একটা সামাজিক আন্দোলন যেভাবে শুরু করা যায়
লিখেছেন লিখেছেন অক্টোপাশ ৩০ মার্চ, ২০১৩, ১০:২৪:৪৮ সকাল
সারাদেশে এখন কতটি মসজিদ আছে তা কি কারো জানা আছে? মসজিদের সংখ্যা যতই হোক একথা ঠিক প্রতিটি মসজিদেই পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতে হয়। মুসলিমদের আনাগোনা হয়। মুসলমানরা আল্লাহর কাছে সঠিক সহজ রাস্তা দেখানোর জন্য ইবাদত করে। আল্লাহর পথে চলার অঙ্গিকার করে প্রতিদিন।
ইসলাম মসজিদ কেন্দ্রিক একটা সমাজ ব্যবস্থা। মসজিদকে আবর্তিত করে মুসলমানদের জীবন যাপন পরিচালিত হয়। দিনে পাঁচ বার মসজিদ মুখী হয়ে মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি সদা হাজির এই প্রমাণ দেয়।
সারাদেশে যত মসজিদ আছে প্রতিটিতে এক বা একাধিক ইমাম আছে। প্রথমে সব মসজিদের ইমামের নাম, মোবাইল নাম্বার কালেকশান করতে হবে। এটার একটা ডাটাবেজ থাকবে। অনলাইন ইসলামিক এক্টিভিষ্টরা এই ডাটাবেজ মেইনটেন করবে।
যেটা হতে পারে:
প্রতিটি মসজিদকে ইসলামী পাঠদানের শিক্ষাকেন্দ্র বানানো যায়। প্রতিটি মসজিদে কোরান শিখানো হবে সারাদিন। এতে হয়ত চারজন বা পাচঁজন করে মাওলানা রাখা যায়। যারা সিডিউল করে ফজরের নামাযের পর থেকে এশার নামাযের পর পর্যন্ত শিক্ষা দিয়ে যাবে। এদের তত্বাবধানে ভলান্টিয়ার এক্টিভিষ্টরা বা মাদ্রাসার ছাত্ররা কাজ করতে পারে। প্রতিটি ছাত্র বা টিচার একঘন্টা দু’ঘন্টা কাজ করতে পারে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এতে যে যেভাবে পারে কন্ট্রিভিউট করতে পারে।
কি শিখানো হবে সারাদিন:
কোরান শিখানো হবে ছহি করে।
আরবী লিখা এবং শব্দার্থ শিখানো হবে। ছোট ছোট বাক্য যাতে গঠন করতে পারে। এতে যারা বিদেশ যেতে চায় তাদেরও লাভ হবে।
বিষয়টা পুরোপুরি প্রফেশনান ওয়েতে হবে। এতে রাজনৈতিক কোন বক্তব্য দেয়া হবে না। পুরো কাজটাই স্যোশাল কাজ হবে।
ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন:
নামটা হতে পারে ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন বা এই টাইপের অন্য কোন নাম।
যারা নিজেদেরকে এটার জন্য যোগ্য মনে করেন তারা এ কাজ শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সহযোগিতাও নেয়া যেতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১২০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন