আমরা ইসলাম থেকে আর কত পথভ্রস্ট হব?
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:১৬:৫৬ সকাল
মানচিত্র শেখার জন্য শিশুদের একধরনের খেলা রয়েছে। আপনারা দেখেছেন কিনা জানিনা। টেবিলে বিশ্ব মানচিত্র রেখে একজন খেলোয়াড় অপরকে একটি স্থানের নাম খুজতে দেয়। এভাবে পালাক্রমে চলতে থাকে। কেউ হয়ত খুজতে বলল “শরিয়াতপুর”। বিশ্বের মানচিত্রে এত দেশের মধ্যে এমন একটা স্থান খুজে বের করতে অপর খেলোয়াড়কে ঘেমে যেতে হয়। কিন্তু “ঢাকা” “দিল্লি” “লন্ডন” ইত্যাদি খুজতে দিলে কিন্তু সহজে খুজে বের করা যায়। যেসব শিশুরা পাকা খেলোয়াড় তারা অন্য এক কায়দা করে। তারা প্রতিপক্ষকে হটাত করে বড় একটি যায়গা খুজতে দেয়। যেমন খুজতে বলা হল “এশিয়া”। যে খুজছে সে তো মানচিত্রের কাছে চোখ লাগিয়ে অলি গলি খুজে অস্থির। এত বড় করে লেখা “এ শি য়া” তার চোখেই পড়ছে না। “এশিয়া” লেখাটি পড়তে হলে মানচিত্র কিছুটা দূর থেকে দেখতে হবে। মোট কথা পুরো মানচিত্র একসাথে দেখতে হবে, খুটিনাটি নয়। আপনি নিজে বিষয়টা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
ইসলামকে আমাদের দেখার কায়দাটা কিছুটা এরকম। আমরা একসাথে পুরো ইসলাম দেখার চেস্টা করিনা। খুটিনাটি নিয়ে আমাদের মাতামাতির শেষ নেই। এ কারনেই আমরা সাধারন মানুষ ইসলামের মানচিত্রে ঢাকা, দিল্লি, লন্ডন ইত্যাদি চিনে, মুফতি ও মওলানারা শরিয়াতপুর, ছাগলনাইয়া ইত্যাদিও চিনে। কিন্তু এশিয়া চিনে এমন লোক খুজে পাওয়া যায়না। কারন একটাই – আমরা পুরো ইসলামকে একসাথে দেখার চেস্টাই করি না।
স্কুল কলেজে পড়ালেখার ক্ষেত্রে আমাদের একটি স্বভাব রয়েছে। সেটা হল, আমরা মুল বই পড়ে দেখি না। ওমুক নোট, তমুক গাইড, অমুক স্যারের দাগানো প্রশ্নসমুহ, তমুক স্যারের স্বযত্নে লেখা নোট ইত্যাদি। এত কিছু থাকতে মুল বই কে পড়বে? ইসলামিক লেখাপড়ার মুল বই হল কোরআন এবং কোরআন এর লেখক আল্লাহ অনুমদিত গাইড বই হল হাদিস। এখানেই তো সব রয়েছে। না আমরা আমাদের স্বভাবসুলভ কায়দায় অমুক মুফতি সাহেবের, তমুক হাজী সাহেবের, নামকরা মওলানা সাহেবের বই পড়ি। অমুক মওলানা তমুক ইসলামিক অর্গানাইজেশনে ৩০ বছর ধরে সেবা করে যাচ্ছেন। তার লেখা বই তো একেবারে বেদবাক্য। ওদিকে সেই লেখাটা কি কোরআনের বিপক্ষে যাচ্ছে কিনা সেটা বোঝার ক্ষমতা আমাদের নেই। কারন আমরা মুল বই কোরআন তো পড়েই দেখি না। যারা এটা বোঝে তারা আবার আরেক মওলানা যিনি হয়ত অন্য কোন বই লিখেছেন। এই দুই মওলানাই একে অন্যের ভুল ধরে ব্যাখ্যা করেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ব্যাখ্যা সাধারন মানুষের বুঝের বাইরে থেকে যায়।
রাসুল (সাঃ) একবার শুকনো গাছের ডাল দিয়ে বালির/মাটির উপরে দাগ দিয়ে সাহাবাদেরকে বুঝিয়েছিলেন। একটা সোজা দাগ – এটা হল সরল সঠিক ইসলামের পথ। এই পথ আমাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। কিন্তু দেখা যাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নতুন ধারনা, মতবাদ, ভুল বুঝ, বিভ্রান্তি ইত্যাদী মানুষকে ডানে বায়ে (বিপথে) নিয়ে যেতে চাইবে। আমারদেরকে সঠিক ইসলামের পথেই থাওতে হবে। বিদায় হজ্জের ভাষনেও রাসুল (সাঃ) বলেছিলেন যে তিনি আমাদেরকে কোরাআন ও হাদিস এই দুটি বই দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা যতদিন এই দুটিকে আকড়ে ধরে থাকব ততদিন আমরা পথভ্রস্ট হব না।
আল্লাহ সকল যুগেই নবী রাসুল পাঠিয়েছেন মানুষকে সঠিক পথে রাখার জন্য। সর্বশেষে পাঠানো আসমানী কিতাব কোরানের প্রথম সুরা ফাতিহা (অর্থ প্রারম্ভিকা/ভুমিকা) এর শেষে রয়েছে “(আল্লাহ) তুমি আমাদেরকে সরল (সঠিক) পথ দেখাও। যে পথে গিয়ে আমাদের পুর্ববর্তীরা তোমার অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয়েছে। সেই পথ নয় যে পথে গিয়ে মানুষ তোমার পথভ্রস্ট হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে”। সহজ কথায় এই সুরা পাঠ করে আমরা আল্লাহর কাছে সঠিক পথে থাকার তওফিক কামনা করছি। এটা হল কোরআনের ভুমিকা। এর থেকে বোঝা যায় যে সঠিক ইসলামের পথে থাকাটা কতটা জরুরী।
আমি নিজে হাজারো ভুল ত্রুটি ও পাপে নিমজ্জিত রয়েছে। আমি নিজেকে সবজান্তা মনে করি না। কোন ব্যাক্তি বা দলকে হেয় করতে চাইনা। কারো অনুভুতিতে আঘাত হানতে চাইনা। তার পরেও “সঠিক পথ” নিয়ে এই লেখাটি লিখছি তার কিছু কারন রয়েছে।
একজন মানুষ ভুল পথে যেতে পারে। এক একজন তার এক এক রকমের ভুল বা পাপের করনে পথভ্রস্ট হতে পারে। কিন্তু যখন দেখা যায় দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় দল (রাজনীতি নয়) রয়েছে। এদের সবারই দাবী যে একমাত্র তারাই সঠিক পথা রয়েছে বাকীরা ভুল। তখন তিনটি সমস্যা তৈরি হয়।
১। ওই দলটি সঠিক পথে থাকলে বাকী দলে থাকা লাখো মুসলমান ভুল পথে আছে
২। ওই দলটি ভুল পথে থাকলে, দলটির লাখো অনুসারী মুসলমান ভুল পথে রয়েছে
৩। কোন দলে নেই এমন একজন নিরপেক্ষ ব্যাক্তি বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। সে কি কোন দলে না থেকে সঠিক পথে আছে? নাকি সঠিক পথে থাকতে গেলে তাএ কোন দলে যোগ দিতে হবে? সে কোন দলে যোগ দিবে?
এই ভ্যাজালের সমাধান করার উদ্দেশ্যে সমুদ্রের মধ্যে এক ফোটা পানি দেওয়াটাই আমার লেখার উদ্দেশ্য। জানি কোন লাভ নেই। শুধু আত্মতৃপ্তি। সঠিক পথ রাসুল (সাঃ) বলে গেছেন। সেটি হল কোরআন ও হাদিসের পথ। এ নিয়ে কোন কথা বলার কিছু নেই। আমি এই লেখাতে লিখেছি আমরা কিভাবে পথভ্রস্ট হয়ে যাচ্ছি।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশী কুসংস্কার আচ্ছন্ন মুসলমান অধ্যুসিত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের কাছে ইসলাম একটা আবেগ ও অনুভুতি। এটা কোন দায়িত্ব বা পালন করার মতন কিছু নয়। সবচেয়ে বেশী নামাজ না পড়া মুসলমান বাংলাদেশেই পাওয়া যায়। বেশীদুরে যেতে হবে না। ভারতেই গনহারে নামাজ পড়া মুসলমান দেখতে পাওয়া যায়। আমরা কোরআন কাপড়ে পেচিয়ে চুমু দিয়ে তুলে রাখি। একবার সেটা পড়েও দেখি না যে ভেতরে কি লেখা আছে। পড়ে বোঝা তো অনেক পরের ব্যাপার। আমাদের সকল বিভ্রান্তির মুল কারন এই একটি – কোরআন না পড়া অথবা না বুঝে পড়া।
একটি বিশেষ দলের ইসলামিক চিন্তাবিদদের কাছে এটাও শোনা যায় যে ইসলামে কি বলা আছে সেটা বোঝার চেস্টা করা ঠিক নয়। কারন আমাদের ভুল হতে পারে। না, মিথ্যা অপবাদ দিব না। তারা কোরআন পড়তে নিষেধ করে না বা নিরুতসাহিত করে না। তারা সাওয়াব হাসিলের জন্য কোরআন আরবীতে পড়তে বলে কিন্তু এতে কি লেখা আছে তার অর্থ কি সেটা না জানলেও বা না বুঝলেও চলবে। কেউ বুঝতে চাইলে চাইলে তাকে নিরুতসাহিত করা হয়। বলা হয়, না বুঝে পালন করে যাও। সাহাবীরা সবাই না বুঝে পালন করেছে। ওই দলের ট্যাগ লাইন - জানার নাম ইসলাম নয়, মানার নাম ইসলাম। তাদের কথামতন কোরআনে কি লেখা আছে তার অর্থ সঠিকভাবে বোঝা সাধারন মানুষের কাজ নয়। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, এদের লেখাই বুঝি না, সর্বশক্তিমান আল্লাহর লেখা বুঝব কিভাবে? ভুল বোঝা রোধ করতে নাকি ইসলামে সাধারন মানুষকে কোরআন পড়ে বুঝতে নিষেধ করা আছে। এর জন্য মুফতি বা ইসলামিক লেখা পড়া জানা লোকের স্মরনাপন্ন হতে হবে।
হাসরের ময়দানে আমাদের বিচার করবেন আল্লাহ নিজে। আমরা সবাই এক একজন আসামী। বলাই বাহুল্যে যে সেটা হবে সর্বোচ্চ ন্যয় বিচার। ওই বিচারের সময় আপনি যদি প্রমান করতে পারেন যে কোরআনে কি লেখা আছে তা বোঝা সাধারন মানুষের কাজ নয় তবে ন্যায় বিচার করতে হলে আপনাকে বিনা বিচারে জান্নাত দান করতে হবে। হাসরের ময়দানে প্রশ্ন এমন হতে পারে -
প্রশ্নঃ তুমি কোরআনে লেখা আদেশ নিষেধ মেনে চল নি কেন?
উত্তরঃ কোরআনের বানী! এটা তো সাধারন মানুষের বোঝাই সম্ভব নয়, তা পালন করব কিভাবে?
প্রশ্নঃ আচ্ছা, তুমি না হয় বোঝ না, কিন্তু কোন মুফতীর কাছে গিয়ে তো বুঝতে পারতে।
উত্তরঃ চার পাচ বছর লেখা পড়া করা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা উকিল তাদের লেখাপড়ার বিষয় বোঝাতে চাইলে সেটাই বুঝতে পারি না, আর ১২ বছর জ্ঞান লাভ করা মুফতি বুঝালে কি বুঝব?
ব্যাস, কেস ডিসমিস, আসামী সসন্মানে মুক্তি। আপনার কি ধারনা, সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের পুরো মানব জাতির বিচার করার ক্ষেত্রে এমন বড় একটি ফাকা রেখেছেন? এর মানে বোঝা যাচ্ছে যে কোরআন পড়ে সাধারন মানুষ বুঝবে না এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা।
বরং কোরআনে একাধিক আয়াতে পড়ে বুঝতে বলা হয়েছে। এও বলা আছে যে “আমি (আল্লাহ) কোরআনকে মানুষের বোঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি”। কোরআন পড়ে দেখুন, এতে আপনার যেটুক বোঝার দরকার সেটুক ঠিকই বুঝবেন। অনেক আয়াত পড়ে এটাও মনে হবে যে ওটা আপনাকেই বলা হয়েছে। হ্যা, খুটিনাটি হয়ত বুঝতে পারবেন না। আর এর জন্য হাদিস রয়েছে, কোরআনের তাফসির রয়েছে আর মুফতি সাহেব তো রয়েছেনই। আপনি যদি কোরআনে পড়ে এর আদেশ নিষেধ পালন করতে চান তবে আপনার সেটা বোঝার জন্য কখনো কারো কাছে যেতে হবে না। নিজে এমনিতেই বুঝবেন।
বিশ্বের মানচিত্রের খুটিনাটি না জেনে যদি শুধুমাত্র মহাদেশগুলো চিনেন। তখন কেউ যদি বলে যে ছাগলনাইয়া আফ্রিকায় তবে আপনি ঠিকই ধরে ফেলতে পারবেন। একইভাবে কোরআন এর অর্থ বুঝে পড়ে থাকলে অনেক ভুল বোঝানো আপনি এমনিতেই ধরে ফেলতে পারবেন। বুঝতে পারবেন যে পীর সাহেবের পানি পড়া আর কলম পড়া দিয়ে পরীক্ষায় পাশ করা যায় না। তাবীজ বাতের ব্যাথা ভাল করে না। বুঝতে পারবেন, রাসুল (সাঃ) নুরের তৈরি ছিলেন না। বুঝতে পারবেন যে, পীর সাহেব আপনাকে জান্নাতে নিবে কিভাবে, তিনি তো নিজেই আসামী, নিজের মামলায় দিশা খুজে বেড়াবে। বুঝতে পারবেন মারেফতি, পীরতত্ব ও সুফীবাদ ইত্যাদি ইসলামে আদৌ আছে কি না। আর মাজারে গিয়ে সিজদা, মানত ও গান বাজনা করে জিকির করার কথা নাই বা বললাম।
এক নজরে ইসলাম (সম্পুর্ন নয়)-
- সকল ইবাদত একমাত্র, একমাত্র আলাহর জন্য।
- আমাদের সকল চাওয়া চাইতে হবে সরাসরি আল্লাহর কাছে। আমরা যতই পাপী হইনা কেন তিনি আমাদের প্রত্যাকের প্রার্থনা আলাদাভাবে শোনেন এবং কবুল (ইচ্ছাপুরন) করেন।
- আল্লাহর কাছে চাওয়ার সময় কোন ব্যাক্তি বা বস্ত মাঝখানে আসলে সেটা শিরক। যেমন পীর সাহেব, তাবিজ ইত্যাদি। শিরক সবচেয়ে বড় পাপ।
- রাসুল (সঃ) আমাদের মতন একজন মানুষ যাকে আল্লাহ মনোনীত করেছিলেন ইসলাম প্রতিস্টা করার জন্য। ইসলামের নিয়মে, ঊনার আদর্শ, আদেশ, নিষেধ ইত্যাদি আমাদের জন্য গুরুত্বপুর্ন কিন্তু উনার ব্যাবহার করা কোন বস্তু অথবা স্থান নয়।
- ইসলামে কোন কবর, এমনকি রাসুল (সাঃ) এর কবর এর কোন গুরুত্ব নেই।
- কোরআনের কথা আল্লাহর বানী এর কোন একটি কথা অস্বীকার করলেই কাফের হতে হয়।
- হাসরের ময়দানে যার যার বিচার চার তার – কেউ কাউকে কোন সাহায্য করতে পারবে না। রাসুল (সাঃ) এর শাফায়াত (সুপারিশ) ইসলাম পালনাকারী ব্যাক্তিদের জন্য।
- মুসলিম ও অমুসলিম এর মধ্যে পার্থক্য হল নামাজ। বেনামাজী মুসলিম নয়।
- তাওহীদ (আল্লাহর একত্ববাদ) এর পরে ইসলাম আসলে শরিয়ত (নিয়ম কানুন) ছাড়া আর কিছুই নয়। এই নিয়ম কানুন পালন না করে কোন সর্টকাট উপায়ে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা যায় না। রাসুল (সাঃ) নিজেই এসব নিয়ম পালন করে আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন।
সবচেয়ে বড় কথা হল আকিদা (বিশ্বাস)। কোরআন বুঝে না পড়ার কারনে অনেকের মধ্যেই অনেক ভ্রান্ত বিশ্বাস রয়েছে। যেমন কেউ যদি নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, দান খয়রাত করে, ইসলামের বহু আদেশ নিষেধ মেনে চলে ওদিকে পীর বাবার মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করে। সেই প্রার্থনা পীরের কাছে করলে বড় শিরক আর পীর মাজারের সামনে বা পীরকে মাধ্যম করে আল্লাহর কাছে করলে ছোট শিরক। এই একটিমাত্র কাজ আসলে তাকে অমুসলিম বানিয়ে দিচ্ছে। অথচ উনি নিজেকে অনেক কামেল বান্দা মনে করছেন।
আল্লাহ আমার ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন। আমাদের সকলকে সঠিক আকিদা ও সঠিক ইসলামের পথে থাকার তওফিক দান করুন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
২০০৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এলিট ভাই কি যে বলেন, আপনি তো আহলেহাদিস/সালাফি হয়ে গেছেন। (আমার কথা নয় আহলে বিদ'আহ দের কথা)
জাজাকাল্লাহু খাইরান...
অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন