খোদাতায়ালা খুশী হত। অনেক ধন্যবাদ।
১২
208779
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : আপনার মত যদি আমার একটি বাসা থাকতো তাহলে আমিও সবুজের সমারোহ ঘটাতাম।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
157495
সালমা লিখেছেন : কিছু করার জন্য আমার মত বাসা থাকতে হবে বলে কোন কথা নাই, দরকার সদিচ্ছা ও আগ্রহ। ধন্যবাদ।
১৩
208784
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সর্বোপরি, আমাদের দেশ পচা মাটির উর্বর দেশ। আমাদের দেশে যেভাবে মাটির অভাব নেই সেভাবে আলো পানির ও অভাব নেই। অভাব শুধু ইচ্ছা ও আগ্রহের। বর্তমানে দেশে যেভাবে বেকারের অভাব নাই, অবহেলিত স্থানেরও অভাব নাই। আমার বিশ্বাস প্রতিটি গৃহিনী যদি তার আশ পাশের সামান্য জায়গাগুলোতে এভাবে হাত লাগায় তাহলে সংসারে কিছুটা অভাব দূর হবে। মনের মাঝে পরিতৃপ্তি আনন্দ ফিরে আসবে আর আন্তরিক গৃহবধূ পেয়ে স্বামী-শাশুড়িও সুখী হবে।

আপনার ক্রিয়েটিভ আ্ইডিয়াটা এত ভাল লেগেছে যে ফেসবুকে পোষ্ট করে দিয়েছি। খুব ভাল লাগল। অতিরিক্ত ভাল। গাছগাছালী জড়িয়ে বাস করার মাঝে দারুণ আনন্দ। আর এসব দেখে পাখিদের বাসা বাধাটা যেন প্রকৃতির সাথে আত্মীয়তার বন্ধনে জড়ালেন।
আহ এত সুন্দর সব্জি দিয়ে আপনার বাসায় দাওয়াত খেতে মন চাচ্ছে।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
157496
সালমা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য, আমাদের ঘরে আপনার দাওয়াত রিজিকে থাকে অবশ্যই আল্লাহ কোন একদিন ব্যবস্থা করে দিবেন।
১৪
208804
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪২
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : দারুণ আইডিয়া। বাসাবাড়িতে এরকম গাছ লাগালে অবসরে সময় পাস করা যায়।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
157497
সালমা লিখেছেন : সত্যিই বলছেন খুব ভাল সময় কাটানো যায়। ধন্যবাদ।
১৫
208817
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৯
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : দুবাই শহর থেকে বিদায় দেবার সময় আপনার এই অসাধারণ পোস্টটি পড়লাম। আরো কিছুদিন থাকলে পারলে বাসায় গিয়ে করলা গিয়ে ভাত খেয়ে আসতাম। এবার দেশে গেলেই আমাদের বাসায় বেড়াতে যাবেন। আমার কন্যা আপনাদেরকে দেখে অনেক খুশী হবে। ভাল থাকবেন। ফি..আমানিল্লাহ।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
157499
সালমা লিখেছেন : আপনার মন্তব্য পড়ে দুঃখ লাগল, আপনি কি একেবারেই দুবাই ত্যাগ করছেন? আগামী ছুটিতে দেশে গেলে অবশ্যই আপনার কন্যার সাথে যোগাযোগ করব। ঠিকানা পাঠাবেন। ধন্যবাদ।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
157505
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমার মন্তব্যে অনেক বানান ভুল আছে..সরি.......আমি দুবাই ছেড়ে একেবারে চলে যাচ্ছি। দেশে গিয়ে কিছু দিন খাকব তারপর বাকপ্রবাসের দেশ কাতারে চলে যাব ইনশাআল্লাহ।
১৬
208868
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১০
পবিত্র লিখেছেন : বাগান করা আমারও শখের কাজ। একটু মাটি পেলেই এটা সেটা রোপন করে দিই। আমিও টবে কয়েকবার করেছিলাম পুই শাক মিষ্টি আলু পেয়াজ মিষ্টি কুমড়ার বিচী। বিভিন্ন কারণে তা হারিয়ে গেছে। আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছি একটি ছোট্ট বাগান করার। কয়েক দিনের মধ্যে শুরু করব ইনশাআল্লাহ।

অনেক সুন্দর লিখেছেন, আশা করি নিয়মিত পাবো। ব্যলকনির বাগানটাও বেশ ভালো লেগেছে।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
157562
সালমা লিখেছেন : আল্লাহ আপনার শখ পূরন করুন। আশা করছি খুব তারাতারী আপনার শখের বাগান দেখতে পাব ব্লগের মাধ্যমে,ইনশাআল্লাহ।
১৭
208889
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ঢাকার মত চট্টগ্রাম শহরেও যখন হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ প্রকৃতি তখন আবুধাবির মত জায়গাতে ব্যালকনিতে তরকারির ক্ষেত এর কথা শুনে হতবাক এবং দুঃখিত! একসময় আমাদের শহরের বাড়িতেই আম,কাঠাল গাছের সাথে প্রচুর তরকারি হতো। কিন্তু এখন একটি বেলুম্বু গাছ অতি কষ্টে রক্ষা করা গেছে।
সুন্দর এবং প্রাঞ্জল বর্ননার সাথে আকর্ষিনয় ছবি!
সবগুলি মিলে প্রথম পোষ্টেই আপনি দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। আশা করি আপনার লিখা বন্ধ হবেনা।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
157616
সালমা লিখেছেন : "ব্যালকনিতে তরকারির ক্ষেত এর কথা শুনে হতবাক এবং দুঃখিত" এর অর্থ বুঝলাম না।উৎসাহ মূলক মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৮
208972
১৭ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বেশ চমৎকার একটি মিনি বাগানের মালিক আপনি!!! লেখা এবং ছবি দুটোই বেশ ভালো লেগেছে। আশা করছি এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন। ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
157619
সালমা লিখেছেন : বেশ চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯
209062
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আবুধাবির মত চরম আবহাওয়ার জায়গাতে স্রেফ একটা ব্যালকনিতে এত সবজি ফলান দেখে অবাক হয়েছি। আর দেশের কথা চিন্তা করে দুঃখিত হয়েছি।
আসলে আমাদের বাড়িটা এক সময় গাছপালা ভর্তি ছিল। আমার গৃহশিক্ষক নজরুল ইসলাম টিপু ভাইকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন কেমন ছিল আমাদের ঘর। এখন সেখানে শুধুই বিল্ডিং। বারান্দা কিংবা ছাদেও বিভিন্ন কারনে বাগান করা যাচ্ছেনা।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪০
157781
সালমা লিখেছেন : আসলে দেশের কথা চিন্তা করলে মনটা দুঃখে ভারআক্রান্ত হয়ে যায়। সাহেবের কাছে আপনাদের ঘর বাড়ির অনেক গল্প শুনেছি। আপনার মায়ের আপপ্পায়ন তো অতুলণীয়,কেমন আছেন বাড়ীর সবাই?খালাআম্মা কে আমার সালাম বলবেন।
২০
209115
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : চমৎকার একটি পোষ্ট।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪০
157782
সালমা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২১
209169
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩৯
মাটিরলাঠি লিখেছেন : আপনিতো সুন্দর লিখনে। নিয়মিত লিখবেন ইনশা-আল্লাহ।

১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪২
157783
সালমা লিখেছেন : দোয়া করবেন,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা করব ইনশা-আল্লাহ।
২২
209264
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪৯
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার পোস্টটি অসম্ভব ভাল লাগল, মনে হোল যেন ব্লগ অঙ্গনে আরেকটি বাগান রচনা করলেন আপনি। Happy
আপনার পোস্টটি দেখে আমার ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমি বাগান করুয়া নই, বাগান দেখুয়া বলতে পারেন। তবে আমার বাবামা দু'জনেরই বাগানের শখ। আমার ছোটবেলা কেটেছে আবুধাবীতে। দু'জনেই দিনরাত লেগে থাকত ঘরের ভেতর এবং বারান্দার বাগান জিইয়ে রাখতে। আপনার মতই আমাদের বারান্দায় সব্জী ফলিয়েছিল মা, দু'টাকার সব্জীর জন্য চল্লিশ টাকার সার দিয়ে, পানি দিয়ে, নিজেরা খেয়ে, অন্যদের বিলিয়ে, ফটো তুলে এক এলাহি কান্ড! আমরা চলে আসার সময় ষোলশ দিরহামের গাছ বিক্রি করেছিল মা, লোকজনকে উপহার দেয়ার পরেও! তখন অবশ্য আবুধাবীর আবহাওয়া আরো বেশি চরমভাবাপন্ন ছিল। এখন ব্যাপকভাবে গাছ লাগানোর কারণে কিছু পরিবর্তন এসেছে। একনাগাড়ে তিন বছর এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি, মসজিদে মসজিদে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়া, দু'আ করা খুব মনে পড়ে। Day Dreaming
আর হ্যাঁ, ওখানকার ইঁদুরগুলো ভয়ানক, বিল্ডিং বেয়ে ঘরে ঢোকে! এমন টম অ্যান্ড জেরী খেলা আমাদেরও খেলতে হয়েছিল একটি বিল্ডিংয়ে থাকাকালীন। Big Grin
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ এমন সজীব এবং স্মৃতিজাগানিয়া একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।

১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
158119
সালমা লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। আরো ধন্যবাদ গাছের চারা উপহার দেওয়ার জন্য। আপনারা এখন কোথায় আছেন?
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:১৩
158297
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমরা এখন ক্যানাডায় থাকি। আমি যে বয়সে আবুধাবী ছেড়েছি আমার মেয়ের এখন সে বয়স Happy
২৩
209265
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৫১
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : লেখাটি স্টিকি করার জন্য মডারেটরদের অনুরোধ জানাচ্ছি Loser
১৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
157901
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমিও আপ্নার সাথে একমত। স্টিকি করলে অনেকেই উৎসাহ পাবে Loser Loser Loser Loser
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৫০
158121
সালমা লিখেছেন : আপনাদের দুই জনকে অনেক ধন্যবাদ।
২৪
209308
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:৩৪
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : আপনার, লিখা পড়ে এত ভালো লেগেছে, কি আর বলব...
ভাবছি খুব জলদি একটু যায়গার বাবস্থা করব, খ্যাত খামার করার জন্য।
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
158124
সালমা লিখেছেন : জলদি করেন এবং আপনার বাগান আমাদের কে দেখান ব্লগে। আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৫
209612
১৮ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫২
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। খুব সুন্দর সাফল্য রচিত বাগান বিলাসী পোষ্ট । আপনি যে বাংলাদেশী তার স্বাক্ষর মরুভূমিতেও রেখেছেন । একেই বলে রক্তের গুন । তবে সবার হাতে সব কিছু হয় না । আপনার হাতের যশ আছে তাই হছ্ছে । তবে মানুষের নজর থেকে সাবধান । বদনজরে অনেক সুন্দর সুন্দর বাগান নষ্ট হয়ে যেতে দেখেছি। আপনার জন্য একটি লিংক দিলাম এটা পড়ুন তাহলে ইশাআল্লাহ চাষাবাদ ও পোকামাকরের থেকে ফসল ফলাদি রক্ষা করতে পারবেন ।ই- কৃষি ।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৫
158658
সালমা লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআস্-সালাম-ওয়া রহমতুল্লাহ। লিংক দেওয়ার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ। সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৬
209753
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৭
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমরা একসময় আবুধাবি ছিলাম। খুব ভালো লাগলো আপনার সবজি বাগানটা দেখে Good Luck Roseআমাদের এখানে ঠান্ডা বেশী থাকায় অনেকে ঘরে টবে করে। নিজের হাতে বাগান করার আনন্দটা আসলেই অন্যরকম।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫০
158662
সালমা লিখেছেন : ঠিক বলেছেন নিজের হাতে বাগান করার আনন্দটাই আলাদা। তো আপনাদের ওখানে কি ঘরের ভিতরে সবজি হয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩৭
159947
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : জ্বী। পুঁই শাক,কাঁচা মরিচ,টমেটো সবই হয়। বরং বাইরের চেয়ে ঘরে ভালো হয়।
২৭
209893
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আমার ও আপনার ভাবীর সালাম নিবেন। আমাদের এখানে ব্যালকনী নেই। জানালার বাইরে ফুল গাছ লাগানোর জন্য সামান্য একটু জায়গা আছে। সেখানে অাপনার ভাবী পুঁই শাকের চাষ করেন, মাঝে মাঝে সেই নিজ হাতের পুঁই শাক মাছের সাথে পাক করে খাওয়ান। তাতেই কত আনন্দ। আর আপনার এই বিস্তৃত বাগান আর বাগানের সব্জীতে আপনাদের কি যে আনন্দ তা অনুমান করতে কষ্ট হয়না। আপনার পোষ্টের উসিলায় বহুদিন পর ভাই অার ভাতিজাকে দেখলাম।
আপনার ভাবীর রিকোয়েস্ট দিলাম । স্কাইপ এ আসুন এবং কথা বলুন। মিষ্টির স্কাইপ নম্বর হলো nussyj
add করে কথা বলুন তাড়াতাড়ি। উনি লিখতে পারেন না, তাই কথা বলতে আগ্রহী
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
158668
সালমা লিখেছেন : ওয়ালাইকুম-আস-সালাম কেমন আছেন আপনারা? ভাবীকে আমার সালাম বলবেন। আমি রিকোয়েস্ট পাঠীয়েছি। আপনাদের বাগানের জন্য দোয়া রইল।ব্লগীয় সবজি বাগানে বেড়াতে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৮
210152
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
সালমা লিখেছেন : গ্যাঞ্জাম ভাই সহযোগীতার হাত বাড়ালেই স্বপ্ন সত্যি হয়ে যাবে। ব্লগীয় সবজি বাগানে গ্যাঞ্জাম লাগাতে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৯
210428
২০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫৯
জুমানা লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য ।
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
159019
সালমা লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়ির সবজি বাগানে আসার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ।(~~) (~~) (~~)
৩০
211534
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:২০
ভিশু লিখেছেন : খুব ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck
২২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪৪
160099
সালমা লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়ির সবজি বাগানে আসার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
২২ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
160184
ভিশু লিখেছেন : এবার কিচেন গার্ডেনের শবজি'র রান্না করা কিছু দেখাবেন একটু...Rolling Eyes Sad Good Luck Rose
২২ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৪২
160203
সালমা লিখেছেন : ইনসাআল্লাহ কখনও দেখবেন হয়তো।
৩১
216377
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৮:১৭
আবু জারীর লিখেছেন : ওয়াও! এত সুন্দর বাগান। আমিও দাম্মামে অফিসের সামনে এমন পাগলামি করেছিলাম। পুঁই শাক ও ভেন্ডির বাম্পার ফলন হয়েছিল। নিজেতো বটেই স্বদেশী-বিদেশী বন্ধুরাও ভাগ বসিয়েছিল।

মাশা'আল্লাহ আপুর বাগানটা যেন দুনিয়ার জান্নাত। পূর্ণতা পেত যদি একটা বেবি গার্ল থাকত। অবশ্য এখনও মনে হয় সময় ফুরিয়ে যায়নি দুয়া করি আল্লাহ তাঁর কুদরতে আপনার দুনিয়াটাকেও জান্নাতে পরিণত করুন।
১১ মে ২০১৪ রাত ০১:০৯
167720
সালমা লিখেছেন : এখন কেমন আছে আপনার বাগান? লিখে ফেলেন বাগান নিয়ে,আর আমরাও জানতে পারব আপনার বাগানের সব কথা। আর মেয়ের কথা বলছেন? সব আল্লাহর রহমত তিনি যেমনটি পছন্দ করেছের আমাদের জন্য তাতেই খুশি , তারপরও আপনারা দোয়া করুন আমাদের জন্য।
৩২
217841
০৫ মে ২০১৪ রাত ০৮:০০
সালমা লিখেছেন : এখন কেমন আছে আপনার বাগান? লিখে ফেলেন বাগান নিয়ে,আর আমরাও জানতে পারব আপনার বাগানের সব কথা। আর মেয়ের কথা বলছেন? সব আল্লাহর রহমত তিনি যেমনটি পছন্দ করেছের আমাদের জন্য তাতেই খুশি , তারপরও আপনারা দোয়া করুন আমাদের জন্য।
৩৩
219425
০৯ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫৩
মনটা আমার বাঁধনহারা লিখেছেন : মাশা আল্লাহ! এত সুন্দর বাগান! গত বছর ইতালি গিয়ে এমন শাক-সব্জির বাগান দেখেছি অনেকের বাসায়। তবে এত চমৎকার পাখীর বাসা দেখেনি। অনেক অনেক অনেক ভালো লাগলো। Rose Rose Rose Rose
১১ মে ২০১৪ রাত ০১:১১
167721
সালমা লিখেছেন : বেশ চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩৪
220517
১২ মে ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : ওয়াও খুব ভাল লাগলো,আপনার মত আমিও কেমনে কি করে পরবাসে একাধিক সবজি পশু-পাখির খামার করে ভেললাম দোয়া করবেন আপু আমার সবজি বাগানের জন্য এদের লালন-পালন করে খুব সুখে আছি ।আমার বাগানে আছে টমেটো , মরিচ,পিয়াজ, রসুন ,ধনিয়া পাতা ,লাউ,পেপে পশু-পাখির বলতে মুরগি কবুতর ৫০ টির মত। অনেক ধন্যবাদ।
১৪ মে ২০১৪ রাত ১১:৪২
169064
সালমা লিখেছেন : আপনার ও আপনার বাগানের জন্য দোয়া রইল, আল্লাহ আপনার বাগান কে তার রহমত দিয়ে বরকতময় করেদিন,আমিন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।আর ব্লগের মাধ্যমে জানাবেন কেমন হয় আপনার খামার ।
৩৫
296097
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৪৮
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপু, আপনার বেলকনিতে আমিও ৪/৫টা ছবি তুলেছিলাম। আমি আর রিয়াজ ভাই আপনার কৃষি কাজ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছিলাম। আশা করি নতুন ফ্লাটের বেলকনিতে ও আপনার কৃষিকাজ অব্যাহত রাখবেন।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
239760
সালমা লিখেছেন : দোয়া করো আবার শুরু করেছি নতুন বাসার বেলকনিতে ,তবে এবার করেছি ফুল, কুমরা বরবটি। ভাল থেক। পোষ্ট পরার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File