কোনটা বর্জন করবেন - "ইসরাইলি পন্য" নাকি "ইহুদী পন্য"? (তালিকা দেখে জেনে নিন)

লিখেছেন লিখেছেন এলিট ৩১ জুলাই, ২০১৪, ১১:৫১:৫৫ রাত



বিষয়টি এখন বেশ সময় উপযোগী। বিডি টুডে এই বিষয়ে একটি লেখা বেশ কয়েকদিন ধরে নোটিশ বোর্ডে দিয়ে রেখেছে। ইসরাইলি/ইহুদী পন্য বর্জন করুন। শুধু আমাদের দেশ নয়, বিশ্বের মুসলমানদের বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ও কোনঠাসা থাকার একমাত্র কারন হল একতার অভাব। মানুষের ভিন্ন মত থাকতেই পারে। কিন্তু মুল উদ্দেশ্যে সবাই একমত না হলে সামনে অগ্রসর হওয়া যায় না। আমাদের রয়েছে বেশী বোঝার (ভুল বোঝার) একটা স্বভাব। এর সঙ্গে রয়েছে প্রচুর আবেগ। আমরা ভালোবাসা আর ঘৃনার মাঝামাঝি কোন অবস্থানে থাকতে পারিনা। হয় ভালোবাসি না হয় ঘৃনা করি। সব ক্ষেত্রেই।

গাজার মানুষের উপরে ইসরাইলের গনহত্যা দেখে তাদের প্রতিবেশী আরব দেশগুলি চুপ করে আছে। মিশর নাকি ফিলিস্থিনিদের সুরঙ্গ ধংশের কাজে যোগ দিচ্ছে। অর্থাৎ প্রত্যক্ষভাবেই ইসরাইলকে সাহায্য করছে। জাতিসংঘ তো কানে তুলো দিয়েছে। পশ্চিমা অনেক দেশ ইসরাইলকে এই গনহত্যার জন্য নোবেল শান্তি পুরিস্কার দিতে চাচ্ছে। সবচেয়ে বেশী সুযোগ করে দিচ্ছে আমেরিকা। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা একটা ইসরাইলি মানুষ মারলে সেটা জঙ্গী হামলা। ওদিকে ইসরাইলীরা হাজার মানুষ মেরে ফেললে সেটা হয় আত্মরক্ষা। পরিস্থিতি, ক্ষমতা, অন্য দেশ, সব কিছুই ফিলিস্থিনীদের বিপক্ষে। (আল্লাহর ইচ্ছায়) ইসরাইলকে থামাতে পারে একমাত্র পাশের আরব রাস্ট্রগুলো। না, পাশের আরব রাস্ট্রগুলোর যুদ্ধ করা লাগবে না, এমনকি ইসরাইলের সাথে কথাও বলতে হবে না। আরব রাস্ট্রগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব কস্ট করে শুধু আমেরিকাকে বলবে “বড় ভাই, তোমদের সামরিক ঘাটি আর আমাদের দেশে বানাতে দিতে পারব না। যা আছে তা নিয়ে অন্য কোথাও যাও”। এর পরের দিনই ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধ করে দিবে । ইসরাইল যুদ্ধ করে আমেরিকার ভরসায়। আর আমেরিকা হাজার মাইল পারি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এসে যুদ্ধ করতে পারে কারন সৌদী আরব সামরিক ঘাটি বানাতে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্থিনীদের মুক্তির কোন উপায় আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

মহত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন এর মতন একটি আন্দোলন অবশ্য বাকি আছে। সেটাই হল ইহুদী পন্য বর্জন। বিশ্বের জনসংখার ২০% মুসলমান। মুসলমানেরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইহুদী পন্য বর্জন করে তাহলে তাদের ব্যাবসার উপরে প্রভাব পড়বে। কাদের ব্যাবসায়? আমেরিকার ব্যাবসায়। তখন বড় ভাই (আমেরিকা) ছোট ভাইকে (ইসরাইল) যুদ্ধ থামাতে বলবে। এটা তখনই সম্ভব যখন সব মুসলমানেরা ঐক্যবদ্ধভাবে ইহুদী পন্য বর্জন করবে। এই একতা কি মুসলমানদের মাঝে আছে? সেটা থাকলে তো ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করারই সাহস পেত না।

এই পন্য বর্জন নিয়েও শুরু হয়েছে বিভিন্ন মতবাদ। কেউ একেবারে ৫০-৬০ টি পন্যের তালিকা দিয়ে বলছেন এগুলো ইসরাইলি পন্য। কেউ আবার কোন কোম্পানীর কত পার্সেন্ট শেয়ার ইসরাইলের/ইহুদীদের সেটা বলছেন। অনেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে তারা আবার 927 থিওরী দেখাচ্ছেন।। কোন পন্যের বার কোড ৯২৭ দিয়ে শুরু হলে সেটা ইসরাইলি পন্য। এসব বিষয়ের কিছু অসামঞ্জস্যতার কথাও কেউ কেউ বলছে। যেমন ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের তো কোন সম্পর্ক নেই, তাহলে ইসরাইলি পন্য বাংলাদেশে আসল কিভাবে। তারা আবার জনরোষে পড়ে গালিও শুনছে। আসুন বিষয়টি পরিস্কার করে নেই।

ইসরাইলি পন্য কোনটি?

ইসরাইলি পন্য বলতে, ইসরাইল দেশে উতপন্ন বা বাজারজাত করা পন্য। এমন পন্য ব্যাবহার করা তো দুরের কথা নামও শোনেন নি। আমার কথা না বিশ্বাস হলে ইসরাইলি কোম্পানীর এই তালিকাটি দেখুন। নিজেই বুঝতে পারবেন।-- ইসরাইলি কোম্পানীর তালিকা

ইহুদী পন্য কোনটি?

হ্যা, এইবার এসেছেন আসল জায়গায়। ইহুদী পন্য ব্যাবহারে আমরা এমনভাবে অভস্থ্য হয়ে গেছি যে সেটা আমরা ১০০% বাদ দিতে পারব না। ৫০টির বেশী পন্যের লিস্ট তো আশা করি সবাই দেখেছেন। সারা দুনিয়ার বেশীর ভাগ বড় ব্রান্ডই ইহুদীদের। যথাসাধ্য ইহুদী পন্য বর্জন করে আপনি ইহুদীদের উপরে কিছুটা চাপ দিতে পারেন। কিন্তু ইহুদী পন্য ১০০% বন্ধ করলে আপনি এই যুগে চলতেই পারবেন না। ইহুদী পন্য বর্জনের লিস্টে নেই এমন কয়েকটি জিনিসের নাম বলছি ।

- ব্যাঙ্ক, বীমা, ক্রেডিট কার্ড (ইহুদী আবিস্কার)

- বিশ্বের বড় কয়েকটি ব্যাঙ্ক (স্টান্ডার্ড চার্টার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, সিটি ব্যাঙ্ক, হংকং ব্যাঙ্ক) উহুদীদের ।

- ক্রেডিট কার্ডের কোম্পানী (ভিসা ও মাস্টার্ড কার্ড) ইহিদীদের।

- আপনার কম্পিউটারে উইন্ডজ ইহুদীদের বানানো

- আপনার মোবাইলে এন্ড্রয়েড ইহুদীদের বানানো

- যে সফটওয়ার ব্যাবহার করে ওয়েব সাইট বানানো হয় (HTML, PHP) উহুদীদের বানানো

- যেখানে (সার্ভার) ওয়েব সাইট রাখা হয় সেটাও বেশীর ভাগ ইহুদীদের বানানো। বিডি টুডে এর ওয়েবসাইট রাখা আছে আমেরিকার এর কোম্পানির সার্ভারে। যেটা উহুদীদের কোম্পানী।

- Facebook, Google, Yahoo, MSN সবই ইহুদীদের বানানো

দয়া করে ভুল বুঝবেন না। এই ব্লগে কয়েকদিন আগেই আমার একটি লেখা আছে ইহুদীদের বিপক্ষে। ( ইহুদী বুদ্ধি আর এর পেছনের ফন্দি ) আমি নিজে ইহুদীদের দুচোখে দেখতে পারি না। কিন্তু দুনিয়াটাকে ওরা এমন বানিয়ে ফেলেছে যে ওদের পন্য ছাড়া আপনি চলতে পারবেন না। কাজেই একটা লিস্ট দেখে মনে করবেন না যে ইহুদী পন্য ওখানেই শেষ। ওগুলো বর্জন করতে পারলেও আপনি আরো অনেক ইহুদী পন্য নিয়মিত ব্যাবহার করে চলছেন।

এমন পন্য বর্জনে কি কোন কাজ হয়?

হ্যা, কাজ হয়। তবে এর জন্য সবাই মিলে একসাথে পন্য বর্জন করতে হবে। লিস্টের ৫০ টি কোম্পানি লাগবে না। বেছে বেছে ১৫-২০ টি কোম্পানীর পন্য বর্জন করে তাদের ব্যাবসা লাটে উঠিয়ে দিতে পারলেই সুর সুর করে কাজ হয়ে যাবে। আমি এর উদাহরন দেখেছি। ৫-৬ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে, একটি বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, কিছু স্থানীয় অস্ট্রেলীয়ান ছেলেরা ভারতীয় কিছু ছাত্রকে মারধোর করে হাসপাতালে পাঠায়। এটা নিয়ে বিভিন্ন লেখালেখি ও নিন্দা জানানোর পরেও থামে থাকেনি ভারতীয়রা। ওই বছরে সহানুভতি স্বরুপ সবচেয়ে বেশী সংখক ছাত্রকে অস্ট্রেলীয়ার ভিসা দেওয়া হয়। ভিসা পেয়েও ৬০ হাজার ছাত্র অস্ট্রেলীয়াতে যায়নি। ভারতীয়দের একতা ও দেশপ্রেম এতটাই বেশী। অস্ট্রেলীয়ার সরকারের একটা বড় আয়ের উতস হল বিদেশী ছাত্ররা। আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে, বাধ্য হয়ে অস্ট্রেলীয়ার পররাস্ট্র মন্ত্রী ভারতে গিয়ে বিভিন্ন সেমিনার করে এক প্রকার ক্ষমা চেয়ে এসেছে। তেমন একতা ও তেমন স্বজনপ্রিতি থাকলে সবই সম্ভব। আমরা যদি সবাই মিলে (বিভিন্ন দেশের মুসলমান) একসাথে কিছু ইহুদী পন্য বর্জন করে ইহুদীদের আর্থিক ক্ষতি করতে পারি তখন ওরা নিজেদের তাড়না থেকেই ইসরাইলের যুদ্ধ সমর্থন করা বন্ধ করে দিবে। এর জন্য দরকার একতা।

ইসরাইল একটি ইহুদী রাস্ট্র। কিন্তু এর বাইরেও লক্ষ লক্ষ ইহুদী রয়েছে। ইসরাইল যুদ্ধ করছে সারা বিশ্বের ইহুদীদের ও ইহুদীদের বন্ধুদের সমর্থনে। ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় হল ইসরাইলের শক্তির উতস আমেরিকার সাথে আরব দেশগুলোর সম্প্রীতি বন্ধ করা। সেটা তো আর সম্ভব হচ্ছে ন। কাজেই আরেকটি পদ্ধতি হল কিছু উহুদী পন্য বর্জন করা। তাহলে ইহুদীদের অর্থনীতি, তথা আমেরিকার অর্থনীতি একটা চাপের মধ্যে পড়বে। যার ফলে তারা বাধ্য হয়ে ইসরাইলকে যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ দিবে। ইসরাইলী কোন পন্য আমাদের হাতে আসে না, আমিরা চিনিও না । আমরা যেসব পন্য চিনি তা হল বিভিন্ন দেশীয় (মুলত আমেরিকার) ইহুদী পন্য, ইসরাইলি পন্য নয়। ইসরাইলি পন্য আপনি ব্যাবহারই করেন না, বর্জন করবেন কিভাবে? সারা বিশ্বের সব ইহুদীরাই ইসরাইলের শক্তির উতস। ইহুদীদের পন্য বর্জন করতে পারলে ইসরাইলকে কাবু করা সম্ভব। আবারো বলছি, এর জন্য দরকার – একতা

এস এম এলিট - www.eliteweb.tk

-

বিষয়: বিবিধ

৪৯৫৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

249772
০১ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:১০
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব
249773
০১ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:১১
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো আপনার লিখাটি।
249777
০১ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:১৯
আবদুল আলিম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ Rose
249781
০১ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৩৮
বুড়া মিয়া লিখেছেন : লিখেছেন ভালো, আবেগও ভালো, প্রত্যেক মুসলমানের আবেগও এমন-ই হওয়ার কথা।

তারা এমন-ই ইউনিক প্রোডাক্ট বানায় এবং সেগুলোর মার্কেটে এতো ডিমান্ড হয়ে যায়, যাতে করে তাদের সমস্ত ভোগ্যপণ্যও যদি আমরা ব্যবহার বাদ দেই কিছুই হবে না তাদের! তারা তাদের ঐসব ইউনিক প্রোডাক্ট এর প্রাইসিং আর ওয়ার্ল্ড এর মানিটারী পলিসি এমনভাবেই করবে যে, সেটা দিয়েই ডমিনেট করবে, কিছুই করার নাই! আর অনেক আগে থেকেই তারা এভাবেও করে আসছে ...

আপনি এই দেশে আমেরিকার পণ্য বন্ধ করলে তো এদেশের মানুষের আমেরিকার রিলিফ খেয়ে বাচতে হবে! এখনও অবশ্য ডাইরেক্টলী-ইন্ডাইরেক্টলী অন্তত ২০-২৫% কর্মক্ষম মানুষ সেরকমভাবেই তাদেরটা খেয়ে-ই বেচে আছে! আমরা তো তাদের সব প্রোডাক্ট ব্যবহার নিয়ে মাততেছি! – ওরা যদি খালি বাংলাদেশের রেডীমেড গার্মেন্টস (অন্য সব বাদ-ই দিলাম) কেনা বন্ধ করে কি হবে বোঝা যায়?– ওদের রিলিফ খাইয়া-ই তখন বাচতে হবে!

তাই অতি আবেগ বাদ দিয়ে সকলের-ই সামগ্রীক চিন্তা করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
249850
০১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:৫৪
হতভাগা লিখেছেন : ভোগ বিলাস প্রিয় মুসলমানরা কখনও নিজে থেকে কিছু আবিষ্কার করতে চায় নি । যার ফলে এরা একেবারে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ।

জীবনের প্রতিটা স্তরে আমরা যেভাবে ইহুদীদের পন্যে অভ্যস্ত হয়ে গেছি তা থেকে হুট করে বের হয়ে আসা কঠিনই হবে । সেটা করতে হবে আস্তে আস্তে এবং সেগুলোর বেটার রিপ্লেসমেন্ট নিজেরা বানিয়ে ।

আবেগের বসে কিছু করে ফেললে পরে আরও বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়বো।
249856
০১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:৪১
বাজলবী লিখেছেন : ভালো লিখেছেন কৌশল অবলম্বন করে বর্জন করে অর্জনে সক্ষম হতে হবে।
249874
০১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
249938
০১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
ভিশু লিখেছেন : বেশ আবেগমুক্ত বাস্তব বক্তব্য!
249949
০১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৫৭
আনোয়ার আলী লিখেছেন : ইসরাইলের সহযোগী মার্কিণী, সৌদি আর মিশরের পণ্যও বর্জন করা দরকার।
১০
263497
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৩৫
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : সাফল্য অর্জনের সংক্ষিপ্ত কোন পথ নেই!!
কোন দেশের অর্থনীতির প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে হলে তাদের যে ‘পণ্য রয়েছে, তার বিকল্প পণ্য তৈরী করাটা জরুরী । এর জন্য যে মেধা দরকার তা বাংলাদেশীদেরও রয়েছে, অন্য দেশের মুসলিমদের না হয় নাই ধরলাম। কিন্তু তার জন্য যে অধ্যবসায় আর ধৈর্য দরকার তা আমাদের নেই!
আমাদের জাতির যে সব ‘গুণ’ রয়েছে তাতে ‘শর্ট কাট’ পথে অর্থ, জাঁকজমক আর প্রভাব অর্জনের চরম প্রতিযোগিতা একটি। তাই ফাঁকি – চুরি বাটপারি- পকেট কাটা – গলা কাটা ছাড়া আমরা আর কোন পথ দেখিনা।
অনেক দরকারী – বস্তুর ‘নকল করেও তার চেয়ে উত্তম বস্তু তৈরী করা যায়। শ্রম আর অধ্যবসায়- ধৈর্য আর প্রচেষ্টা – থাকলে মুসলমানদের হাতে শুধু বাণিজ্যই নয়, অনেক মারনাস্ত্র আর ক্ষেপণাস্ত্র থাকত, তাহলে ইসরাইল বা তাদের মুরুব্বী (রা) সমুদ্র পার হওয়ার চেষ্টাও করত না। নিজের জীবন বা সম্পদ ‘রক্ষা যারা করতে পারে না- তারা ওদের সাথে পাল্লা দেবে কি করে?
এছাড়া ওরা সহজেই আমাদের মধ্যে ‘কারজাই পেয়ে যায়। মুসলিমরা এখন অমুসলিমদের ও অধম – নিমক হারাম, গাদ্দারে ভর্তি মুসলিম দেশ গুলো। কাজেই পারমানবিক বোমা থাকলেও- কাজের সময় ইসরাইল আর আমেরিকার স্বার্থ রক্ষাতেই ওগুলো ব্যবহৃত হবে, মুসলিমদের স্বার্থে নয়!
আমাদের ‘আবেগ তাড়িত – মানসিকতা – সহজ সমাধানের পথ খোঁজে – তবে সমাধান কি এত সহজ!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File