এমন হবে কে জানতো
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ২২ জুলাই, ২০১৫, ০৭:১৯:৪৩ সন্ধ্যা
এই লেখাটি যারা পড়ছেন তাদের অনেকেই আমার চেয়ে অনেক বেশিদিন ধরে দেশের বাইরে থাকেন। তবে আমি একবার একটানা ৭ বছর বাংলাদেশে যাইনি। ওই সময়টুকুতে বিদেশী সমাজে এতটাই অভ্যাস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে, দেশে গিয়ে অনেক কিছুই বেমানান মনে হতো। অনেক পুরাতন জিনিস নতুন করে দেখতে ও মেনে নিতে হয়েছিল। এই জিনিসগুলির তালিকা অনেক দীর্ঘ, তবে দু একটি জিনিসের কথা এখানে বলছি কারন সেগুলো খুবই ভয়ঙ্কর।
মানুষ দুস্কৃতিকারীর চেয়ে পুলিশকে বেশী ক্ষতিকর মনে করেঃ
অনেকদিন পরে দেশে যাবার কারনে, প্রথম কয়েকদিন পুরাতন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাতে ফিরতে দেরী হতো। দেখতাম, মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে বারবার ফোন দেয়। এটা আসলে কোন সমস্যা নয়। মা,বাবা সন্তানের জন্য উদ্বিগ্ন হতেই পারে। কিন্তু এই উদবিগ্নতার কারনটি ভয়ঙ্কর। তাদের ছেলে কোন দুর্ঘটনায় পড়ে, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে, এসবের চেয়ে তাদের কাছে বড় চিন্তার বিষয় হল - ছেলেকে যদি পুলিশে ধরে। আমি তো অপরাধী নই। তবুও আমাকে নিয়ে এমন পুলিশের ভয় করতে হবে। কিন্তু কয়েক দিনেই বোঝা গেল তাদের ভয় অমুলক নয়। আমাকে পুলিশ, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, গায়ে হাত দিয়ে তল্লাশিও করেছে। যদিও কোন হয়রানী বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে ধীরে ধীরে আশে পাশের লোকজনের বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে মানুষের পুলিশভীতির কারন আরো ভালো বুঝতে পারলাম। পুলিশ নাকি জনগনের বন্ধু। আমাদের দেশে জনগনের এই বন্ধুদেরকে দেখে মনে হয়, যার এমন বন্ধু থাকে, তার আর শত্রুর দরকার নেই।
মানুষ ঘুষ দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে বসে থাকে। চাওয়ার আগেই, ঘুষ দেওয়াটা নিজের দায়িত্ব মনে করেঃ
আমার বিদেশী স্ত্রীর বাংলাদেশী ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এই জনগনের বন্ধু পুলিশের প্রয়োজন পড়ল। তারা আমাদের বাসায় এসে দেখে গিয়ে একটা রিপোর্ট করবে। বাসায় পুলিশ আসবে, বাবা-মা তো খুবই ব্যাস্ত হয়ে উঠলেন। বিষয়টা ম্যানেজ করার জন্য আমার মামাকেও খবর দেওয়া হল। এর আগে নিজেরাই কথা বলে, পুলিশকে কি বলা হবে, কত টাকা দিতে হবে, এর একটা আইডিয়া নেওয়া হল। আমি যতই বলি, পুলিশকে টাকা দিতে হবে কেন। তারা আমাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয়। আমি বলি আমার স্ত্রী তো অন্য দেশ থেকে এসেছে। ওর রিপোর্টটি পেতে কেন টাকা দিতে হবে? আমাকে বাবা বুঝিয়ে দিলেন, বিদেশী হলে কি হবে, রয়েছে তো আমারই সাথে, কাজেই টাকা দিতে হবে। আমাকে পরামর্শ দেওয়া হল, পুলিশ টাকা চাওয়ার আগেই যেন বড় একটা নোট ধরিয়ে দেই। তাহলে অল্পের উপর দিয়ে যাবে। যাই হোক, পুলিশ এলো। আমার স্ত্রীর সাথে কথা বার্তা বলে কাগজপত্রে কিছু লিখে নিয়ে গেল। আমাদেরকে জানালো দু এক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেওয়া হবে। লোকটি বিদায় নেবার সময়, আমার মামা তার পেছন পেছন রওনা হচ্ছিলেন। হয়ত বড় নোটটি ধরিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন। মামাকে থামিয়ে আমি নিজেই লোকটিকে বাসার বাইরে এগিয়ে দিতে গেলাম। তার সাথে কোন কথা বলিনি। সে হয়ত আশা করছিল - আমি তার হাতে টাকা গুজে দিব। সেটা আমি করিনি। দেরী দেখে অগত্যা লোকটি বলল - "অফিসে তো কিছু খরচ আছে ......"। আমি বললাম - এমন খরচ তো আমরা সব সময় দেই, দিতে হয়। কিন্তু আজকে আমার বিদেশী বউ কেন টাকা দিবে? লোকটি হেসে বলল - না, আপনার কাছ থেকে টাকা দাবী করছি। আমি বললাম ঠিক আছে, আপনার দাবীর সন্মান রাখতে আপনাকে এক প্যাকেট সিগারেট দেই। লোকটি বলল - ঠিক আছে, বেনসন সিগারেট দিয়েন। আমি এক প্যকেট সিগারেট কিনে দিয়ে তাকে বিদায় করলাম।
অপরাধীর চেয়ে যেন ভুক্তভোগীর দোষটাই বেশীঃ
ওই বছরে, ঢাকায় অবস্থিত সৌদি আরব দুতাবাসের একজন কর্মকর্তা একদিন রাতে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীর আঘাতে নিহত হন। এটা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বেশ আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরবের নিজস্ব গোয়েন্দা এসেও তদন্ত করেছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে যাদের সাথেই কথা বলেছি তাদের অনেকেই ওই কর্মকর্তাকে দোষ দিয়েছে এই বলে - এত রাত্রে ওই কর্মকর্তা কেন হাটতে বের হয়েছিলেন? এই ঘটনাটি ছাড়াও, পৃথক কিছু ছিনতাই ঘটনার পরে দেখেছি, মানূষ ছিনতাইকারীকে না দোষ দিয়ে ভুক্তভোগীকে দোষ দিচ্ছে এই বলে - তুমি বাপু ওই অন্ধকার গলিতে কেন গিয়েছিল? আমাদের ভাবখানা এমনঃ একজন গভীর রাত্রে হাটতে বের হলে খুন তো হতেই পারে। একজন অন্ধকার গলিতে গেলে ছিনতাইকারীর কবলে পড়তেই পারে।
সাধারন মানুষ খুন করতে জানেঃ
এটা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয়। কয়েক বছর আগে ডাকাত সন্দেহে আশুলিয়াতে ছয়জন স্কুল ছাত্র গনপিটুনিতে নিহত হয়েছে। গনপিটুনিতে মানুষ নিহত হবার খবর আমাদের দেশে নতুন নয়। তবে এই কাহিনীটার বিশেষত্ব হল, এখানে পুরো একটা মহল্লার জনগন পরিকল্পিতভাবে ওই ছয়জনকে প্রকাশ্য খুন করেছে। ডাকাতের উপদ্রপ ওই এলাকাতে বেশী ছিল। অনেকবার প্রশাশনের সাহায্য নিয়েও কাজ হয়নি। ঘটনাটা আপনারা সবাই জানেন। লুকিয়ে আড়ালে গিয়ে নেষা করছিল ওরা। এলাকাবাসী ডাকাত ভেবে ভুল করেছে। এর পরে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে এলাকার মানুষকে জড়ো করেছে। দূর থেকে তীর মেরেছে কাবু করেছে এর পরে কাছে এসে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। না, আমি এটা বলছি না যে মানুষ কেন আইন নিজের হাতে তুলে নিল। আমি বলছি এলাকাবাসী মানুষ খুন করতে শিখল কিভাবে। মানুষ খুনের অন্য একটি খবর পড়েছিলাম। এক ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরী করে এমন একজন একটি মেয়েকে তার অফিসে নিয়ে এসে রাত কাটায়। সকালে এই মেয়েটিকে ফেরত পাঠানোর সময় দেখল আসে পাশের সব অফিস খুলে গেছে। এখন সবাই জেনে ফেলবে তার সাথে একটি মেয়ে রাতভর ছিল। এই লোকলজ্জা এড়ানোর জন্য ওই মেয়েটিকে সে খুন করে। তার শরীর টুকরো টুকরো করে কেটে পাশের বিল্ডিং এর ছাদে ছড়িয়ে দেয়। লোকটি অবশ্য পরে ধর পড়ে। খুনের কারন হল - লোকলজ্জার ভয়। কি অদ্ভুত।
এমনই অনেক খুন খারাবীর খবর আপনারা প্রতিদিনই পত্রিকাতে দেখতে পান। রাজনৌতিক বা পেষাগত খুনের কথা বলছি না। ওসব কাজ যারা করে তাদের এসব করার ট্রেনিং আছে, অভ্যাস আছে। তারা এমন করতে পারে। সাধারন মানুষ তো রক্ত দেখলেই ভয় পাবার কথা। কিন্তু তেমন হচ্ছে না। এটা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর দিক। আমাদের নৈতিক অবক্ষয়, দুর্নীতি, দারিদ্রতা ইত্যাদি কোন কিছুই এত ভয়ঙ্কর সমস্যা নয়। ভয়ঙ্কর সমস্যাটা হল - দেশের সাধারন মানুষের অনেকেই এখন নিজেরাই খুন খারাবী করতে পারে। দেশের এমন পরিস্থিতি হবে সেটা কেইবা জানতো
আমার ফেসবুক ---------- এখানে
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৪ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের পুলিশ এ সততা খুজে পাওয়া যায়ইনা তার উপর চরম অভদ্র।
আর বিশেষ অভিযান তো পুলিশের জন্য একসাথে ১০ টা ঈদের সমান ।
নিরীহ মানুষদেরকে আটকে রেখে দেদারসে কামায় তারা এ সময়ে । এ কারনে সাধারণ মানুষ পারতে পুলিশের দ্বারস্থ হয় না , এমন কি চুরি ডাকাতির ঘটনাতেও ।
এখন এর সাথে যুক্ত হয়েছে পুলিশের সোর্সের দৌরাত্ম । এটা আরও ভয়ংকর । এরা এলাকার ছিঁচকে , উঠতি মাস্তান । এদের কাছে স্বগোত্রীয়দের খবর থাকে । এজন্যই এরা পুলিশের কাজে লাগে বেশী । এরা নিরীহ মানুষের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের মত হাতিয়ে নেয় ।
ডিবির পরিচয় দিয়ে চেকিংয়ের নামে সাধারণ নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে এরা টাকা , মোবাইল , গহনা হাতিয়ে নেয়।
পুলিশে কম্প্লেইন করতে গেলে পুলিশই আপনাকে থামিয়ে দেবে । কারণ এরা পুলিশেরই সহায়ক ফোর্স । পুলিশই ওদেরকে জানিয়ে দেয় যে আপনি তাদের নামে অভিযোগ করতে এসেছিলেন ।এরপর থেকে এরা আপনাকে টার্গেট করে নানা রকমের পেরেশানী দিতে থাকবে ।
আপনি তখন আর কিছুই করতে পারবেন না কারণ, ততক্ষনে আপনি জেনে গেছেন যে এদের পিছনে পুলিশ আছে । জীবনটাকে দূর্বিষহ করে ফেলবে এরা আপনার ।
তখন নিজের চুল ছিঁড়তে থাকবেন যে, কেন এদের নামে থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন । ছিনতাই যা হয়েছে , হয়েছে । কেন উটকো বিপদে জড়াতে গেলেন ? এটা আপনাকে আপনার আপনজনদের কাছে শুনতে হবে প্রতি নিয়ত ।
ঘুষ বাংলাদেশে এখন একটা যোগ্যতা । সরকারী চাকুরীজীবী পাত্রের বিশেষ যোগ্যতা হল তার ''উপরি কামাই'' । পাত্রীর অভিভাবকেরা এটা খুব খোঁজে ।
এই ঘুষের ব্যাপক প্রয়োগের ফলেই বাংলাদেশ পর পর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দূর্নীতিতে । এক শিরোপা অর্জন করে সেটা টানা ৪ বছর ধরে রাখা কম কৃতিত্বের কথা নয় । এটা সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই হয়েছে ।
এদের মাঝে আপনি সাধু হয়ে নীতি নিয়ে চলবেন ! সেটা হবে না , সিস্টেমই হতে দেবে না । তারা আপনাকে বলবে যে , হয় আপনি চাকরি ছাড়বেন । না হয় আপনাকে আমাদের মত ঘুষ খেতে হবে ।
ঘুষকে এখন স্পিড মানি বলা হয় । কারণ আপনার ফাইলকে গতি দিতে বা থেমে থাকা ফাইলকে আবার সচল করতে এই স্পিড মানির বিকল্প নেই ।
আপনার কলিগ এতটা নীতিবান না হয়ে স্পিড মানি দিয়ে কাজ সারিয়ে নিল । আপনি আটকে রইলেন । ঘরে বউয়ের খোটা শুনতে হবে - তোমার কলিগ পারে, তুমি পার না কেন ?
শুধু ভুক্তভোগী না , যারা উপকার করতে এগিয়ে আসে তারাও হয় হয়রানীর শিকার ।
থানায় গিয়ে বয়ান দিতে হয় । যদি সেটা হয় পুলিশের আশ্রয়ের কোন রংবাজের বিপরীতে তাহলে ফ্রি ঝামেলা আসবে তাদের তরফ থেকে ।
সৌদি কূটনীতিকের সমসাময়িক সময়ে খুন হওয়া সাগর রুনির ব্যাপারে প্রথমেই মিডিয়ার মাধ্যমে ডোজ দেওয়া হচ্ছিল যে এটা পরকীয়ার বলি ।
সাধারণ মানুষ যখন দেখে যে সন্ত্রাসীদেরকে পুলিশে দেওয়া হলে পুলিশ তাদেরকে খাতির যত্ন করে বের করিয়ে আনে । আদালতে গিয়ে আইনের মারপ্যাঁচে জামিন পেয়ে যায় এবং ফিরে এসে দ্বিগুন উৎসাহে আগের কাজ চালিয়ে যায় , তখন কি করার থাকে ?
এসবের ফলে নিরীহ মানুষও মারা যায় এবং এসবে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে।
মন্তব্য করতে ভয় লাগছে-
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ,
পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে ৩বার ঘুষ দিতে হয়েছে, ৩০০০টাকার পাসপোর্ট বানাতে ৩০০০+১০+৫০০+৫০০+৩০০=৪৩১০ টাকা দিয়ে অনেক অনুনয় করে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আনতে ৩বার ঘুষ দিয়ে হয়েছে। ২০০টাকার জাগায় মোট খরচ ২০০+২০০+৩০০+১৫০=৮৫০টাকা দিয়েছি।
এভাবে প্রতিটি জাগায় পুলিশ মানে ডাকাতের পরিচয় পেয়েছি। এখন আর পুলিশ দেখলে মানুষ মনে হয় না, মনে টাকা ও ঘুষ খাওয়া জানোয়ার।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
আসলে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাটাই এমন ভাবেই তৈরী করা হচ্ছে!! যেখানে সরকার ঘুষ দেয় ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য সেখানে আপনি আম পাবলিক বাদ যাবে এমনটা ভাবতেই লজ্জায় পড়ে যাবার কথা....।
ঘুষময় পাবলিক তৈরী করতে পারলেই আপনি কম দাম ভোট নামের বিবেক কেনার রাস্তা প্রসস্থ হয়।
যারা ঘুষ দিয়ে এবং নিয়ে বিবেক বিক্রি করতে পারে তারা বিবেক বারবার বিক্রি করবেই....।
শিক্ষা ব্যবস্থায় বিবেকহীন তৈরির প্রতিযোগিতা চলছেই...... আপনার লেখাটি খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
মহিলা অলি দেশের দায়ভার নিজেই নিজের কাঁধে নিয়েছেন। কত দয়াবান তিনি।
দরকার হলে জেনোসাইড চালিয়ে সবাইকে হত্যা করে সবার শান্তি নিশ্চিত করবেন। কারন মরে গেলে ত সবাই জান্নাতে যাবে। তাই সবাইকে জান্নাতের ঠিকানায় ঠেলে দিয়ে কত মহান কাজই না করছেন তিনি।
জাতির 'ফিতা'র কন্যা বলেই তিনি দয়ার সাগর।
দেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানিয়ে ফেলানিকে কাটাতারে ঝুলিয়ে - সেনা অফিসারদের হত্যা করে কত কষ্ট করেইনা তিনি প্রণবের সুনজরে আমাদের দিকে নিয়ে এসেছেন।
চীন আর ভারতের দ্বন্দের মাঝখানে বাংলাদেশকে তাদের ফুটবল বানিয়ে বিশ্ব ফুটবলে নজর না কাড়লেও আঞ্চলিক ফুটবলের বেশ আকর্ষণ টেনেছেন।
দেশত এখন সিঙ্গাপুর। আর মাত্র কয়েকটা দিন চীন জাপান এমেরিকাকে নতুন স্বপ্নের রাজ্য হবে কারন ফিতা যে স্বপ্ন দেখছেন (বর্তমান কাল)।
অপিঃ ironically, ধার্মিকদের ঈঙ্গিত করলেন ধর্ষণের সহমর্মী, অথচ সেঞ্চরী করে রাম আর বামদের চেলা চামুন্ডারা।
লজ্জ্বাও করেনা এমন implication দিতে?
বাংলাদেশের মানুষ ও প্রশাসনের মধ্যে উদ্ভুত নব্য রুচীবোধ, শিল্পকলা ও সংস্কৃতিক বোঝাপড়ার উপর আপনার 'বার্ডস আই ভিউ' হতে সৃষ্ট লিখাটি অসম্ভব ভাল হয়েছে।
হতভাগা ভাই কষ্ট করে গ্রাসরুট লেভেল এর যে চিত্র সংযোজন করেছেন মন্তব্যে - তা অনেক প্রবাসীর জন্য রীতিমত ভীতিকর।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি না স্যেকুলার শিক্ষা ও প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দিয়ে বাংলাদেশের আজকের অবস্থা, তার কারন ও আসছে দিন সমূহ ব্যাখ্যা করা যাবে। স্বাভাবতঃই আমাদের বিস্মিত হতে হবে, দুঃখিত হতে হবে, কষ্ট পেতে হবে। কিন্তু প্রতিকারের নিমিত্তে, গঠনমূলক কিংবা সন্তোষজনক কোন সমাধানের দিক নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করতে পারবো না।
ধন্যবাদ এ নিয়ে লিখার জন্য ও মানুষকে বাংলাদেশ হতে ঘুরিয়ে আনার জন্য।
পুলিশ হচ্ছে সবথেকে মিথ্যুক অথচ এদেরকে সবথেকে সত্যবাদী হিসেবে গন্য করা হয় আইনে পুরোই কিয়ামতের আলামত
মন্তব্য করতে লগইন করুন