ক্যলেন্ডারে কি আর কোন তারিখ নেই?
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ১৭ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৪১:০২ রাত
১৫ই আগস্ট : ভারতের স্বাধীনতা দিবস | বঙ্গবন্ধু হত্যা দিবস | খালেদা জিয়ার জন্ম দিবস | চরমোনাই এর শহীদ দিবস | জামায়াতের শিক্ষা দিবস
কেন জানি ভারতের স্বাধীনতা দিবসকেই বেছে নিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। এই কারনে এই দিনটি আমাদের দেশে শোক দিবস হয়ে গেছে। পরবর্তীতে একে একে আরো তিনটি দিবস বের হয়েছে এই দিনে। এর মধ্যে সবচেয় আলোচিত খালেদা জিয়ার জন্মদিবস। এই জন্মদিন নিয়ে যথারীতি দুই পক্ষ থেকে দুই রকমের কথা শোনা যায়।
এক পক্ষের দাবী - এমন একটা শোক দিবসে, মিথ্যা জন্মদিন পালন করাটা শিস্টাচার বহির্ভুত। এমনকি সেই দিন সত্যই জন্মদিন হলেও ভদ্রতার খাতিরে সেটা না পালন করাই ভালো।
অন্য পক্ষের দাবী - ওই দিনে জন্মেছে এমন বহু লোক দেশে আছে। জন্ম তারিখটি সত্য। এর প্রমান সরূপ খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবিও ফেসবুকের বিভিন্ন দেওয়ালে ঘুরছে। শোক দিবস বলে ওই দিনে জন্মগ্রহনকারী সবাই কি জন্মদিন পালন করা বন্ধ করে দিবে?
রাজনৈতিক দলের অন্ধ ভক্তের কথা আলাদা। তাদের নেতারা যেটা বলবে সেটাই ঠিক, সত্য যাই হোক না কেন। কিন্তু নিরপেক্ষ কেউ এসব দেখে বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। একদিকে জানে যে ওই দিন বঙ্গবন্ধু হত্যা দিবস। ওন্যদিকে দেখছে খালেদা জিয়ার ডিজিটাল পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবিতে দেখছে একই তারিখ। আবার এটাও শুনছে, ওই জন্মতারিখটি নাকি ভুয়া। এ দুটোই ডকুমেন্টই ইস্যু করা হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। এটা ভুয়া হলে সেটা পরিবর্তন করাটা ক্ষমতাশীন আওয়ামী লিগের কাছে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যাপার। তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছিল তারা কয়েক মিনিটে। খালেদা জিয়া এখন বিরোধী দলের নেত্রী নন, তিনি কোন সংসদ সদস্য নন। তার সাধারন পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র বাতিল করা বা পরিবর্তন করাটা এখন কোন ব্যাপারই নয়।
ক্ষমতা থাকলেও আওয়ামী লীগ সেটা না করে, খালেদা জিয়াকে বাজে কথা বলছে। অনেকেই হয়ত খালেদা জিয়ার কাছে আশা করতে পারে যে, জন্মতারিখ সত্য মিথ্যা যাই হোক না কেন, তিনি যেন ভদ্রতা সরূপ ওইদিন জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত থাকেন। যে দেশের রাজনীতিতে, দুটি ভিন্ন দল তো বটেই, একই দলের, এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে খুন করে, সেই দেশে অমন ভদ্রতা আশা করাটা বোকামী। আবার অনেকে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে বিষয়টির দ্রুত সমাধান আশা করতে পারে। তেমন আশা করাটাও বোকামী, কারন কোন একটা ইস্যু জিইয়ে রাখাটাই রাজনীতি। সমাধান করলে তো ল্যাটা চুকেই গেল।
১৫ই আগস্টের এই শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু ভক্ত নেতাদের দরদ ও উতসাহ দেখে অবাক হতে হয় । মরনের পরে যদি মানুষ ফিরে আসতে পারত, বঙ্গবন্ধু ফিরে এসে তার এই ভক্ত নেতাদেরকে হয়ত জিজ্ঞেস করতেন - আমাকে সপরিবারে যখন হত্যা করেছিল, তখন এই ভক্তি কোথায় ছিল? তোমাদের মধ্যে কতজন তখন শোক প্রকাশ করেছিলে?
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১. ভারতের স্বাধীনতা (জন্মদিন)
২. আয়ারল্যান্ডের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী জ্যাক লিঞ্চের (Jack Lynch) জন্মদিন
৩. নেপলিয়ন বোনাপার্টের জন্মদিন
৪. পর্তুগালের ক্যাথলিক সেন্ট এন্থনির জন্মদিন
৫. ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলেইন জুপের (Alain Juppé) জন্মদিন
৬. উগান্ডার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউরি মুসেভেনির (Yoweri Museveni) জন্মদিন
৫ই আগষ্ট শেখ কামালের জন্ম দিন ও তার কিছুদিন পর কামালের মায়ের জন্মদিন।
হাসিনা তার মায়ের ও ভায়ের জন্মদিন পালন করতে পারলে অন্যেরা কেন এই মাসে জন্মদিন পালন করতে পারবে ।
তবে চকেটা জিনিস জেনে রাখা উচিত মুসলমানদের শোক পালন মাত্র তিন দিন। স্ত্রীর এই কেব্ষত্রে একটু বেশী দিন।
শোক দিবস প্রতি বছর পালন করা কি মুসলমানদের জন্য ঠিক। এটা অমুসলিমদের সংস্কৃতি।
ধন্যবাদ।
এটা করিয়ে তাকে দেশবাসীর কাছে পঁচাচ্ছে তার আশে পাশে থাকা চামচাগুলো । যেমনটা বঙ্গবন্ধুকে জনগনের কাছ থেকে আড়ালে নিয়ে গিয়েছিল তার আশে পাশে চলে আসা দুধের মাছিগুলো ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন