এফ বি আই এখন ঢাকায়
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৮ মার্চ, ২০১৫, ০১:১৬:০৮ রাত
এফ বি আই - ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। নামটা শুনলেই কেমন যেন একটা থ্রিল অনুভব করা যায়। হলিউডের সিনেমাগুলো এই এফ বি আই দেখাতে দেখাতে এই সংস্থাটির প্রতি অতি উচ্চ ধারনা গেথে দিয়েছে আমাদের মনে। ওটা আমেরিকার সরকারের তদন্ত সংস্থা। এমন সরকারী তদন্ত সংস্থা সব দেশেই থাকে। আমাদেরও রয়েছে, ডিবি - ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ। আমেরিকা উন্নত দেশ, তাই তাদের ডিটেকটিভ এর সাথে আমাদের ডিটেকটিভ এর পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এই পার্থক্যটা কিন্তু মুলত ট্রেনিং, যন্ত্রপাতি ও যোগাযোগ ব্যাবস্থা। তাছাড়া সব দেশের ডিটেকটিভই, তথ্য ও প্রমান সংগ্রহ করে একটা বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধী সনাক্ত করে। ডিটেকটিভ মানেই শার্লক হোমস নয়।
এফ বি আই এর চারজন ডিটেকটিভ বাংলাদেশে এসে ইতিমধ্যে অভিজিৎ রায় হত্যার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। এফ বি আই বলে কথা। তাই এই তদন্তের ব্যাপারে অনেকেই উচ্চাশা পোষন করছেন। এই হত্যাকান্ডে যেটা হয়েছে তা হল জাতি বিভক্ত হয়ে গেছে। হ্যা, রাজনিতীবিদেরা এমন বিভক্ত জাতিই চায়। জাতি এক হয়ে গেলে তো আর তাদের উপরে ক্ষমতা ফলানো যায় না। জাতি, কয় ভাগে বিভক্ত হল দেখুন।
- এক দল অভিজিতকে বিজ্ঞানী ও মুক্তমনা বানিয়ে তাঁকে আদর্শ মনে করছে। অভিজিতের ইসলাম বিরোধীতা, তারা স্বীকারই করেন না।
- আর এক দল অভিজিতের ইসলাম বিরোধীতা স্বীকার করে এবং এটা পছন্দও করেন। এরা এই হত্যা কান্ডের জন্য ইসলামিক গোস্টিকে দায়ী করেন।
- আরেক দল আছে যারা এই হত্যাকান্ড সমর্থন করে তবে এটা ইসলামী পদ্ধতি নয়, এমন বলেন।
- আরেক দল আছে যারা হত্যাকান্ডের সমর্থন করেন আবার এও বলেন যে এটা ইসলামী পদ্ধতি।
- আরেক দল আছে যারা হত্যাকান্ড সমর্থন করে না আবার অন্য ধর্মের নামে কটুক্তিও সমর্থন করে না, তারা মনে করেন প্রচলিত আইনে কটুক্তির বিচার হতে পারত।
এত দলে জাতি ভাগ হয়ে গেছে শুধু মাত্র কয়েকজন অপরাধীর জন্য। তাদের ধরা পড়াটা খুবই প্রয়োজন। দেশের মানুষ ভাবছে, এফ বি আই যখন এসেছে, এবার আসল অপরাধী ধরা পড়বেই। কিন্তু আসলে, অন্য দেশে এসে সুবিধামতন তদন্ত করা যায় না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই দেশের প্রশাশনের উপরে নির্ভরশীল হতে হয়। আর আমাদের প্রশাশনের উপরে নির্ভর্শীল এফ বি আই, কতখানি পারফর্মেন্স দেখাতে পারবে সেটা একটা প্রশ্ন। এই হত্যাকান্ডটি রহস্যময়। এত নিরাপত্তার ভেতরেও অস্ত্রসহ খুনিরা প্রবেশ করেছে, নির্বিঘ্নে পালিয়েও গেছে। হটাত করেই নাম না জানা "আনসার বাংলা -৭" এর দায় স্বীকার করেছে টুইটারে। পরের দিনই আবার সেই পেজ বন্ধ হয়ে গেছে, আনসার বাংলা উধাও। হত্যার পরে মুক্তমনা ব্লগ বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় রহস্য হল নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রশাশনের উদাসিনতা। অভিজিত রায়কে রক্ষা করা তো দুরের কথা, তাঁকে সাহায্য করতেও কেউ আসেনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন এক ফটো সাংবাদিক। এসব রহস্য উন্মোচন করতে হলে অনেক বেশী স্বাধীনতার প্রয়োজন। অমুক স্যারের প্রিয় লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না, তমুক স্যারের প্রিয় লোককে গ্রেফতার করা যাবে না । এমন হলে এই রহস্য সমাধান করা মুশকিল। আমেরিকাতে এফ বি আই স্বাধীনতার সাথে কাজ করতে পারে, তাই তারা রহস্য সমাধান করতে পারে। বড় স্যারদের ফোনের ঠ্যালাতে পড়ে, আমাদের দেশের প্রশাসন নিজেরাই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। ওই চারজনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিবে কিভাবে?
এত সীমাবদ্ধতার পরেও, অন্য সবার সাথে আশায় বুক বেধে আছি, এই রহস্যের সমাধান হোক। মানুষ জানুক আসল অপরাধী কে বা কারা। তাহলে নির্দিস্ট একটা গোস্টিকে অপবাদ দেওয়া বন্ধ হবে। জাতিও বিভক্তি ছেড়ে ঐক্যমতে পৌছাবে।
ঢাকাতে এফ বি আই এর কার্যক্রমের আরো ছবি দেখুন এখানে
---------- Find me on facebook
বিষয়: বিবিধ
১২৭৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারণ সরকার জনসাধারণের আই ওয়াশ করতে ওনাদের নিয়ে এসেছে।
প্রকৃত অপরাধীদের খিজে বের করার ইচ্ছা যেমন সরকারের নাই তেমনি এফবিআইকে দিয়ে ফরমায়েশই রিপোর্ট তৈরী করানো ও সম্ভব নয়। অতএব, রেজাল্ট শূন্য।
করিয়া গেল ........
দেশে কি পরিমান নাস্তিক, তাদের
দোসর ও পৃষ্ঠপোষক আছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন