কা'বা শরিফে প্রচন্ডু মানষিক ঝাকি খাওয়া একটি রাত্র ।
লিখেছেন লিখেছেন জেদ্দাবাসী ২৮ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:১০:১১ রাত
বিছমিল্লাহির'রাহমানির'রাহিম।
দুইতিন বছর আগের ঘটনা। ওমরা গেইটের দিকে তখনো নতুন নির্মান কাজ শুরু হয়নি। মসজিদুল হারামের উপরতলা চাদ চারপাসের সব খালি জায়গা অলিগলি পর্যন্ত মুসুল্লিতে ভরে গেছে। অন্যান্য বছরের তুলনাই এবছর রমজানে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরা হাজিদের সংখ্যা তুলনামুলক বেশি। শেষ দশরাত্রে ইতেকাফে জামায়াতের সাথে তাহাজ্জুদের নামাজে অংশ নিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে নিজেকে তাকওয়ার চাদরে ঢেকে নিতে সবাই ব্যস্ত।
এবাদতের গাম্ভিয্য, অন্যকে নিজের উপর প্রধান্য দেওয়া হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে ৭৯নং ফাহাদ গেইটের সামনে আন্ডার গ্রাউন্ডের হাম্মামের চলন্ত সিড়ির বাম পাসে সামান্য জায়গাতে দুই লাইন মুসুল্লিতে ভরে গেছে। তাহাজ্জুদের নামাজ জামাতের সাথে পড়ার জন্য।
নামাজ শেষে সংগে আনা তিন লিটার পানির জেরকিন থেকে প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম গ্লাসে করে সবাইকে জমজমের পানি বিতরন করছি। লম্ভা রুকু সিজদার নামাজে, গরমে সবাই কিছুটা ক্লান্ত । কোন ধরনের বিরুক্তি পেরেসানি কোন চিহ্ন নেই। সবার চেহারাই ঝিলিক মারিতেছে প্রশান্তির আভা।
সবাই পান করার জন্য আমার আশেপাসে ছোটকাট একটা ভিড় জমে গেছে। সামান্য দুরে থেকে এক যবুক বসা অবস্তাই আরবিতে পানি চাইল বল্ল 'মুহাম্মদ জিব মুইয়া' , আমার আশেপাসে সব লোকগুলো বুড়া, এই দূর্বল মুসল্লিরা হাম্মাম সেরে নিজেদের ইতেকাফের স্থানে ফিরতে পারেনি প্রচন্ডু ভিডের কারনে। তাই এখানেই নিয়ত বেঁধে তাহাজ্জুদের নামাজে দাডিয়ে গেছে। আমি তাদেরকে পানি দিয়ে কুলাতে পারছিনা আর সে জোয়ান যবুক, তাকে আমি পানি নিয়ে দেব! মনে মনে কিছুটা বিরুক্ত লাগলেও কিছু বল্লাম না । এদিকে পানি প্রাই শেষ হয়ে আসছে। সে যবুক আবারও আগের মত করে পানি চাইল। আরমাত্র তিনচার গ্লাস পানি আছে। বিরুক্তিকে চেপে রেখে তাকে আমি মাতা দিয়ে ইশারা করে মুখে বল্লাম, তা'ল ইন'তে তাল, (আস তুমি আস) ভিড় কমছেনা এদিকে পানি প্রায় শেষ, সে দেখছে।
আর একজনকে পানি দিয়ে দেখলাম ওই যবুক দাড়ানো অবস্তাই আমার কাছে পানি চাচ্ছে আর সে এগিয়ে আসতে পারছে না, লাঠির মত কিছু একটার উপর ভর দিয়ে দাড়িয়ে আছে । তাঁর একটা পা সম্পুর্ন অকেজো।
বিষয়: বিবিধ
১৭২৬ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
আমি ভাই রিসেন্টলী দুটো ঈমানের পরীক্ষায় ফেল করে - যারপরনাই মনোঃ কষ্টে ভুগছি। আমার কাছে সব সময়ই মনে হয় আল্লাহ আমাকে দুটো পরীক্ষায়ই নেয়ামত হিসাবে উপস্থাপন করেছেন এবং আমি দুটোতেই ফেল করেছি।
আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে পরীক্ষায় পাশ করার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আল্লাহ আপনাকে পরীক্ষায় পাশ করার সুযোগ করে দিন আমীন।জাযাকাল্লাহ খায়ের
জাযাকাল্লাহ খায়ের
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
জাযাকাল্লাহ খায়ের
ধন্যবাদ আপনাকে, লিখাটা খুব ভাল লাগলো।
তবে যাই হোক আমার উত্তরটি নিম্নরূপঃ
ধন্যবাদ জেদ্দাবাসী ভাই। একটি লেখা পোস্ট করার পর আমি আপনাদের আলোচনা / সমালোচনার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। গঠন মূলক সমালোচনা আমার ভেতরের ভুল ত্রুটি গুলো শোধরানোর একটি সুযোগ এনে দেয়। আপনার সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি আর সেই সাথে আমার আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকারেরও নিশ্চয়তা চাইছি।
আমি মুহাম্মদ আসাদের একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। আমার অনেক লেখাতেই তাঁর রেফারেন্স দেই। যেমন এই লেখাটি। আমার মত ক্ষুদ্র ব্যক্তির তাঁর মত ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করার যোগ্যতা নেই, যদি না সেই সমালোচনা সহীহ আক্বীদা পন্থি উলামারা করে থাকেন। তার লেখা তফসির টি মুতাজিলা আক্বীদার দোষে দুষ্ট হওয়ার ফলে ১৯৭৪ সালে সৌদী আরবে নিষিদ্ধ হয়েছিল। যা উইকিপিডিয়াতে নিম্নোক্ত ভাষায় এসেছে।
“Criticism[edit]
Considered one of the leading translations of the Qur'an, it has been criticized by some traditionalists for its Mutazilite leanings. The book was banned in Saudi Arabia in 1974 (before its publication) due to differences on some creedal issues compared with the Salafi ideology prevalent there.”
সৌদী আরবের “The Permanent Committee for Scholarly Research and Ifta” তাদের ফতোয়া তাঁর লেখা তফসিরের অসঙ্গতি এই ভাবে বর্ণনা করেছেন।
4- Why was the translation mentioned above published in a Muslim country taking into account that Muhammad Asad - to my knowledge - is living in the Kingdom of Morocco?
(Part No. 3; Page No. 294)
I find nothing in the Qur'an or the Sunnah to support the issues mentioned in it. I hope that your Fatwa will back me to refute these matters and prevent the publication of this translation here.
A: The translation referred to contains fatal errors and flagrant false beliefs. As a result, the Constitutional Council of the Muslim World League in Makkah Al-Mukarramah issued a decree banning the print and publication of this translation.
May Allah grant us success. May peace and blessings be upon our Prophet Muhammad, his family, and Companions.
এই কমিটির সদস্য বৃন্দ হলোঃ
Member
1. `Abdullah ibn Qa`ud
2. `Abdullah ibn Ghudayyan
3. `Abdul-Razzaq `Afify `Abdul-
4. `Aziz ibn `Abdullah ibn Baz
লিঙ্কঃ http://www.alifta.com/Search/ResultDetails.aspx?languagename=en&lang=en&view=result&fatwaNum;=&FatwaNumID;=&ID=906&searchScope=7&SearchScopeLevels1;=&SearchScopeLevels2;=&highLight=1&SearchType=exact&SearchMoesar=false&bookID;=&LeftVal=0&RightVal=0&simple;=&SearchCriteria=allwords&PagePath;=&siteSection=1&searchkeyword=109117104097109109097100032097115097100#firstKeyWordFound
একজন ভক্ত হিসাবে যখন প্রথম আমি তাঁর আক্বীদার বিভ্রান্তি নিয়ে জানতে পারি, আমি নিজেই মর্মাহত হয়েছিলাম। কিন্ত সত্যকে সবসময় ব্যাক্তিগত রাগ-অনুরাগের উপরে স্থান দিতে হবে। যখন দেখলাম “মেসেজ অফ দ্যা কুরান” গ্রন্থটি নিয়ে শাহ মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান এর লেখাটি এত ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, মানুষকে সতর্ক করে দেয়ার দায়িত্ব বোধ থেকেই আমার সত্য কথাটি প্রকাশ করা। যাতে করে আমি আল্লাহর দরবারে যেন সত্য গোপনের দায়ে অভিযুক্ত না হয়।
ঐক্যের খাতিরে সত্যকে গোপণ করে রাখতে হবে, এমন ধারণা ইসলাম সমর্থন করেনা, বরং ইসলামে ঐক্যই হয় সত্যকে কেন্দ্র করে।
আশা করি আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
মা’আসসালাম
মন্তব্য করতে লগইন করুন