অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত বিচারপতি সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের সদস্য থাকতে পারেন ?

লিখেছেন লিখেছেন আবরার ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৪:৪৫:৫১ বিকাল



দাড়ী রাখাটা এখন বড় অপরাধ ! রাস্তা ঘাটে দাড়ী-টুপি পড়া মানুষ অনবরত অপদস্ত অপমানিত লাঞ্চিত হচ্ছেন ।পীর আউলিয়া - আলেম ওলামার ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে এই দৃশ্য খুবই দুঃখজনক , অপমানজনক এবং আপত্তিজনক । দেশের প্রশাসন , বিচার বিভাগে , পুলিশ বিভাগে বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে দাড়ী বিশিষ্ঠ মানুষগুলো চরম বিব্রত-অস্বস্তিকর পরিস্থির শিকার । গুটিকতেক কুলাঙ্গার নামাজী -দাড়ী বিশিষ্ঠ লোকদেরকে জামায়াত শিবির বা জংগী হিসাবে চিহ্নিত করে মুলত দেশটাকে ধর্মহীন - নাস্তিকদের অভায়ারণ্যে পরিনত করতে উঠে পরে লেগেছে । এই গ্রুপটির স্পন্সার হল আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের পেট্রোন করছে দাদারা । দেশের সকল মানুষ জানে বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরীর আপত্তিজনক অশালীন গালিগালাজের কথা । তিনি স্পীকারকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসাবে আখ্যায়িত করেন । এই ব্যাপারে স্পীকার সংসদে রুলিং দেন । কার্যবিবরনীতে টা রেকর্ড হয়ে আছে । একজন আইনজীবি ঐ বিচারপতি দ্বারা অপদস্ত হয়ে লিখিতভাবে প্রেসিডেন্টের নিকট সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন । আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ঐ বিচারপতির বিরুদ্ধে লিখিতভাবে ২৯ টি অভিযোগ দাখিল করে বিচারপ্রার্থী হয়েছিলেন । সেই অভিযোগে ঐ বিচারপতি অবৈধ অর্থে লন্ডনে ৩/৪ টা বাড়ীর মালিক হয়েছেন যা লন্ডনের সিটিকর্পোরেশনে মামলা চলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা সরকার নেয়নি ।

আথচ আজ আমরা চরম বিস্ময় আর হতবাকের দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি একজন দাড়ী বিশিষ্ঠ বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুইয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠিত হয়েছে । এই বিচারপতির অপরাধ তিনি নাকি দৈনিক ইনক্লাবে প্রকাশিত নাস্তিকদের ইসলাম বিদ্বেষী লিখা সরবরাহ করেছেন । যে পত্রিকায় ১ম ১৭/২/১৩ তারিখে এই প্রতিবেদন বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করল তাদের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য বা কোন ব্যবস্থা নেয়ার আলামত দেখছি না । কারন ইনকিলাব আওয়ামী গ্রুপ মিডিয়া । যারা ছেপেছেন তারা অনৈতিক কাজ করেননি । অপরাধী হলেন পাঠক এবং যিনি তার বন্ধু বান্ধবকে শেয়ার করেছেন । এই বিচারপতি সম্ভবত বিএনপি আমলে নিয়োগ পেয়েছেন । এটা ১নং অপরাধ । তিনি দাড়ী রেখেছেন ২নং অপরাধ । পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোন অনৈতিক কাজের খবর পাওয়া যায়নি ---এটা ৩নং অপরাধ । পত্রিকা বিলি করে থাকলে তা একটা ছুতা মাত্র । এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন আপীল বিভাগের ৩ বিচারপতি । প্রধানবিচারপতি , বিচারপতি এস কে সিনহা এবং বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়াঁ । এই সেই বিচারপতি এস কে সিনহা যিনি স্কাইপি কেলেংকারীর হোতা বাটপার বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে তিনজনের [ অধ্যাপক গোলাম আযম , মাওলানা সাঈদী এবং সালাহ উদ্দিন কাদের চৌ ] বিরুদ্ধে রায় দিলে পুরুষ্কার হিসাবে আপীল ডিভিশনে প্রোমশন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । তিনি আজ পর্যন্ত এই বক্তব্য অস্বীকার বা প্রত্যাহার বা দুঃখ প্রকাশ করেননি । বিচার বিভাগের মাথায় বসে এমন অনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একজন বিচারপতি কোন যুক্তিতে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সদস্য হতে পারেন তা বুঝতে পারছি না । নীতিনৈতিকতা বিবর্যিত মানুষ কারো প্রতি সুবিচার করতে পারেন না । দলীয় চাপে তিনি আগেই প্রভাবিত হয়ে আছেন । সন্দেহতীতভাবে তিনি দলীয় দৃষ্টিতে বিশ্বাসভাজনের জায়গা অতিক্রম করতে পারবেন কিনা তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

বিষয়: বিবিধ

১১৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File