হুজুরদের প্রতি একটি আবেদন।
লিখেছেন লিখেছেন অক্টোপাশ ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:১৩:৪১ রাত
ইমাম মানে নেতা। ইসলাম ধর্মে ইমামের ভুমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইমামরাই নির্ধারণ করে দিবেন চলার পথ। কারণ তারাই ইসলামের বিধান সবচেয়ে বেশি জানে। মুসলমানরা মসজিদে আল্লাহর কাছে ইবাদত করতে যায়। আল্লাহর কাছেই মুসলমানরা শুধু মাথা নত করে। এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে মুসলমানরা সর্বময় ক্ষমতার মালিক মনে করে না।
ইমামরা যত শক্তিশালী হবে মুসলমানরা তত শক্তিশালী হবে। মুসলমানদের কোরানের ভাষা আরবী। অথচ শুধুমাত্র মাদ্রাসা পড়ুয়া কিছু ছাত্র আরবী জানে। এটা হবে কেন? ভাষা জ্ঞান ভাল না থাকলে মুসলমানরা কুরআন হাদিস কিভাবে বুঝবে? নামাযে প্রতিদিন আল্লাহর কাছে কি প্রতিজ্ঞা করছে তা যদি বুঝা না থাকে তাহলে তা পালন করবে কিভাবে?
প্রতি শুক্রবার বেশিরভাগ মুসলিম জুমার নামায পড়তে যায়। এছাড়া জামাতে নামাজ পড়ে এ ধরনের মুসলমানের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। কিন্তু প্রতিদিন পাঁচ বার যে সূরা সমূহ, যে ওয়াদা সমূহ অথবা যে কথা সমূহ আল্লাহর সামনে পড়া হয় তার অর্থ মুসলমানরা বুঝবে না কেন? এর দায় দায়িত্ব বেশির ভাগ আমাদের হুজুরদের উপর বর্তায়। এটা আমার নিজের কথা। কেউ আমার সাথে একমত হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন।
শুক্রবারে হুজুররা অনেক মূল্যবান ওয়াজ করে থাকেন। যা অনেক মুসল্লির উপকার হয়। এর সাথে যদি হুজুররা আরো একটি বিষয় যোগ করতে পারতো আমার মনে হয় মুসলমানদের অনেক উপকার হতো। আর তা হলো কুরানের শাব্দিক শিক্ষা।
যেমন: ইমাম সাহেব কোন এক শুক্রবারে ওয়াজ শেষে মুসল্লিদের পরবর্তী জুমায় আসার সময় হাতে কাগজ কলম রাখতে বলবেন।
প্রতি শুক্রবার ইমাম সাহেব নামাজে যে আয়াত তেলাওয়াত করেন তার শব্দ অর্থ তিনি জানিয়ে দেবেন এবং লিখে রাখতে বলবেন।
আমার বিশ্বাস এরপর যথন ইমাম সাহেব নামাজে তেলাওয়াত করবেন তখন অনেক মুসল্লি কোরানের যে অংশ তেলাওয়াত করা হচ্ছে তার অর্থ বুঝতে সক্ষম হবেন।
এভাবে প্রতি শুক্রবারে কিছু শব্দ শিখা হলে একজন মুসল্লি যিনি তার বয়সে অনেকগুলো জুমার নামাজ পড়ছেন তার বেশ কিছু ওয়ার্ড শিখা হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আগ্রহিরা পরস্পরকে সাহায্য করতে পারে। বিষয়টা প্রতি শুক্রবার না হয়ে প্রতিদিন যেমন এশার নামাজের পর অথবা ফজরের নামাজের পরও করা যায়।
এদেশের ৯০% লোক মুসলিম। অথচ তারা আরবীতে দক্ষ নয়। মুসলমানদের নবীর ভাষা আরবী, ধর্মগ্রন্থের ভাষা আরবী। তাই আরবীর প্রতি মুসলমানদের ভালোবাসা থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বাংলাভাষার পর ইংরেজীর যে কদর এখানে আছে আরবী তার তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। এমনকি যারা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে আমার মনে হয় তারাও আরবী থেকে ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী। কিন্তু এমন হওয়ার কথা নয়। এদেশে ইংরেজীতে অনেক দৈনিক থাকলেও আরবীতে দৈনিক বা সাপ্তাহিক নেই কেন? আরবীভাষার প্রতি এই আন্তরিকতা হুজুররাই সৃষ্টি করতে পারে। তাদেরকেই মূল ভূমিকাটা পালন করতে হবে।
তাই হুজুরদের প্রতি একটি আবেদন আপনারা মুসলমানদের আরবী শিখানেরা প্রতি একটু দৃষ্টি দিন। অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে। এই একটি বিষয়ই অনেককিছু বদলে দিতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন