আওয়ামী লীগের বানানো ক্যান্সার ও এইডস
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৮:৪৫ রাত
গনতান্ত্রিক দেশের মালিক জনগন। আর নির্বাচিত নেতারা যারা দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত থাকেন, তারা দেশের ব্যাবস্থাপক, বা ম্যানেজার। রাজনীতি করা বা নেতা হওয়াটা এক ধরনের জনসেবা। দেশের সবচেয়ে ভালো লোকেরা রাজনীতি করবে এবং তারা হবে সবচেয়ে সন্মানিত। এমনটিই হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা তেমন সমাজসেবী, ভালো মানুষ ও শ্রদ্ধার পাত্র নেতা কতজনকে পেয়েছি? যেদিকে তাকাই, দেখা যায় দুর্নীতিবাজ, আত্মসাদকারী, চোর, সন্ত্রাসী, অবৈধ ব্যাবসায়ী। এখনকার নেতারা সন্মানিত নয়, ক্ষমতাবান। আর এই ক্ষমতার উতস বন্দুক। এই বন্দুকের নল দেখিয়ে তারা জোর করে সন্মান আদায় করে। এমন নেতা দেখতে দেখতে জনগনের এমন অভ্যাস হয়ে গেছে যে, এখন সবাই মনে করে – ভদ্রলোক দিয়ে রাজনীতি হয় না।
এমন নেতাদের খুজতে গেলে ঠক বাছতেই গা উজার হয়ে যাবে। কোন দলে নেই তারা ? স্বাধীনতার পর থেকে বাংলদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতায় তিনিটি দল ছিল। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এই তিন দলেই এমন নেতাদের পাওয়া যায়। এই তন দলই এসব কাজে সেরা। এরা সবাই এত বেশী পারদর্শী যে, কে সেরা এটা নির্ধারন করতে পারবেন না। তবে আজকে আমি মেডেলটা আওয়ামী লীগকেই দিব। তার কারন ওই – ক্যান্সার ও এইডস।
দলিয়করন, আত্মীয় করন, আত্মসাদ, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি ইত্যাদি সব দলই করে। আওয়ামী লীগও করে। তবে তারা যে কারনে মেডেলের দাবীদার, তা হল তাদের নস্ট করার প্রবনতা। নিজের লাভ হোক আর না হোক – নস্ট করতে পারলেই খুশি। ক্ষমতায় থাকাটাই রাজনীতির মুল উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য যে কোন দল দুটি জিনিস করে, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস। আর আওয়ামী লীগ করে সবকিছু। তার দেশের প্রশাশনের ধাপ ভেঙ্গে, দলীয় প্রশাশন কায়েম করে, তারা মিথ্যা মামলায় মানুষকে ভোগায়, তারা বিচার ব্যাবস্থাকে কলুষিত করে, তারা নির্বাচন ব্যাবস্থাকে প্রভাবিত করে, তারা মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রন করে, তারা মিথ্যা খবর ছড়ায়, তারা ব্যাবসা বানিজ্য নস্ট করে, দেশের পরিবেশ নস্ট করে। এই আওয়ামী লীগের আমলেই বোর্ডের বই কলকাতা থেকে প্রিন্ট হয়, ভারতীয় নীম্নমানের পলিও টিকা খাওয়ানো হয়, গার্মেন্টস ব্যাবসা লাটে ওঠে, সুন্দরবনের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে পরিবেশ নস্ট করার পরিকল্পনা করে । লক্ষ্য করুন, এর বেশীরভাগ কাজেই তাদের নিজের লাভের চেয়ে দেশের ক্ষতি হয় বেশী।
যেমন, বোর্ডের বই আর পলিও টিকা ভারত থেকে এনে আওয়ামী লীগের কি লাভ? সুন্দরবনের পরিবেশ নস্ট করে তাদের কি লাভ? কিছুই লাভ নেই । অনেকে হয়ত বলতে পারেন, ভারতের দাদাদের খুশি করা হয়, এতে ক্ষমতায় থাকা সুবিধা হয়। কথটি আংশিক সত্য। ভারতের দাদাদের খুশি করলে ক্ষমতায় থাকা সুবিধা হয় ঠিকই। কিন্তু বাংলাদেশের জনগন আওয়মী লীগকে বর্জন করলে ভারত কোনভাবেই তাদেরকে ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় – এত কিছুর পরেও , এখনও দেশের অর্ধেক মানুষ আওয়ামী লীগের গুনগান গায়। কেউ লোভে গায়, কেউ লাভে গায়, কেউ না বুঝে গায়। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জঘন্নতম যে দুটি কাজ আওয়ামী লীগ করছে তা হল, শিক্ষা ব্যাবস্থা ধংশ (ক্যান্সার) এবং জঙ্গী সৃস্টি (এইডস)।
মানুষের এখন আর নকল করতে হয় না। এমনিতেই প্রশ্ন পাওয়া যায়। সবাই উচ্চ নম্বর পায়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পায় মাত্র ৩ জন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যে ফেল করে, সেও ৭৫% এর উপরে নম্বর পায়। ওদিকে শিক্ষামন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, তিনি কিছুই জানেন না। অনিয়মেরও একটা সীমা আছে। এমন অনিয়ম একমাত্র তখনই সম্ভব, যখন দায়িত্বশীলেরা ইচ্ছে করেই অনিয়ম করেন। এখান থেকে কি এমন লাভবান হন নেতারা? কিছুই না। মাঝখান থেকে আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা ধংশ হয়ে যাচ্ছে। আমরা অযোগ্য লোকেদের হাতে ডিগ্রী তুলে দিচ্ছি। ধংশ করে দিচ্ছি একটি প্রজন্ম। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষার এই অনিয়মের ধারা একটানা চালাতে পারলে আমদের জাতির মেরুদন্ড এমনিতেই ভেঙ্গে যাবে। আমরা আর সোজা হয়ে দাড়াতে পারব না। । আওয়ামী লীগ হয়ত এভাবে কয়েক বছর বেশী ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা চীরতরে ধংশ হয়ে যাবে। শিক্ষা ব্যাবস্থা নস্ট করার এই কায়দাটা আমাদের জাতির জন্য একটি ক্যান্সার।
আর জঙ্গী জিনিসটা তো আরো মারাত্বক। এই মুহুর্তে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে আওয়ামী লীগের জন্য জঙ্গির চেয়ে বড় আর কোন চাল নেই। কিন্তু এর ফলাফল কত মারাত্বক হতে পারে সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না। বিভিন্নভাবে খোচাতে খোচাতে একদিন ঠিকই তারা দেশে জঙ্গী বানিয়ে ছাড়বে। একই ধরনের একাধিক হত্যাকান্ড, একই ধরনের তদন্ত, একই ধরনের ধর্মীয় ইস্যু, এগুলো সবই ওই জঙ্গী জিনিসটাকে ত্বরান্বিত করছে। যদি বাংলাদেশে সত্যই জঙ্গিবাদের উত্থান হয়, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা আফগানিস্থানের বা সিরিয়ার মতন হবে। জঙ্গী জিনিসটা এইডসের মতন একটা রোগ। এর কোন চিকিতসা নেই। পরিনাম নিশ্চিত মৃত্যু।
আমার মতন ক্ষুদ্র প্রানীর কথা আজকে শুনে রাখুন – এই দুটি জিনিসের খেসারত আমাদেরকে বংশ পরম্পরায় দিয়ে যেতে হবে । এই দুটি রোগের কোন চিকিতসা নেই। ভবিষ্যতে যদি ফেরেশতার মতন মানুষও ক্ষমতায় আসে, তবুও এই দুটি সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। রোগ দুটি আমাদের জাতীকে নিশ্চিত ধংশের নিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই জিনিসটার ভয়াবহতা আমাদের জাতি এখনও বুঝতে পারছে না।
আমার ফেসবুক ---------- এখানে
বিষয়: রাজনীতি
১২৪৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই এইডস ও ক্যান্সার জাতীর মজ্জাগত রোগে, রক্তে রক্তে শিরায় শিরায় প্রবাহিত! ছড়িয়ে যাচ্ছে চারিদিকে তাই নির্মূল করাই একমাত্র প্রতিষেধক। বিড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধবে কে?
লিখাটির জন্য শুকরিয়া!
লাভ যাদের হবে সে সময় তারা ঐসব দেশে আরাম আয়াশে থাকবে ১৪ গোষ্ঠিসহ।
সমস্যা হল বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে যাদের বেশীর ভাগই হুজুগে - মিডিয়া যা বলে তাই বিশ্বাস করে।
স্থানটি দখল করেছে রাজনীতি। ভাই ভাই, বাপ ছেলে, ভাই বোন আজ এই নোংরা রাজনীতির কারণে হত্যা হচ্ছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন