দেশের মানুষ '' বিএনপির '' আদর্শিক অবস্থান স্পষ্টভাবে জানতে চায়

লিখেছেন লিখেছেন আবরার ১৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:০৭:৪১ বিকাল



গাছে কাঠাল রেখেই বিএনপি নেতারা গোঁফে তেল মাখা-মাখি শুরু করেছে । জনতার উপর নির্ভরতার পরিবর্তে কুটনৈতিক নির্ভরতা মুখ্য হয়ে দাড়িয়েছে তাদের । ৫সিটির বিজয়ে কুটনৈতিক মিশন দরকার করেনি । বরং এই বিজয় বিদেশীদের বদ্ধমুল ধারনা পরিবর্তন করেছে । আওয়ামী জনপ্রিয়তার তলানী তারা টের পেয়েছে । দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করেছে । এখন ক্ষমতায় কাদের দেখতে চায় তা বিদেশ মহল বুঝেছে । জনগন যে দিকে তারাও সেই দিকে হাঁটবে । তাদের পিছু পিছু হাটতে হবে কেন ? তাদের বাড়তি আগ্রহের পিছনে মতলব থাকে যা আদৌ কেউ প্রকাশ করেন না । ক্ষমতায় গেলে কি করবেন তা জানাতে হবে একজন কুটনৈতিককে । বিষয়টা খুবই দুঃখজনক । বড় দেশের কুটনৈতিকের সাথে বৈঠক । মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার । মনে হচ্ছে যেন হিমালয় বিজয় হয়ে গেছে ।

যেখানে নির্বাচন অনিশ্চিত । সেখানে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখা । এত সহজে ক্ষমতার স্বপ্ন বাস্তব রুপ নিবে । স্বাভাবিক পন্থায় ক্ষমতা ছাড়বে না শেখ হাসিনা । প্রয়োজনে জরুরী অবস্থা জারি করে ক্ষমতায় থাকবেন । তবুও তত্ত্বাবোধায়ক সরকার গঠন করবেন না । তাদের ধারনা বিএনপি সর্বশেষ দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করবে । তিনি জানেন আন্দোলন করে বিএনপি কিছুই করতে পারবেনা । বিএনপির হাক-ডাক-আস্ফালনে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসেনা ।

দলীয় সরকারের দায়িত্বে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি বিজয় লাভ করবে ---এমন যুক্তি যারাই দেন তারা যে বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না তা ম্যাডাম বুঝতে পারছেন কি ?দেশের ভিতরে এবং বাইরে একটি চক্র এই মিশন নিয়ে ব্যস্ত ।

আর একটি মিশন ব্যস্ত --এরশাদ- পীর সাহেব চরমোনাই - হেফাজতের এক অংশ এবং ভান্ডারীদের নিয়ে একটি '' ইসলামী ফ্রন্ট '' তৈরীর কাজে । এই মিশনের মুল নায়ক এরশাদ । শেখ হাসিনার গ্রীন সিগনালেই চলেছে এই মিশন । এরশাদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার প্রতীক্ষায় আছেন । ঐ সময় তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠায় বাকী জিন্দেগী কাটিয়ে দেবার ঘোষনা দিয়ে কেঁদে ফেলবেন । হুজুরদের কিভাবে ধোকা দিতে হয় তার কৌশল চাচার জানা আছে ।

এমন প্রক্ষাপটে ইসলাম পন্থী এবং ধার্মিক মুসলমানের ভিতর ধুম্রজাল সৃষ্টি হতে পারে । বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংকে বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে । ইসলাম পন্থীদের অব্যক্ত বেদনা -নির্মম নিষ্ঠুর আঘাতের ২ ঘা চাঙ্গা হতে পারে ।

১] হেফাজতের উপর যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আওয়ামী লীগ তার যথার্ত জবাব বিএনপি দিতে পারে নি এবং এই নিরীহ আসহায়দের পাশে যেভাবে দাঁড়ানো দরকার ছিল তার ব্যর্থতা ।

২] রাজপথে তাদের সবচেয়ে বড় বিশ্বস্থ সাথী হল জামায়াত । এই জামায়াতের চরম দুর্দিনে বিএনপি যথার্ত ভুমিকায় নেই । গা বাচানো ধোঁয়াটে বক্তব্য দিয়ে ঘরে অবস্থান করেছে । হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষনা করল । বিষয়টি ১০০ ভাগ রাজনৈতিক । ইসির দায়িত্ব আদালত পালন করবে কেন ? যা বাতিলে ইসির আইনে ধরে না তা আদালতের হাত বেশী লম্বা বিধায় বাতিল হবে ? এমন একটি অপকর্ম ঠেকাতে বিএনপির শক্ত-নরম কোন ভুমিকা নেই ।জামায়াত নিষিদ্ধ হলেও বিএনপি চুপ থাকবে ?

এসকল ব্যাপারে হেফাজত-জামায়াত জনশক্তির চাপা ক্ষোভ রয়েছে । ম্যাডামকে এসকল ব্যাপারে কার্যকরী ভুমিকা নিতে হবে । ম্যাডাম ড্যান মজিনাকে কি বলেছেন তা নিয়ে আম পাবলিক এবং ইসলাম পন্থীদের খুব মাথা ব্যথা নেই । কিন্তু এই বার ক্ষমতায় গেলে বিএনপির আদর্শিক অবস্থান কি হবে তা তাদের জানার অধিকার আছে । অন্যতম মৌলিক বিষয় গুলো এখনই স্পষ্ট হতে হবে ।

******ধর্মঅনিরপেক্ষমতবাদ সংবিধানে থাকবে , না আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা-বিশ্বাস স্থাপন সংযোজিত হবে ।

****** বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বাতিল করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে কি ?

******আল্লাহ-রসুল স এর বিরুদ্ধে কুৎসা-বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের শাস্তির বিধান কার্যকরী পদক্ষেপ গৃহীত হবে কি ?

****** অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঠেকাতে কি কি পদক্ষেপ নিতে চান ?

*******সেকুলার শিক্ষাব্যবস্থা বাতিল করে কি ধরনের শিক্ষানীতি গৃহীত হবে ?

এই সকল আদর্শিক বিষয় এবং অন্যান্য গুরুত্বপুর্ন ইসুতে বিএনপির নীতিনির্ধারনী বডি হতে লিখিত সিদ্ধান্ত জনগন জানতে চায় । নতুন ধারার বাংলাদেশ গড়ার রুপ রেখা প্রকাশ করা জরুরী । আওয়ামী লীগের অপকর্মের ডকুমেন্টারী তৈরী করে পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা দরকার । ঘরে ঘরে পৌছানোর ব্যবস্থা জরুরী । জেলা-থানা পর্যায় আলাদা মেধাবী যুবকদের নিয়ে শক্তিশালী প্রচার টীম গঠন সময়ের দাবী । সাইবার যুদ্ধের আলাদা সেল থাকা জরুরী । ১৮ দলের সম্মেলিত রুপ রেখা থাকা দরকার ।

বিষয়: বিবিধ

১২৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File