নড়বড়ে খুটির প্রশ্নের উত্তর
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ১৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:০৬:২০ সকাল
সহব্লগার “নোমান২৯” এক ছদ্যবেশী ইসলাম বিরোধীর কিছু প্রশ্নমালা তুলে ধরে সেসব প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন।Click this link যারা এই ব্লগে লেখালেখি করেন তাদের অনেকেই আমার চেয়ে অনেক ভালো জবাব দিতে পারেন।কিন্তু তারা এসব ফালতু প্রশ্নের জবাব দেওয়াটা প্রয়োজন মনে করেন নি। আমিও একমত এসব ফালতু প্রশ্নের জবাব দেবার কি দরকার। পরমুহুর্তে আবার মনে হয়, এমন প্রশ্নের জবাব না দিলে অনেক ইসলাম প্রেমী ভাই আছেন যাদের মনের ভেতরে একটা কাটা গেথে থাকবে। এটা এমন কেন, কিকরে এমন হল ইত্যাদি। এতে তার মুল্যবান ইমান ক্ষতিগ্রস্থ হবার একটা সম্ভাবনা থাকে। এমন ইসলামী ভাইদের পাশে দাড়ানোর জন্যই আমি জবা লেখার চেস্টা করছি। ওমন ছদ্যবেশী ইসলাম বিরোধী কি বলে না বলে এতে আমদের কারো কিছু যায় আসে না। লেখার শেষে প্রশ্নউত্তর আছে। কিন্তু একটু ধৈর্য সহকারে পুরো লেখাটা না পড়লে উত্তর বুঝতে একটু কস্ট হবে। যারা ইসলামের খুটিনাটি বিষয়ে পারদর্শী তারা আমার লেখায় কোন ভুল পেলে অবশ্যই তা ধরিয়ে দিবেন আশা করি।
আমার একটি প্রশ্ন দেখুন।
মেরীর মায়ের চারটি মেয়ে আছে। মেয়েদের নাম ইংরেজী মাসের নামে।এপ্রিল, মে, জুন ও ____। আপনি কি পারবেন চার নম্বর মেয়ের নামটি বলতে?
বন্ধুদের কাছে উপরের এই প্রশ্নেটি করে দেখুন। উত্তরে ৯০% লোকই বলবে, চার নম্বর মেয়েটির নাম “জুলাই”। কিন্তু এটা ভুল উত্তর। চার নম্বর মেয়েটির নাম প্রশ্নেই দেওয়া আছে – মেরী। প্রশ্নে দেওয়া থাকার পরেও বেশীর ভাগ লোকই এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর দিতে পারে না। তার কারন হল ইংরেজী মাসের নাম মানুষের মুখস্ত থাকে। এপ্রিল, মে জুন এর পরে মনের অজান্তেই জুলাই চলে আসে। এটা একটা বিভ্রান্তিমুলক প্রশ্ন সেখানে আপনাকে মেয়েদের নাম বলতে বলা হছে কিন্তু মনের ভেতরে ইংরেজী মাসের নাম ঢুকিয়ে দিয়ে আপনাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
ইসলাম নিয়ে যত রকমের ফাইজলামী প্রশ্ন আছে তার বেশীর ভাগই এরকম।আপনাকে সাধারন জ্ঞানের একটি প্যাচে ফেলে দেওয়া হচ্ছে আর উত্তর খুজতে বলা হচ্ছে ইসলামের জ্ঞানে। এজন্যই আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর সহজে খুজে পাই না। কিন্তু আসলে এসব প্রশের উত্তর আল্লাহর রহমতে আমাদের সবারই জানা আছে।
এবার প্রশ্নে আসি। প্রশ্নগুলি বরাবরের মতন একই যায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এগুলোর উত্তর আলাদা করে দিতে গেলে একই কথা বার বার বলতে হবে। তার চেয়ে ওই একই কথাগুলো একবার বলে, এর পরে সব প্রশ্নের উত্তর এক একে দিয়ে দিচ্ছি।
মানুষকে আল্লাহ তৈরি করেছেন শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। আমারা আল্লাহর বান্দা , গোলাম। আমাদের কাজই হল আল্লাহর ইবাদত করা। আমরা নামাজ রোজা যাই করিনা কেন এতে আল্লাহর কোন লাভ ক্ষতি নেই। এটা আমরা করি নিজেকে আল্লাহর প্রতি নিবেদিত বান্দা হিসাবে প্রমান করার জন্য। আমরা কি করলে আল্লাহর ইবাদত হবে, কি করলে আল্লহ খুশি হবেন, কি করলে তিনি বেজার হবেন এটার শিক্ষা দেবার জন্য জন্যই আল্লাহ, মানুষের ভেতের থেকে রাসুল মনোনয়ন করেছেন। রাসুলের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব আসত যেখানে সুনির্দিস্ট বর্ননা থাকত – কি করতে হবে আর কি করা বন্ধ করতে হবে। একজন রাসুলের কাছে যে নিতিমালা (কিতাব) আসত সেটা কার্যকর থাকত ওই পর্যন্ত যতক্ষন না মানুষ সেটা ভুলে গিয়ে অন্য কোন বানানো নীতিমালা (ধর্ম) পালন শুরু করে এবং আল্লাহ নতুন রাসুলকে নতুন নীতিমালা (কিতাব) না দেন। একজন রাসুল এর কাছে নতুন কিতাব নাজিল হলে আগের রাসুলের কাছে আসা কিতাব বা ধর্ম অকার্জকর হয়ে যায়। নাবীগন রাসুলের থেকে সামান্য একটু আলাদা। ঊনাদের কাছে কোন কিতাব আসত না। উনারা ততকালীন (সমসাময়িক) রাসুলের কিতাব (নীতিমালা) প্রতিস্টার কাজ করতেন।
মুসা (আঃ) এর উপরে যে কিতাব ও ধর্ম নাজিল হয়েছিল সেটা অকার্জকর হয়ে যায় ইসা (আঃ) উপরে নতুন ধর্ম নাজিল হবার পরে। আবার ইসা (আঃ) এর ধর্ম বাতিল হয়ে যায় মহাম্মদ (সাঃ) এর উপরে নতুন ধর্ম নাজিল হবার পরে। এক আল্লাহর কাছ থেকেই এই সব কিতাব ও ধর্ম এসেছে। সবগুলোতেই আল্লাহর ইবাদতের কথা বলা হয়েছে আর দেওয়া হয়েছে নতুন নীতিমালা। সর্বশেষ রাসুল (সাঃ) এর উপরে নাজিল হওয়া ধর্মের অনুসারীকে “মুসলমান” বলা হয়। ইহুদী ও খ্রিস্টান এই দুই ধর্মেরও আল্লাহ প্র্দত্ত রাসুল ও কিতাব ছিল। ওই দুটিও আল্লাহর দেওয়া ধর্ম। কিন্তু তার পরেও এই দুটি গ্রহনযোগ্য নয় দুটি কারনে। এক, তারা আল্লাহর দেওয়া ধর্মটিকে বদলে একেবারে অন্যরকম বানিয়ে ফেলেছে। দুই, রাসুল (সাঃ) এর কাছে নতুন ধর্ম আসার ফলে ওই দুটি ধর্ম এমনিতেই বাতিল হয়ে গেছে।
এসব ধর্ম সবই আল্লাহর দেওয়া। তাহলে এমন করে এক একটি নতুন ধর্ম আল্লাহ কেন দিলেন? প্রথম থেকেই একটি ধর্ম দিলেই তো হোত। আসলে সকল ধর্মে আল্লাহর ইবাদত করতে বলা হয়েছে। এটা সব ধর্মে একই। পার্থক্য আছে বা ছিল নীতিমালায়। বারবার নতুন নীতিমালা দিয়েই আল্লাহ পরীক্ষা করেছেন যে কে আল্লাহর সঠিক বান্দা হিসাবে নিজেকে প্রমান করতে পারে আর কে বাপ দাদার দেওয়া পুরাতন বাতিল ধর্ম আকড়ে ধরে আল্লাহর বিরোধীতা করে। এমন একটি ঘটনা রাসুল(সাঃ) এর আমলেই ঘটেছিল। তখন নামাজ পড়া হোত বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে। নামাজ পড়ারত অবস্থায় আল্লাহর হুকুম আসল কাবা ঘরের দিকে ফিরে নামাজ পরার। যারা আল্লাহর সঠিক বান্দা তারা ঠিকই রাসুল (সা) এর সঙ্গে নামাজ্রত অবস্থায় ঘুরে দাড়িয়েছিল। আর মোনাফেক, যারা অভিনয় করত বা যারা দ্বিধায় ছিল তারা কিন্তু এটা করতে পারেনি।মোট কথা, আল্লাহর নতুন আদেশ আসলেই সেটা মেনে নিতে হবে – আগে যাই প্রচলিত থাকুক না কেন। কোরআন হল আল্লাহর পাঠানো শেষ আদেশ। এটা থাকতে, আগে কি আদেশ ছিল সেটা বাতিল হয়ে যায়।
-------- এবার আসি প্রশ্ন উত্তরে-----------
১। রাসুল (সাঃ) এর ৪০ বছর বয়স হবার পরে কোরআন নাজিল শুরু হয়।তাহলে এর আগে মানুষ (সুরা ছাড়া) নামাজ পড়ত কিভাবে?
- নামাজ একটি ইবাদত মাত্র। এটা কিভাবে করতে হবে সেটা আল্লাহর আদেশে আল্লাহর রাসুল মানুষকে শিখিয়ে দিয়েছেন। মহাম্মদ(সাঃ) এর আগে রাসুল ছিলেন ঈসা(আ)। উনি যেভাবে দেখিয়েছেন সেটাই ছিল কোরআন নাজিলের আগে নামাজের সঠিক পদ্ধতি। মুসা(আঃ) আমলে উনার দেখানো পদ্ধতি ছিল সঠিক পদ্ধতি। সেই পদ্ধতিতে কি পড়তে হতো সেটা জানা আমাদের জন্য সম্ভব নয়। রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে সুরা পড়া শিখিয়েছেন তাই আমরা সুরা পড়ি। অন্যান্য রাসুল্গগন যা শিখিয়েছিলেন তাদের অনুসারিরা তাই পড়ত। রাসুলেরা এই শিক্ষা দিতেন আল্লাহর আদেশে।
২। রমজান মাসের খতম তারাবি পড়তে তো একমাসে পুরা কোরআন পড়তে হয়। কোর আন নাজল হবার আগে মানুষ তারাবি কিভাবে পড়ত।
- আগের প্রশ্নের সাথে এর তেমন পার্থক্য নেই। মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগের রাসুলদের আমলে যদি তারাবি থেকে থাকে তাহলে তারা তাদের নিয়ম অনুযায়ী পড়ত।
৩। ইসলাম কি? রাসুল (সা) ৪০ বছর বয়স হবার আগে আগে কি কি ইসলাম প্রচার করতেন। উনার অনুসারীরা কি কি ইসলাম প্রচার করে যাচ্ছে।
- এটা একটা প্রাইমারী স্কুলের ছাত্রের প্রশ্নের মতন লাগছে।সর্বশেষ রাসুল (সা) এর উপর নাজিল হওয়া ধর্ম হল ইসলাম। ৪০ বছর বয়স হবার আগে উনি কখনই ইসলাম প্রচার করেন নি। তাবে উনি সর্বদাই উন্নত চরিত্রের ছিলেন। ইনার অনুসারীদের (আমরা) কাজ ইসলাম পালন করা, প্রচার করা নয়। এর পরেও কেউ যদি নিজে পালন করার পরে আবার প্রচারও করতে পারে তবে সে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ প্রাপ্ত।
৪। রাসুল (সাঃ) ও উনার সাহাবীদের কবর আছে। কিন্তু আগের নবী রাসুলদের কবর কোথায়?
- এইটা একটা সময় উপযোগী ও এর চেয়ে বেশী দেশ উপযোগী প্রশ্ন। আমাদের দেশ হল পীর আওলীয়াদের দেশ। ধর্মীয় গুরুদের কবর একটি বিশেষ স্থান। কিন্তু এই শিক্ষা আল্লাহর দেওয়া কোন ধর্মে নেই, ছিল না। একজন নবী বা রাসুল আমাদের মতন একজন মানুষ। আল্লাহ তাকে ওই ধর্ম প্রচার, প্রতিস্টার জন্য মনোনীত করেছেন। তিনি মারা গেলে তার মরদেহ, তার কবর ইত্যাদির কোন মুল্য নেই। কবরকে শ্রদ্ধা দেখানো ইসলাম ধর্মে নেই, আগের ধর্মগুলোতেও ছিল না। রাসুল (সাঃ) এর কবর সংরক্ষন করা হয়েছে এই ভয়ে যাতে সেটা কবর পুজারীদের আখড়া না হয়ে যায়। আল্লাহর দেওয়া ধর্মে, নবী রাসুল অত্যান্ত গুরুত্বপর্ন কিন্তু তাদের কবর নয়। আর পীর আওলীয়া ইত্যাদির কবর তো হিসাবের মধ্যেই পড়ে না।
৫। কাবাঘরের মুর্তিগুলি কাদের প্রতিকৃত ছিল ?
- মানবজাতির ইতিহাসে, উপাসনা করার জন্য যে মুর্তি তৈরি হয় তা শুধুমাত্র দুই ধরনের হয়। এক, কল্পিত দেব-দেবীর প্রতিকৃত। দুই, ধর্মীয় গুরুর প্রতিকৃত। কাবা ঘরে যারা মুর্তি রাখত বা পুজা করত তারা এই দুইটার বাইরে আর কিসের প্রতিকৃত বানাবে? যেটাই বানাক না কেন – ফলাফল একই। এটা শিরক।
৬। ঈসা (আ) মুসা (আ) যদি মুসলমান হয়ে থাকেন হতে তাদের অনুসারীরা উহুদী ও খ্রিস্টান কিভাবে হয়?
- এটা বেশ ভালো প্রশ্ন। অতিভক্তি সহকারে অনেকে বলে ফেলে যে ঈসা (আ) ও মূসা(আ) মুসলমান ছিলেন। এটা আসলে ভুল কথা। মুসলমান হল মহাম্মদ (সা) এর উপরে নাজিল হওয়া ধর্মের অনুসারী। উনাদের দুই জনের উপরে আলাদা সময়ে, কয়েক হাজার বছর ব্যাবধানে, আলাদা দুটি ধর্ম নাজিল হয়। হ্যা, ওই দুটি ধর্ম আল্লাহরই দেওয়া। সেই ধর্ম দুটির পরিবর্তিত রূপকে আমরা উহুদী ও খ্রিস্টান বলে চিনি। ঈসা(আ) ও মুসা(আ) মুসলমান ছিলেন না। মুসলমানেরা যেই আল্লাহর ইবাদত করে, সেই আল্লাহ প্রদত্ত ততকালীন ধর্মের প্রতিস্টাকারী ছিলেন তারা।বর্তমান উহুদী ও খ্রিস্টান ওই দুই রাসুলের সঠিক অনুসারী নয়। তারা ওই দুটি ধর্ম পরিবর্তন করে অন্যরকম বানিয়ে ফেলেছে।
৭। ঈসা(আ) ও মুসা(আ) কেউই ইব্রাহীম(আ) এর অনুসারী ছিলেন না। তাহলে তারা কার অনুসারী ছিলেন?
- উনারা নিজেরা তো রাসুল ছিলেন উনাদের কাছে নতুন কিতাব (ধর্ম) নাজিল হয়েছে। দুনিয়ার লোক সবাই তখন তাদের অনুসারী হতে হবে। উনারা অন্যের অনুসারী হবে কোন দুঃখে?
৮। রাসুল (সাঃ) এর পুর্ব পুরুষ কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
- ওই সময় আল্লাহর দেওয়া যে ধর্মের প্রচলন ছিল সেটা হল ঈসা(আ) এর প্রতিস্টিত ধর্ম। কিন্তু ওই ধর্মটি সেই সময়ে ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কাজেই কারো ইচ্ছে থাকলেও সেই ধর্ম পালন করার উপায় ছিল না। এমত অবস্থায় আল্লাহর দেওয়া কোন ধর্মই সেখানে ছিল না। রাসুল(সা) এর পরিবারে যারা মুর্তী পুজারী ছিলেন তাদের নাম সবাই জ়ানে। তারা ছাড়া সবাই একই আল্লাহকে বিশ্বাস করতেন। আল্লাহর কি ইবাদত করতে হবে, কি নীতিমালা পালন করতে হবে সেটা সেই সমাজে কারো জানা ছিল না।
৯। রাসুল (সাঃ) এর বাবা-মা কেউই কলেমা পড়তে সক্ষম হয়নি। উনারা কিভাবে জান্নাতে যাবেন।
- প্রথম কথা হল, রাসুল (সাঃ) এর আগে আল্লাহর নাম কেউ বলেনি বা কেউ জানত না এটা ঠিক নয়। যুগে যুগে লক্ষ নবী এসেছে, মানুষকে আল্লাহর নাম মনে করিয়ে দিতে। তারা শিক্ষা দিয়েছে যে “আল্লাহ একমাত্র মাবুদ (উপাস্য)”। আরবীতে এই কথাটাকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলা হয়। এটাই কলেমা। রাসুল (সাঃ) এর আগে কেউ কলেমা পড়েনি এটা ঠিক নয়।
দ্বিতীয় কথা, আল্লাহ একটি নিরপক্ষ, চুলচেরা বিচারের পরে মানুষকে জান্নাতে/জাহান্নামে পাঠাবেন। এখন শুধুমাত্র রাসুল (সাঃ) এর বাবা-মা হওয়ার কারনেই আল্লাহ যদি উনাদেরকে জান্নাত দান করেন, তবে উনি যে নিরপেক্ষ বিচার করেননি সেটা প্রমানিত হবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ এমন অপবাদের সুযোগ দেন না। রাসুল(সা)এর বাবা-মা তাদের নিজেদের সময়ের কলেমায় বিশ্বাসী ছিলেন, তারা এক আল্লাহর বিশ্বাসী ছিলেন। রাসুল(সাঃ) এর পরিচয় নয়, আল্লাহর রহমতে, নিজেদের পরিচয়েই তারা জান্নাতে যাবেন।
শেষ কথাঃ আগের রাসুলদের ও তাদের কিতাবের আমল অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখন হল রাসুল মুহাম্মদ(সাঃ) ও কোরআনের এর আমল। এই আমলে আল্লাহর সঠিক বান্দা থাকতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই কোরাআন ও হাদিসের অনুসারী হতে হবে
বিষয়: বিবিধ
২৩৯৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমারও চিন্তা-ভাবনা একই-এই ক্ষেত্রে,
কিন্তু তারা এসব ফালতু প্রশ্নের জবাব দেওয়াটা প্রয়োজন মনে করেন নি। আমিও একমত এসব ফালতু প্রশ্নের জবাব দেবার কি দরকার। পরমুহুর্তে আবার মনে হয়, এমন প্রশ্নের জবাব না দিলে অনেক ইসলাম প্রেমী ভাই আছেন যাদের মনের ভেতরে একটা কাটা গেথে থাকবে। এটা এমন কেন, কিকরে এমন হল ইত্যাদি। এতে তার মুল্যবান ইমান ক্ষতিগ্রস্থ হবার একটা সম্ভাবনা থাকে। এমন ইসলামী ভাইদের পাশে দাড়ানোর জন্যই আমি জবা লেখার চেস্টা করছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া । এই বিষয়টা বুঝার জন্য ।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন - ওলামারা আমাদের শিখিয়েছেন আদম আঃ হতে মোহাম্মদ সঃ পয্যন্ত সকল উন্মতই আল্লাহর কাছ হতে আকিদাগত ভাবে একটা ম্যাসেজ ই পেয়েছিল - আর তা হল আল্লাহ ভিন্ন অন্য কাউকে উপাসনা না করা অন্য কারো কাছে কিছু না চাওয়া ইত্যাদি এবং তা অল এ্যালং একই, কোন পরিবর্তন তাতে নেই এবং তার ভিত্তিতেই আমরা সকলেই মুসলিম - যিনি সালাম বা শান্তি বহনকারী বা ধারনকারী।
আল্লাহ নবীদের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে এই পৃথিবীর পরীক্ষা কালীন সময়ে উত্তম রূপে পরিচালনার জন্য দ্বিতীয় যে ম্যসেজ পাঠিয়েছেন - তা হল শরীয়া তথা নিয়ম কানুন। প্রতি রাসুলের সময়ে শরীয়ায় ইম্প্রুভমেন্ট আনা হয়েছে এবং তা কোরানে বলা হয়েছে হয় ইক্যুয়াল কিংব উত্তম শরীয়া বা আইন দেওয়া হয়েছে পরবর্তী জাতিকে পূর্ববর্তী জাতি হতে এবং তা এই জন্য করা হয়েছে যে - মানুষের স্বাভাবিক উন্নয়ন ও পৃথিবীর স্বাভাবিক এ্যাডভান্সমেন্ট এর সাথে ঈমানদার মানুষ যেন কোপ করতে পারে এবং এই শরীয়ার পরিবর্তন হল আল্লাহর কাছ হতে ওনার বান্দার জন্য পুরুষ্কার বা নেয়ামত স্বরূপ।
22:78 (Picktall) And strive for Allah with the endeavor which is His right. He hath chosen you and hath not laid upon you in religion any hardship; the faith of your father Abraham (is yours). He hath named you Muslims of old time and in this (Scripture), that the messenger may be a witness against you, and that ye may be witnesses against mankind. So establish worship, pay the poor due, and hold fast to Allah. He is your Protecting Friend. A blessed Patron and a blessed Helper! -
০ সূরা আলে-ইমরানের ৬৭ ও ৮৫ নং আয়াতগুলো একটু দেখে নিন।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনের বেশ কয়েক জায়গায় ইব্রাহিম (আঃ) এর বংশে নবী পাঠানোর কথা বলেছেন । একমাত্র হযরত মু'হাম্মাদ (সাঃ) ছাড়া বাকী সবাই ইব্রাহীম (আঃ) এর ছোট ছেলে ইসহাক (আঃ) এর বংশ থেকে এসেছেন ।হযরত মু'হাম্মাদ (সাঃ) এসেছেন ইসমাইল (আঃ) এর বংশ হতে ।
(আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন , আল্লাহ সর্বজ্ঞানী)
ইসলাম কথাটি একটি আরবী শব্দ।
SaLaaM- peace, - শান্তি
iSLaM- Submission - আনুগত্য
muSLiM- one who submits - যে অনুগত হয়
আমরা কিন্তু এখন মুসলিম বলতে আনুগত্যকারীকে বুঝি না। মুসলিম বলতে আমরা বুঝি, যে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে এবং কোরআন ও হাদিসের অনুসারী। মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিল হওয়া ধর্মের অনুসারীকে মুসলিম বলে জানি।
আমি যখন বলেছি যে আগের কোন নবী মুসলমান ছিলেন না। এর অর্থ হল অন্য নবীরা মুহাম্মদ (সা) এর এই ইসলাম ধর্ম এর অনুসারী ছিলেন না। আর এটাই স্বাভাবিক কারন, অন্য নবীর আমলে তো মুহম্মদ (সা) এর জন্মই হয়নি।
আবার, কোরআনে একাধিক আয়াতে যখন বলা হয়েছে যে অন্য কোন নবী "মুসলিম" ছিলেন এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে, অন্য নবীরা "আল্লাহর প্রতি অনুগত" ছিলেন - মহাম্মদ (সা) এর ধর্ম ইসলামের অনুসারী "মুসলিম" নয়।
আয়াতগুলির আগের পরের আয়াত অথবা তাফসির পড়ুন - আরো ভালো বুঝতে পারবেন।
আয়াত দুটো সূরা আলে-ইমরান এর
http://www.qurantoday.com/3Al-i-Imran_Bangla.pdf
আর এই আয়াত সূরা আল-মাইদাহ এর
http://www.qurantoday.com/5Ma'idah_Bangla.pdf
আর এটা হল লিংক
http://www.qurantoday.com/bangla.htm
০ তাহলে অন্য নবী/রাসূলদের কি মুসলমান হতে হবে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন