সেক্যুলারদের অটোপিয়া পৃথিবীর কোথাও বাস্তবায়িত হয়নি

লিখেছেন লিখেছেন আবরার ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:০১:০৩ দুপুর



সেক্যুলারিজম মুলত সাম্রাজ্যবাদ এবং আধিপত্যবাদের একটি অস্র । এই অস্র যে রাষ্ট্রে নিক্ষিপ্ত হয়েছে সে রাষ্ট্র ধর্মকে রাষ্ট্র হতে আলাদা করতে চেয়েছে । ধর্ম বিশ্বাসীদের বুক ঝাঁঝরা করেছে কিন্তু আল্লাহর প্রতি আস্থার জায়গাটা ধবংস করতে পারেনি । মুসলিম বা অমুসলিম রাষ্ট্রেও তা সফলতার মুখ দেখেনি । উদাহারন হিসাবে আমেরিকা , বৃটেন এবং ভারতের দিকে তাকান । সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ? হয়নি । বরং তারা ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবেই গুরুত্ব দিয়ে প্রচার -প্রসার -বিকাশের ব্যবস্থা করেছে । অপরদিকে সেক্যুলারিষ্টরা ধর্মকে রাষ্ট্র হতে আলাদা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে । বৃটেনের ন্যাশনাল সেক্যুলার সোসাইটি [NSS] সেক্যুলারিজমের সংজ্ঞা নির্ধারন করেছে এইভাবে ----Secularism is a principle that involves two basic propositions. The first is the strict separation of the state from Religious Institutions . The second is that people of defferent religions and belifes are equal before the law .

এই বৃটেনের ২টি প্রধান ষ্টেট খৃষ্টান ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত । দ্য চার্চ অব ইংল্যান্ড এন্ড চার্চ অব স্কটল্যান্ড । সেখানে রাণী হলেন হেড অব দ্য ষ্টেট এবং সুপ্রীম গভর্নর অব দ্য চার্চ অব ইংল্যান্ড । চার্চ অব দ্য ইংল্যান্ডের অনির্বাচিত ২৬ জন বিশপ [যাজক] হাউজ অব লর্ডস সদস্য যারা গোটা বৃটেনের আইনের উপর প্রভাব বিস্তার করেন ।

শিক্ষায় গীর্জার প্রভাব প্রাধান্য পাচ্ছে এখনও । সেখানে রয়েছে প্রচুর '' ফেইথ স্কুল এবং কলেজ '' । রাষ্ট্র এবং ধর্ম পৃথকী করন সুত্র বৃটেনে আজও সফলতার মুখ দেখেনি ।

***** যুক্তরাষ্ট্র ******

***রাষ্ট্রীয়নীতির অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রা-ডলারে ১৯৬৪ সালে লিখেছে যা এখনও চালু আছে , In God we trust .

*** ১৯৫৬ সালে মার্কিন কংগ্রেস '' In God we trust '' জাতীয় লক্ষ্য হিসাবে নির্ধারন করেছে ।

**** আমেরিকার প্রেসিডেন্ট , ভাইস প্রেসিডেন্ট , হাউজ প্রতিনিধি , সিনেট সদস্য , কেবিনেট মেম্বার , উচ্চপদস্ত সামরিক -সরকারী কর্মকর্তাকে গডের নামে শপথ নিতে হয় । শপথের শেষে তারা বলেন ---So help me God . প্রেসিডেন্টকে বাইবেলের উপর হাত রেখে শপথ নিতে হয় । দেশের সর্বোচ্চ পাদ্রীর দায়িত্বে শপথ পরিচালিত হয় । ধর্ম রাষ্ট্রের উপর কত বেশী শক্তশালী প্রভাব বিস্তারে সক্ষম তা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন । আমাদের সেক্যুলার অটোপিয়ানরা তা বুঝেন না ।

***** ভারত উপমহাদেশে কোন সেক্যুলার রাষ্ট্র আছে কি ? আমাদের সেক্যুলার বন্ধুরা ভারতকে সেক্যুলার রাষ্ট্র হিসাবে দেখাতে চান । মহাত্মা গান্ধী ভারতকে রামরাজত্ব মনে করতেন । দ্বিজাতিত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়েছিল । ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত নেহেরু শপথ নিলেন হোমাগ্নি জ্বালিয়ে এবং বেদ মন্ত্র পাঠ করে । ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিত । পৃথিবিতে ভারত একটি চরম সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসাবে খ্যাত । বাবরী মসজিদ এবং গুজরাটে পাইকারীভাবে মুসলমান হত্যার নায়করা রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত হয়েছে । গুজরাটের মুসলিম হত্যার নায়ক মোদী সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছে ।

আমাদের সেক্যুলারিষ্টগন প্রকাশ্যেই ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন । আজ তারা সেক্যুলারিজম অস্র নিক্ষেপ করে দেশটাকে ২ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছেন । দেশ আজ ঘৃনা এবং ভয় আতংকে ভারাক্রান্ত । এটা যে সাম্রাজ্যবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্ত্ববাদের চক্রান্ত তা খুবই স্পষ্ট ।

জংগীবাদ মুক্ত বাংলাদেশে '' জংগীবাদ -সাম্প্রদায়িকতা '' বৃদ্ধির নাটক তৈরী করা হচ্ছে । প্রতিদিন মিডিয়া চিৎকার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে । তারা মুলত ইসলামী চেতনায় আঘাত করে ইসলামী আন্দোলন রুখতে চায় । তারা জানে না তাদের প্রচন্ড আঘাত ইসলাম পন্থীদের ভিত্তি আরো বেশী মজবুত করবে । ঈমানদারের বুক ঝাঝরা করে ঈমানী শক্তি স্তব্দ করা যায় না । বাংলাদেশে রাষ্ট্র হতে ইসলাম আলাদা করে সেক্যুলারিজম কখনই বাস্তবায়িত হবে না । মহান আল্লাহর প্রতি আস্থাবান ধর্মপ্রান মানুষগুলো তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দিবে না । গায়ের জোরে সংবিধানে কিছু একটা যুক্ত করলেই তা বাস্তবায়ন করা যায় না । কোন আদর্শই জনগনের উপর চাপিয়ে দিলে শুভ ফল আসেনা ।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File