তথাকথিত প্রবাসী ধনী ও দালালের খপ্পর
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ১০ মার্চ, ২০১৪, ০৩:১০:৩৭ রাত
যারা কখনো দেশের সীমানা পার হয়নি তাদের প্রবাস জীবন সম্পর্কে ধারনা খুবই অল্প। একজন অল্পশিক্ষিত বা বেশী শিক্ষিত যাই বলুন না কেন তাদের ধারনা প্রায় একই রকমের। আর এই ধারনাটা জিইয়ে রেখেছে কিন্তু প্রবাসীরাই। অনেক আগে মানুষের এক প্রকারের ধারনা হিল যে বিদেশে বোধ হয় টাকার গাছ আছে আর সেই গাছ ঝাড়া নিয়ে বস্তা ভরে টাকা কুড়িয়ে নিয়ে মানুষ দেশে ফেরে। এখন যুগ অনেক আধুনিক হয়েছে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। দেশের মানুষ এখন যেটা জানে, তা হল, হ্যা বিদেশে অনেক পরিশ্রমের কাজ করতে হয় ঠিকই কিন্তু বিদেশে যারা থাকে তাদের টাকার অভাব নেই। যারা বিদেশে থাকে এবং মাঝে মাঝে দেশে বেড়াতে যায়, তাদের বেহিসাবী খরচ দেখে মানুষের এই ধারনাটা আরো পোক্ত হয়।
এই লেখাতে আমি কাউকে বিদেশে যেতে নিরুতসাহীত করছি না। বিদেশী কোন ভাইকে দোষারোপ করছি না। আমি ভুল প্রচলিত দুটি ভুল ধারনার অবসান ঘটোনার চেস্টা করছি।
১। প্রবাসীদের অনেক টাকা আছে।
২। বিদেশে যেতে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়।
যা লিখেছি অনেকের কাছেই সেটা হয়ত প্রলাপের মতন মনে হতে পারে। কিন্তু বদ্ধমুল ধারনাগুলো কিছুক্ষনের জন্য ভুলে গিয়ে নিজ়েই যুক্তি দিয়ে বিষয়গুলি ইন্তা করে দেখুন – হয়ত আপনার ধারনা পালটেও যেতে পারে।
জামিল, পাচ বছর আগে কোন জেলা শহর থেকে বা কোন গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছে। ঢাকায় একটা বেসরকারী কোম্পানীতে ছোটখাটো চাকুরী করে। হ্যা, ঢাকায় অনেক মানুষ আছে যাদের দুমুঠো খাবার নেই, মাথার উপরে ছাদ নেই। জামিল এর অবস্থা হাজার গুনে ভালো। সে একটি বাসা ভাড়া করে থাকে। চাকুরীটা ছোটখাটো হলেও একটা সন্মানজনক জীবন জাপন করে। ঈদের ছুটিতে নিজের এলাকায় বেড়াতে যায়। বাবা, মা, ভাই, বোনের জন্য উপহার নিয়ে যায়। ইদানিং আবার জামিলের মা জামিলের বিয়ের জন্য চাপাচাপি করছে। জামিল অল্প করে টাকা জমাচ্ছে যেন কয়েক বছরের মধ্যেই বিয়েটা করতে পারে।
জামিল একজন স্বাবলম্বী যুবক। যে বেকার বা নেশাখোরের মতন সমাজের বোঝা নয়। কিন্তু জামিলের এই অবস্থাটাকে আপনি কিছুতেই ধনী বলবেন না। এটাও বলবেন না যে জামিলের টাকার অভাব নেই। এই জামিল যত ছোট চাকরীই করুক সে ঈদে নিজের বাড়ীতে বেড়াতে যাবার সময় কত টাকা নিয়ে যায় বলে আপনার ধারনা? জামিল তো তবু স্বল্পশিক্ষিত ছেলে। একজন কাজের বুয়া যে গ্রামের থেকে শহরে কাজ করতে এসেছে সেও গ্রামে ঈদে বেড়াতে যাবার সময় ২-৩ হাজার টাকা নিয়ে যেতে পারে। জামিলের মতন লোক হয়ত কমপক্ষে ১০- ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যেতে পারে।
এবার আসি প্রবাসী সাহেবদের কাছে। ইউরোপ বা আমেরিকা থেকে যারা ঈদে দেশে বেড়াতে আসে তারাও ওসব দেশের থেকে ৩-৫ হাজার টাকা (ডলার) নিয়ে আসে। এই ৫ হাজার ডলার বাংলাদেশে এসে প্রায় ৪ লাখ টাকা হয়ে যায়। দেশে থাকেন ২০-২৫ দিন। এই ৪ লাখ টাকা ২০ দিনে খরচ করতে হলে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। প্রবাসীদের বেশীর ভাগই ঢাকার বাসিন্দা নন। তাদের বাড়ী বিভিন্ন জেলা শহরে বা মফস্বলে। একটি মফস্বলে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা খরচ করতে থাকলে, লোকজন হা করে তাকিয়ে দেখবে আর মনে মনে বলবে “ওরে বাবা, ওর না জানি কত টাকা”। এই লোকটিকে আপনার ধনী মনে হলেও সে নিউ ইওর্কে থাকা একজন জামিল। জামিলের ঢাকাতে যেমন স্টাটাস, ওই প্রবাসী ভাইটিও নিউ ইয়র্কে তেমন। পার্থক্য দুটি। ১। সে অনেক কিছু ভোগ করতে পারে যা ঢাকার জামিল এর ভাগ্যে জোটে না। ২। তার অল্প টাকা বাংলাদেশে আসলে বেশী টাকা হয়ে যায়।
প্রবাসীরা দেশে যেভাবে বেহিসেবী খরচ করে, বিদেশে তেমন করে না। হ্যা তাদের মাসিক বেতন বাংলাদেশী টাকায় কয়েক লাখ টাকা। কিন্তু তার থাকা খাওয়ার খরচও লাখ টাকার উপরে। মাসে এক লক্ষ টাকার নীচে কোন দুই বেড রুমের বাসা ভাড়া পাওয়া যায় না। এছাড়া দেশে ছুটি কাটিয়ে যাবার পরে খরচের ঘাটতি সামলাতে কয়েক মাস লেগে যায়।
বিদেশ গমনে ইচ্ছুক যারা এই লেখাটি পড়ছেন তাদেরকে যদি একটি সুযোগ দেওয়া যায় যে অমুককে ২ দিনের মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে আসতে হবে তাহলে পছন্দের দেশে যেতে পারবেন। প্রতারনা ভেবে অনেকেই পিছিয়ে যাবেন। কিন্তু ধরুন কোন প্রতারনা নেই। কিন্তু শর্ত হল ২ দিনের (৪৮ ঘন্টা) মধ্যে টাকাটা দিতে হবে। পরে দিলে হবে না। সেক্ষেত্রে আমার বিশ্বাস আপনাদের অধিকাংশই, যেভাবেই হোক না কেন এই টাকাটা ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই যোগাড় করতে পারবেন। এবার আমেরিকা প্রবাসী কাউকে বলুন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা যোগাড় করতে। সে পারবে না। আবারো বলছি, ব্যাতিক্রম কোন উদাহরন নয়। হয়ত সে কোটি টাকা দামের গাড়ীতে চড়ে, লক্ষ টাকা দামের মোবাইল ব্যাবহার করে, ২০ হাজার টাকা দামের জুতা পড়ে। কিন্তু ২০ লক্ষ টাকা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যোগাড় করতে পারবে না। সময় একটু বাড়িয়ে দিলে তখন পারবে। কারন বিদেশে জমানো টাকা তেমন থাকে না। কোন টাকা অলস পড়ে থাকে না। টাকাটা সব সময় ব্যাবহার হয় বা ঘুরতে থাকে। তাছাড়া কারো অসত কোন উপার্জন নেই। বাংলাদেশের মতন জমি বিক্রি করে টাকা পাওয়ারও পদ্ধতি নেই। এ কারনেই টাকাটা যোগাড় করতে একটু দেরী হয়। আপনি কাকে ধনী মনে করছেন?
এবার আসি বিদেশ যাবার খরচ প্রসঙ্গে। বিদেশ গমনে ইচ্ছুক, আপনারা, অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকা যোগাড় করার ক্ষমতা রাখেন। আপনাদের এই ক্ষমতাটাই বিদেশ যাওয়াকে এত ব্যায়বহুল করে তুলেছে। দালালেরা চাইলেই লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের কাছে দিয়ে দেন। কে কার আগে কত টাকা দিবে এর প্রতিযোগীতা চলে। একেবারে রেট করে দেওয়া আছে – অমুক দেশে ১০ লক্ষ টাকা, তমুক দেশ ১৫ লক্ষ। কারো কোন ধারনাই নেই যে, বিদেশে আয় করে এই ১৫ লক্ষ টাকা জমাতে কতদিন লাগবে। বিদেশে যাওয়াটা সত্যই এত ব্যয় বহুল নয়। আসলে সবকিছু যদি নিয়ম মাফিক হোত তাহলে কোন দেশে যেতে আড়াই লক্ষ টাকার বেশী লাগতই না। আমরা নিজেরাই ঠেলেঠেলি করে এই নিয়ম উলটো পালটা করে ফেলেছি। সোজা কথা, আমরা টাকা দিতে দিতে বিদেশ যাবার খরচ বাড়িয়ে দিয়েছি।
কোন দেশে যাবার জন্য শত রকমের ভিসা আসে। কিন্তু সাধারনত কয়েকটি ভিসাতেই মানুষ সবচেয়ে বেশী বিদেশে যায়।
১। ছাত্র ২। কর্মী ৩। ভ্রমনকারী
ছাত্রঃ এরা সবচেয়ে কম দালালের ক্ষপ্পরে পড়ে। এটা সবচেয়ে সহজ ভিসা। এর বেশির ভাগ খরচ কলেজ ইউনিভার্সিটির বেতনেই চলে যায়। এছাড়া খরচ একেবারেই কম। আসলে এই ভিসা যারা নেয় তারা নিজেরাই অনেক ভালো বোঝে ও সচেতন। সাহাজ্যের জন্য বিভিন্য এজেন্টের পরামর্শ নেয়। এসব এজ়েন্টের ফী ১০-২০ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যায়। এই ধরনের ভিসায় প্রতারনা হয় না বললেই চলে।
কর্মীঃ এর জন্য, বিদেশের কোন প্রতিস্টান থেকে চাকুরীর অফার পেতে হয়। অনেক সময় ওই দালালের পরিচিত বিদেশী কোন প্রতিস্টান থেকে এই কাজের অফার আসে। এখানে প্রতারনার সুযোগ প্রচুর। ৪ জনের চাকুরীর অফার দেখিয়ে ৪০ জনের কাছ থেকে টাক নেওয়াটা বিচিত্র নয়। প্রচুর তথ্য ও সচেতনতা দরকার এসব থেকে রেহাই পেতে হলে।
ভ্রমনকারীঃ আমরা এটাকে টুরিস্ট ভিসা বলে চিনি। এটা সবচেয়ে বড় প্রতারনার ফাদ। ১৫ দিনের টুরিস্ট ভিসায় অমুক দেশে পাঠিয়ে দিবে। এর পরে সেই দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকতে হবে। এজন্য দালালকে দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকা। এমনকি এমনও দেখা গেছে যে বিভিন্ন দেশ হয়ে স্থল পথ, নৌপথ ইত্যাদী পাড়ি দিয়ে তারপরে গন্তব্যের অর্ধেকে গিয়ে বসে আছে। অনেকে জেলে গিয়েছে, আছে। অনেক মারাও গিয়েছে।
বিদেশে যাওয়া যাবে এই কথা শুনেই দালালকে টাকা না দিয়ে নিজ়ে খোজ খবর নিন। আর কোন দালাল যদি ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাবার কথা বলে, যেমন প্রথমে ওই দেশ, এর পরে সেই দেশ – তবে সে ফাদে কখনো পা দিবেন না। টাকার সঙ্গে প্রান হারানোরও সম্ভাবনা রয়েছে। হয়ত অনেকেই এভাবে সফল হয়েছে। আপনার ভাগ্য অত ভাল নাও হতে পারে।
বিদেশ গমনে ইচ্ছুক যারা আছেন তাদের একটা বড় অংশই রাজী হবেন ১০ লক্ষ টাকা দালালকে দিয়ে ১৫ দিনের ভিসায় কোন উন্নত দেশে যেতে। এর পরে সেই দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকবেন বা কোন একটা চাকরীর চেস্টা করবেন ইত্যাদী। অনেকে এমনও বলেন “আরে আটার বস্তার মতন শুধু ওই দেশে ফেলে দিতে পারলেই চলবে” এজন্য তিনি ১০ লক্ষ টাকা দিতেও রাজী। তথ্য ও সচেতনতার অভাবেই আমরা দালালকে টাকা দেই। অথচ এই কাজটি কিন্তু আপনি নিজেই করতে পারেন।
ধরুন আপনি বাংলাদেশের সীমানা কখনো পার হননি। প্রথমে পাসপোর্ট করুন। এর পরে ভারতে ও নেপালে গিয়ে ঘুরে আসুন। আমাদের অনেক টাকা খরচ হয় তার কারন হল আমরা সাধারনত একটা গ্রুপের সাথে যাই, বা চিকিতসা বা শপিং এওর জন্য যাই। কেউ আবার যায় ফুর্তি করতে। এসব ক্ষেত্রে খরচ বেশী হয়। কিন্তু শুধু ঘুরতে গেলে খরচ কম। ভারতে দেখবেন অনেক সাদা চামড়ার বিদেশী যারা আসলেই টুরিস্ট তারা ঘাড়ে একটা ব্যাগ নিয়ে হেটে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়ায়। আপনিও তেমন টুরিস্ট হবেন। নিরাপদ কিন্তু সস্তা এমন হোটেলে থাকবেন। ট্যাক্সিতে না চড়ে বাসে ঘুড়বেন। শপিং কম করবেন। অল্প কয়েকদিন থাকবেন। দেখবেন অল্প টাকায় ঘুরে আসতে পারছেন। এর ২ মাস পরে বার্মায় ৩ দিনের জন্য যান। একই পদ্ধতি চালান। আপনার ইতিমধ্যে ৩ দেশ ঘোরার অভিজ্ঞতা হয়ে গেল। এর পরে আপনি বুঝে যাবেন কিভাবে সস্তায় ভ্রমন করা যায়। এর পরে থাইল্যান্ড এ যান, এর পরে মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং। ইতিমধ্যে আপনি ৭টি দেশে ঘুরে আসা প্রতিস্টিত টুরিস্ট। এর পরে আর কোথায় যাবেন? এর পরে বাকী থাকে মধ্যপ্রাচ্য। মধ্যপ্রাচ্যে ঘুরে আসলে পুরো এশিয়া শেষ করলেন। এতে আপনার কত টাক খরচ হল? সস্তায় ভ্রমন ঠিকভাবে করতে পারলে আপনার সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে। সময় লাগবে ১ বছর। এই কয়টি দেশে আপনার মোট অবস্থান মাত্র এক মাস। এখন কিন্তু আপনি এশিয়া ভ্রমন করে শেষ করা একজন প্রতিস্টিত টুরিস্ট। এবার আপনি ইউরোপ –আমেরিকা ছাড়া আর কোথায় ভ্রমন করবেন? ইউরোপে কোন একটি দুর্বল দেশে (যেমন পোল্যান্ড) আবেদন করুন। আপনাকে ভিসা না দেবার কোন কারনই নেই। পোল্যান্ড এর দেখা দেখিতে অন্যান্য দেশো আপনাকে ভিসা দিতে উতসাহী হবে। এভাবে হয়ত ইউরোপের কোন দেশে গেলেন। পছন্দ হলে থেকে যান, না পছন্দ হলে ভিসা শেষ হবার আগেই চলে আসুন। খরচ দেড় লক্ষ টাকা। এর পরে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যন্ড ইত্যাদি দেশের যে কোন একটি দেশ আপনাকে অবশ্যই ভিসা দিবে। কারন আপনি ইউরোপ ঘুরে আসা টুরিস্ট। এই পদ্ধতিতে আপনার সর্বমোট খরচ ৫ লক্ষ টাকা। সব টাকা আপনি নিজেই খরচ করেছেন। টাকা মাইর যাবার কোন কায়দা নেই। সবশেষে কিছু না হলেও সান্তনা এই যে আপনি প্রায় ১০টি দেশে ভ্রমন করে এসেছেন।
আসলে বেশীর ভাগ লোকই এই পদ্ধতি করতে গেলে মাঝখানেই থেমে যাবে। হয়ত মালয়েশিয়া, দুবাই, ইউরোপ ইত্যাদি কোথাও থেকে যাবে। আর এমন অবস্থা হলে আপনার খরচ তো আরো কম। আমরা কেউই এটা করতে রাজী না। সাহসও পাই না। এর চেয়ে ভালো আমরা জুয়া খেলার মতন দালালকে ১০ লক্ষ টাকা দিব। কাজ হলে তো ভাল না হলেও কিছু করার নেই। আর এভাবেই দালালেরা আমাদের প্রতারিত করে।
বিষয়: বিবিধ
৩২১১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার সৃষ্ট জামিল টাইপের ব্যাকগ্রাউন্ড এর কোন স্মার্ট ছেলে হলে - সে এ নিয়ে বিজনেস করতে পারে এবং বেশ ভাল আয় রোজগার ও করতে পারে এবং সে সাথে মফস্বলবাসীর উপকার ও করতে পারে।
আপনার এ লিখা সৎ কোন এনজিও তাদের সচেতনতামূলক প্রোগ্রামের আওতায় আনতে চাইলে আনতে পারে - এবং স্মার্টলী কাজ করলে প্রবাসী মন্ত্রনালয় হতে অনুদান ও পেতে পারে।
ধন্যবাদ, ভাল লাগলো পড়ে।
খুবই সুন্দর একটি লেখা। পোস্টটি স্টিকি হওয়া উচিত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
উনারা তো বিদেশ থেকে আসার সময় ৩-৫ হাজার ডলার নিয়ে আসেন । ফলে সেটা বাংলাদেশে ৮০ দিয়ে গুন হয়ে যায় ।
২০-২৫ দিন থাকলে দিন প্রতি ২০,০০০ টাকা খরচ করা তেমন কোন ব্যাপারই না ।
প্রবাসী আত্মীয়দের কাছ থেকে দেশের লোকেরা সাধারণত সে দেশ থেকে আনা চকলেট , ক্যান্ডি পায় । এটা তারা দেশে তাদের আত্মীয়দের ছোট ছোট পোলাপানদের দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেন । যেই তাদের দর্শন দিতে আসে তাকে প্যাকেট প্যাকেট বিদেশী চকলেট দিয়ে বাজী মাত করেন ।
যদি এমন হত যে, দেশের লোকজন তাদের আগে থেকেই বলে দেয় যে এখন থেকে আর চকলেট-মিমি আনবে না , জামা - কাপড় - গহনা কসমেটিক্স আনবে - তাহলে কেমন হত?
প্রবাসিদের আয়কে অনেক সময়ই তাদের পরিবার নষ্ট করে ফেলে আর পরিবার ও পারিপ্বার্শিকতার চাপে তারাও অপচয়ি হয়ে যান।
কর্মী বা টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদির জন্য যেমন দালালকে লাখ লাখ টাকা দিতে হয়, স্টুডেন্ট ভিসায় তেমন নয়। স্টুডেন্ট ভিসার দালালের (এজ়েন্ট) খরচ মাত্র ১০-২০ হাজার টাকা। তবে কলেজ ইউনিভার্সিটির বেতনে লাখ লাখ টাকা লাগে। শুধু কানাডা নয় সারা বিশ্বেই লেখা পড়া খুব ব্যায়বহুল। যারা স্টুডেন্ট তারা সচেতন এবং অনেক কিছু জানেন। আমার লেখাতে আমি মুলত বিদেশ যাওয়ার লোভে দালালের খপ্পরে পড়তে নিরুতসাহিত করেছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন