তকদির (ভাগ্য) আগেই নির্ধারিত থাকলে আমার পাপের জন্য আমি কেন দায়ী ?

লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৯ মে, ২০১৪, ০৮:৪১:৩১ সকাল



তকদির বা ভাগ্য বিশ্বাস করা ঈমানের অংশ। আল্লাহ, এই ভাগ্য পুর্বেই নির্ধারিত করে রেখেছেন। আধুনিক যুগে অনেকেই ভাগ্য বিশ্বাস করেন না। তারা মনে করেন, চেস্টা ও অধ্যাবশায় দ্বারা ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। ওদিকে ইসলাম আমাদেরকে তকদির এর উপরে পুর্ন বিশ্বাস রাখতে বলছে। এখন প্রশ্ন থেকে যায়, ভাগ্য যদি পরিবর্তন না করা যায় তাহলে এত খাটা খাটনি করে লাভ কি? এর চেয়ে চুপ করে বসে থাকলেই তো হয়। ভাগ্যে যেটা লেখা আছে সেটাই হবে। এছাড়া আরো জটিল বিষয়ও এখানে এসে যায়। একজন এর ভাগ্যে যদি অবিশ্বাসী (কাফের) হওয়া লেখা থাকে তাহলে তো সে কোনদিন ঈমান আনতে পারবে না। একজনের ভাগ্যে পাপী হওয়া লেখা থাকলে সে তো কখনোই পুন্যবান হতে পারবে না। এভাবে সে তো তার পুন-নির্ধারিত ভাগ্যের জন্য জাহান্নামের পথে চলে যাচ্ছে। তার ভাগ্যে লেখা আছে পাপ করা। তাহলে সে তো এই পুর্ব নির্ধারিত পাপের জন্য দোযখে যাচ্ছে। একদিকে বলা আছে আল্লাহ ভাগ্য নির্ধারন করে রেখেছেনে। অন্যদিকে বলা হচ্ছে মানুষ তার কর্মদোষে দোযখে যাবে। ব্যাপারটা আসলে কি?

এখানে দুটি মুল প্রশ্ন হল

- ভাগ্য আগেই নির্ধারিত থাকলে আমার পাপের জন্য আমি কিভাবে দায়ী? এজন্য শাস্তি হওয়া কতখানি যুক্তিযুক্ত?

- ভাগ্য আগেই নির্ধারিত থাকলে আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়ে কি লাভ?

আমরা মানুষ এক সীমিত জগতে থাকি। আমাদের জ্ঞানও সীমিত। তাই অনেক কিছু বোঝার ক্ষমতা আমাদের নেই। যে কোন প্রশ্ন এর উত্তর আমরা আমাদের সীমিত জগতের জ্ঞানের ভেতরে খোজার চেস্টা করি। যেটার উত্তর আমাদের এই সীমার মধ্যে পাওয়া যায় না সেটা সম্পর্কে একটা ভুল ধারনা পোষন করি। ভাগ্য কিভাবে লেখা হয়, সেটা দিয়ে কিভাবে আমাদের সীমাবদ্ধ করে রাখা হয় ইত্যাদি আমাদের জাগতিক জ্ঞানের সীমার বাইরে। এ কারনেই আমরা এ বিষয়ে ভুল ধারনা পোষন করি।

ভাগ্য কি? এক কথায় ভাগ্য হল নির্ধারিত ভবিশ্যত। হ্যা, এটা নির্ধারিত থাকে। কিন্তু বিষয়টি আমরা একটু ভুল বুঝি। ধরুন আপনি সকাল ১০ টার সময় আপনার কম্পিউটারে এই লেখাটি পড়ছেন। আপনি জানেন না যে দশ মিনিট পরে আপনার ভাগ্যে কি ঘটবে। এমন হতে পারে যে ১০টা বেজে ১০ মিনিটের ভাগ্য এভাবে লেখা আছে -

- আপনি যদি রান্না ঘরে যান তবে একটি কাচের বাটি ভেঙ্গে ফেলবেন

- যদি রাস্তায় চায়ের দোকানে যান তবে অনেক আগে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে হটাত দেখা হয়ে যাবে

- একজন বন্ধুকে ফোন দিলে সে টাকা ধার চাইবে

- যদি জানালা বন্ধ করতে যান তবে হাতে ব্যাথা পাবেন

- যদি ঘর গোছাতে শুরু করেন তবে হারিয়ে যাওয়া গুরুত্বপুর্ন একটি ডকুমেন্ট খুজে পাবেন

- ইত্যাদি

আপনি যেটা করবেন বা বেছে নিবেন, সেটার ফলাফল নির্ধারিত আছে। কিন্তু আপনি কোনটা করবেন সেটা সম্পুর্ন আপনার ইচ্ছা। আল্লাহ এখানে আপনাকে কোন জোর করেন না। আপনি কি করলে কি হবে এটা আল্লাহ নির্ধারন করে রেখেছেন কিন্তু আপনি কি করবেন সেটা আপনার ইচ্ছার উপরে ছেড়ে দিয়েছেন । অতএব ভাগ্য বলতে আমরা যে ভবিশ্যত বুঝে থাকি সেটা অবশ্যই পুর্ব নির্ধারিত। কিন্তু পুর্ব নির্ধারিত অনেক ভবিশ্যতের মধ্যে, একটি আমরা নিজেরাই বেছে নেই। আমরা নিজেরাই যখন বেছে নিচ্ছি তখন এর দোষ, গুন, প্রাপ্তি, ক্ষতি সবই আমাদের। এর দায়বদ্ধতা সম্পুর্ন আমাদের। আপনি কি করবেন সেটা নির্ধারিত নয়। আপনি কি করলে কি হবে সেটা নির্ধারিত। তবে আপনি নিজের ইচ্ছেতেই কোন ভবিশ্যতটা বেছে নেবেন সেটা আগে থেকেই আল্লাহ জানেন।

ভাগ্য আগে নির্ধারিত থাকলেও আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করে ভাগ্য পরিবর্তন করেন। আপনি আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইলেন।আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি সেটা অবশ্যই দিবেন। সেটা যদি আল্লাহ আপনাকে না দেন তবে তার দুটি মুল কারন থাকতে পারে। প্রথম কারন হল - আপনার চাওয়াটা ঠিকমতন হয়নি। চাওয়াটা দায় সারা গোচের হয়েছে। দ্বিতীয় কারন - সেই জিনিসটি আপনার জন্য সুফল নয় বরং দুর্ভোগ বয়ে আনবে। তা না হলে আল্লাহর প্রতি সম্পুর্ন বিশ্বাস স্থাপন করে কোন কিছু চাইলে আল্লাহ সেটা অবশ্যই দিবেন।

হাসরের ময়দানে শেষ বিচারের সময়, দোযখ থেকে বাচতে, অনেকেই আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করবে। এসব মিথ্যা অভিযোগ তো মিথ্যাই। কিন্তু কেউ যদি অভিযোগ করে “হে আল্লাহ, আমি অমুক দিন তোমার কাছে অমুক জিনিস চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে সেটা দাওনি”। এটা কিন্তু সত্য অভিযোগ। সর্ব শক্তিমান আল্লাহর সামনে দাড়িয়ে এমন সত্য অভিযোগ কেউ করতেই পারবে না। কারন কেউ যদি কোন সত্য অভিযোগ করতে পারে তাহলে তো উনার ভুল বা ব্যার্থতা দেখানো হল (নাউজুবিল্লাহ)। তবে তিনি (আল্লাহ) কেমন উপাস্য, কেমন রব, কেমন সর্ব শক্তিমান? কাজেই যারা আল্লাহর কাছে কোন কিছু চেয়ে দুনিয়াতে পায়নি, তারা হাসরের ময়দানে ওই দোয়ার জন্য এত বেশী পুরস্কার পাবে যে তখন সে বলবে “হায়, দুনিয়াতে যদি আমার কোন দোয়াই কবুল না হত তবে আরো কত পুরস্কার পেতাম”। দোয়া - আল্লাহর কাছে বান্দার একটা চাওয়া। এটা কখনো বিফলে যায় না। আল্লাহ কিছু এই দুনিয়াতে দেন কিছু পরকালে দেবার জন্য জমিয়ে রাখেন। কিন্তু তিনি দিবেনই। বান্দা চেয়েছে আর আল্লাহ দেননি বা দিবেন না - এমন কখনো হবে না। বান্দা যত পাপি হোক না কেন আল্লাহ তার দোয়া (চাওয়া) কবুল করেন। এই চাওয়াটা অবশ্যই সরাসরি আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।

ভাগ্য হল আমাদের ভবিশ্যত। আল্লাহ এটা নির্ধারিত করেছেন। কিন্তু নির্ধারিত কোন ভবিশ্যত আমরা বেছে নেব সেটা আমাদের ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে। আল্লাহ এখানে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। কাজেই এই বেছে নেওয়ার দায়বদ্ধতা (লাভ/ক্ষতি) আমার। আমাদের দোয়া (চাওয়া) কবুল করে আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করেন। যদি আমাদের চাওয়া দুনিয়াতে পুরন না হয় তবে সেটা আখিরাতে পুরন হবে। দোয়া কখনো বিফলে যায় না। আসুন আমরা জীবনের ছোট বড় সব চাওয়া বেশী বেশী করে আল্লাহর কাছে চাই। এতে আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান রয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

৫০৪২ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

219342
০৯ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫৩
মাটিরলাঠি লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান।

ভাই লেখাটি দুইবার চলে এসেছে, এডিট করে দিন।
০৯ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫৭
167131
এলিট লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ - হ্যা, এডিট করেছি।
219346
০৯ মে ২০১৪ সকাল ০৯:১৪
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন :
আপনি ”কি করবেন” সেটা নির্ধারিত নয়। আপনি ”কি করলে কি হবে” সেটা নির্ধারিত। খুব সুন্দর বলেছেন। যাজাকাল্লাহু খাইর।


Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
দোয়া - আল্লাহর কাছে বান্দার একটা চাওয়া। এটা কখনো বিফলে যায় না।
তবে দোয়া কবূল হবার কিছু শর্ত আছে। ওগোলোও একসাথে উল্ল্যেখ করে দিলে উপকৃত হতো সবাই। Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
০৯ মে ২০১৪ রাত ১০:৫০
167358
এলিট লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। দোয়া কবুল হবার শর্ত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আর একটি লেখাতে করব ইনশাল্লাহ। আপাতত এইটুকু জেনে রাখা যথেস্ট যে দোয়া করতে হবে পরিপুর্ন ঈমান নিয়ে, সরাসরি আল্লাহর কাছে। কোন মাধ্যম (যেমন পীর) ব্যাবহার করা যাবে না।
219351
০৯ মে ২০১৪ সকাল ১০:০২
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : পডে খুব ভাল লাগলো ,সালাম ও শুভেচছা রইলো Praying
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:০৪
167360
এলিট লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আপনাকে ধন্যবাদ
219353
০৯ মে ২০১৪ সকাল ১০:২৪
হতভাগা লিখেছেন : '' দুনিয়াতে মানুষের উপর যে বিপদ আপতিত হয় তা তার কর্মের ফলেই হয় , আর যা কিছু ভাল তা আল্লাহরই কাছ থেকে আসে ''

'' আল্লাহ কোন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না যতক্ষন না পর্যন্ত তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট হয়
''


- আল-ক্বুরআন
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:০৫
167361
এলিট লিখেছেন : আসলেই তাই। আপনাকে ধন্যবাদ
219355
০৯ মে ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
ভিশু লিখেছেন : প্রার্থনা মঞ্জুর করে নেয়ার মতো মানের পদ্ধতিতে দোয়া করা এবং যথোপযুক্ততা অর্জন করাটাই মুখ্য!
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:০৬
167362
এলিট লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ
219366
০৯ মে ২০১৪ সকাল ১০:৫১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : "আপনি খুদি কর ইতনি বুলান্দ
খুদা তেরে বরাত লিখনে কি আগে পুছে
তেরি রিযা কেয়া হ্যায়"

তকদির নির্ভরশিল চেষ্টার উপর। ইংরেজি প্রবাদে
"ফরচুন ফেভার দ্য ব্রেইভ"
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:১৩
167365
এলিট লিখেছেন : ইংরেজী প্রবাদটা কিছুটা ঠিক থাকলেও ওই উর্দু লাইনটি কিন্তু শিরকী/কুফরী। ওখানে বলা হয়েছে যে - নিজে এত বেশী চেস্টা (সতকর্ম) কর যেন খোদা (আল্লাহ) তোমার ভাগ্য লেখার আগে তোমাকে জিজ্ঞেস করে যে তুমি কি চাও (নাউজুবিল্লাহ)। একজনের প্রার্থনার পরে আল্লাহ তার ভাগ্য লিখলেন আর আল্লাহ একজনের কাছে জিজ্ঞেস করে তার ভাগ্য লিখলেন - এই দুটো এ জিনিস নয়। আল্লাহ ভাগ্য লেখার আগে একজনকে জিজ্ঞেস করবে - এই কথাটা কবিতার ছন্দে বা রূপক অর্থে, কোনভাবেই বলা যাবে না। এটা একটা শিরকী/কুফরী কথা।
219377
০৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:০১
আবু বকর সিদ্দিক লিখেছেন : খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টা উল্লেখ করেছেন। অনেক উপকৃত হলাম। ধন্যবাদ
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:১৪
167367
এলিট লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ
219392
০৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো পিলাচ
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:১৫
167369
এলিট লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ
219398
০৯ মে ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
শিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:১৫
167370
এলিট লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ
১০
219478
০৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
আনোয়ার আলী লিখেছেন : চমৎকার লেখা। যাযাকাল্লাহ। আরজ আলী মাতুব্বর তকদির সম্পর্কে ঠিক এ ধরনের একটা প্রশ্ন করেছেন। আরজ আলী মাতুব্বরের সব প্রশ্নের জবাব দেয়ার একটা উদ্যোগ নিয়েছি। আপনার এ লেখাটা খুব কাজ দেবে। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাব দেয়া খুব জরুরী।
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:১৯
167373
এলিট লিখেছেন : ওসব মাতব্বেরেরা সব বুঝেই ফাইজলামী করে। ঘুরে ফিরে হাতে গোনা কয়েকটি প্রশ্ন করে তারা আমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের উত্তর দেওয়া অবশ্যই দরকার আছে। এর চেয়ে বেশী জরুরী আমাদের ঈমান পোক্ত করা। সমাজে ইসলাম এমনভাবে প্রতিস্টিত করতে হবে যেন যে কোন মুসলমানই ওদের ফালতু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। তাহলেই ওদের প্রশ্ন বন্ধ হবে। নইলে যতই উত্তর দেন না কেন - ওদের প্রশ্ন চলতেই থাকবে।
১১
219540
০৯ মে ২০১৪ রাত ০৮:১৯
শুভ্র আহমেদ লিখেছেন : অনেকেই এই জিনিসটা ভুল বুঝেন। ব্যাপারটা উদাহরনের মাধ্যমে বোঝানো যাক, আমি পরীক্ষা দিচ্ছি। আমার শিক্ষক খাতা দেখলেন, ৯ তারিখে। স্যার আগেই জেনে গেলেন, কারন, তার সেই ক্ষমতা আছে । একই ভাবে আল্লাহ্‌ আমি কি কাজ করলাম এবং সেটার ফলাফল আল্লাহ্‌ জেনে যান, আর এই জানা জিনিসটা ভালো / খারাপ যাই হোক, আল্লাহ্‌ র দোষ না।
০৯ মে ২০১৪ রাত ১১:৩৭
167377
এলিট লিখেছেন : আপনার মুল বুঝ ঠিক আছে। কিন্তু স্যারের খাতা দেখার সাথে আল্লাহর নির্ধারিত ভাগ্য বিষয়টি মিলে না। স্যার, ফলাফল জানেন না। তিনি অনুমান করেন। ফলাফল স্যার নিজে বানান না। এমনও হয় যে স্যার মনে করেছেন ছাত্র ফেল করবে কিন্তু সেই ছাত্র ভালো নম্বর পেল। খাতা দেখার আগে স্যার বলতে পারেন না যে ছাত্র কত নম্বর পাবে।
ওদিকে, আল্লাহ আমার ভাগ্য নির্ধারন করেছেন (ফলাফল বানিয়েছেন)। তিনি ইচ্ছে মতন পরিবর্তন করেন। আমার কোন ভাগ্য আমি বেছে নেব সেটা তিনি আগেই জানেন - অনুমান নয়, নিশ্চিত জানেন ।
উদাহরনটা বরং এভাবে দিতে পারেন - একজন লেখক তার গল্পের চরিত্রের ভাগ্য যেভাবে নির্ধারন করেন সেভাবে আল্লাহ আমাদের ভাগ্য নির্ধারন করে রেখেছেন। পার্থক্য শুধু একটাই। গল্পের চরিত্র প্রানহীন, তাই সে তার নিজের ভবিশ্যত বেছে নিতে পারে না। আমরা পারি। কিভাবে পারি সেটা আমার লেখাতেই বোঝানো আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১২
219824
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৯
egypt12 লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নাস্তিকেরা এসব প্রশ্ন দিয়েই মানুষকে বোকা বানাতে চেষ্টা করে...এভাবেই উত্তর তৈরি করা উচিত Rose
১৩
233213
১০ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : nice explanation.......
১৪
251010
০৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:০৪
শিআনে আলী আলাইহিস সালাম লিখেছেন : আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মাদ ও আলা মোহাম্মাদ
১৫
303303
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:৪৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভবিষ্যতে কি ঘটবে সেটা আল্লাহ পূর্বেই জানেন সেটাই লিখেছেন। আর আমরা আমাদের কর্ম স্বাধীনভাবে বেছে নিয়েছি,ফলে আমাদের জন্যে আমরাই দায়ী। পথ বেছে নেওয়ার জন্যে উপযোগী জ্ঞান,স্বাস্থ্য আল্লাহ দিয়েছেন কিন্তু বেছে নেওয়ার বিষয়টি আমাদের। ফলে আমরা অভিযোগ করতে পারিনা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
245387
এলিট লিখেছেন : আপনার লেখাতে কমেন্ট করেছিলেন যে আপনি আমার লেখাটি পড়বেন। আপনি পড়েছেন এবং এর পরে সুচিন্তিত মতামত দিয়ে কমেন্টও করেছেন। আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৬
308476
১২ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমার মনে হয়, আকীদাগত বিষয় যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করার পূর্বে কুরআন, হাদীস ভাল করে অধ্যয়ন করা উচিৎ। কারণ আপনি একটা অত্যন্ত মারাত্মক কথা লিখেছেন তা হল-
"আপনি কি করবেন সেটা নির্ধারিত নয়"
এটা কি আপনার ব্যক্তিগত মতামত? নাকি কুরআন-হাদিসের কথা? কোথায় পেলেন, জানালে কৃতজ্ঞ হবো। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:১১
249764
এলিট লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস সালাম। এত সুন্দর সালাম দিলে এর উত্তর দিতেই হয়। আপনি খুজে বের করেছেন - "আপনি কি করবেন সেটা নির্ধারিত নয়"। আমার লেখাতে কিন্তু আরো দুটি লাইন আছে
১। ভাগ্য হল নির্ধারিত ভবিশ্যত। হ্যা, এটা নির্ধারিত থাকে। (৩য় প্যারা)
২। ভাগ্য হল আমাদের ভবিশ্যত। আল্লাহ এটা নির্ধারিত করেছেন। (শেষ প্যারা)
হ্যা, আপনার সাথে আমি একমত। কোরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করা উচিত। আমার কথাগুলো ইসলামে আছে কিনা সেটার উত্তর এখানে পাবেন আশা করি - ভাগ্য কি আগেই নির্ধারিত থাকে ? - ইসলাম কি বলে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File