প্রধাণমন্ত্রী এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন

লিখেছেন লিখেছেন আবরার ২৬ মার্চ, ২০১৩, ০৪:২৩:৫৯ বিকাল



যিনি যত বড় দায়িত্বশীল তিনি তত বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হবেন এটাই স্বাভাবিক । রাষ্ট্রীয় কর্মে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে এক হিমালয় পর্বতের সম্মুখীন । ১৯৭৫ সালে তার পিতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানও ভয়ংকর সংকটের মুখোমুখী হয়েছিলেন । তখন কিন্তু বিএনপি জামায়াত ছিল না । ছিল গোয়েবলেস ইনু এবং বস্তি ভিসি জানোয়ার আনোয়ারদের '' গণবাহীনির '' বিপ্লবী সমাজতন্ত্রের চরম উৎপাত । ভারতের মাটিতে তৈরী জাসদের সৃষ্ট নৈরাজ্যময় ভীতিকর পরিস্থিতি । আর রক্ষীবাহীনির নির্বিচারে গণহত্যা । জাসদের দাবী ঐ সময় রক্ষীবাহীনির হাতে তাদের ৩০হাজার নেতা কর্মী নিহত হয়েছে । তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান কারও পরামর্শের ধারধারেননি । সেই কঠিন পরিস্থিতে তিনি মস্কো সফর করেন । সফর হতে এসেই তিনি বললেন , '' আমি আওয়ামী লীগের কবর দিলাম । বাকশাল গঠন করলাম '' ।[ প্রবীন রাজনীতিবীদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এর বক্তব্য ] । এক দেশ , এক দল , এক নেতার স্বার্থে রোবর্ট প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ উল্লাহ পদত্যাগে বাধ্য হন ।স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হতে প্রেসিডেন্ট হলেন । সংসদীয় গণতন্ত্রের কবর হল । সংবিধান পরিবর্তন । প্রসিডেন্ট সকল ক্ষমতার মালিক । রাবার ষ্ট্যাম পার্লামেন্টে তাতে কোন সংকট হয়নি । এই ক্ষেত্রে তিনি তার সহযোদ্ধাদের পরামর্শ উপেক্ষা করেছেন । '' র '' এবং '' কেজিবি '' এর গভীর ষড়যন্ত্র তিনি বুঝতে পারেননি অথবা গুরুত্ব দেননি । সর্বশেষ তিনি প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হন । তাকে রক্ষায় তৎকালীন সেনা প্রধান কে এম শফিউল্লাহ এবং রক্ষীবাহীনি একটি বুলেটও খরচ করেনি ।আওয়ামী প্রেমিক মুজিব ভক্ত একজন কর্মীও প্রতিবাদ করেননি এবং জীবনও দেননি । একমাত্র বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রতিবাদ করেছেন ।

ইতিহাসের নির্মম পরিনতি নিয়ে তিনি বিদায় নেন ।

***** ফের একদেশ-একদল-একনেতার কতৃত্ব ?????????????????

ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর । আমাদের রাজনৈতিক নেতারা তা বার বার ভুলে যান । তারা ইতিহাস হতে কোন শিক্ষা নেন না । ১৯৭৫ সালের নির্মম নিষ্ঠুর ১৫ আগষ্টের পুর্ব পরিস্থিতি কেউ কামনা করে না । আজ পুনরায় প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এবং বাইরের রশি বা রাডার নিয়ন্ত্রিত '' অনাকাংখিত বার্তা '' বাতাসে ছড়িয়ে আছে । সর্ব মহলে আশংকা আমরা কি দেশকে অগণতান্ত্রিক পথের দিকে ঠেলে দিচ্ছি ? সংসদীয় গণতন্ত্রের কবর রচিত হতে চলেছে ? আবার সেই প্রেসিডেন্সিয়াল সরকারে ফেরত যাচ্ছি ? দেশের ভাগ্যে কি ফের এক দল , এক নেত্রীর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ? সংঘাত - সংঘর্ষ-নির্বিচারে গুলি - গণহত্যা কিসের আলামত ? তত্বাবোধায়ক বিধান বাতিলের মুল উদ্দেশ্য কি ? বিডি আর বিদ্রোহের নামে একই সাথে চৌকস ৫৭ সেনা অফিসার হত্যার রহস্য কি ? ইন্ডিয়ার মদদে শাহাবাগ আন্দোলনের আড়ালে কি আছে ? দেশে বিভাজনের রাজনীতিতে কাদের লাভ ? প্রধাণমন্ত্রীর একান্ত অনুগত প্রেসিডেন্ট জনাব জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর এতদিনের সন্দেহ-সংশয়টা যেন স্পষ্ট হয়ে পরেছে । আন্তর্জাতিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন । তাতে কোন আশার বাণী নেই । সরকার প্রধানের পক্ষ হতে কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই ।শুধুমাত্র এক নেত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় গোটা দেশকে এক ভয়ঙ্কর দুঃশ্চিন্তা নিয়ে বসে থাকা ছাড়া কোন পথ নেই ।

***** সরকারের ৩ টি বড় চ্যালেঞ্জ *******

১] সর্ব মহলে গ্রহন যোগ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা ।

-----------------------------------------------------------------

নানাবিধ কারনে নতুন প্রেসিডেন্টের উপর নির্ভর করে দেশের ভবিষ্যৎ । সাংবিধানিকভাবে আমাদের প্রেসিডেন্ট রোবর্টের ভুমিকা পালন করলেও তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক । জাতীয় সংসদ নির্বাচন কালে তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বেড়ে যায় । দেশের বর্তমান বিভাজিত সাংঘর্ষিক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তার ভুমিকা হবে খুবই গুরুত্বপুর্ণ । একজন দক্ষ , সাহসী , রাজনৈতিক দুরদর্শী এবং সকল দলের কাছে গ্রহন যোগ্য ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হলে দেশ আরো ভয়াবহ সংকটে নিমজ্জিত হবে । এই মুহুর্তে একমাত্র প্রধাণমন্ত্রী পারেন তার প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবীদ , অভিজ্ঞ দেশপ্রেমিক বিশিষ্ট্যজনদের পরামর্শ এবং বিরোধী দলকে আস্থায় নিয়ে একজন যোগ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে । এই ক্ষেত্রে তিনি ভুল করলে সে ভুলের খেসারত তাকেই বহন করতে হবে । তিনি পারেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করতে । আর যদি তার চামচারা , হবু বাম আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীরা তাকেই প্রেসিডেন্ট হতে উৎসাহিত করে এবং তিনি আগ্রহী হন তাতে অতি সহজে হতে পারেন । তার দলের সংসদ সদস্যগণ বাধা হয়ে দাঁড়াবে না ।কারন গরুর খোয়াড়ে গরু যেভাবে বেধে রাখা হয় ঠিক সেভাবেই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ দলের সাংসাদদের শক্তভাবে বন্দী করে রেখেছে । মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীকে গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে -- তিনি কি সংসদীয় গণতন্ত্র কবর দিবেন না বিকশিত করবেন ? তিনি কিন্তু বড় ধরনের একটি সুযোগ হাত ছাড়া করেছেন । প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বিরোধী পক্ষ রাষ্ট্রীয় শোক যথাযথভাবেই পালন করেছে । ১৮ দল সকল কর্মসুচী বাতিল করেছে । হরতাল প্রত্যাহার করেছে । বড় উদার মন নিয়ে ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মরহুম রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গভবনে গেলেন । তিনি শ্রদ্ধা জানালেন । কিন্তু অত্যান্ত লজ্জাস্কর ব্যাপার সেখানে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নিজে বা তার কোন প্রতিনিধি বা কোন মন্ত্রী অথবা আস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কিংবা তার প্রোটকল কর্মকর্তা সাবেক প্রধান মন্ত্রীকে সামান্য সৌজন্যবোধ দেখাতে পারেননি । একেই বলে হীনমন্যতা এবং প্রতিহিংসা । সরকার কোন ধরনের সমঝোতা চান না তাই এই আচরনের ভিতর দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ।

২] একটি গ্রহনযোগ্য সংসদ নির্বাচন । ।-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

তড়িগড়ি করে তত্ত্বাবোধায়ক বিধান বাতিল করা একটি ভুল সিদ্ধান্ত । এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কারো আপত্তি আমলে নেননি । এই বিধান ছিল বিধায় তিনি আজ ক্ষমতায় । ক্ষমতায় আসার পর গনতন্ত্রের গলা টিপে ধরলেন কেন ? গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় চলার পথে কৃত্তিম বাঁধা তৈরী হয়েছে । স্বাভাবিক গতি পথ রুদ্ধ হয়েছে । আস্থাহীনতার রাজনীতি এক ভয়াবহ দৃশ্য তৈরী করেছে । হার্ড লাইন আরো হার্ড হয়েছে । পুলিশের বন্দুক রাজনীতি ছেড়াবেড়া করে বন্দী করে ফেলেছে ।

এই বিধান ছাড়া ১৮ দল নির্বাচনে যাবে না তা ছাফ ছাফ বলেছে । এক পেশে চিন্তাচেতনা এবং একদলীয় নির্বাচন মারত্মক অরাজকতায় ঘি ঢালার ব্যবস্থা করবে । ১৮ দল এখন এই বিধান পুনর্বহালের দাবী রেখে সরকার পতনের আন্দোলনের সুচনা করেছে । আসছে লাগাতর হরতাল , অবরোধ , প্রতিরোধ , চল চল ঢাকায় চল , মহাসমাবেশ প্রভৃতি কঠোর কর্মসুচী ।

১৮ দলের পিছনে যাওয়ার রাস্তা ব্লক হয়ে গেছে । তাদের সামনে জেল , জুলুম , হাত কড়া , ডান্ডা বেড়ী , পুলিশ-র‍্যাবের গুলি । তার পর ? জরুরী আইন , কার্ফিউ । তার পর ? সেনাবাহীনি !!!

২০শে মার্চ জাতিসংঘের মহা সচিব বান কি মুন বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ , সুষ্ঠু , বিশ্বাসযোগ্য এবং অংশগ্রহনমুলক হওয়ার তাগিদ দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন । ইউরোপীয় ইউনিয়ন , বৃটেন , কানাডা , চীন , জাপান সহ বড় অনেক রাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের শান্তিপুর্ণ সমঝোতার সমাধান চেয়েছে । তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন । ইতিমধ্যে পুর্ব - পশ্চিমের অনেক প্রতিনিধি এবং কয়েকটি মুসলিম দেশের প্রতিনিধি ঢাকা সফর করেছেন । ঢাকার কুটনৈতিক মহলে অনেক বৈঠক হয়েছে । রাজপথের উত্তাপ উত্তেজনায় তারা বিচলিত । তাদের উদ্বেগ - উৎকণ্ঠার কথা তারা জানিয়েছেন । পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ব্যাখ্যায় তারা সন্তুষ্ট নয় ।

একমাত্র ভারত তাদের খাঁটি পরীক্ষিত বন্ধু সরকার আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্যে উঠে পরে লেগেছে । ধারনা করা হচ্ছে ভারতীয় ছকের রোডম্যাপে প্রধানমন্ত্রী চোখ বন্ধ করে এগিয়ে যাচ্ছেন । অপরদিকে শুনা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ১৮ দলীয় জোটকে ক্ষমতায় দেখতে চায় ।

বিদেশী টানা হেঁচড়ার পথ ছেড়ে একদম দেশীয় সোজা পথে হাঁটুন । তাতেই শান্তি এবং মুক্তি । ক্ষমতায় থাকা এবং যাবার বাঁকা পিচ্ছিল কাঁচ ভাঙ্গা ভেজাল পথ দয়া করে ত্যাগ করুন । একটি নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার অথবা দেশপ্রেমিক সেনাবাহীনির হাতে ক্ষমতা দিন । তারা আবশ্যই অবাধ - সুষ্ঠু - সকলের অংশগ্রহনমুলক একটি সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে নিজের স্থানে চলে যাবেন । দেশের মানুষ যাদের ভোট দিবে তারাই দেশ চালাবেন । এই সোজা রোডম্যাপ মুর্খ মানুষও বুঝে । প্যাচানো কাঁটা তারের বেড়ায় কেন জনসাধারণ কে বন্দী করে কষ্ট দিতে চান ? জনগন ফুঁসে উঠলে কারো রক্ষা নেই ।

৩] যুদ্ধাপরাধ বিচার ।

-----------------------------------------------------------------------------------------------

বড়ই স্পর্শকাতর বিষয় । যুদ্ধাপরাধ বিচার কেউ কখনই করতে পারবেন না । তা বুঝেই সরকার '' যুদ্ধাপরাধ '' বিচার নামে '' মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুন্যাল '' গঠন করেছেন । চিহ্নিত পাকিস্তানী ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে আওয়ামী লীগ মুক্তি দিয়েছে । সেই আওয়ামী লীগ কিভাবে এই বিচার করবে ? এখন পর্যন্ত এই সরকার যুদ্ধাপরাধী হিসাবে কোন ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে নি । প্রতিপক্ষকে নির্মুল করা এবং ইসলাম পন্থী নেতাদের হত্যা করার ইন্ডিয়ান পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার মতলবে বিচার নাটক শুরু করেছে সরকার । ইহা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের ইসু । এই ইসু তারা কখনই শেষ করবে না । স্কাইপি কেলেংকারীতে সব ফাস হয়ে গেছে । ট্রাইবুন্যাল চরমভাবে বিতর্কিত হয়েছে ।

দেশী - বিদেশী প্রখ্যাত আইনবিদ, আইনী সংস্থা , মানবাধিকার সংগঠন ,জাতিসংঘ সহ অনেক দেশ লিখিতভাবে ট্রাইবুন্যালের গলদ , মান , বিচার ব্যবস্থা , বিচারক , আইনজীবি এবং দেয়া রায় নিয়ে উদ্বেগ - উৎকণ্ঠা - আপত্তি জানিয়েছে । এই বিচারের সহযোগী-সমর্থক-মদদ দাতা দেশ হল শুধুমাত্র ইন্ডিয়া । ইসলামী শক্তিকে তারা তাদের চরম শত্রু মনে করে । তারা বাঙ্গলাদেশটাকে '' সিকিম '' ভুটান '' নেপালের '' আদলে তাদের গোলাম হিসাবে দেখতে চায় । চীন , জাপান , বৃটেন , যুক্তরাষ্ট্র , ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের গভীর সুসম্পর্ক ইন্ডিয়া আশা করে না । দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর ভিততর সুসম্পর্ক এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল হোক তা তারা চায় না । দেশের ভিতর হৈ হাঙ্গামা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে '' র '' সক্রিয় ভুমিকায় অবতীর্ন হয়েছে ।

দেশের স্বচেতন মহলকে বিষয়টা খুব গভীরভাবে বিবেচনায় আনা দরকার । আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এই ইসুতে সফলতার পরিবর্তে বিফলতা অর্জন করবেন । একসময় প্রধান মন্ত্রীকে ইসলামের দুশমন , নাস্তিকদের সহযোগী , ইন্ডিয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী , গণহত্যা এবং প্রখ্যাত আলেম ওলামা হত্যার দায় নিয়ে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে । তিনি কেন সমস্ত বোঝা নিজের কাঁধে নিতে চান ?

তিনি কেন দেশের প্রখ্যাত আইনজীবি ডঃ কামাল হোসেন , ব্যারেষ্টার রফিকুল হক , ডঃ জহির , ব্যারেষ্টার আমিরুল ইসলাম , ব্যারেষ্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ , এডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন , বিচারপতি টি এইচ খান -এর মত বিজ্ঞ আইনবীদদের এই বিচারে সম্পৃক্ত করেননি ?

তিনি কেন সেক্টর ফোরামের কোন নেতাকে স্বাক্ষী হিসাবে নেননি ? বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন , সুবিদ আলী ভূঁইয়া , জেনারেল নুরুদ্দিন খান ,জেনারেল মাহাবুবুর রহমান , মেজর হাফিজ উদ্দিন , মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম , কর্নেল ডঃ অলি আহাম্মদ , বংগবীর কাদের সিদ্দিকী সহ অনেক প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা যারা এই বিচারের স্বাক্ষী হতে পারতেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে বিচারকে স্বচ্ছ এবং গ্রহনযোগ্য করতে স্বক্ষম হতেন । কিন্তু কেন তাদেরকে ডাকা হয়নি ?

কেন দেশের নামী দামী বিজ্ঞ সৎ সাহসী বিচারপতি নিয়োগ করা হয়নি ? তাতে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যর্থ হত ? সরকার নিজেই কেন বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন ?

দয়া করে পুনরায় রায় ঘোষনা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করবেন না । বিচারের নামে প্রহসন নাটক কেউ মেনে নিবে না । এই বিচার নাটক স্থগিত করে জাতিসংঘের সহযোগিতা নিন । জাতি সংঘে পাঠিয়ে সকল বিতর্কের অবসান ঘটান । তাতে কারো কোন আপত্তি থাকবে না । আমরা আশা করব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী '' যুদ্ধাপরাধ বিচার '' জাতি সংঘের কাঁধে দিয়ে নিজে বিতর্কের উর্ধেব থাকুন । সংঘাত সংঘর্ষ হতে দেশকে মুক্ত করুন । সকল জল্পনা কল্পনা হতাশা ভয় ভীতি হতে জাতিকে রক্ষা করুন ।

বিষয়: বিবিধ

১৫৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File