দৌড়াও দৌড়াও - নইলে তোমার রেহাই নেই
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৪ জুন, ২০১৫, ০৪:৫৪:৪২ রাত
মানুষের জীবনটাই একটা প্রতিযোগীতা, একটা দৌড়। অন্যকে পেছনে ফেলে , প্রয়োজনে ল্যাং মেরে এগিয়ে চলাটাকে হয়ত সফলতা বলে। তাই সফল হতে হলে এই দৌড়ের দরকার আছে। কিন্তু এর সেই দৌড় দিতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হলে তো আর কোন লাভ হয় না। আমি আগেও কয়েকবার লিখেছি, শিক্ষাকে যে কেন জাতীর মেরুদন্ড বলা হয় সেটা বুঝতে আমার অনেক সময় লেগে গেছে। আমার ধারনা, আমাদের আশে পাশের বেশীরভাগ শিক্ষিত ব্যাক্তিই এই ব্যাপারটা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি। তবে আর কেউ না বুঝলেও, যারা দেশের কলকাঠি নাড়ান তারা এটা ঠিকই বোঝেন। আর বোঝেন বলেই তারা কখনোই আমাদেরকে মেরুদন্ড সোজা করতে দেয়নি, ভবিশতেও দিবে না। আমাদের কোমর ভাঙ্গা থাকলে আমাদের উপরে লাঠি ঘোড়ানো তাদের জন্য সহজ হয়।
সেই ইংরেজ আমল থেকেই শুরু। ব্রিটিশেরা, প্রায় দেড়শ বছর আগে লন্ডন ইউনিভার্সিটির সাথে ভারতে আরো তিনটি ইউনিভার্সিটি বানালেও বৃটেনের মতন লেখাপড়ার পদ্ধতি ভারতবর্ষে কখনোই ছিল না। ব্রিটিশেরা আমাদেরকে শিক্ষিত কেরানী বানাতো, যার মেধা না হলেও চলে। মেধার বিকাশ হলেই তো মেরুদন্ড শক্ত হয়ে যাবে। তখন ক্ষমতায় টিকে থাকা কস্ট হয়ে যাবে। যুগে যুগে সব শাশকই ক্ষমতা টিকে থাকতে চায়। আর তাই আমাদের মেরুদন্ড সোজা হবার রাস্তাও আমাদের অদেখাই থেকে যায়। কি করলে শিক্ষার উন্নতি হয় সেটা জনগন ভালোভাবে বোঝে না। এটা বোঝার কথাও না। কিন্তু যারা বোঝে তারা যুগে যুগে আমাদেরকে ভুল বুঝিয়েই রেখেছে।
ধরুন, বাংলাদেশের সব রাস্তা একেবারে চকচকে করে ফেলা হল। কোথাও কোন গর্ত নেই। সাবাইকে নতুন গাড়ী দেওয়া হল। যার ভাঙ্গা মুড়ির টিনের মতন বাস আছে, তাকে দেওয়া হল আধুনিক বাস। মোট কথা রাস্তা ও গাড়ী, সবই আধুনিক। এমন করলে কি আমাদের যোগাযোগ ব্যাবস্থার কোন উন্নতি হবে? মোটেই না। গাড়ী চালাতে পারেনা এমন লোক ঠিকই লাইসেন্স পাবে। ট্রাফিক নিয়ম মানে না এমন লোক রাস্তায় গাড়ী চালাবে। এলোমেলো ব্যাবস্থাপনার জন্য ফেরীঘাটে ১২ ঘন্টা বসে থাকতে হবে। নতুন রাস্তা বানানোর সময় দুর্ণিতি করে নিম্নমানের রাস্তা বানাবে। সেই রাস্তায় অতিরিক্ত মাল বোঝাই ট্রাক চলাচল করে ২-৩ মাসের মধ্যেই নতুন রাস্তা ভেঙ্গে ফেলবে। কোন লাভই হবে না। ভাঙ্গা রাস্তা কিংবা পুরাতন গাড়ী ইত্যাদি আমাদের সমস্যা নয়, সমস্যাটা হল অনিয়ম।
আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকমের। আমাদের বেড়া ভাঙ্গা স্কুলকে পাকা দালান করলে, চকচকে চেয়ার টেবিল বানালে, নতুন বই দিলে, ছাত্রদেরকে এক একটা ল্যাপটপ ধরিয়ে দিলে শুক্ষার উন্নতি হয় না। আমাদের শিক্ষার সমস্যা হল "ভুল পদ্ধতি"। শিক্ষার যে উন্নতি আমদের হচ্ছে, সেটা হল - আগে ছাত্ররা খাতা কলম ব্যাবহার করে "ভুল পদ্ধতি" শিখত আর এখন ল্যাপটপ ব্যাবহার করে "ভুল পদ্ধতি" শেখে। ভুল পদ্ধতি শিখিয়েও ক্ষান্ত দেওয়া হয়নি। সেই পদ্ধতি শেখার জন্য প্রানান্ত প্রচেস্টার একটা দৌড় আমরা চালু করেছি। রীতিমতন সবাই মিলে শিশু বয়স থেকে অত্যাচার করছি - দৌড়াও দৌড়াও। না দৌড়ালে তোমার রেহাই নেই। কেন দৌড়াতে হবে? কি পেতে দৌড়াতে হবে? সেটাও জানা হয়না একটি শিশুর। এর পরে ধীরে ধীরে বড় হয়ে বিনা কারনে দৌড়ানোটা স্বভাবে পরিনত হয়। তখন অন্যকে দৌড়াতে দেখলেই দৌড়াতে শুরু করে। কারনটাও জানার দরকার হয় না। এমন দৌড়বিদ শিশুরা বড় হয়ে অবিভাবক হয় আর সঙ্গত কারনেই নিজের ছেলে-মেয়েদেরকেও শিশু বয়স থেকেই দৌড়ের উপরে রাখে। এজন্যই বংশ পরম্পরায় আমরা দৌড়াতে থাকি।
এভাবে দৌড় শিখিয়ে আমরা কতখানি লাভবান হচ্ছি তার একটা ছোট পরীক্ষা করে দেখতে পারেন (যদি সুযোগ থাকে)। স্কুলের যে কোন শ্রেনী কক্ষে যান। সবাইকে একটি করে সাদা কাগজ ধরিয়ে দিন। এবার বলুন, "তোমরা আজকে সকালে যার যার বাসা থেকে কিসে (যানবাহন) করে কিভাবে, কত সময়ে স্কুলে এসে এসে পৌছেছো সেটা লিখ। সময় ৫ মিনিট। খবরদার, কেউ কারো লেখা দেখবে না।" না, দেশের ছাত্ররা এত বোকা নয় যে তারা এটুকু বোঝে না, বা এটা জানে না। কিন্তু তারা দেখা দেখি না করে লিখতেই পারবে না। এই লেখাটা সবারই ভিন্ন হবে। কারো সাথে কারো মিলবে না। কারন একেক জন একেক ভাবে স্কুলে এসেছে। তার পরেও, ছাত্ররা লেখার সময়। একজন আরেকজনের কাগজের দিকে তাকাবে, কথা বলবে। অমুক কিভাবে দাগ কেটেছে, আমারটা কি ওর চেয়ে ভালো হয়েছে? কাগজের উপরে নাকি নীচে নাম লিখতে হবে। স্কুলে আসার সময় অমুক দোকানে কলম কনেছি, সেটাও কি লিখব নাকি? এভাবে বিভিন্ন সন্দেহ ও প্রতিযোগীতায় নিজের লেখাটাই লিখতে পারবে না। ৫ মিনিট এমনিতেই কেটে যাবে। আর দু এক কলম লিখলেও কি লিখবে সেটাও আরেক রহস্য। কারন "বাবার কাছে টাকা চেয়ে পত্র" মুখস্ত করার যাদের অভ্যাস তারা নিজে থেকে চিন্তা করে লিখতে কতটা পারদর্শী সেটা বুঝতে গণক হতে হয় না। আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার ত্রুটি হল - আমরা ছাত্রদের নিজের থেকে চিন্তা করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে নস্ট করে ফেলি। ওদিকে অনুকরন ও প্রতিযোগিতা করার খুব শক্ত প্রশিক্ষন দেই। দৌড় শেখাই। আর এমন শিক্ষাই আমাদের ভাঙ্গা মেরুদন্ড।
আমাদের মাথার মধ্যে শিশু বয়স থেকেই একটা মিথ্যা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। লেখা পড়া করেলে গাড়ীতে চড়া যায় আর না করলে রিকশা চালাতে হয়। ছেলে ভালোভাবে লেখা পড়া না করলে বাবা মা বলে - এই ওকে একটা রিকশা কিনে দিতে হবে। তোমাকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। না করলে অমুক স্কুলে চান্স পাবে না। আর ওই স্কুলে চান্স না পেলে তো জীবনটাই বৃথা। বড় হয়েও ওমুক ইউনিভার্সিটিতে না পড়তে পারলে তো আর কোন উপায় নেই। সবাই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। ভাব দেখে মনে হয় এসব ছাড়া আর কিছু হলেই বুঝি জীবনটা বৃথা। সেই শিশু বয়স থেকেই আমাদেরকে শেখানো হয় সেই সাথে দৌড়াতে বাধ্য করা হয়। লেখাপড়া না করলে জীবন নস্ট হয়ে যাবে এই ভয় দেখিয়ে আসলেই শৈশব, কৈশর, যৌবন সবই নস্ট করে ফেলা হয়। শুধু দৌড়াও। বাবা মা অবশ্যই ছেলে-মেয়ের ভালো চান। কিন্তু তারা অন্য সবার সাথে প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে হয়ত না জেনেই নিজের ছেলে-মেয়েকে জীবন থেকে বঞ্চিত করছে। কারন তারা চান, তাদের সন্তান সফল হোক।
সফলতা জিনিসটা আসলে কি? মোটা টাকা আয় করা, নাকি বিখ্যাত হওয়া, নাকি ক্ষমতাবান হওয়া। কোনটাকে সফলতা বলে ? একবার বুকে হাত দিয়ে বলুন তো - লেখাপড়া কি উপরের ওই তিনটি জিনিস এনে দিতে পারে? দেশের কতজন প্রথম সারির ধনী আছেন যারা পরীক্ষায় প্রথম হতেন? কতজন বিখ্যাত ব্যাক্তি আছেন যারা প্রথম হতেন। কতজন ক্ষমতাবান আছেন যারা প্রথম হতেন? বরং, আমি তো দেখি, কর্মক্ষেত্রে লোকজন তার চেয়ে কম শিক্ষিত বা অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছাত্রের অধীনে কাজ করে। শিক্ষা একটা অতীব প্রয়োজনীয় জিনিস। শিক্ষার অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু শিক্ষা সফলতার কোন মাধ্যম নয়, কোন মাপকাঠিও নয়। মানুষ সফল হয় তার কর্মে, শিক্ষায় নয়। আর সে কারনেই স্বল্প শিক্ষিত শিল্পপতির অধীনে উচ্চশিক্ষিত লোক কাজ করে। স্বল্প শিক্ষিত গায়ক, নায়ক, খেলোয়াড়ের আগে পিছে উচ্চশিক্ষিত কর্মচারী থাকে। অশিক্ষিত নেতার অধীনে কাজ করে উচ্চশিক্ষিত লোকেরা। শিক্ষা কখনোই সফলতার মাধ্যম নয়। মানুষ সফল হয় তার কাজে।
সারা বিশ্বে যত জ্ঞানী, গুনী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক আছেন তারা কেউই কি পরীক্ষায় প্রথম হতেন? বরং তাদের অনেকেই মাঝপথে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল কেউই মেট্রিক পাস করেনি। বিল গেটস তার ইউনিভার্সিটিতে টিকতে পারেনি। এখন তার কোম্পানীতেই তার ভালো ছাত্র সহপাঠিরা অনেকেই কাজ করে। আইনেস্টাইনকে তার স্কুলের শিক্ষকেরা গাধা বলতেন। টমাস আলভা এডিসনকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিল। অগত্যা তার মা নিজে ঘরে বসে পড়াতেন। নিউটন কোন বড় বিশ্ববিদ্যালয় নয়, ছোট একটি কলেজের ছাত্র ছিলেন। শিক্ষা এদের কাউকে বিখ্যাত করেনি। সবাই অমর হয়েছেন তাদের কর্মে। লেখাপড়া যে সফলতা আনে না এই সত্যটি আমাদের নিজেকে বুঝতে হবে আমাদের সন্তানকে বোঝাতে হবে। আপনি নিজের দিকেই তাকান। আপনি যখন স্কুলে পড়েছেন তখন কেউ প্রথম হোত, কেউ টেনেটুনে পাশ করতে। কর্মজীবনে এসে তাদের পার্থক্য কতখানি দেখতে পান? আপনি হয়ত দেখছেন, স্কুলের সেই সাধারন মানের ছাত্রটি এখন প্রথম হওয়া ছাত্রটির তুলনায় জীবনে অনেক সফল। এই সত্যটা আপনার সন্তানকে দেখান। দয়া করে, লেখাপড়া করে গাড়ী চড়া যায় এই মিথ্যাটা তাকে শিখাবেন না।
সাধারন মানের ছাত্রদেরকেই কর্মজীবনে বেশী সফল দেখা যায়। এর যুক্তিগ্রাহ্য কারনও আছে। তাঁকে প্রথম হতে হয় না, প্রতিযোগীতায় নামতে হয় না। নামলেও দৌড়াতে হয় না। ছাত্রজীবনে সে ধীরে সুস্থে হেটে হেটে চলে। কাজেই সে আশেপাশের জগত দেখার অনেক সময়-সুযোগ পায়। এতে সে অনেক কিছু শিখতে পারে। তাই কর্মজীবনে ছোট সুযোগ পেলেও তার পারফর্মেন্স ভালো হয় এবং ধাপে ধাপে সফল হতে পারে। পক্ষান্তরে, খুব ভালো ছাত্ররা দৌড়ে এতটাই ব্যাস্ত থাকে যে আশেপাশে কিছু দেখার সময় হয় না। তারা রেজাল্টের ফলে কর্মজীবনে ভালো সুযোগ পায় কিন্তু পারফর্মেন্স আশানুরূপ হয় না। কাজেই জীবন বিপন্ন করে এই বৃথা দৌড়ের কোন মানে নেই। একটাই জীবন। লেখাপড়া শিখতে শিখতে জিবনটাকে উপভোগ করা যায়। এর জন্য জীবন বিপন্ন করতে হয় না। আসুন আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ফার্মের মুরগী বা রেসের ঘোড়া না বানিয়ে মুক্ত মানুষ বানাই।
বিদ্রঃ সম্প্রতি এস এস সি এর রেজাল্ট নিয়ে বাবা মায়ের গঞ্জনা সইতে না পেরে একটি ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তার সুইসাইড নোট এখন ইন্টারনেটে ঘুরছে। ওই বয়সী একটা ছেলে কিভাবে তিলে তিলে গঞ্জনার স্বীকার হয়ে শেষ পর্যন্ত এই পথ বেছে নিতে পারে সেটা আসলেই কল্পনাতীত। না, সে ফেল করেনি। সে তার স্কুলে ২য় হয়েছে। জিপিএ - ৪.৮৫ পেয়েছে। সে কেন জিপিএ - ৫ পেলো না সেটাই ছিল তার বাবা-মায়ের বকা ঝকার কারন। এমনটাই আমাদের দেশের চিত্র। আরো হাজার ছেলে এমন বকা-ঝকা সহ্য করেই বেচে আছে। আল্লাহ যেন এসব বাবা-মাকে একটু বোঝার ক্ষমতা দেন। পাশ করেও লেখাপড়ার জন্য এমন গঞ্জনা যেন আর কোন ছাত্র-ছাত্রীকে সইতে না হয়। আকালে যেন আর কোন প্রান এমনিভাবে ঝরে না পড়ে।
আমার ফেসবুক ---------- এখানে
বিষয়: বিবিধ
১৪২৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হয় আরেক বাচ্চাকে করানো হচ্ছে সেটাকে ফলো করে।
শিক্ষা যেমন সফলতার মূল কারণ নয়, তেমই শিক্ষাবিহীন ব্যক্তিও প্রকৃত মানুষ নয়। একজন নৈতিক ও শিক্ষিত আর অশিক্ষিত মানুষের তুলনা চলে রাত ও দিনের পার্থক্য দিয়ে।
সুন্দর লিখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শিক্ষা এখন বানিজ্যিক আর পরিবারের সোশাল স্ট্যাটাস এর ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। আমরা না পুরাপুরি মার্কিন বানিজ্যিক শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি না গ্রহন করেছি বৃটিশ অভিজাত শ্রেনি সৃষ্টির দর্শন। আমরা হয়ে গিয়েছি একটা খিচুড়ি!!
সব খানে এখন বিবিএর পড়ার জন্য পাগলামি। অথচ ইতিহাস পরেও যে দেশের মধ্যে করা যায় কিছু সেটা আমরা ভুলে গেছি। আর সব চেয়ে ক্ষতি কর যে জিনিসটা আমাদের মধ্যে আছে সেটা ডঃ ইউনুস এর ভাষায় আধূনিক দাস মনোভাব।
ব্যথিত মন নিয়ে পুরো পোস্ট পড়লাম! দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কোন জবাব নেই যে!
সন্তানের রেজাল্ট অভিভাবকের নিকট শুধু সামাজিক দম্ভ প্রদর্শনে ব্যবহার হচ্ছে! এর কুফল এর স্বীকার হচ্ছে সবাই !
যতকিছুই ঘটুক আত্নহত্যা কারো কাম্য নয়! আশাকরি সবাই একটু সচেতন হবে....
আমরা প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে, দম্ভ প্রদর্শন করতে গিয়ে ছেলে মেয়েদের কিসের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছি সেটা বুঝতে পারছি না। আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার ক্ষমতা দান করুন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন