মালয়েশিয়ের নিখোজ বিমানের ট্রাজেডিকে কমেডিতে পরিনত করছে
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ১৭ মার্চ, ২০১৪, ০৮:০০:৩৬ রাত
নব্বই এর দশকে, যখন কম্পিউটার সাধারন মানুষের হাতে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে। সেই সময় টিভিতে, একটা নিম্নমানের বাংলা ছবির অংশ বিশেষ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। ভিলেন নায়কেকে ধরে এনে চেয়ারে বসিয়ে তাকে বেধে ফেলল। এর পরে কম্পিউটার এর থকে কতগুলি তার বের করে নায়কের শরীরে লাগিয়ে দিল। কম্পিউটার এর স্ক্রিন এ দেখা যাচ্ছে “Windows 98” এর লেখাটি ঘুরে ফিরে আসছে আর ওদিকে নায়ক যন্ত্রনায় উহ, আহ, ইত্যাদি শব্দ করে চিতকার করছে। এটা হল, কম্পিউটার এর মাধ্যমে টর্চার। কম্পিউটার এর মাধ্যমে চোখ পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যাবস্থার নাম মানুষ এর কাছে তখন পরিচিত হচ্ছিল। এত কাজ করতে পারে এমন এক যন্ত্রের পক্ষে তো টর্চার করা কোন ব্যাপারই নয়। এভাবেই হয়ত ওই ছবির নির্মাতাদের মাথায় এই আইডিয়া এসেছিল। যাই হোক, কম্পিউটার সম্পর্কে নির্মাতাদের বা দর্শকে অজ্ঞতার জন্যই অমন একটা দৃশ্য তখন হাস্যকর হয়নি। এখন কিন্তু অমন দৃশ্য কেউই বানাবে না। কারন একটাই, কম্পিউটার যে কি, তা মানুষ এখন জ়ানে।
বেশ কয়েক বছর পরের কথা। আমার এক বন্ধুর কম্পিউটার এর দোকান ছিল। একদিন দেখি সে অনেক্ষন চেস্টা করেও নস্ট একটি কম্পিউটার ঠিক করতে পারছে না। পরে খুজে পেল যে ওটার মাদার বোর্ড (মেইন বোর্ড) নস্ট। যথারীতি, নতুন একটি মাদার বোর্ড লাগাতেই সে কম্পিউটার কোন সমস্যা ছাড়াই চলতে থাকল। পরের দিন কাস্টমার আসলে তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে হবে, ভাই আপনার কম্পিউটার এর মাদার বোর্ড নস্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন মাদার বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি। আমাকে অবাক করে দিয়ে বন্ধুটি তখন নস্ট মাদার বোর্ডটির খুব ছোট এক অংশ দিয়াশলাই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ফেলল। আমি জিজ্জেস করলাম এটা কি হল? সে বলল, কাস্টমার এসে আমাকে জিজ্ঞেস করবে যে মাদারবোর্ড কিভাবে নস্ট হয়েছে। আমি যদি তাকে বলি , আমি জানি না। তাহলে সে আমাকে অজ্ঞ ভাববে। তাই এটি পুড়িয়ে দিয়েছি। কাস্টমার এলা তাকে গন্ধ শুকাতে পারব। বলতে পারব, আপনার মাদারবোর্ড পুড়ে গেছে।
বন্ধুটি মোটেই অসত নয়। সে মাদারবোর্ড নস্ট করেনি, কাস্টমার নস্ট অবস্থাতেই এটা তার কাছে মেরামত করতে নিয়ে এসেছে। কিন্তু “নস্ট হওয়ার কারন জানিনা” , এই কথাটা বলা যাবেনা। এতে কাস্টমার সন্তস্ট হতে পারে না। যারা কম্পিউটার এর হার্ডওয়ার এর (মেরামত) কাজ করেন তারা জানেন যে কম্পিউটার এর যন্ত্রাংশ এমনিতেই নস্ট হয়ে যায় এবং এর কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জানা যায় না। কিন্তু কেউ এই কথা মুখে বলবে না যে “নস্ট হওয়ার কারন জানিনা”। এতে নাকি তাদের আজ্ঞতা প্রকাশ পায়। তাই আন্দাজে একটি কারন বলে দিবে। কাস্টমারও খুশি।
ওই সময়ে এটা মেনে নিতে কস্ট হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে এটি আসলে সঠিক। এটা মানুষের একটা সহজাত মানষিকতা। কেউ যদি বলে “কারনটি আমি জানিনা” তখন তাকে সবাই অজ্ঞ ভাবে। আন্দাজে অযৌক্তিক কারন বললেও মানুষ মনে করে যে সে কিছু জ়ানে। আরেকটি সহজাত মানষিকতা আমাদের মাঝে আছে, সেটি হল - একটি কথা কতখানি সঠিক বা যৌক্তিক তা নির্ভর করে কথাটি কত বড় মাপের ব্যাক্তি বলেছে তার উপরে। অযৈক্তিক ও অসম্ভব কথা বলে অনেক বিখ্যাত লোক বাহবা কুড়ায়। ওই একই কথা সাধারন মানুষ বললে সেটা নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করে। এই দুটি মানবীয় গুনাবলী সকল সমাজের মানুষের মধ্যেই আছে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার হারানো বিমানটি নিয়ে এমনই হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির এই স্বর্নযুগে এত বড় একটি বিমান হারিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। কিন্তু তার পরেও সেটি হারিয়ে গেছে। এবার এটি কোথায় গেল, কিভাবে গেল এসব কারন কেউই বলতে পারছে না আবার এটাও বলতে পারছে না যে “আমরা কারনটা জানি না”। তাই বিভিন্ন ব্যাক্তি ও সংস্থা আন্দাজে বিভিন্ন অযৌক্তিক কথা একের পরে এক বলেই যাচ্ছে। প্রথমে বলেছে ভিয়েতনামে কাছে এটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েকটি দেশ মিলে শতাধিক জাহাজ ও বিমান নিয়ে খুজেও কিছুই পায়নি। এর পরে বলেছে ওই প্লেনটি নাকি যোগাযোগ হারিয়ে যাবার পরেও চার পাচ ঘন্টা আকাশে উড়েছে। এটা নাকি আবার বোঝা গেছে ওই বিমান থেকে পাঠানো সয়ংক্রিয় সিগনাল স্যাটালাইটে ধরা পরার কারনে। আবার বলছে বিমানটি দিক পরিবর্তন করে অন্য দিকে যাচ্ছিল, এটা নাকি রাডারে ধরা পরেছে। বিমানটি নাকি পাকিস্তানে ল্যান্ড হয়ে থাকতে পারে। আবার বলছে এই বিমানটি কয়েকশ বিমান বন্দরের যে কোন একটিতে অবতরন করতে পারে। এর মধ্যে বাংলাদেশেরই ৯টি বমান বন্দর রয়েছে। সন্দেহ করছে যে বিমানটি এর চালকেরাই হাইজ্যাক করেছে। এই সন্দেহে চালকদের বাডিতেও পুলিশের হামলা হয়েছে। অনেকে আবার আন্দাজে বলার ক্ষেত্রে আরো পারদর্শী। তারা বলছে যে এতে নাকি ভিনগ্রহবাসীদের হাত রয়েছে। সর্বশেষ হাস্যকর তথ্য দিয়েছেন একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ। বিমানটি নাকি সাইবার হাইজ্যাক হয়েছে। তাও আবার মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে। কারা নাকি হ্যাকিং করে বিমানের নিয়োন্ত্রন নিয়ে নিয়ে ওটাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করে কোথাও অবতরন করেছে। এছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনাশিয়ার ভন্ড দরবেশ বাবারা তো আছেই। তারাও যে যার মত ভন্ডামী তথ্য দিয়ে যাচ্ছে । বিমানটির রহস্য সহসা সমাধান না হলে এও শোনা যাওয়া বিচিত্র নয় যে - বিমানটি সাগরে জরুরী অবতরন করতে বাধ্য হয় এবং এর পরে একজন মাছ ধরার বর্শি দিয়ে বাধিয়ে ওটাকে টেনে ডাঙ্গায় নিয়ে এসেছে। এখন বিমানটি তারই ঘরে একটি পাখীর খাচায় বন্দী রয়েছে।
বিমানবন্দরের টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে যাবার কয়েকদিন পরে সেই বিমান থেকে স্যাটালাইটে সিগনাল পাঠানো, বা সেই বিমান রাডারা ধরা পরা যে কতখানি অযৌক্তিক তা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানী হওয়া লাগে না। এর চেয়ে আরো কম জ্ঞান থাকলেই বোঝা যায় যে বিমান বন্দর ও গাবতলী বাস স্ট্যান্ড এক জিনিস নয়। কোন বিমান বন্দরে বিমানটি অবতরন করলে সেই খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে কয়েক মিনিট লাগবে। আর সাইবার হাইজ্যক এর বিষয়টি হয়েছে ওই বাংলা সিনেমার কম্পিউটার দিয়ে টর্চার করার মতন। সাইবার, হ্যাকিং ইত্যাদি শব্দগুলি আমাদের কাছে পরিচিত হলেও আমরা এর খুটিনাটি জানি না। যার ফলে অমন বিশেষজ্ঞ্ ব্যাক্তিরা আমাদেরকে বিশেষভাবে অজ্ঞ মনে করে যা খুশি তাই বুঝ দিয়ে দেয়। হ্যা, হ্যাকিং করে কোন বিমানের নিরাপত্তা বা যোগাযোগ ব্যাবস্থা নস্ট করা যায়। যদিও এটা এত কঠিন যে তা আসলে থিওরীতে সম্ভব, বাস্তবে নয়। এর পরেও এটা করতে গেলে সেইকমের শক্তিশালী ও বিশেষভাবে নির্মিত যন্ত্রপাতি লাগবে। আপনার টেবিলে রাখা ওই কম্পিউটার দ্বারা সম্ভব নয়। মোবাইল ফোন তো অনেক পরের কথা।
আপনার মোবাইলটি কিন্তু সবসময় মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ারের সাথে কানেকশন দেওয়া থাকে। অনেক সময় কোন দুরের গ্রামে চলে গেলে কানেকশন পাওয়া যায় না। টাওয়ারের সাথে কানেকশন না থাকা মোবাইল দিয়ে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। ফোন করতে, ম্যাসেজ পাঠাতে, ইন্টারনেট ইত্যাদি কিছুই হবে না। বর্নিত ওই সাইবার হ্যাকিং এর ক্ষত্রেও ওই সব হ্যাকাররেরা ওই বিমানের কোন কিছু হ্যাকিং করতে গেলে প্রথম যেটা করতে হবে সেটা হল কানেকশন। সারা বিশ্বের কয়েক শত বিমান বন্দর চেস্টা করে ওই বিমানের সাথে কানেকশন পায় না। কানেকশন পায় একমাত্র হ্যাকার।
ভিডিও চ্যাটিং করতে গেলে দেখবেন যে সেই ভিডিও অনেকটা থেমে থেমে আসে। একই ক্যামেরার ভিডিও আপনি যেমন দেখছেন অপর প্রান্তে আপনার সঙ্গী অত ভালো কোয়ালিটির ভিডিও দেখতে পাচ্ছে না। এর কারন হল, আপনাদের ইন্টারনেট কানেকশনের ডাটা আদান প্রদানের সীমাবদ্ধতা। সকল অসম্ভবকে সম্ভব করে যদি কেউ বিমানের নিয়োন্ত্রন নিতে সমর্থ হয় তবুও সে ডাটা ট্রান্স্রফার এর সীমাবদ্ধতার কারনে সেই বিমানে নিয়োন্ত্রন করতে পারবে না। এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে হলে তার নিজস্ব নেটওয়ার্কিং থাকতে হবে, যেমন আছে নাসা বা পেন্টাগনের। কোন এক কোনায় লুকিয়ে থাকা হ্যাকারের এসব থাকে না। প্রযুক্তির এই স্বর্ন যুগে দুনিয়ার মাটিতে বসেই মঙ্গল গ্রহে গাড়ী চালানো হচ্ছে। তেমনি মাটিতে বসে একটি প্লেন নিয়োন্ত্রন করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত ব্যাবস্থা ওই প্লেনে থাকতে হবে। আর মাটিতে থাকতে হবে যথাযথ ব্যাবস্থা। এছাড়া যোগাযোগের জন্য স্যাটালাইট, সার্ভার ইত্যাদি তো রয়েছেই। সাধারন একটি বিমানকে, সাধারন ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কিং ব্যাবহার করে, সাধারন কম্পিউটার বা মোবাইল দিয়ে তা করা যায় না।
বিমানটি হয়ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর গাফিলতির কারনে হারিয়ে গেছে। কিংবা ওই বিমানের কোন একটি ত্রুটির কারনে যোগাযোগ নস্ট হয়ে গেছে। হয়ত বিমানটি অনেক দুরে কোন জঙ্গলে বা সমুদ্রে ধংশ হয়ে পড়েছে, যেখানে কেউ খোজেনি। যাই ঘটুক না কেন, আমরা আসলে কেউ জ়ানিনা। এটা শুধু একটি বিমান নয়। এর সঙ্গে প্রায় আড়াই শত লোকের জীবন জড়িত। ওদের বেচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যারা এই রহস্য উদঘাটন করার চেস্টা করছে তারা বিভিন্ন আবোল তাবোল বলে এত বড় একটি ট্রাজেডিকে কমিডি বানিয়ে দিচ্ছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল, “আমি জানিনা” এটা বলা মহাপাপ। এছাড়া যৌক্তিকতা যাচাই না করেই মিডিয়া এদের তাল দিয়ে যাচ্ছে। এর উপর ব্যাবসাও হচ্ছে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের বিভিন্ন লেখা ও বই বেরুচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যেই এই ঘটনার উপরে নির্মিত হলিউডের ব্যাহবহুল সিনেমাও বের হবে। এটা আবার মানুষ উপভোগ (!) করবে। মানুষ আসলেই সৃস্টির সেরা জীব।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৪ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ প্রযুক্তি তথা তথ্য প্রযুক্তি কি ১৯৬৯ সালের চেয়ে এগিয়েছে না পিছিয়েছে ? ঐ সময়ের প্রযুক্তি দিয়ে তো চাঁদে গমন করা গেছে । আজ সেটার ৪৫ বছর হয়ে গেছে । যদি তখনকার সময়ের চেয়ে এখন তথ্যপ্রযুক্তি অনেক এগিয়ে যায় তাহলে তো এতদিনে চাঁদে নুন্যতম পক্ষে একটা টেবিল ও ৪ টা চেয়ার বসানো হয়ে যেত ।
নীল আর্মস্ট্রং , এডউইন অলড্রিন আর মাইকেল কলিন্স - এই তিনজনের নাম আমরা যে ক্লাস ফোর/ফাইভে পড়েছি এদের বাদে আর কেউ কি চাঁদে গিয়েছে সেই ১৯৬৯ এর পর থেকে ?
এখন তো দেখি মহাশূন্যে কি না কি কাজ করে ফিরে এসে হেব্বি ভাব নেয় । যারা চাঁদে গিয়েছে বলে দাবী করে তাদের মহাশূন্যে গিয়েই ভাব মারা দেখলে মনে হয় পি.এইচ.ডি পাশ করে এস.এস.সি. পরীক্ষাতে অংশ নিয়ে মহা খুশি !
প্রযুক্তি এগিয়েছে , তবে তা দুনিয়ার ভেতরেই । মানুষকে ধোকা দেবার প্রযুক্তি ভালই এগিয়েছে । যেটার আসলে কোন কো-অরডিনেশন নেই । অনুসন্ধান করতে গেলে গোমর ফাঁস হয়ে যাবে বলেই এসব হিপোক্রেটরা সবসময়ই একটা রহস্য করে বেড়ায় ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দারুন লেখাটির জন্য
মোবাইল ফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রন এর ব্যাপরটা আমার মনে হয় মিডিয়া ভুল ব্যাখ্যা করেছে। প্রকৃতপক্ষে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিমানটির সাথে যোগাযোগ এর সম্ভাবনার একটি তত্ব দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে এখন যে দাবি করা হচ্ছে বিমানটি পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে ল্যান্ড করতে পারে তা কিন্তু বিমানটির সর্বোচ্চ জ্বালানি যতটুক থাকতে পারে তার উপর হিসাব করে যে সীমা নির্ধারন করা হয়েছে তার মধ্যে পরে বাংলাদেশ সহ ভারতের পুর্ব উপকুল এবং পুর্ব দিকে চিন-ভারত সীমান্তু এবং নেপাল ও ভুটান।
তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে বিজ্ঞানের চরম উ্ন্নতির মধ্যেও মানুষ কতটা অসহায় হতেপারে এটি তারই একটি উদাহরন। নিয়তি বা স্রষ্টার ইচ্ছার কাছে মানুষ কিছুই নয়।
আসলেই ব্যাপারটাকে কমেডি বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন