তাদের মুল সমস্যা এইখানে '' জামায়াত ছাড়ুন --দার খুলে যাবে '' ।
লিখেছেন লিখেছেন আবরার ১৪ মার্চ, ২০১৩, ০৪:২৮:১২ বিকাল
আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঠিকই বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে , আওয়ামী লীগের আসল সমস্যাটা কি । রাজনীতিতে নবাগত নেতা '' ডিজিটাল মাহাবুব হানিফ '' মনের গহীন অরণ্যের তাপ দাহ উদগীরন করে তাদের আসল সংকট কোথায় তা প্রকাশ করেছেন । উনাদের সারা গায়ে '' জামায়াত - শিবির এলার্জি '' তে ভরে গেছে । এখন চোখে মুখে তা ছেয়ে গেছে । এ এমন এক এলার্জি যা ভ্যাকসিন [ লিঠি পেটা , গ্যাস , গরম পানি , রাবার বুলেট , শব্দ গ্রেন্ড ইত্যাদি ] থ্যারাপি কোন কাজে আসেনি । শেষ আস্র ডাইরেক্ট গুলি করে '' গণ হত্যা '' চালিয়ে ১৫০ এর অধিক মানুষকে বিদায় করেছে ।
ফলাফল কি দারাল ? হানিফ সাহেবরা কি এখন এলার্জি মুক্ত ? আসলে ঐ এলার্জি তাদের হ্নদপিন্ড এট্যাক করেছে । তা এবার হার্ট এট্যাক রুপ নিয়েছে । খালেদা জিয়ার '' গণহত্যার '' বিচারের ঘোষনা , পাড়া মহল্লায় '' পাবলিক সেফটি কমিটি '' গঠনের ঘোষনা এবং জামায়াত শিবিরের '' ২লক্ষ শহীদি কাফেলার শাহাদত শপথ '' শুনে হানিফ সাহেবদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে । চোখ মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে । রাজধানীর আন্দোলন গ্রামে গঞ্জে চলে গেছে । দেশের গোটা আলেম সমাজ তথাকথিত '' শাহাবাগীদের '' নাস্তিক - আল্লাহ-রসুলের দুশমন এবং সরকারকে তাদের প্রস্রয় দাতা হিসাবে চিহ্নিত করে তাদেরকে প্রতিরোধ করার ঘোষনা দিয়েছে । সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে । এইসব নিয়ে সরকার চোখে মুখে ধুয়াকার অন্ধকার দেখছে । তাই হানিফ সাহেবরা আবল তাবল বলা শুরু করেছেন । তারা হিসাবে ভুল করেছেন । আল্লামা সাঈদীর ফাঁসীর হুকুম দিয়েছেন । প্রনব বাবুকে খুশি করেছেন । ভাবছেন এই ইসুতে জামায়াত-বিএনপির ঐক্যে ফাটল ধরাবেন । কিন্তু তাদের ঐক্য আরো বেশী মজবুত করে দিয়েছেন । একদফার আন্দোলনে ঠেলে দিয়েছেন ।
পিছনে ফিরে তাকাবার সময় নেই । ১৮ দলীয় জোটকে ইস্পাত ঢালাই প্রাচীর তৈরী করতে হবে । মঞ্চে -ঘরে সব নেতা বসে বসে মার খাবেন তা হতে পারে না । নেতাদের রাস্তায় কর্মীদের সাথে থেকে মার খেতে হবে । কর্মীদের মনবল জাগিয়ে তোলতে হবে । ইতিমধ্যে যারা শাহাদত বরন করেছে , বাড়ী ঘর হারিয়েছে , জেলে আছে , হাসপাতালে আছে তাদের পাশে দাড়াতে হবে । ঐসকল এলাকায় কেন্দ্রীয় টীম দ্রুত যাওয়া দরকার । যে সকল এলাকায় হিন্দু জনগোষ্ঠি আক্রান্ত হয়েছে সেখানে তাদের পাশে এখনই যাওয়া দরকার এবং হিন্দুদের মন্দীর রক্ষা কমিটি করা জরুরী ।
ইতিমধ্যে আওয়ামী নেতারা গ্রাম ছেড়েছে । কর্মীরা চাওয়া-পাওয়ার ক্ষোভে এবং জনরোষের ভয়ে আতঙ্কিত । নেতৃত্বে কলহ বিবাদ চলেছে । জামায়াত ছাড়ুন আলোচনায় বসুন --- এইবুলি হল আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার '' ফাঁদ '' মাত্র । তাতে কোন আন্তরিকতা নেই । জোট নেত্রী তা বুঝতে পেরেছেন । ৩য় শক্তি ক্ষমতা নিবে --ইহা আর একটি ষড়যন্ত্র - ওয়ান কাইন্ড অব বোগাস বো । প্রশাসন স্থবির । পুলিশ বিভাগে দ্বিধা-দ্বন্দ দেখা দিয়েছে । চুতুর্দিক হতে চাপে -প্রেসারে সরকার পাগল হয়ে গেছে । অনেক আওয়ামি নেতা মুখে তালা মেরে ঘরে বসে আছন । নব্য আওয়ামীরা লম্প ঝম্প দিচ্ছে ।বাম বুথ তাদেরকে গ্রাস করে ফেলেছে । তাদের এই ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা ১৮ দলিয় জোট বুঝতে পেরেছে । তাই তারা এক দফার আন্দোলনে ওঠে পরে লেগেছে ।
বিষয়: বিবিধ
১২২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন