বিরস গল্প।
লিখেছেন লিখেছেন প্যরাপিন ১৪ মে, ২০১৪, ০৬:০৬:৫৫ সন্ধ্যা
অনেকদিন আগে বিটিভিতে একটা নাটক দেখে ছিলাম “বিরস গল্প”। কাহিনীটা এমন ছিল, গ্রামে নাটকের শুটিং করতে আসে একটি গ্রুপ। উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে স্যুটিংয়ে চলতে থাকে। কিন্তু গ্রামের এক মুরুব্বী উপস্থিত হন ডিস্টার্ব হিসাবে। উনি তাদের ভুল গুলো ধরতে আর নিজের মতো করে দেখাতেই ব্যস্ত।বলা নেই কওয়া নেই হঠাত উনি ক্যামেরার সামনে হাজির এভাবে-না, এভাবে হবে । টিভিতে আমরা দর্শকরা বিরক্ত, আর নায়ক -নায়িকা-তো বিরক্ত হবেনই। উনি নাকি এক সময় অভিনয় করতেন আজকের যে পরিচালক তার গ্রামের বাতি-জা এবং তারই শিষ্য। উনি বার বার বলতে লাগলেন তোদের কি আমি এ ভাবে শিখাই-ছিলাম। আর বাতি-জা তাকে বোঝাতে লাগলেন আমরা যেটা করছি এটাই সঠিক, দর্শক এটাই পছন্দ করবে।
যা বলতে চেয়েছিলাম আমাদের RAB নিয়ে। ২০০৪ সালে যখন গঠিত হয় তখন আমরা সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়ে ছিলাম। যদিও আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যা পছন্দ করিনা তখন RAB এর অনেক গুলো কাজকে ভালো বলেই ধরে নিয়েছিলাম।
আমাদের নারায়ণগঞ্জের সাতখুনের ঘটনা নিয়ে কি দেখা গেল, প্রথমে সবাই মিলে এক বাক্যে শামিম ওসমানকে চিহ্নিত করলো। আইভি ম্যাডাম কিংবা আসিফ নজরুল স্যার সবাই এবং আমার মনে হয় বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো এটাই মানে। তারপর কি হল, উনাকে মিডিয়াতে দাওয়াত দেওয়া হল উনি এলেন এবং বললেন, উনি সব জানেন, উনি ধরার ওয়াদা দিলেন নিদেশ দিলেন । আর একজন একদিনেই হিরো হয়ে গেলেন । “নুর হোসেন” সব দোষ উনার সব অপকর্মের হোতা এই নুর হোসেনই। কিন্তু “নুর হোসেন” নিরাপদ বেচে গেলেন ফেঁসে গেলেন আমাদের RAB। আমি তাদের নিরপরাধ বলছিনা, বলতে চাই ওনা। কিন্তু আমাদের গর্বিত একটা বাহিনীর গায়ে কালি লাগান হল। কারা এটা ঘটাল , কাদের লাভ হবে, কারা RAB কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলো, এটা এখন আর কেউ খুজতেছেনা । সবদোষ এদের । নজরুল ভালো মানুষ ছিলেননা মামলা ছিল উনার, নুর হোসেন ভালো মানুষ-না তারও মামলা আছে যদিও ইন্টারপোলের লিস্টে এখন তার নাম নাই। মাঠ কিন্তু খালি, এখন খালি মাঠে গোল কে দেবে। কে লাভবান হবেন?
২০১০ সালে বিশ্বকাপে ফাইনাল এ জিদান লাল কার্ড খেলেন, এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু এটা আমরা জানিনা ইতালির মাত্তারাজি তাকে গালি দিয়াছিল । মাত্তারাজি ঠিকই জানতো তার গালিটার রি-য়েকশন কি হবে। মজার ব্যাপার হল পরের দিনের পত্রিকার শিরোনাম হল লাল কার্ড দিয়ে জিদানের সমাপ্তি । দেখুন না আমরা কিন্তু এখন RAB নিয়েই ব্যস্ত আছি। কালি অনেক মাখা হয়েছে আমরা এখন RAB নিষিদ্ধের দাবী তুলতে পারি কারণ এটাই এখন যুক্তি সংগত। ইতিমধ্যে যিনি এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি ও এই-দাবী করছেন।আমার যারা বর্তমানে ফায়দা পাচ্ছেন তারা মানছেননা । তবে মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেললে কি হতে পারে সেটা সবাই অনুমান করতে পারেন।
ভয়টা প্রথমে সেদিন পেয়েছিলাম যেদিন মিরজা আব্বাসের বাসায় RAB এর পোশাক পরে আক্রমণ করা হয়ে ছিল। তারপর লিমন, RAB পোশাক পরে মিছিলে গুলি......জামাত শিবিরের উপর ক্রস-ফায়ার নাহয় বাধই দিলাম। বিরোধী দলের নাহয় মানবাধিকার থাকতে নাই। শরত” বাবুর “শ্রীকান্ত উপন্যাসে শাহজির মরণ ঘটেছিলো ,তারই ঘরের সর্পে দ্বারা হয়ে ছিল। যার ফলাফল আমদের নারায়ণগঞ্জে, সবাই কিন্তু আওয়ামীলীগ।
কিন্তু তারাই সফল যারা RABপ্রথম থেকে চাননি। এখন সফল হলে একদিন তারা দাবী ,করবে সেনাবাহিনীর দরকার নাই , কারণ RAB তো সেনাবাহিনীর একটা অংশ । আর কিছু লোকতও চাইনা আমাদের একটা শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকুক, ৪৩ বছরে অনেক গুলো প্রমাণ দেখছেন।
বেনিনের সে বিমান দুর্ঘটনায় আমার আত্মীয় কেউ মারা যায়নি, কিন্তু কেন জানি চোখে পানি এসেছিলো। তখন বুঝতে পারিনি, হয়তো দেশকে ভালোবাসি বলে।
আল্লাহ আমাদের সেনাবাহিনীকে ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করুন।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন