ইসলামকে মধ্যযুগীয় বললে কি হয়

লিখেছেন লিখেছেন এলিট ১৪ মে, ২০১৩, ০৯:৪৭:২১ রাত

ইদানিং রাজনৈতিক কারনে ইসলাম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। জীবনে কোনদিন মসজিদের বারান্দায় যায়নি এমন লোকও আজকাল ইসলামে কি উচিত আর কি অনুচিত এই ব্যাখ্যা দেয়। অনেকে বলছে ইসলাম মধ্যযুগীয়, গোড়ামী। ইসলাম নারীকে আটকে রেখেছে। অনেকে বলে ইসলাম আধুনিক বিজ্ঞান থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখে। ইসলাম সান্ত্রাসী ধর্ম ইত্যাদি। মজার (?) ব্যাপার, এসব বলে মুসলমানেরাই। অন্য ধর্মাবলম্বীরা হয়ত একই ধারনা পোষন করে কিন্তু মুখ ফুটে বলে না। ঢোল পিটিয়ে এসব মুসলমানেরাই বলে।

এসব শুনে কিছু ধর্মপ্রান মুসলমান বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে তাদেরকে বোঝানোর চেস্টা করে যে ইসলাম গোড়ামী নয়, নারী বিদ্বেষী নয় বা সন্ত্রাসী নয়। কিন্তু এতে কোন লাভ হয় না। যুক্তিতে তাদের সাথে পারা যায় না এবং পরিশেষে ধর্মপ্রান মুসলমান হাসির পাত্রে পরিনত হয়। ধর্মপ্রান মুসলমানদের বলবঃ ওদেরকে যুক্তি দিয়ে লাভ নেই। ওদেরকে বলতে দিন। বাক স্বাধিনতা সবারই রয়েছে। তাদেরকে বলতে দিন যতক্ষন তারা ভদ্রতার সীমার মধ্যে কথা বলে। আমার লেখার বাকী অংশ ওদের জন্যে।

ইসলাম একটি নির্দিস্ট নীতিমালা ছাড়া আর কিছুই নয়। যেমন সারা দুনিয়ার মানুষ মদ ও শুকরের মাংশ খেয়ে দিব্যি বেচে রয়েছে। সারা দুনিয়ার অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে সুদ ব্যাবস্থার উপর। সারা দুনিয়ার মেয়েরা তাদের শরীর দেখিয়ে পর পুরুষের সাথে মহা আনন্দে চলাফেরা করে। এগুলোর কোনটাই খারাপ কাজ নয়। এগুলো খারাপ হলে এত লোক এগুলো মহা আনন্দে করতে পারত না। ইচ্ছে হলে আপনিও এগুলো করুন মহা আনন্দে করুন, সবাইকে উতসাহিত করুন, কোন বাধা নেই। আপনি যদি নাস্তিক বা অন্য ধর্মাবলম্বী হন তাহলে তো কোন কথাই নেই।

আগেই বলেছি, ইসলাম হল নীতিমালা। ইসলামের নীতিমালায় উপরের কাজগুলো অবৈধ। আপনি যদি মুসলিম হন তবে এগুলো অবৈধ কাজ। এই কাজগুলো ভালো, এই বলে আপনার হাজার যুক্তি থাকতে পারে। দরকার নেই। এগুলো ভালো কাজ আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু এগুলো ইসলামে অবৈধ। এই ধরনের হাজারো বিষয় ইসলামে রয়েছে যা অন্য সমাজে বৈধ কিন্ত ইসলাম ধর্মে অবৈধ। আপনি যদি এর কোন একটি পছন্দ না করেন অথবা না মানেন তবে নিজেকে জোর করে ইসলামের মধ্যে আটকে রেখেছেন কেন? ইসলাম ছেড়ে দিন। পছন্দসই আধুনিক কোন ধর্ম বা মতবাদ গ্রহন করে সুখী হোন। দরজা তো সব সময় খোলা রয়েছে।

আসলে এই ধরনের মুসলমানেরা হলেন বিভ্রান্ত। নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করেন আবার ইসলামকে মধ্যযুগীয় বা সন্ত্রাসী বলেন। এদের চেয়ে ভালো নাস্তিকেরা। কারন নাস্তিকেরা যে পক্ষে রয়েছে, সেই পক্ষের বদনাম করে না। কিন্তু এই মুসলমানেরা নিজেরাই নিজেদের পক্ষকে বদনাম করে। আপনি যতই শিক্ষিত বা আধুনিক হোন না কেন মুসলিম হতে হলে আপনাকে এই মধ্যযূগীয় ইসলামই মেনে নিতে হবে। পছন্দ না হলে ইসলাম ত্যাগ করতে হবে। মুসলিম হয়ে ইসলামের বদনাম করার সুযোগ নেই।

মুসলিম হয়ে ইসলামের বদনাম করা এক দিকে হাস্যকর অপরদিকে ইসলামের নীতিমালায় রয়েছে এর কঠোর শাস্তি। এই শাস্তি হবে পরকালে। (পরকাল ও পরকালের শাস্তি বিশ্বাস না করলে কেউ মুসলিম থাকে না।) এই অপরাধের তীব্রতা কতখানি এবং এর শাস্তি কি এই জটিল আলোচনায় না গিয়ে শুধু এইটুকু বলব, ইসলামকে বদনাম করার জন্য কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। মুসলিম ভাইদেরকে সাবধান করব, অযথা না বুঝে ইসলামের বদনাম করে ইহকালে হাসির পাত্র আর পরকালে শাস্তিভোগী হবেন না।

বিষয়: বিবিধ

১৭৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File