যে চুরি করে তার কোন অপরাধ নেই, যে দেখলো তারই সব অপরাধ। এ কোন হোদল রাজার দেশে বাস করছি আমরা?

লিখেছেন লিখেছেন অক্টোপাশ ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৪৭:০৮ দুপুর



বিচারকের আসনে বসে যিনি স্কাইপ আলোচনা করে বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন। যারা বিচারককে পরামর্শ দিয়েছেন তাদের কোন অপরাধ হয়নি। অপরাধ হয়েছে মাহমুদুর রহমানের। কারণ তিনি তাদের এ কূকর্ম প্রকাশ করেছেন।

তোষামুদির সাংবাদিকতায় সয়লাভ এদেশের সংবাদ মাধ্যম সমূহের মধ্যে মাহমুদুর রহমান ছিল এক আলোক বর্তিকা। তার সাহসি সাংবাদিকতার কারণে দেশের লোকজন সত্য সংবাদ জানতে পেরেছে। এটাই তার অপরাধ। সত্য সংবাদ পরিবেশন এখন খুবই বিপজ্জনক। আর মিথ্যা সংবাদে পরিপূর্ণ থাকলে কোন অপরাধ হবে না যদি তা বিরুধীদের দমনের জন্য হয়।

যারা আজ পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে সত্য বলার পথ শেষ করে দিয়ে সুখ অনুভব করছেন তাদের জন্য খারাপ দিন আসতে বেশি সময় লাগবে না। সত্য চিরদিন চেপে রাখা যায় না।

আর যেসব সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ না করে মনে করছেন নিজেরা খুব আরামে আছেন তারা একদিন এর জন্য পস্তাতে হতে পারে। কারণ একটা খারাপ নজির যখন প্রতিষ্টিত হয়ে যায় তখন তা সবাইকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ঝড় আসলে তা ভালো খারাপ দেখে ক্ষতি করে না।

মাহমুদুর রহমান এখন আর কোন ব্যক্তির নাম নয়। তিনি এখন সত্যের প্রতিক, তিনি এখন প্রতিবাদের প্রতিক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশের কোটি কোটি মানুষ এখন মাহমুদুর রহমানকে ন্যায়, সত্য এবং প্রতিবাদের মডেল করে নিয়েছে। মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে প্রেরণ করে সরকার একটা সাহসী কণ্ঠকে দমনের প্রচেষ্টা করছেন। সরকার হয়তো বুঝতে পারছেনা ইতোমধ্যে হাজার হাজার মাহমুদুর রহমান তৈরী হয়েছে দেশে। সরকারের এ হীন প্রচেষ্টা বুমেরাং হতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File