সকল দলের গঠনতন্ত্রই সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং সকল দল ইসি'র বিধি -বিধান লংঘন করে চলেছে । শুধু জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ কেন ?
লিখেছেন লিখেছেন আবরার ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৩২:০৯ দুপুর
বাংলাদেশে ইসির নিবন্ধনভুক্ত দলের সংখ্যা বর্তমানে ৩৮ টি । সকল দলের গঠনতন্ত্র আছে । গঠনতন্ত্রে দলগুলোর আদর্শ,লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কর্মসুচী,পরিচালনা বিধিমালা , সাংগঠনিক কাঠামো সহ মৌলিক বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ রয়েছে । মাত্র বড় কয়েকটি দলের গঠনতন্ত্র এবং বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা ,৫ ক-২ ,৭ [১] [২] দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন সাংঘর্ষিক অবস্থানটি । নিবন্ধনের শর্তাবলীর সাথে মিলিয়ে দেখলে সকল দলের আচরন বিধি লংঘন বা শর্ত ভংগের চিত্র পেয়ে যাবেন । এই ব্যাপারে আপনাকে খুববেশী গবেষনা করতে হবে না ।
আওয়ামী লীগ সহ সকল দলের যখন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থা এবং নিবন্ধন শর্তাবলী লংঘন চলেছে তখন শুধু মাত্র দেশের বৃহত্তম-সুসংগঠিত ইসলামী দল '' জামায়াতে ইসলামী '' কে নিয়ে সরকারের এত মাথা ব্যাথা কেন ? আদালতের মাধ্যমে কেন তাদের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষনা করতে হবে ? প্রশ্ন দাঁড়ায় নির্বাচন কমিশনের অক্ষমতা , দুর্বলতা , অযোগ্যতা নিয়ে । নির্বাচন কমিশনের শর্তাবলী পুরন ছাড়া কি জামায়াত কে নিবন্ধিত করা হয়েছিল ? ইসি দায়ভার কোর্টের উপর ছেড়ে দিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করল ? আর সরকার কোর্টের গাঁড়ে বন্দুক রেখে মুলত '' ধর্মভিত্তিক রাজনীতি '' করার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে চায় । ধর্মভিত্তিক কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে হলে সরকারকে ৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতে হবে । আরো একটি সংশোধনী আনতে হবে এবং বড় ধরনের সুনামীর সম্মুখীন হতে হবে । তাই সরকার কৌশলে আদালতের মাধ্যমে জামায়াতের নির্বাচন করার মোলিক অধিকার কেড়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে । জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষনার কারন এখনও জানা যায়নি । এটা কি সাংবিধানিক , ইসি শর্তাবলী জনিত , রাজনৈতিক না ধর্মীয় কারন তা দেশের মানুষ জানতে চায় । না প্রধানমন্ত্রীর '' সামথিং নিডস টু বি ডান নাঊ '' মন্তব্য [ ৩/৮/১৩ ডেইলি স্টার ] কি আসল কারন ?
***** সকল দলের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক *****
সংবিধানের শুরুতে প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রের ৪ মুলনীতি নির্ধারিত আছে । সেখানে বর্তমান আওয়ামী সরকার মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস বাতিল করে '' ধর্মনিরপেক্ষমতবাদ '' সংযোজন করেছে । ধর্মনিরপেক্ষমতবাদ একমাত্র আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ছাড়া আর কোন দলের আদর্শ হিসাবে নেই । তাই তাদের গঠনতন্ত্রে এই আদর্শ নেই । এই বিবেচনায় একমাত্র '' আওয়ামী লীগ '' ছাড়া বাকী সব দলের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক । তাইলে বাকী দলগুলো সংবিধানকে অস্বীকার করে ? তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে ?
**** আওয়ামী লীগের '' বাংগালী জাতীয়তাবাদ '' সংবিধানে নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে । এই মুলনীতি আর কোন দলের গঠনতন্ত্রে আছে কি ? নেই । এই দিক হতেও বাকী দলগুলোর গঠনতন্ত্র সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক । সকল দলের ভাষায় আমরা বাংলাদেশী । আর আওয়ামী ভাষায় বাংগালী ।
*** সংবিধানের ৫[২ক ] -----'' প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম '' । অর্থাৎ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির রাষ্ট্রীয় আদর্শ ইসলাম । একমাত্র ইসলাম পন্থী দল ছাড়া আর কোন দলের গঠনতন্ত্রে ইসলাম তাদের আদর্শ হিসাবে নির্ধারিত হয়েছে ? এই ধারা মোতাবেক ইসলামী দল , যারা ইসলামী মুল্যবোধে বিশ্বাসী এমন দল ছাড়া বাকীদের গঠনতন্ত্র অবশ্যই সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ।
**** ৭ । [১ ] প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ , এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কতৃত্বে কার্যকরী হবে ।
[২] জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরুপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয় , তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপুর্ণ , ততখানি বাতিল হইবে ।
আওয়ামী - বাম পন্থীরা সংবিধানের এই ৭ম অনুচ্ছেদের আলোকে একটি মিথ্যা প্রচার চালায় যে জামায়াত এই ধারা মানে না । তাদের অপপ্রচার জামায়াতের গঠনতন্ত্র এই ধারার সাথে সাংঘর্ষিক । কিন্তু তারা জামায়াতের সাংঘর্ষিক ধারাটি উল্লেখ করছেন না । রিটকারী আইনজীবি বলেছেন --জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংবিধান বিরোধী । যে সকল দল '' ধর্মনিরপেক্ষমতবাদ '' কে তাদের আদর্শ হিসাবে দলের গঠনতন্ত্রে রাখেনি তাদের কি আবস্তা হবে ? বিএনপি , জাতীয় পার্টি , ইসলাম পন্থী সহ সকল দলের একই দশা হবে ? দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থায় নেই এমন দল পৃথিবীর কোথায়ও খুঁজে পাবেন ?
সংবিধান জনমতের অভিব্যক্তি । পরিবর্তনশীল । জনগণের জন্যে সংবিধান । এটা কোন ঐশী গ্রন্থ নয় । ক্ষমতায় যারাই আসেন সংশোধন করেন । জনস্বার্থে বা জনগনের অভিপ্রায়ের আলোকে সংশোধন খুব কমই ঘটেছে । আমরা এই পর্যন্ত আমাদের সংবিধান ১৫ বার সংশোধন করতে দেখেছি । তাতে ব্যক্তি এবং দলীয় স্বার্থই বেশী প্রাধান্য পেয়েছে । আবার সংশোধনী ক্লীন -বাতিল হয়েছে । জনমত তোয়াক্কা করা হয়নি । একটি রাজনৈতিক -ধর্মবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যে একটি চিহ্নিত গ্রুপ উঠে-পড়ে লেগেছে । নিজেরা সংবিধান মানছে না । প্রতিপক্ষকে সংবিধান শিখান । সংবিধানের দোহাই দেন । আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন । লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসবে যদি বিবেক থাকে । কারো জন্যে ফাঁদ তৈরী করলে সেই ফাঁদে নিজেরাই পরে যাবেন মনের অজান্তে । কেউ বাচাতে আসবে না ।
**** সকল দল ইসির শর্ত লংঘন করে যাচ্ছে ****
ইসির নিবন্ধন শর্তে রয়েছে --------কোন দলের বিদেশে শাখা এবং অঙ্গ সংগঠন [ ছাত্র-যুবক-শ্রমিক-অন্যপেশাজীবি ] থাকতে পারবে না । আওয়ামী লীগ , বিএনপি , জাতীয় পার্টি , জামায়াত সহ কোন দল কি এই শর্ত মেনে চলেছে ? ইসির আইনে --দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সকল পর্যায়ের কমিটির সদস্যদের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে । জামায়াত ছাড়া বড় বড় কোন দলটি এই আইন মেনে কমিটি বানায় ? অধিক সংখ্যক দল নির্বাচন ছাড়াই কমিটি ঘোষনা করে । এই বিবেচনায় প্রায় সকল দল নিবন্ধ শর্তাবলী লংঘন করে যাচ্ছে । তাদের নিবন্ধন কি বাতিল হবে ? শুধু মাত্র জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল কেন হবে ?
২০০৮ সালের ২ নভেম্বর ইসি জামায়াতকে নিবন্ধনভুক্ত করে । ইসি ২৭-২৮ অক্টবর ২০০৮ এ সংবাদ পত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জামায়াতের নিবন্ধনে কারো আপত্তি থাকলে শুনানিতে অংশ নিতে বলে । আওয়ামী পন্থী ৯ সংগঠন আপত্তি জানায় এবং তারা শুনানিতে অংশগ্রহন করেছিল । সেই শুনানির পরে ইসি জামায়াতকে নিবন্ধন দেয় । জামায়াত ইসির দেয়া শর্তাবলি মেনেই নিবন্ধন নেয় । জামায়াত কোন শর্ত লংঘন করলে ইসিই নিবন্ধন বাতিল করতে পারে । ইসির সেই ক্ষমতা রয়েছে । ইসির সেই দায়দায়িত্ব কোর্টের উপর গেল কেন ? জামায়াতের নিবন্ধনে আপত্তি জানিয়ে যারা শুনানিতে অংশ নিয়েছিল সেই ৯ সংগঠনের কেউ কোর্টে রিট করেনি । রিট করেছে অপর আওয়ামী পন্থী ভান্ডারী-কবর পুজারী কতিপয় দল এবং নেতা । তারা আবেদনে ৪ টি কারনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের দাবী জানায় ।
১] জামায়াত নীতিগতভাবে জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস বলে মনে করে না ।
২] জামায়াত একটি সাম্প্রদায়িক দল ।
৩] জামায়াতে ধর্ম-বর্ণ লিংগ বৈষম্য বিদ্যমান । তাদের শীর্ষ পদে কখনো কোন নারী বা অমুসলিম যেতে পারবে না ।
৪] জামায়াত বিদেশের একটি সংগঠনের শাখা ।
মাইজ ভান্ডারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি ব্যাঞ্চ ১ আগষ্ট ' ১৩ তারিখে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষনা করেছে । সিনিয়র বিচারপতি দিয়ে সাংবিধানিক বা স্পর্শ কাতর কোন বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যে ব্যাঞ্চ গঠিত হয় ।এই ক্ষেত্রে সেই ঐতিহ্য রক্ষা করা হয়নি । এই ব্যাঞ্চে একজন ২০০% দলীয় জুনিয়র বিচারক আছেন । মুসলমান দুরে থাক একজন সুস্থ্য বিবেকের অমুসলিম নাগরিক কি ভান্ডারীদের এই বক্তব্যের সাথে একমত হবেন । এমন অযুক্তিক -গাজাখুরি কারনে কি জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে ? হাইকোর্টের পুর্ণাংগ রায় এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি । তাই নিবন্ধন কেন অবৈধ তা জানা যায়নি । ফলে অপপ্রচার - বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরী হল । রায় প্রদানে তিন বিচারকের ব্যাঞ্চ সর্বসম্মত রায় দিতে পারেননি । ১জন বিচারক ভিন্নমত পোষন করেছেন । এটি একটি বিভক্ত রায় । পুর্ণাংগ রায় পেলেই অস্পষ্টতা দুর হবে । প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
**** এখন জামায়াত কি করবে ? *****
জামায়াতের সামনে কঠিন পরীক্ষা । বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ । জামায়াত দেশের আইন মেনে সাংবিধানিক পথেই আগাচ্ছে । তারা সশস্র বিপ্লবে বিশ্বাসী নয় । একটি গণবিপ্লবের ভিত্তি তৈরী হয়েছে বা সেই প্রস্তুতিও তাদের নেই । আইনী লড়াইয়ের সাথে রাজপথে থাকতে সরকার তাদের বাধ্য করেছে । রাজপথে জামায়াত জনশক্তির দুঃসাহসীক মজবুত অবস্থান সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে । সরকারের '' দেখা মাত্র গুলি '' করার নির্দেশ তারা মোটেই আমলে নেয়নি । এখন নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নিলেই জামায়াত সরকারের সাথে আপোষ ফরমুলায় যাবে ? জামায়াত স্তব্দ হয়ে যাবে ? জামায়াতে চরম হতাশা নেমে আসবে ? এমন অবাস্তব ভাবনার একজন মানুষও জামায়াতে নেই । সময় হলে কি করতে হবে সেই প্রস্তুতি , অভিজ্ঞতা,যোগ্যতা জামায়াতের আছে । এই আত্মবিশ্বাস তাদের জনশক্তির ভিতর রয়েছে ।
***আসলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র *****
জামায়াত রায় ঘোষনার দিনই আপীল বিভাগে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে । ঐদিন আপীল বিভাগ বন্ধ হয়ে যায় । তাই শুনানী হয়নি । অবকাশের পর শুনানী হবে । কিন্তু আপীল বিভাগের বিতর্কিত বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক [ অবকাশকালীন চেম্বার জজ ] ৫/৮/১৩ তারিখে বাদী-বিবাদীর আবেদন ছাড়াই স্বপ্রনোদিত হয়ে জামায়াতের আবেদনটি খারিজ করে বিচারবিভাগে এক কলঙ্কজনক ইতিহাস তৈরী করেছেন । এক বিচারপতি তত্ত্বাবোধায়ক বিধান বাতিল করে দেশকে সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছেন । আর এক বিচারপতি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের উদ্যোগ নিলেন কি ?
বিষয়টি শুধু সাংবিধানিক নয় । এর সাথে আছে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কারন । মিলিয়ন প্রশ্ন জড়িয়ে আছে । আওয়ামী সরকার তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে । আওয়ামী-বাম পন্থী মহল বার বার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী জানাচ্ছে । তাদের ধর্মহীন রাজনীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা হল জামায়াত । কোন ইসলাম পন্থী যাতে পার্লামেন্টে - সরকারে প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থাটি পাকাপোকত করতেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের গভীর চক্রান্ত চলেছে । হাইকোর্ট কি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করে ইসলামী আদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে ? তারা কি কোরআন - হাদীসের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে ? ধর্মবিদ্বেষী-নাস্তিক শাহাবাগী গুটি কতেক লোকের দাবী বাস্তবায়ন করবে ? শাহারিয়া-মুন্তাসিরদের ফর্মুলায় দেশটি আস্তিক-নাস্তিক রেখায় বিভক্ত প্রক্রিয়া কি বাস্তবায়িত হয়ে ইরাক-আফগান-সিরিয়ার আকার ধারন করবে ?
এই দেশের মানুষ ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত কখনও সহ্য করেনি । ধর্ম নিয়ে কেউ খেলা করবেন , ইসলাম পন্থীদের উচ্ছেদ করবেন , ইসলামী ব্যক্তিত্ব - ধর্মীয় নেতাদের অপবাদ দিবেন , নির্যাতন করে শেষ করে নিজেরা ভাল থাকবেন । থাকতে পারবেন না । এখন কি ভাল আছেন ? ভয় - ভীতি -টেনশন - দুঃখ-বেদনা -হতাশায় আপনারা কাতর হয়ে গেছেন । দয়া করে আর জ্বালাযন্ত্রনা দিয়েন না । অবকাশে যান । আগুন নিয়ে খেলা করবেন না । যারা প্রকাশ্যে গুলির মুখে বুক পেতে দাড়াতে পারে তাদের ঈমান-আকিদায় আঘাত বুমেরাও হবে ইনশাআল্লাহ । মিথ্যার পতন এবং সত্যের বিজয় হবে নিশ্চিত ।
বিষয়: বিবিধ
১৫০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন