বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশগুলো (চিত্রসহ)

লিখেছেন লিখেছেন এলিট ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৭:২৭:৩০ সন্ধ্যা



বিশ্বের ভয়াবহ দেশগুলোর দিকে তাকালে মনটা খারাপ হয়ে যায়। মানুষ কিভাবে এমন খুনো খুনি করছে তা ভাবতেই অবাক লাগে। আরো লজ্জা লাগে যখন দেখি ওই সব দেশগুলোতে মুসলমান জনসংখা বেশী। মুসলমান নামধারী ওই কুলাঙ্গারেরা, জিহাদের নামে মানুষ হত্যা করছে। ওরাই ইসলামে ক্ষতি করে সবচেয়ে বেশী। সঠিক মুসলমানদের উচিত, ওসব জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে জিহাদ করা। তবে এত দুঃখের মাঝেও একটা জিনিস দেখে বেশ ভালো লাগে যে, বাংলাদেশের হাজারো সমস্যা থাকলেও আমরা এখনও অনেক ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ।



১০ কেনিয়াঃ এই দেশটির সঙ্গে সোমালিয়ার বর্ডার রয়েছে। সোমালিয়ার জঙ্গিবাদী দল আল-শাবাব এর অত্যাচারে এই দেশটি জর্জরিত। ২০১৩ সালে ওয়েস্টগেট শপিং মলে জঙ্গী এক হামলায় ৭০ জন নিহত হয়। সীমান্তে বোমা ও গ্রনেড হামলাতে প্রায়ই মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া ছোট খাট জঙ্গি ততপরতা তো লেগেই আছে। আল-শাবাব বিভিন্ন গীর্জায়, নাইট ক্লাব, বাস ডিপোতে জঙ্গি হামলার হুমকি দিচ্ছে এবং মাঝে মাঝে হামলা করছেও।



৯ মিশরঃ রাজনৈতিক অস্থিরতা যে কতখানি চরম হতে পারে , তার উদাহরন হল মিশর। প্রাত্তন প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারকের আমলে কয়েক দশক ধরে সামরিক সৈরশাশন চলেছে দেশটিতে। ১৮ মাসের সন্ত্রাসী প্রতিবাদের পরে ২০১১ সালে তকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এর পরেও গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচন করা হলেও তাতে লাভ হয়নি। একই ধরনের অস্থিরতার মধ্যে এর পরে আবারও এসেছে সামরিক শাশন। মিশরে যে কোন ধরনের তন্ত্র চলে বা কোন ধরনের সরকার চলে সেটা অস্পস্ট। সেই সাথে রয়েছে সন্ত্রাসী ততপরতা। যখন তখন , যে কোন যায়গায়।



৮ পাকিস্তানঃ ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেবার অভিযোগ উঠেছিল এই দেশটির বিরুদ্ধে। এর পরেই সন্ত্রাস, বিশেষ করে ইসলামের নামে সন্ত্রাস বেড়েই চলেছে এই দেশটিতে। পাকিস্তানে এত বেশী সন্ত্রাসী সংগঠন রয়েছে যে তাদের সবার খোজ রাখাটাই প্রশাশনের জন্য দুস্কর হয়ে পরে, প্রতিহত করবে কিভাবে? এর মধ্যে নামকরা সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়েবা, হরকত-উল-মুজাহেদিন, তেহরিক-আল-তালিবান ইত্যাদি। এসব সংগঠনের কোন আগা মাথা নেই। যখন তখন, কারন ছাড়াই মানুষ হত্যা করে। যদিও পাকিস্তান, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দেশ নয়। তবুও সন্ত্রাসী সঙ্গঠনের হামলায় প্রানহানী সবচেয়ে বেশী পাকিস্তানেই হয়। ২০১৩ সালের এক সমীক্ষাতে দেখা গেছে যে এসব সন্ত্রাসী হামলায়, দেশটিতে ১৩ হাজারেরও বেশী লোক নিহত হয়েছে।



৭ লিবিয়াঃ ২০১১ সালের এক গনঅভ্যুথ্যানে গাদ্দাফীর মৃত্য ও সেই সাথে চার যুগের স্বৈর শাশনের পতন হয়। এর পরেও দেশটিতে অস্থিরতা থেমে থাকেনি। প্রধানমন্ত্রী এবং কয়েকজন কূটনৈতিক ব্যাক্তিকে অপহরন পর্যন্ত করা হয়েছে। অরাজকতা এতটাই বেশী যে, নিরাপত্তার জন্য, দেশটির উপর দিয়ে বিমান চলাচল নিষেধ ছিল। দেশটির এক সামরিক মহল প্রভাব বিস্তারের চেস্টায় অবিরাম অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।



৬ সিরিয়াঃ প্রাত্তন প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় ২০১১ সালে। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো ঘনিভুত হয়। প্রেসিডেন্টের মিলিটারিরা দেশের জনগনের উপরে নির্মম হামলা চালায়। এর ফলে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন এর হস্তক্ষেপে গৃহযুদ্ধ বেধে যায়। ইসলামের নামে জঙ্গি সংগঠন আইএস আইএস (ISIS) এর হামলা চলে মিলিটারি ও খ্রিস্টানদের উপরে। দেশটিতে এমন যুদ্ধ ও সহিংসতা প্রায় দুই লক্ষ লোক নিহত হয়েছে। ৬৫ লক্ষ লোক গৃহহারা হয়েছে। আরো ৩০ লক্ষ লোক স্থান ত্যাগ করেছে। এখনও যারা টিকে আছে তারা বেচে রয়েছে দারিদ্রতা আর দুর্ভিক্ষ সাথে নিয়ে। সবচেয়ে বেশী যুদ্ধাপরাধ এই দেশেই হয়।



৫ ইয়েমেনঃ এই দেশটিতেও কোন স্থিতিশীল সরকার নেই। কাজেই বিভিন্ন মানবতা বিরোধী ঘটনা ঘটে এখানে। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহ কে হটিয়ে নতুন এক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে থাকে। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন এর ততপরতায় দেশটির উত্তর ও দক্ষিন অংশ একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। ইয়েমেন এ সমস্যা শেষ হবার নয়। ক্ষমতার অপব্যাবহার থেকে শুরু করে আইনের মাধ্যমে নারী নির্যাতন পর্যন্ত। প্রায় অর্ধেক জনতার পর্যাপ্ত খাবারের ব্যাবস্থা নেই। যার ফলে চুরি ডাকাতি ইত্যাদি অপকর্ম দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।



৪ আফগানিস্থানঃ উপসাগরীয় যুদ্ধে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্থ দেশটি। কিন্তু যুদ্ধ থামার পরেও তাদের শান্তি নেই। বেশীরভাগ লোকই আফগানিস্থানের ক্ষমতাশীল দল তালিবানের ও বিরোধী দল Northern Alliance এর যুদ্ধেই জর্জড়িত দেশটি। বাইরের দেশের যুদ্ধ বন্ধ, ভেতরের যুদ্ধ শুরু। এই যুদ্ধে গত বছরে ১০ হাজার লোক মারা গেছে। দেখে মনে হয়ে তার যুদ্ধ প্রিয় জাতি। যুদ্ধ না হলে তাদের ভালো লাগে না।



৩ সোমালিয়াঃ আল-কায়দা নামক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নাকি যোগসুত্র রয়েছে সোমালিয়ার আল-শাবাব সংগঠন এর। আল-শাবাব এর সন্ত্রাসী ততপরতা এত বেশী যে সোমালিয়া তো বটেই, পাশের দেশ কেনিয়াকেও তারা ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। দুনিয়ার সবচেয়ে নাশকতাপুর্ন এলাকার অন্যতম এই দেশটি। প্রতিদিনই আক্রমন, বোমা হামলা, অপহরন ইত্যাদি হয়ে থাকে। সেই সাথে আছে দুর্ভিক্ষ ও চুরি ডাকাতি। এছাড়া নাশকতার খরচ চালানোর জন্য, আল-শাবাব জঙ্গি দলটি হাতি ও হাতির মালিককে মেরে ফেলে হাতির দাত সংরহ করে।



২ নাইজেরিয়াঃ মুসলিম ও খ্রিষ্টান দাঙ্গা অনেক আগে থেকেই নাইজেরিয়াতে ছিল। কিন্তু সেই দাঙ্গা দাবানলের মতন ছড়িয়ে পরে যখন "বোকা হারাম" নামক সংগঠনটি গদি দখলের জন্য, দুই শতাধিক স্কুল ছাত্রীকে অপহরন করে। এর পরে এরা একের পর এক স্কুলকেই টার্গেট করে যাচ্ছে। পাশ্চাত্য ধাচের যে কোন কিছুই এরা (বোকা হারাম) অপছন্দ করে। এই সংগঠনটি প্রভাব এত বেশী যে আশে পাশের কয়েকটি দেশের সহায়তার পরেও বোকা হারামকে এখনও উতখাত করা যায়নি।



১ ইরাকঃ আফগানিস্থানের মতন উপসাগরীয় যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ এই দেশটি। তাদেরকে দেখেও মনে হয়, তারা যুদ্ধ পছন্দ করে। কারন আমেরিকান সৈন্য চলে যাবার পরেও তাদের দাঙ্গা থেমে নেই। চলছে শিয়া সুন্নী দ্বন্দ। সেই সাথে যোগ হয়েছে আইএস আইএস (ISIS)। একেবারে সোনায় সোহাগা। চলছে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে ইরান ও সিরিয়া পর্যন্ত। প্রতি বছরে কয়েক হাজার সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার এই দেশে, ভয়াবহতা সব সময়ই বেশী। আইএস আইএস (ISIS) যেভাবে মরনপন যুদ্ধ শুরু করেছে, এর কোন শেষ আপাতত দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়াও এই জঙ্গি সংগঠনটি বিভিন্ন বিদেশীকে আপহরন করছে এবং মুক্তিপন না দিলে তাদেরকে হত্যা করছে। এটাই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশ।

বিষয়: বিবিধ

১৭৫৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

304791
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বাংলাদেশ কত নম্বরে??
304814
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:২৪
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা তিনি যেন আমাদের সবার অন্তরচক্ষুটি খুলে দেন - যাতে করে আমরা সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করতে পারি, যাতে করে আমরা শত্রু ও মিত্র চিনতে পারি, যাতে করে আমরা সত্যিকার দোষীকে চিহ্নিত করতে পারি, যাতে করে আমরা প্রতারকের প্রতারনা বুঝতে পারি।

আল্লাহ আমাদের ভাই ও বোনদের বিচার বিশ্লেষন করার শক্তি বাড়িয়ে দিক - যাতে কোনভাবেই আমরা ভুল জাতি কিংবা গোষ্ঠিকে দোষী সাব্যস্থ না করে ফেলি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:৫৬
246591
এলিট লিখেছেন : আমিন ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:০৪
246599
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : যে ধর্মের মূলমন্ত্রেই হত্যা, ধর্ষন, বোমাবাজী, দাঙ্গা, ফ্যাসাদ.......... সেখানে আর কি আশা করা যায়?
304823
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:০৪
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : যে ধর্মের মূলমন্ত্রেই হত্যা, ধর্ষন, বোমাবাজী, দাঙ্গা, ফ্যাসাদ.......... সেখানে আর কি আশা করা যায়?
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৪৪
246607
রক্তলাল লিখেছেন : তুইত দেখি ইসলামের পন্ডিৎ রে। সারা জীবন শুনে আসলাম ইসলামের মূলমন্ত্র কালেমা, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত - অন্যায়ের প্রতিবাদ, ঘুষ দুর্নীতি না করা -

এখন দেখি তুই নতুন ইসলাম আবিস্কার করলি! নোবেল পাইছস এখনো?

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:৪১
246623
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : আপনি আসলেই রামছাগল।

কালেমা, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত, কোরাণ উচিয়েই মুসলিম মুমিনরা আল্যায়ুআকবর বলে কতল-ধ্বংসের নেশায় মেতে আছে।

আর ইসলামের "অন্যায়ের প্রতিবাদ, ঘুষ দুর্নীতি না করা"?? তাতো ৯০% মুমিনের বাংলাদেশে চোর, বদমাস, বাটপার, ভেজাল, দূর্নীতি এবং ধাপ্পাবাজির নমুমা দেখে বুঝা যায়। নাকি?
304834
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:০১
আফরা লিখেছেন : আরো লজ্জা লাগে যখন দেখি ওই সব দেশগুলোতে মুসলমান জনসংখা বেশী।এক্কেবারে ঠিক কথা বলেছেন আমার লজ্জা লাগে কষ্টো ও লাগে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File