একই পথের দু'টি মঞ্জিল

লিখেছেন লিখেছেন আবরার ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:৩১:৩৫ বিকাল



একজন পরীক্ষার্থী । প্রস্তুতি নিলেন । পরীক্ষা দিলেন ।তারপর ফলাফলের অপেক্ষায় থাকবেন । ভাল অথবা খারাপ ফল অবশ্যই পাবেন । যেমন কর্ম তেমন ফলই ভোগ করবেন । কৃষক জমিতে হাল-চাষ করেন । বীজ বপন করেন । পানি দেন , সার দেন , আগাছা দমন করেন । তারপর ফসল তুলে ঘরে নেন । সারা বছর খেতে পারেন । কৃষক নিশ্চয় গমের বীজ বপন করে ধানের ফসল আশা করেন না । কাঁটার বাগান তৈরী করে গোলাপ-চামেলী-হাসনা হেনাও আশা করেন না । কিছুই বপন করলেন না -এমন জমিতে কি পাবেন ? আগাছা-ঘাস পেতে পারেন । হয়তো ইঁদুরের কিছু গর্ত দেখবেন । জমিতে যিনি যত বেশী যত্নের সাথে চাষাবাদ করবেন তিনি তত বেশী সুন্দর ফল পাবেন । ইহা সার্বজনিন সত্য ।

শত নির্ভুল যত্নের পরও চাষী ফল হতে বঞ্চিত হতে পারেন । প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গজব , মৃত্যু ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই । অহমিকাও বিপর্যয় ডেকে আনে । এত সুন্দর উর্বর জমি , পাকা বীজ ,এত যত্ন-শ্রম , এত সুন্দর ফসল , চোখে মুখে হাসি ফুটাল । কিন্তু ফসল তুলতে গিয়ে সব ম্লান করে দিতে পারে । মুহুর্তের মধ্যেই তা ঘটতে পারে । দেখুন , ২ব্যক্তির উদাহারন-------

***** একজনকে আল্লাহ ২টি আংগুর বাগান ,বাগানের চারপাশে খেজুর গাছের ঝাড় আর মাঝখানে চাষের জমি দিলেন । ২ বাগানই ফলে ফুলে ভরপুর , কোন কমতি নেই । বাগানের মাঝখানে ঝর্ণা প্রবাহিত করে দিলেন । তাতে প্রচুর মুনাফা হল । সব কিছু পেয়ে সে তার এক প্রতিবেশীকে বলল ,'' আমি তোমার চেয়ে বেশী ধনী এবং তোমার অপেক্ষা বেশী জনশক্তি আমার রয়েছে । তারপর সে বাগানে গেলো , নিজেই নিজের উপর জালেম হয়ে মনে মনে বলল , '' আমি মনে করিনা যে , এই সম্পদ কোনদিন ধবংস হয়ে যাবে , আর আমি এ আশাও করি না যে , কিয়ামতের নির্দিষ্ট মুহুর্ত কখনও আসবে , তা সত্বেও যদি আমাকে আল্লাহর সামনে হাজির করা হয় , সেখানেও আমি অধিক সম্মান লাভ করব '' ।

***** উত্তরে তার প্রতিবেশী তাকে বলল , '' তুমি কি কুফরি কর সে আল্লাহর সাথে যিনি তোমাকে মাটি এবং শুক্রকীট হতে পয়দা করেছেন আর এক পুর্ণাংগ দেহ সমপ্ন মানুষ করে দাড় করে দিলেন ? তারপর আমার কথা ? আমার রব তো সে আল্লাহ আর আমি তার সাথে কাউকে শরিক করি না । আর তুমি যখন বাগানে ঢুকলে তখন তোমার মুখ হতে এ কথা বের হল না কেন যে , মাশাআল্লা , লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ [ আল্লাহ যা চেয়েছেন তাই হয়েছে , আল্লাহ ছাড়া আর কোন শক্তি নেই ] । যদি তুমি আমাকে ধন-লোকবলে তোমার চেয়ে ছোট দেখতে পাও , তা হলে অসম্ভব নয় যে , আমার আল্লাহ আমাকে তোমার বাগান অপেক্ষা উত্তম জিনিষ দান করবেন । আর তোমার বাগানের উপর আসমান হতে কোন বিপদ পাঠাবেন যার ফলে তোমার বাগান শুণ্য ময়দানে পরিনত হবে । কিংবা উহার পানি মাটির নীচে চলে যাবে । আর তুমি কিছুতেই উহা বের করতে পারবে না '' ।

**** শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত ফল বিনষ্ট হল । আংগুরের বাগানকে শুষ্ক ডালির উপর উল্টানো দেখতে পেল । নিজের নিয়োগকৃত পুজির জন্যে হাত মলতে মলতে বলল , '' হায় আমি যদি আমার আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করতাম ?''

**** আল্লাহকে ত্যাগ করার পর তার নিকট এমন কোন বাহিনী থাকল না যা তাকে সাহায্য করবে । না পারল সে নিজেই এই বিপদের মোকাবিলা করতে ।

**** তখন সে জানতে পারল যে , কর্ম সম্পাদনের যাবতীয় ক্ষমতা -ইখতিয়ার কেবল মাত্র এক আল্লাহর জন্যে নির্দিষ্ট হয়ে আছে । পুরষ্কার তাই উত্তম , যা তিনি দান করেন । আর পরিনাম তাই কল্যানময় , যা তিনি দেখাবেন । [ সুরা কাহাফ ---৩২-৪৪ ]

এইভাবে আল্লাহ সমজদার মানুষের জন্যে প্রচুর দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন । হেদায়াতের পথ দেখিয়েছেন । শান্তি-কল্যানের বার্তা পাঠিয়েছেন । যুগে যুগে নবী-রসুলগন সে পথই দেখিয়েছেন । সে পথের ২ মঞ্জিল '' দুনিয়া '' এবং '' আখেরাত '' ।

আমরা আজ দুনিয়া মঞ্জিলের অস্থায়ী বাসিন্দা । যে কোন মুহুর্তে চির আবাস '' আখেরাতে '' প্রবেশ করতে বাধ্য । প্রত্যেকটি মানুষ এই ২ মঞ্জিলের সাথে সম্পৃক্ত । মানুষের সাথে ২ মঞ্জিলের সম্পর্ক হল , কৃষকের সাথে জমি-চাষাবাদ এবং ফসলের যে সম্পর্ক ঠিক তাই । যে কৃষক যত বেশী পরিশ্রমী , সমজদার , চাষাবাদে বেশী যত্নবান তিনি তত বেশী সুন্দর ফল লাভ করেন । আনন্দের তৃপ্তি অনুভব করেন । ঠিক তেমনি যে মানুষটি ঈমানের দাবী পুরনে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের তামান্নায় নিজের শ্রম -মেধা -অর্থ -সামর্থ খুলসিয়াতের সাথে আমলে সালেহ এবং জাহেদু ফিল্লাহি হাক্কা জিহাদি -বাস্তব জীবনে প্রয়োগের চেষ্টা চালাবেন তিনি আখেরাতে বেশি কল্যান লাভ করবেন ।

***** '' দুনিয়া আখেরাতের কৃষি ক্ষেত '' ******

আপনি যা ফলাবার চেষ্টা করবেন তাই ভোগ করবেন । আপনি তীতবেগুন চাষ করে মিষ্টি আলু পেতে পারেন না । আপনি বিয়ে করেছেন '' জঞ্জাল '' রুপসী অর্থ কণ্যা । কি করে আপনার সংসার সুন্দর হবে ? আপনি অবৈধ সম্পদের চাপে ডুবে আছেন । দান -ছদকা-যাকাত দিয়ে শান্তি খরিদ করতে চান ? অন্যের হক নষ্ট করেছেন । অবৈধ সম্পদ দখলে রেখে হজ্জ করে হাজি সাহেব হয়েছেন ? নিজের বাগান সাজাতে গিয়ে অন্যের বাগান ধবংস করে সুখ পেতে চান ? আপনি দুনিয়ার সওদাগর । আপনার ঘরে কি নেই ? আরাম আয়েশের সবই তো আছে । কিন্তু শান্তি নেই । কেন ?

এই মুসাফির খানা -স্টেশন-জেলখানাকে আমরা স্থায়ী নিবাস ভাবছি । ভোগ বিলাসে ডুবে গেছি । যাক্কুম ফলের আবাদ করে চলেছি । ময়লার স্তুপের নীচে ডুবে আছি । অনৈতিক প্লাবনে সাঁতার কেটে চলেছি ।

আল্লাহ বলেন -----

'' এই ধন -মাল আর সন্তান শুধু দুনিয়ার জীবনের এক সাময়িক চাকচিক্য মাত্র । আসলে টিকে থাকা নেক আমলই তোমার আল্লাহর নিকট পরিনামের দিক হতে অতি উত্তম , আর তার প্রতিই ভাল আশা পোষন করা যেতে পারে '' কাহাফ-৪৬ ।

****দুনিয়ার প্রতি বিরাগ এবং আখেরাতের প্রতি প্রবল অনুরাগ *****

যার অন্তরে নুর নেই সেতো ঘুমন্ত । যার আখেরাতের ভয় নেই , চিন্তা নেই মনের দরজা তার বন্ধ ।

'' যাকে আল্লাহ হেদায়াত দানের ইচ্ছা করেন আল্লাহ তার অন্তর ইসলামের জন্যে খুলে দেন '' --আন আ'ম-১২৫ ।

এই আয়াত তেলাওয়াত করে রসুল সঃ বললেন , '' নিশ্চয়ই নুর যখন অন্তরে প্রবেশ করে তখন অন্তর খুলে যায় । লোকেরা জিজ্ঞেস করল , হে আল্লাহর রসুল ! এর কি কোন অনুভাবনীয় লক্ষন আছে ? যার দ্বারা আমরা বুঝতে পারব যে , অন্তর প্রশস্ত হচ্ছে ? রসুল সঃ বললেন ,

হাঁ , তার অনুভবযোগ্য পরিচয় হল , অন্তরে দুনিয়ার প্রতি বিরাগ এবং চিরস্থায়ী আবাসস্থলের জন্যে অনুরাগ । মৃত্যু আসার পুর্বেই মৃত্যুর জন্যে প্রস্তুতি নিতে থাকবে । [ মিশকাত , আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রাঃ হতে বর্নিত ] ।

আজ আমরা দুনিয়াদার প্রবৃত্তিপুজারী । আশা আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নে বিভোর জৌলসের কান্ডারী । নামাজ রোজা ছেড়ে হলাম কবর পুজারী ভান্ডারী ।আখেরাতের কথা ভুলে আছি । আগামী কাল যে আমাকে হিসাবের জগতে প্রবেশ করতে হবে যেখানে আমলের সকল দরজা বন্ধ হয়ে যাবে , সাথে থাকবে শুধু ৩ আমল । রসুল সঃ বলেছেন ----

'' মানুষ যখন মৃত্যুবরন করে তখন ৩টি আমল ছাড়া আর সব চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় । তা হল ---

১] ছাদকাহ জারিয়াহ ।

২] এমন জ্ঞান যা মানুষের উপকারে আসে ।

৩] সৎ সন্তান যে তার জন্যে দোয়া করবে ।'' মুসলিম , তিরমিযি ।

রসুল সঃ বলেছেন , '' কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী নিকৃষ্ট অবস্থায় পতিত হবে , যে ব্যক্তি অপরের জাগতিক স্বার্থ [ অন্যায়ের সমর্থন -পক্ষপাতিত্ব করা ] উদ্ধারের উদ্দেশ্যে নিজের আখেরাত বরবাদ করেছে ।'' মিশকাত ।

রসুলসঃ বলেছেন , '' নিশ্চয় কিয়ামতের দিন মু'মিনের পাল্লায় যে জিনিষটি অধিক ভারী হবে তাহলো , তার উত্তম চরিত্র । নিসন্দেহে আল্লাহ অশ্লীল ভাষী এবং নির্লজ্জ ব্যক্তির প্রতি শত্রুতা পোষন করেন ।'' তিরমিযি ।

আমরা কি উত্তম চরিত্র অর্জন করতে পারলাম ?

'' তুমি কি মনে কর , উত্তম মানুষ কি সে , যে নিজের ইমারতের ভিত্তি আল্লাহর ভয় এবং সন্তুষ্টি কামনার উপর স্থাপন করেছে , না সে , যে তার ইমারত স্থাপন করেছে একটি প্রান্তরের অন্তঃসার শুণ্য স্থিতিহীন বেলাভুমির উপর এবং সে তা পেয়ে পতিত হল জাহান্নামের অগ্নি গহবরে । এমন জালেমদেরকে আল্লাহ কখনও সঠিক পথ দেখান না । '' সুরা তওবা -১০৯ ।


***** আমাদের জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য ****

আমাদের জীবনের সুচনাপর্বেই গলদ । এইম অব লাইফ -কত রচনা বাংলা-ইংরেজীতে মুখস্ত করা হল আর লিখা হল ছাত্র জীবনে । ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার , পাইলট , নাবিক , শিক্ষক , রাজনীতিবীদ হওয়ার আকাশ কুসুম স্বপ্ন । যা ছিল পেশাগত লক্ষ্য তাই বস্তুবাদি দার্শনিকগন চালিয়ে দিলেন '' জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য '' হিসাবে । ইসলামী আন্দোলনে যোগদানের পর সে ভুল ভাংলো । দুনিয়া এবং আখেরাত --এই দুটির যে কোন একটি নিজের জন্যে বাছাই করতে হবে । হয় পার্থিব জীবনের সুখ-শান্তি-উন্নতিকে জীবনের আসল লক্ষ্য বানাতে হবে অথবা আখেরাতের সফলতাকেই জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য হিসাবে গ্রহন করতে হবে ।

রসুল সঃ বলেছেন ---- '' যে ব্যক্তি দুনিয়ার প্রেমে ডুবে থাকবে সে তার আখেরাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে ।আর যে ব্যক্তি আখেরাতকে ভালবাসবে সে তার দুনিয়ার জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে । অতএব হে লোকসকল ! তোমরা স্থায়ী জীবনকে অস্থায়ী জীবনের উপর প্রাধান্য দান করো ।'' মিশকাত , আবু মুসা রাঃ হতে বর্নিত ।

একজন মু'মিন মর্দে মুজাহীদ আখেরাতের সফলতাকেই তার জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য নির্ধারিত করবে । তাতে তার দুনিয়ার জিন্দেগী বরবাদ হয়ে যেতে পারে । পার্থিব লোকসানের বিনিময় আখেরাতের সাফল্য সে অর্জন করবে । সে চায় স্থায়ী পুরস্কার । জান এবং মাল বিক্রি না করলে সে তা অর্জন করতে পারবে না ।

'' নিশ্চয়ই আল্লাহ মু'মিনদের জান এবং মাল জান্নাতের বিনিময় খরিদ করেছেন । তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে , মারে এবং মরে । তাদের প্রতি [ জান্নাত দানের ] আল্লাহর জিম্মায় একটি পাকাপোখত ওয়াদা তাওরাত , ইঞ্জিল এবং কোরআনে ।আর আল্লাহর অপেক্ষা নিজের ওয়াদা বেশী পুরনকারী কে আছে ? অতএব তোমরা সন্তুষ্ট হও তোমাদের এই ক্রয় - বিক্রয় চুক্তির জন্যে , যা তোমরা আল্লাহর সাথে সম্পন্ন করেছো ।ইহাই সবচেয়ে বড় সাফল্য ।'' সুরা তওবা -১১১ ।

আসুন দুনিয়ার মঞ্জিলে বসেই মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে সুন্দর করার কাজে আত্মনিয়োগ করি । আল্লাহর আদেশ-নিষেধ খেলাফ করে , রসুল সঃ এর আদর্শ বর্জন করে , আত্মপুজায় ডুবে জান্নাত প্রাপ্তির আশা ত্যাগ করুন । ভিত্তিহীন কল্পনার যাদুঘর প্রত্যাখ্যান করুন । আল্লাহ এবং রসুলের নির্দেশের উপর জীবনের ভিত্তি স্থাপন ছাড়া জান্নাত পাওয়া যাবে না । কুরআন কে বালিশ বানিয়ে আখেরাতের সুফল ভোগ করা যাবে না ।

আমরা তো আল্লাহর কোরআন ধারন করে আছি । কিন্তু আজ আমরা কেন লাঞ্চিত , নিপিড়ীত , পদদলিত , শক্তিহীন ? সকল দিক হতে বিপদের প্লাবন ধেয়ে আসছে কেন ? হতভাগা জাতি হিসাবে তো আমাদের সৃষ্টি হয়নি । আমরা কেন আজ সারা পৃথিবীতে মার খাচ্ছি ?

আসল কারন আমরা নিজেরাই পবিত্র কোরআনের প্রতি বড় জুলুম করে চলেছি । এক মহাসমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে আমরা শুধু ২ ফোটা পানি চাচ্ছি ।অথচ মহাসমুদ্র আমাদেরকে সমুদ্র , নদ-নদী , খাল দানে সক্ষম । আসলে আমরাই বড় জালেম ? আমরা বড় সীমা লংঘনকারী জাতিতে উপনীত হয়েছি । আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন ।

খনিকের এই জীবন ,

মাটির নির্জন কুটিরে ঢুকবে যখন ,

সবাই জীবনের দাম বুঝবে তখন ,

কি লাভ হবে কাদলে স্বজন ?

ফিরে পাবে সুখ দিয়ে আস্তা ভুবন ?

পাশে দাঁড়াবে কোন সে জন ?

নেতা -ফেতা , পীর-কুতুব , দলবাজী , চাপাবাজী কি কামে লাগবে তখন ?

হে পথিক !

দরজা খোল , ভাল করে চেয়ে দেখ বার বার ,

কে সে ভাগ্যবান যাকে ডাকে আল্লাহর দরবার ,

'' হে প্রশান্ত আত্মা !

ফেরে আসো তোমার রবের দিকে ,

সন্তুষ্ট এবং প্রিয়পাত্র হিসেবে ।

আমার নেক বান্দাহদের মধ্যে শামিল হও ,

এবং প্রবেশ কর আমার জান্নাতে' '' । সুরা ফজর ২৭--৩০ ।

বিষয়: বিবিধ

২০৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File