ভীনগ্রহবাসীর খোঁজে
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:৩৪:৪৬ রাত
স্মরণাতীত কাল থেকেই মানুষ উতসুক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারাময় আকাশ মানুষকে যুগে যুগে ভাবিয়ে তোলে। আমরা কারা, কোথা থেকে এসেছি, আমাদের মতন আরো কেউ আছে কিনা। এমনই প্রশ্নের উত্তর খুজে ফিরে চীরকাল। অজানাকে জানার চাহিদা মানুষের বরাবরই আছে। কিন্তু আকাশকে জানার আগ্রহটা মানুষের কতখানি সেটা বোঝা যায় নাসা (NASA) এর কান্ডকারখানা দেখলে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষনা সংস্থা এই নাসা। ওদের জন্য বাজেট কোন বিষয়ই নয়। মহাশুন্যে বসে লেখার জন্য বিশেষ কলম তৈরি করতে কোটি ডলার খরচ করে।
ছবি - International Space Station
মহাশুন্যে ভাসমান গবেষণাগার (International Space Station) তৈরি হয়েছে কয়েকটি দেশের অর্থায়নে। এই গবেষনাগার তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার। দুবাইতে অবস্থিত, বিশ্বের সবচেয়ে উচু বিল্ডিং (১৬০ তলা) Burj Khalifa তৈরিতে খরচ হয়েছে মাত্র দেড় বিলিয়ন ডলার। এর থেকেই আন্দাজ করা যায়, মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্রটি কত ব্যায়বহুল। এটা আসলে, মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যায়বহুল বস্তু। মজার ব্যাপার, এটা কিন্তু মহাশুন্যের দ্বিতীয় গবেষনাগার। অপেক্ষাকৃত ছোট প্রথম গবেষনাগারটি (Skylab) এক দুর্ঘটনাতে ধ্বংস হয়ে যাবার পরে এটি বানানো হয়। মহাশুন্যে ভাসানো রয়েছে প্রায় ১১ টন ওজনের বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুরবীন (Hubble Telescope) ।
ছবি - Hubble Telescope
এখানেই শেষ নয়। অন্তত ১৫টি যন্ত্র সীমাহীন মহাকাশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে যেগুলো কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীদের কাছে বিভিন্ন তথ্যা পাঠিয়েছে। মঙ্গল গ্রহে একাধিক যন্ত্র পাঠানো হয়েছে। মানুষ নিয়মিত মহাশুন্যে যাতায়াত করে। স্পেস স্টেশনে বসে গবেষনা করে। বিজ্ঞানের গবেষনার সবচেয়ে ব্যায়বহুল এই মহাশুন্য গবেষনা। মানুষ মাত্র দুটি কারনে এসব করে। এক, বাঁধা পেরিয়া যতদুরে যাওয়া যায়, ততদুরে আওয়ার এক অদম্য ইচ্ছা মানুষের ভেতরে থাকে। দুই, এই অসীম মহাকাশে অন্য কোন প্রানী আছে কিনা সেটা বের করা। মহাকাশে লাগামহীনভাবে ছেড়ে দেওয়া এমনই বিভিন্ন যন্ত্রে ছবি, সঙ্কেত, এমনকি আওয়াজও রেকর্ড করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোন ভীংরহবাসী সেটা খুজে পায় তাহলে সেটা দেখে আমাদের কথা যানতে পারবে। বিষয়টা, বোতলে চিঠি ভরে সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার মতন। যদি কারো হাতে পড়ে।
ছবি - স্বর্নের পাতে খোদাই করা, ভীন গ্রহবাসীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো বার্তা
মহাকাশ বিষয়ে গবেষনা বা মহাকাশ যাত্রায় মুলত সফলতা শুরু হয় ৭০ এর দশক থেকে। এর আগেই, পঞ্চাশের দশকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে মানুষের ভেতরে ভীংরহবাসী নিয়ে উতসাহ শুরু হয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি UFO (unidentified flying object) দেখেছেন এমন দাবী করেন। এগুলো ভীংরহবাসীদের যানবাহন বলে মনে করা হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো দেখতে উড়ন্ত থালার মতন। সাধারন মানুষ তো বটেই, উচ্চ পদস্থ, বা বিখ্যাত অনেকেই UFO দেখার দাবী করেছেন। কেউ আবার একধাপ এগিয়ে ভীনগ্রহবাসীকে দেখেছেন। আরো একধাপ এগিয়ে অনেকে তো ওদের দ্বারা অপহৃতও হয়েছেন। UFO বিষয়ে হাজার বই লেখা হয়েছে, হয়েছে হাজারো সংবাদ। পঞ্চাশ বছর পরে এসেও ভীনগ্রহবাসী সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ একটুও কমেনি। কমেনি এ নিয়ে ব্যায়বহুল গবেষনা। এমনকি নাসা সম্প্রতি আশাবাদ ব্যাক্ত করেছে যে, দশ বছরের ভেতরেই মানুষ ভীনগ্রহবাসীদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে।
ছবি - প্রাচীন আমলের খোদাই করা চিত্র
যদিও আমরা এখনও কোন ভীনগ্রহবাসী পাইনি তবুও অনেকে মনে করেন ভীনগ্রহবাসী এই পৃথিবীতে প্রাচীন কাল থেকেই আসা যাওয়া করছে। অনেকে তো এও ধারনা করেন যে আমাদের যে ভীনগ্রহবাসীরা আমাদের মাঝে গোপনে বসবাদ করে, পরোক্ষভাবে আমাদেরকে নিয়োন্ত্রন করছে। অনেকে মনে করেন ভীনগ্রহবাসী আনাদেরকে যুগে যুগে অনেক জ্ঞান-বিজ্ঞান শিখিয়েগেছে। প্রাচীন কাল থেকেই ভীনগ্রহবাসী আশা যাওয়া করার এই ধারনাটা একেবারে অমুলক নয়। কারন প্রাচীন অনেক ছবি, লেখা, এবং বস্তু এমন ইঙ্গিত করে। প্রাচীন আমলে পাথরে খোদাই করা চিত্র পাওয়া গেছে যেগুলো আধুনিক হেলকপ্টার , বিমান, সাবমেরিন, স্যাটালাইট রিসিভার ইত্যারিদ নকশা। ছোট মুর্তী পাওয়া গেছে যেগুলো স্পেস স্যুট পরিহিত মানুষের। বিমানের হুবহু মডেল পাওয়া গেছে হাজার বছর আগের। এগুলো কাকতালিয় হতে পারে না। হয় তারা ভবিশ্যত দেখতে পেতো, নতুবা কেউ তাদেরকে আধুনিক জিনিসপত্র দেখিয়েছিল। অনেকে মনে করে, প্রাচীনকালে মানুষ কালো যাদু জানতো। তারা ভবিশ্যত দেখতে পেতো। অনেক আবার মনে করে এগুলো তাদেরকে ভীনগ্রহবাসীরা শিখিয়েছে।
এর কিছুই প্রমানিত হয়নি। তবে, ভীনগ্রহবাসী আসুক আর নাই আসুক, আমাদের খোজা অব্যাহত রয়েছে। এভাবে খুজতে খুজতে আরো কতটা পথ পেরুতে হবে তা কে জানে। নাসা যখন প্রায় সফলতার দ্বারপ্রান্তে, ঠিক এমন সময় অনেক বিজ্ঞহানীদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে ভিন্ন সুর। তারা বলছেন, ভীনগ্রহবাসী যে আমাদের চেয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত নাকি অনুন্নত সেটা আমরা জানি না। তাদের স্বভাব ভালো নাকি খারাপ সেটাও আমরা জানি না। এখন ওরা যদি বদ স্বভাবের হয় আর আআন্দে চেয়ে উন্নত হয় তাহলে খুব সহজেই প্ররথিবীটা দখল করে, পুরো পৃথিবীর মানূষকে তাদের দাস বানিয়ে ফেলতে পারে। তাই এমন ব্যায়বহুল উপায়ে দুনিয়া ধংশ করার পথ সুগম করার বিরোধীতা করেন অনেক বিজ্ঞানী
S.M. Elite
http://www.facebook.com/smelite
--
বিষয়: বিবিধ
১৮০৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অবশেষে হেড
চেষ্টায় আছি, কোথায় আয়াতটি পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ
কোরআনেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানময় গ্রন্থ।
জানলাম অনেক কিছু । আরো লিখুন । আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন