মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের কারন
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৫৬:৫৪ দুপুর
তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে কাদের মোল্লার জাবত জীবন কারাদন্ডের পরে শুরু হয়ছিল ব্লগার আর নতুন প্রজন্মের মোড়কে শাহবাগের আন্দোলন নাটক। এর পর ঘোষনা হল সাইদীর ফাসির রায়। শাহবাগ নাটক এখনো চলছে। খেলা খুব ভাল চলছিল। এ দেশের অনেক জনসাধারন এটা প্রায় গ্রহন করে ফেলেছিল। জামাত-শিবির রাজপথে নেমে আন্দোলন করে, বুকের রক্ত দিয়েও দেশের সাধারন জনগনকে পুরোপুরি তাদের দিকে ফেরাতে পারেনি। এর মধ্যে নিহত হল নাস্তিক ব্লগার রাজীব। আওয়ামী লীগ রাজীবকে শহিদ বানিয়ে ফেলল আর হত্যাকারীর দুর্নাম রটালো জামাতের নামে।
(ছবি: শেখ মুজিবর রহমানের শাশন আমল নিয়ে ধারাবাহিক লেখা প্রকাশ করতে চেয়েছিল আমার দেশ)
কিন্তু আওয়ামী লীগের এই খেলা পন্ড করে দিয়েছে আমার দেশ পত্রিকাটি। আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যাবহার করি তারা বিভিন্ন তথ্য জানার সুযোগ পাই। কিন্তু বেশীরভাগ মানষের এই সুযোগ নেই। তারা মিডিয়ার উপর নির্ভর করে। মিডিয়ার ৯০% ই আওয়ামী লীগ পন্থী। তাই সঠিক খবর মানুষের চোখের আড়ালে থেকে যায়। ঠিক এ সময়ে সাহসী ভুমিকা রাখে আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
প্রথমে প্রকাশ করে স্কাইপি কেলেঙ্কারী। এর পর খুলে দেয় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকা নাস্তিক ব্লগারদের মুখোশ। এছাড়া ছোট বড় আওয়ামী বিরোধী সংবাদ তো আছেই। নাস্তিক ব্লগারদের নিয়ে "আমার দেশ" এ সংবাদ ছাপা হওয়ায় সারা দশের মানুষ জানতে পারে ইসলাম বিরোধী কারা। এই সংবাদ ছাড়া এত লোক কোনভাবেই বিষয়টি জানতে পারত না। দেশের জনগনের বেশীর ভার তো ইন্টারনেট ও ব্লগার চিনেই না। আর এই সত্য প্রকাশ হওয়াতে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন শুরু হয়। শত বাধা উপেক্ষা করে ১৫-২০ লাখ মানুষ ঢাকায় সমাবেশ করে দেখিয়ে দেয় যে তারা ইসলামের পক্ষে। ঢাকাবাসী সাধারন জনতা তাদের সাহায্য করে সমর্থন জানায়। এতে করে কেপে ওঠে সরকারের গদি। এটা আমার কথা নয়। আমেরিকান টেলিভিশন সি এন এন এই খবর প্রকাশ করেছে। ইসলামের পক্ষে ও আওয়ামী লীগের বিপক্ষে সারা দেশের মানুষ আন্দোলন করেছে- আর এই আন্দোলনের করার প্রয়োজনিয়তা মানুষকে বুঝিয়েছে মাহমুদুর রহমানের আমার দেশ।
(ছবি: উপর মহলের নির্দেশে কম্পিউটার এর মনিটর নিচ্ছে পুলিশ। হয়ত মনে করেছে - মনিটরে অনেক তথ্য লুকানো থাকে)
সম্প্রতি আমার দেশ পত্রিকায় এসেছে - উইকিলিকস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত শেখ মুজিবরের শাশন আমলের প্রসঙ্গ। ওই ওয়েবসাইটে ১৯৭৫ সালের আগে বাংলাদেশের অবস্থা নিরপেক্ষভবে প্রকাশিত হয়েছে। সেই সময়ের হত্যা, দুর্নীতি, বাকশাল, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি সবই এসেছে ওই ওয়েবসাইটে। এগুলো ধারাবাহিক ভাবে আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হবার কথা বলা হয়েছে এই পত্রিকাতেই। যদি মাহমুদুর রহমান সত্যিই এসব প্রকাশ করেন এবং আগের মতন সারা পায়, তবে ইসলাম রক্ষায় যেমন ২০ লাখ হজুর মাঠে নামেছিল, ঠিক তেমনি গনতন্ত্র রক্ষায় ২০ লাখ সাধারন মানুষ মাঠে নামবে। এতে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। সবাই জেনে যাবে - কাকে আমরা বঙ্গবন্ধু বলি। তাই দেরী না করে সঠিক পদক্ষেপ নেয় আওয়ামী লীগ। মাহমুদর রহমানকে গ্রেফতারের সময় পুলিশ কম্পিউটার ও কিছু সি ডি নিয়ে নেয়। হয়ত এটাই উপরের নির্দেশ ছিল। গ্রেফতারের কারনও পুলিশ বলতে পারে নি। বলেছে "উপরের নির্দেশ" আরো বলেছে "ক্ষমতা থাকলে সবই করা যায়"।
এখন দেখা যাক এভাবে আমার দেশকে বন্ধ করা যায় কিনা। আরো দেখা যাক, এভাবে ১৯৭৫ এর আগের সত্যকে লুকিয়ে রাখা যায় কিনা।
বিষয়: বিবিধ
২১৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন