দুইটা গদি বানাইলে কেমন হয়
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০১:৫৬:০৩ দুপুর
দেশের জন্মলগ্ন থেকে কতখানি গনতন্ত্র ছিল বা আছে সেটা সবাই দেখেছে। কিন্তু বেশীরভাগ মানুষ যেটা দেখেনি বা দেখেও খেয়াল করেনি, সেটা হল দেশের বড় দুটি দলের আভ্যন্তরীন গনতন্ত্র। এই দুটি দলের তৃনমূল পর্যায়ে কি আছে জানিনা। তবে দল দুটি দাঁড়িয়ে আছে পরিবারতন্ত্রের ভিত্তিতে। দল দুটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওই দুই পরিবারের বাইরে আমরা কিছু চিন্তা করতে পারি না। কেউই চীরকাল বেচে থাকে না। দুই নেত্রীর অবর্তমানে তাদের স্থান দখল করে নিতে রয়েছে তাদের সন্তানেরা। এভাবেই বংশানুক্রমে এই দুই পরিবারই এই দুই দলের নেতৃত্বে থাকবে। যোগ্য নেতা বা নেত্রীর সন্তানেরাও যে যোগ্য হবে এমন কোন কথা নেই। সেই যোগ্যতার বিচারও আমরা করি না। ওই দুই বংশের হলেই তাকে আমরা নেতা মানি। আমরা গনতন্ত্রে নয়, পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী।
পালাক্রমে এই দুই দল, তথা এই দুই পরিবারই দেশ শাশন করবে। আমরা চাই আর না চাই, এটাই আমাদের নিয়তি। আমরা তৃতীয় কোন ব্যাক্তি, দল বা পরিবার চাই না বা চাইলেও পাব না। এটাই যখন আমাদের নিয়তি, তখন শান্তিপুর্নভাবে থাকাতে দোষ কোথায়? দেশের চলমান সব অশান্তির মুলই হল - কেউই ছাড় দিচ্ছে না। একদল গদি আকড়ে পড়ে আছে, অন্যদল গদি ধরে টানাটানি করছে। গদিটাই যখন সব সমস্যার মুল, তখন দুইটা গদি বানালেই তো সব সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
না, দেশ ভাগের কথা বলছি না। বলছি ক্ষমতা ভাগের কথা। দেশের দুই অর্ধেক শাশন করার ক্ষমতা দুই দলকে, আজীবনের জন্য দেওয়া হোক। শর্ত শুধু একটাই, বাকী অর্ধেক অংশে নাক গলানো যাবে না। বিশ্বের ইতিহাসে এমন আজগুবি ব্যাবস্থার কোন নজীর নেই, এটা জানি। কিন্তু আমরাও তো নজীরবিহীন জাতি। ৪৫ বছরেও স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ থেকে বের হতে পারিনি। দুই গদি বানানোর এই নজিরবিহীন উপায়টা বাস্তবে কাজে লাগানো গেলে এর উপকারীতাও হবে নজিরবিহীন। দাবী আদায়ের জন্য হরতাল থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষে বলে কিছু থাকবে না। মরহুম দুই নেতার ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি হবে না। দলীয়করন, আত্মীয় করন, বংশীয়করন ইত্যাদির দরকার হবে না। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল - গদি টানা টানি হবে না। যে যার গদি নিয়ে নিজে শান্তিতে থাকবে, অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দিবে। আর কিছু না পেলেও, জনগন অন্তত জীবনের নিরাপত্তাটুকু পাবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৯ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিএনপি - আওয়ামী লীগ উভয়েই হল মধ্যান্চল থেকে নিচের দিকের ।
তাই এদের কারও আমলে উত্তরান্চলের কোন উন্নতি হয় নি , এমনকি দক্ষিন পশ্চিমান্চলেরও না ।
তাই খুলনা , যশোহর বা রাজশাহী , দিনাজপুরকে যতটা না বাংলাদেশ মনে হয় তার চেয়ে বেশী মনে হয় পশ্চিম বাংলার মত ।
আর যতসব ফ্যাসিলিটিজ এই মধ্য ও দক্ষিন পূর্বাংশেই । এটা নিয়ে তো কঠিন ক্যাচাল শুরুতেই বেঁধে যাবে।
@হতভাগা : উত্তর-দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে কথা বলায় আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ- জাযাকাল্লাহ
সমস্যাটা কি শুধু দুই দলের ক্ষমতার লোভ নাকি এর পিছনে আরো কিছু আছে সেটা ভাবা বা জানা জরুরি নয়কি?
গনতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্র চলছে বাংলাদেশে!
একমাত্র 'জামাতে ইসলামী' ছাড়া অন্য সব দলের অবস্থা পরিবারতন্ত্রে আক্রান্ত!
শ্রদ্ধেয় শেখের পোলা ভাইয়ের সাথে সহমত-সবাই কে আলাদা আলাদা গদি দেয়া হোক!!
দুই গদির ইতিহাস ইসলাম ধর্মেও আছে। সিফফিন যুদ্ধের পর খলিফা হজরত আলী তার বৈরি প্রতিপক্ষ সিরিয়ার শাসনকর্তা আমীর মোয়াবিয়াকে খেলাফত বিভক্ত করার প্রস্তাব দেন। সেই শর্তে হজরত আলীর হাতে চলে আসে মক্কার শাসন ক্ষমতা। আর আমীর মোয়াবিয়াকে দেয়া হয় সিরিয়ার শাসন ক্ষমতা।
গদি দুটো করলে পরে চারটার দাবী উঠতে পারে।
আমরা চাইলেই পেতে পারি ।ভোট আসলেই বাঙ্গালী শুধু দুইটা দলই চিনে , বিএনপি আর আওয়ামিলীগ ।তাই "চাইলেই পাবনা না বলে ঐ চাইনা বহাল থাউকগা ।
মানে তৃতীয়টি আমার জন্য। হাহাহা।
জনগণের কী লাভ হইবে বরং এর ফলে বিপদ শুধু বারতেই থাকবে। বলদাঁ আর কারে কয়?
এতো হাল্কা কথা তো আপনার বলার কথা নয়!
কিন্তু
আমি কিছুতেই আপনার কথার ভিতরে ঢুকতে পারছিনা!
রম্য হলেও তো কিছুটা বোধগম্য হতো!!
সম্ভবতঃ আমার মাথাটাই কাজ করছেনা!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন