রাসুল (সা) কি জীবিত ?
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৯ মে, ২০১৫, ১০:০৬:৪০ রাত
এ নিয়েও যে লিখতে হবে সেটা কোনদিন ভাবিনি। রাসুল(সা) নুরের তৈরি, তাঁকে সৃস্টি না করলে কিছুই সৃস্টি হোত না, সর্বপ্রথম তার নুর সৃস্টি করা হয়েছে, ইত্যাদি ব্যাপারে আগে লিখেছি। কিন্তু রাসুল (সা) জীবিত না মৃত এ ব্যাপারেও যে বিতর্ক হয় বা হতে পারে সেটা আগে এভাবে বুঝিনি। যথারীতি মানুষ দুই পক্ষে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এক পক্ষ বলছে জীবিত, আরেক পক্ষ বলছে মৃত। মজার ব্যাপার, এই জিনিসটিও ইসলাম বিরোধীদের একটা চক্রান্ত। এটার শুরু হয়ছে হাজার বছর আগে থেকে। ইসলাম বিরোধীরা এমন কিছু বিষয় খুজে বের করে যাতে বিতর্কের অবকাশ আছে। সেই বিষয়হগুলো নিয়ে আমরা বিতর্ক করে ভাই ভাই ঝগড়া লাগিয়ে দেই। আর ওদিকে ইসলাম বিরোধীরা বসে মজা দেখে। এই বিতর্কটাও হাজার বছর পুরাতন। এ ব্যাপারে শত শত বছর আগের ইসলামী পন্ডিতদের ফতোয়াও আছে। পক্ষে ও বিপক্ষে উভয় দিকেও ফতোয়া আছে। এই ব্লগেও এমন পক্ষে, বিপক্ষে চলছে।
ইসলামিক পন্ডিতেরাই আমদেরকে সবচেয়ে বেশী বিভ্রান্ত করে। "যৌন জিহাদ" বলে যে কিছু হতে পারে এমন জিনিস ইসলামিক পন্ডিতেরাই বাজারে এনেছে। ফেসবুক ব্যাপহার করলে কাউকে পাথর মেরে হত্যা করাটাও ওই ইসলামিক পন্ডিতের অব্দান। এজন্যই রাসুল (সা) বিদায় হজ্জের ভাষনে বলেছিলেন কোরআন ও হাদিস আকড়ে ধরতে। এই দুটো আকড়ে ধরলে আমরা কখনোই বিভ্রান্ত হব না। অনেকের ধারনা আছে যে কোরআন শুধু পন্ডিতেরাই বোঝে আমরা পড়ে কিছু বুঝব না। এটা ভুল ধারনা। কোরআনকে আল্লাহ পন্ডিতের জন্য নয়, সাধারন মানূষের জন্য নাজিল করেছেন। তাছাড়া কোরআনেই আল্লাহ বলেছেন - আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, আছে কি কোন চন্তাশীল? (সুরা কামার- ১৭) হ্যাঁ ভাই, কোরআন আপনার জন্য। এর প্রায় সবই আপনি নিজে বুঝবেন। পন্ডিতের কাছে যেতে হতে পারে, তবে তা সীমিত ক্ষেত্রে, জটিল কোন পরামর্শের জন্য। আসুন দেখি, কোরআনে আজকের আলচ্য বিষয়ে কি বলে।
- তুমি (রাসুল) তো মরনশীল এবং উহারাও (অন্য মানুষ) মরণশীল [সুরা যুমার - ৩০]
- ভুপৃস্টে যা কিছু আছে সবই নশ্বর (মরণশীল) [সুরা আর রাহমান - ২৬]
- আমি তোমার পুর্বেও কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি (পরেও করিনি)। অর্থাৎ তোমার মৃত্যু হইলে উহারা কি চীরজীবি থাকবে? [সুরা আম্বিয়া- ৩৪]
এখানে কথা খুব স্পস্ট। আল্লাহ ব্যাতিত কেউই চীরস্থায়ী নয়। সবাই মরণশীল। এই কথা কোরআনেই দেওয়া আছে। এটা ঈমান ও আকীদারও একটা গুরুত্বপুর্ন অংশ। সেই কোরআনে যাদি "মরার পরেও অমুক জীবিত" বলা থাকে তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই তার কোন বিশেষ অর্থ আছে। সেই বিশেষ অর্থটি কে সেটা দেখার আগে দেখি কোথায় এমন কথা লেখা আছে।
মানুষ মৃত্যুর পরে জীবিত থাকে, রিজিক পায় এমন কথা লেখা আছে কোরআনেই।
- এবং যাহারা হিজরত করিয়াছে আল্লাহর পথে, অতপর নিহত হইহাছে অথবা মারা গেছে তাহাদেরকে আল্লাহ অবশ্যই উতকৃস্ট জীবিকা দান করবেন। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বোতকৃস্ট রিজিকদাতা। [সুরা হজ্জ - ৫৮]
- যাহারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাহাদেরকে কখনই মৃত মনে করিও না, বরং তাহারা জীবিত এবং তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহারা জীবিকা প্রাপ্ত। [সুরা ইমরান - ১৬৯]
আমি এজন্যই একে ইসলাম বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলি। ওরা আমাদের সামনে পরস্পর বিরোধী এমন একটি বিষয় নিয়ে আসে যে আমাদের জবাব দেবার মতন ভাষা থাকে না। যখন বলবেন, রাসুল (সা) তো বেচে নেই। তখনই এই দুটি আয়াত দেখিয়ে দিবে। কোরআনের আয়াতকে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। তাই বাধ্য হয়েই আপনাকে মেনে নিতে হবে যে রাসুল (সা) এখনও জীবিত। তাছাড়া উপরের প্রথম আয়াতে বলা আছে "কখনই মৃত মনে করিও না"। অর্থাৎ জোর দিয়ে "কখনোই" কথাটি বলা আছে। আর উভয় আয়াতেই জিবিকা বা রজিকপ্রাপ্ত বলা আছে। অতএব জীবিত মেনে নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
আমরা যদি পন্ডিতের অপেক্ষায় না থেকে, নিজে কোরআন পড়ি তবে বিষয়টি বুঝতে পারব। এখানে আলচ্য আয়াতগুলির আগের পরের আয়ত দেখলেও ব্যপারটা পরিস্কার হয়ে যায়।
সুরা হজ্জ এর আয়াত ৫৮,৫৯ - এবং যাহারা হিজরত করিয়াছে আল্লাহর পথে, অতপর নিহত হইহাছে অথবা মারা গেছে তাহাদেরকে আল্লাহ অবশ্যই উতকৃস্ট জীবিকা দান করবেন। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বোতকৃস্ট রিজিকদাতা। তিনি (আল্লাহ) তাহাদেরকে অবশ্যই এমন স্থানে দাখিল করিবেন যাহা তারা পছন্দ করিবে এবং আল্লাহ সম্যক প্রজ্ঞাময়, পরম সহনশীল।
লক্ষ্য করুন, এখানে যদিও বলা আছে মরার পরে জীবিকা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই সাথে কিন্তু এটাও বলা আছে তাহাদেরকে "এমন এক স্থানে" দাখিল করিবেন। অর্থাৎ আমাদের দেখা চেনা জানা ভুবন নয়, অন্য কোন ভুবন। (দুনিয়াতে নয়)
এবার পরের আলচ্য আয়াতটি দেখি [সুরা ইমরান - ১৬৯। এখানেও আশে পাশের আয়াতগুলি দেখা যায়। সুরা ইমরানের ওই ১৬৭-১৭৩ এই ৭টি আয়াত পড়ে দেখুন। আচ্ছা, কস্ট করে খুজতে হবে না। আমি সারমর্মটি দিচ্ছি।
ওখানে বলা হয়েছেঃ - মুনাফেকদেরকে (পরীক্ষার জন্য) জিহাদে (যুদ্ধে) আহবান করা হলে তারা যুদ্ধে যায় না, কারন তাদের অন্তরে কুফরী ছিল। জিহাদে তো গেলই না, আবার যারা জিহাদে গেল তাদের ব্যাপারে দোষারোপ করে বলল - ওরা আমদের কথা শুনলে (জিহাদে না গেলে) এভাবে নিহত (শহীদ) হোত না। আল্লাহ ওই মুনাফেকদের উদ্দেশ্য বলছেন - "তোমরা পারলে নিজেদেরকে মৃত্যু থেকে রক্ষা কর (সবাই মরণশীল)। যারা আল্লাহর পথে নিহত তাদেরকে মৃত মনে করো না। তারা জীবিত ও আল্লাহর কাছে থেকে রিজিকপ্রাপ্ত। আল্লাহ দয়া করে শহীদদেরকে যা দিয়েছেন তাতে তারা আনন্দিত। শহীদেরা পরবর্তী শহীদের ব্যাপারেও আনন্দিত, কারন তারা জানে ওরাও পুরস্কার প্রাপ্ত হবে। আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের কারনে তারা আনন্দ প্রকাশ করে। আল্লাহ কখনো মুমিনের কর্ম বৃথা যেতে দেন না (সুরা ইমরানের ১৬৭-১৭৩ আয়াতের সারমর্ম)
এর সাথে তুলনা চলে না তার পরেও বোঝানর জন্য দুনিয়ার উদাহরন আনতে হচ্ছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রিয় পরিবার ছেড়ে কত মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য জীবন উতসর্গ করেছে। ওদিকে অনেক রাজাকার লুটপাট করে ধনী হয়েছে। এমন রাজাকারেরা অবশ্যই বলাবলি করেছে - মুক্তিযোদ্ধারা কেমন বলদ দেখেছ? বিনা লাভে যুদ্ধ করে, পরিবার ছেড়ে দূরে থাকে আবার জীবনও হারায়। আমরা কি সুন্দর লুটপাট করে টাকা কামাচ্ছি। সেই রাজাকারের বলতে হয় -"মুক্তিযোদ্ধারা অমর। তারা সব সময় সন্মান পায়।" সবাই জানে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে না। তাদের কবর খুড়লে তাদেরকে জীবিত পাওয়া যাবে না। তবুও তাদরকে আমরা অমর বলি। তাদেরকে সন্মান করি, পুরস্কৃত করি।
আল্লাহ তেমনি ইসলামের রাস্তায় নিহতদের (শহীদ) ব্যাপারে মুনাফেকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন - শহীদেরা জীবিত, আল্লাহ তাদের রিজিক দেন, পুরস্কৃত করেন। সেটা কেমন, সেই ব্যাপারে একটু ধারনা নেবার চেস্টা করব। মায়ের পেটে যে শিশু থাকে। তার জীবন আছে, রিজিক আছে, বড় হয়, নড়াচড়া করে, কথা শোনে, স্বপ্ন দেখে, ইত্যাদি। আধুনিক প্রযুক্তির কারনে আমরা এখন মায়ের পেটের শিশুকে আরো ভালোভাবে দেখতে জানতে ও বুঝতে পারি। মায়ের পেট থেকে বের হয়ে দুনিয়াতে আসাটাকেই আমরা জন্মানো বলি। এটাকে বলি দুনিয়ার জীবন। আসলে আমাদের দেখা দুনিয়ার জীবনটুকু হল জন্ম ও মৃত্যুর মাঝখানের সময়টুকু। জন্মের আগে মায়ের পেটে ছিলাম এক ধরনের জীবিত। আবার মৃত্যুর পরে কবরে গিয়ে হব আরেক ধরনের জীবিত। আমাদের এই চেনা জানা জগত এর বাইরে অন্য কোন জগতে অন্য কোন ভাবে। মৃত্যুর পরে আমরা জীবিত হব বলেই তো আমাদের কবরে প্রশ্ন করা হবে। আমরা আবার জীবিত হব বলেই রয়েছে কবরে শাস্তি ও পুরস্কারের ব্যাবস্থা। সেখানে রয়েছে অন্য রকমের ব্যাবস্থা। সেই জীবনটি যে কেমন, তা আমাদের পক্ষে জানা বা বোঝা সম্ভব নয়। আসলে মৃত্যুর পরের এমন ধরনের জীবনে জীবিত থাকবে সবাই। তবে আল্লাহর প্রিয় বান্দা যেমন নবী, শহীদ, এরা ওই জীবনে হবে সন্মানিত ও পুরস্কৃত ও এর জন্য আনন্দিত। এ কথাটাই কোরআনে বলা আছে।
কেউই অমর নয়। যে কোন মানূষ এমনকি রাসুল (সা) এখনও জীবিত, তিনি কবরে জীবিত আছেন, আমাদের দুরুদ শোনেন, কেউ দোয়া করলে জানেন ইত্যাদি হল সরাসরি শিরক। মানুষ মায়ের পেটে ছিল, তিনিও (রাসুল) মায়ের পেটে ছিলেন। মানুষ দুনিয়াতে থাকে, তিনিও দুনিয়াতে থেকেছেন। মানুষ মরার পরে যেখানে যায়, তিনিও সেখানেই গেছেন। পার্থক্য শুধু একটাই - তিনি সবচেয়ে বেশী সন্মানিত অবস্থানে আছেন। তিনি জীবিত না মৃত এই ব্যাপারে জটিল ও সুক্ষ জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করার আগে যদি আমরা ইসলামের প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে আলচনায় বসি, তাহলেই দেখতে পারব - তিনি বেঁচে আছেন বা সবসময় বেঁচে থাকবেন, এমনটা মনে করাটা শিরক।
দেখুন -----------বাংলা কোরআন
---------- আমার ফেসবুক এখানে
বিষয়: বিবিধ
৩৪৩০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার জানা মতে তাদের কেউ কেউ এটাও বলে, মৃত্যুে পর বারযাখের জীবনে(ইল্লীইনে) রসূল(সাঃ) রয়েছেন, অন্যরাও সেখানেই থাকে কিন্তু আল্লাহর সাহায্যেই রসূল সেখান থেকে সব দেখতে পান,উম্মতকে সাহায্য করেন,রুহানী অবস্থায় উপস্থিত হন ইত্যাদী....এসবও শিরক।
তিনি(সাঃ)যে আসলেই ওখান থেকে কোনো উপকার করেন না বা বুঝতে পারেন না তা মুসলিম শরীফের বেশ কয়েকটি হাদীসে বোঝা যায়। ....তিনি(সাঃ)হাউসে কাওসারের কাছে আসবেন, তার উম্মতকে পান করাবেন...এ সময় একদল উম্মতকে তাড়িয়ে দেওয়া হলে, তিনি বলবেন ওরা আমার উম্মত। ফেরেশতারা বলবেন,আপনি জানেন না ,আপনার অনুপস্থিতিতে ওরা কি করেছিলো...তখন রসূল(সাঃ)বলবেন, ওদেরকে তাড়িয়ে দাও...
দারুন মজার তো? ইসলাম বিরোধীদের স্প্রিংয়ের পুতুল আল্লার মুমিনরা ভালই খেলতে জানে।
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তাকে বেন করা হোক। যার এত নিক
প্রকৃত পক্ষে নবী মোহাম্মদের করুন যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু হয়েছে। অথচ আল্লা তা ঠেকাতে পারেন্নি। যে আল্লা ইহকালে তার অতিপ্রিয় রাসুলের মৃত্যু-যন্ত্রনা লাঘব করতে পারেন্না তিনি(সেই আল্লা) কি করে পরকালে এতকিছু করার বাচালতা দেখান? বিষয়টি সন্দেহ জনক।
সহি বুখারি, বই-৫৯, হাদিস-৭১৩ : আয়শা বর্ণিত - নবী ভীষণ পীড়িত ছিলেন যাতে তিনি মারা যান, তিনি প্রায়ই বলতেন - আমি এখনো খায়বারে বিষ মেশানো মাংশ খাওয়া জনিত বিষক্রিয়ায় ভীষণ যন্ত্রনা বোধ করছি। আমি এমন বোধ করছি যেন আমার গলার শিরা ছিড়ে যাচ্ছে।
সহি বুখারি, বই-১১, হাদিস-৬৩৪ : আয়শা বর্ণিত- নবীর পীড়া কঠিন হলে তিনি আমার ঘরে দিন কাটানোর জন্য অন্য স্ত্রীদের কাছে অনুমতি চাইলেন, সবাই রাজী হলো। তিনি দু্জন লোকের ঘাড়ে ভর দিয়ে আসছিলেন আর তার দু পা মাটিতে ছেচড়ে ছেচড়ে আসছিল।
যাই হোক, আপনার সমস্যাটা কোথায়? রাসুল (সা) কেন যন্ত্রনা পেয়ে মারা গেলেন এজন্য আপনি অখুশি? আরামে মারা গেলে খুশি হতেন? নাকি তখন আবার বলতেন নিজে আরামে মরে উম্মতদেরকে কস্টে মরার জন্য রেখে গেছে।
আপনার সমস্যাটা যে আসলে কোথায় সেটা সবাই জানে। এর পরেও আপনার ক্লান্তি নেই। অসাধারন, চালিয়ে যান।
চমৎকার জবাব! আলহামদুলিল্লাহ! সকালে এই নিয়ে ব্লগে পোস্ট দেখার পর থেকেই শুধু মনে হচ্ছিলো এই বিষয়টা ক্লিয়ার করে বোধগম্য ভাষায় একটা পোস্ট আসা উচিত! আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো! আশাকরি সবাই উপকৃত হবেন।
আমাদের সবার উচিত নিয়মিত পড়শোনা করা, সব ধরনের অথেনটিক সোর্সগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া, একাধিক বই, লেকচার যেভাবে জ্ঞান অর্জন সহজ এগিয়ে যাওয়া! বদ্ধ ডোবায় আকঁড়ে আছে আমাদের মুসলিম সমাজ! অথচ ইসলাম আমাদের জ্ঞানের সাগরে পাড়ি দেয়ার আহবান জানায়!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের নিয়মিত পড়াশোনার অভ্যাস আছে। কিন্তু লেখাপড়াটা নির্দিস্ট একটা গোন্ডিতে আবদ্ধ। এছাড়া, আমরা মুল বই (কোরআন), ব্যাবহারিক বই (হাদিস) বাদ দিয়ে হুজুরদের লেখা ভুলে ভরা নোট বই পড়ে অভ্যস্ত।
এসকল বিষয় নিয়ে যারা বিতর্ক করে তারা আসলে দেখে ও শুনে কিন্তু অন্তকরনে কোন কিছুই উপলব্ধি করতে পারেনা।
ধন্যবাদ।
তারপরেও মানুষের ‘মূর্খতা সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া দেখে অবাক হতে হয়। এসব দেখে কুরআনের সেই আয়াতটা মনে পড়ে যায়,’ বস্তুতঃ মানুষ বড়ই তর্কপ্রিয়’!
সম্ভবতঃ রাসূল ্রসাঃ) এর কাছে ‘সালাম’ পৌঁছে দেয়া হয়, এ থেকে অনেকে সাধারন জ্ঞানে ভাবতে চেষ্টা করে জীবিত মানুষের কাছে যেমন কোন উপহার পৌঁছান হয়, তেমনি হয়তো দরূদ বা সালামকেও তেমন ‘রঙ্গিন মোড়কে পূরে রাসূলের সমীপে পেশ করা হয়! পরকালের জগতকে আমাদের ‘সীমিত জ্ঞাণ দিয়ে বুঝতে গিয়েই যত সমস্যা ! আমাদের উলামাদের দায়িত্ব এই ‘পার্থক্য ব্যাখ্যা করা!
মন্তব্য করতে লগইন করুন