বাম্পার ফল শিক্ষায় ধস । পাসের হার বেড়েছে কিন্তু মান বাড়েনি ।

লিখেছেন লিখেছেন আবরার ০৩ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৫৯:১১ দুপুর

সর্ব ক্ষেত্রে রাজনীতি । ফলাফল নিয়েও সস্তা জনপ্রিয়তা প্রাপ্তির আশা । বিগত কয়েক বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বাম্পার ফল দেখে তাই মনে হচ্ছে । কৃষিতে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে । সন্তানের ফেল সংবাদে মা-বাবার বুক ফাটে । তাই শিক্ষাবিভাগ অভিভাবকের চোখে মুখে হাসি ফুটাবার প্রতিযোগিতায় নেমেছে । শিক্ষামন্ত্রী - শিক্ষাবোর্ড পাসের হার আর জিপি-৫ জ্যামেতিক হারে বাড়িয়েছে । ফলাফল মুল্যায়ন করলে যে কোন ব্যক্তি বুঝতে পারবেন এমন আকাশ চুম্বী অগ্রগতির মুল রহস্য কি । পাসের হার বাড়ছে কিন্তু মান বাড়ছে না । শিক্ষায় যারা ধস ঠেকাবেন তারাই বাম্পার ফলের আয়োজক । এই জাতিকে কে রক্ষা করবে ? অনৈতিকতার প্লাবনে শিক্ষাঙ্গন ভেসে যাবে । তাতে কি ? রাজনীতি করতে শিক্ষা - মেধা - নৈতিকতা লাগে না । সস্তা রাজনীতির বস্তা বস্তা কুফলে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা হলে লাভ বেশী । বস্তির ভিসিদের কদর বাড়বে । এক ভয়ানক রাজনৈতিক খেলা চলেছে সবখানে । দেখুন বিগত কয়েক বছরের চিত্রঃ

এইচ এস সি ফলাফল

======================

সন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ন পাসের হার জিপিএ-৫

-----------------------------------------------------------------------------

2006 * 5,10,949 * 3,35,454 * 65.65 * 9,864

-------------------------------------------------------------------------------

2007 65.60 * 11,140

---------------------------------------------------------------------------------

2008 * 6,12,381 * 4,66,570 * 76.19 * 22,045

-----------------------------------------------------------------------------------

2009 72 .78 * 20,136

------------------------------------------------------------------------------------

2010 * 7,18,084 * 5,33,369 * 74. 28 * 28,671

-------------------------------------------------------------------------------------

2011 * 7,64,828 * 5,74,261 * 75 . 08 * 39,769

---------------------------------------------------------------------------------------

2012 * 9,17,673 * 7,21,979 * 78 . 67 * 61,162

----------------------------------------------------------------------------------------

2013 * 10 ,12 ,581 * 7,44,891 * 74 .03 * 58,,197

-----------------------------------------------------------------------------------------

******* পাসের হার এবং জিপিএ -৫ প্রাপ্তির সংখ্যা দেখলে মনে হবে শিক্ষায় আমাদের বিরাট সফলতা । একদম বাম্পার ফলন । ২০০৬ সালে যেখানে পাসের হার ছিল ৬৫ .৬৫ সেখানে ২০১২ সালে ৭৮. ৬৭ তে উন্নীত হয়েছে । ২০০৬ সালে উত্তীর্ন ৩,৩৫,৪৫৪ জনের ভিতর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ ,৮৬৪ জন । ২০১২ সালে উত্তীর্ন ৭,২১,৯৭৯ জনের ভিতর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১,১৬২ জন । জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি । ২০১৩ সালে দেখা যাচ্ছে পাশের হার এবং জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে ।

******* এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের চিত্র চরম উতকর্ষতা অর্জন করেছে । বিশ্ব রেকর্ড । অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে । কেডিট প্রপ্তির প্রতিযোগিতা । প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির উন্নত মানসিকতা । ২০০৬ সালে পাসের হার ছিল ৬২ . ২২ । ২০১৩ সালে সে হার লাফাতে লাফাতে এসেছে ৮৯ . ০৩ ভাগে । ২০০৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০,৪৯০জন আর ২০১৩ সালে জিপিএ-৫ পায় ৯১,২২৬ জন । আমাদের বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী কেন পিছিয়ে থাকবেন ? তিনি পাসের হার বৃদ্ধি এবং জিপিএ-৫ বাড়াতে অতিতের সকল রেকর্ড ভেংগেছেন । শিক্ষায় চরম সফলতা দেখিয়েছেন ।

পাসের হার বৃদ্ধি হল । জিপিএ-৫ সংখ্যা বাড়ল । কিন্ত শিক্ষার মান কি বেড়েছে ? মোটেই বাড়েনি । তার প্রমান দেখুন -----

******* ২০১২-১৩ শিক্ষা বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবীরা গণহারে ফেল করেছে ****

**** ''ক'' ইউনিট বিজ্ঞান বিভাগ *****

এই বিভাগে ফেল করেছে ৫১ ভাগ । ভর্তি পরীক্ষার্থী-- ৬২,১২০ , এদের ভিতর জিপিএ-৫ পাওয়া ছিল -- ৩০,৯১৪ জন , তাদের ভিতর পাস করেছে --১৫,১২৭ জন ।

***** '' খ '' ইউনিট কলা বিভাগ *****

এই অনুষদে ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থী ফেল । এই ইউনিটে আসন - ২,২৭৫ , ভর্তি পরীক্ষার্থী -৩৮,৩৭৪ , তাদের ভিতর জিপিএ-৫ পাওয়া ছিল - ৫,৯০১ জন । এদের ভিতর পাস করেছে মাত্র ১,৪৫৪ জন ।

****** '' গ '' ইউনিট ব্যবসায়ে শিক্ষা ****

এই বিভাগে ফেল করেছে ৫৮ ভাগ । আসন --১,০৭৫ , ভর্তি পরীক্ষার্থী -- ৪১,৪৮১জন । তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া ছিল --৭,৮২৭ জন । পাস করেছে ৩২৮৭ জন ।

****** '' ঘ '' ইউনিট ****

বিভাগ পরিবর্তনকারী '' ঘ '' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফেল করেছে ৯০ ভাগ । আসন --১২৬২ , ভর্তি পরীক্ষার্থী--৫৯,৮৭৫ জন । তাদের ভিতর জিপিএ-৫ পাওয়া --১৫,০৯০জন । এদের ভিতর পাস করেছে ১,০৪৭ জন ।

[সকল ইউনিটে ১২০ নম্বরে পাস নম্বর ৪৮ ]

জিপিএ -৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এই মান হলে বাকীদের অবস্থা কি ? ভর্তি পরীক্ষায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী পাস নম্বর পেলো না । তারা জিপিএ-৫ পেলো কিভাবে ? এর কোন সঠিক জবাব শিক্ষামনত্রালয় এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট আছে কি ? শিক্ষায় মান বাড়েনি এই কথা শিক্ষামন্ত্রনালয় স্বীকার করবে না । রাষ্ট্রের কেউ তাদের ব্যর্থতা দেখে না । এই মন্ত্রনালয় দেখবে কেন ?

**** জ্যামিতিক হারে এই বৃদ্ধির আসল কারন কি ? ******

***** উত্তর পত্র মুল্যায়নে খুব বেশী উদারতা *****

একটু লিখলেই নম্বর দিতে হবে । ফেল যেন না করে । এটা বোর্ডের নির্দেশ । পরীক্ষককে আপনি জিজ্ঞেস করলে তিনি এই জবাব দিবেন । উত্তর পত্র যথাযথভাবে মুল্যায়ন না করা যে একটি অপরাধ -অনৈতিক কাজ তা বোর্ড-পরীক্ষক মানতে নারাজ । বোর্ডের নির্দেশনা না শুনলে তিনি পুনরায় পরীক্ষক হতে পারবেন না । এটা তার আর্থিক লোকসান ।

বোর্ড চেয়ারম্যান রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পান । শিক্ষামন্ত্রনালয়ের হুকুম পালন প্রধান কর্তব্য । অতএব তারা সবাই দায়মুক্ত । ভাল রেজাল্ট পেয়ে ছাত্র-অভিভাবক তো খুশীতে আত্মহারা । যে শিক্ষার্থী পাসের যোগ্য কিন্তু জিপিএ-৫ এর অযোগ্য । সে যখন জিপিএ-৫ পেলো তখন তাকে খুব ভাগ্যবান বলতে হয় । আর যখন বিশেবিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় তখন কি তার ভাগ্যকে দায়ী করব ? তার এই ব্যর্থতার জন্যে দায়ী কি সে একা ? অভিভাবক , বিষয় শিক্ষক , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , পরীক্ষক , বোর্ড এবং শিক্ষামন্ত্রনালয় সম্মেলিতভাবে দায়ী ।

*** অভিভাবকের উদাসীনতা *****

আমাদের অধিক সংখ্যক অভিভাবক সন্তানের লিখাপড়ায় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেন না । মায়ের পীড়াপীড়িতেই সন্তানরা লিখাপড়া করে । বাবারা এই ক্ষেত্রে বেশী উদাসীন থাকেন । প্রতিষ্টানের সাথে এবং প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখেন না । তিনি শুধু টাকা দিবেন । সন্তান পরীক্ষার জন্যে কতটা প্রস্তুতি নিচ্ছে , কতটুকু যোগতা অর্জন করল তা দেখার সময় তার নেই বা এমন গরজ বোধ করেন না ।

***** বিষয় শিক্ষকের দায়িত্ববোধ অকেজো *******

একজন শিক্ষকের দায়িত্ববোধ থাকবে না তাতো বলা যায় না । তবে নিজের সন্তান হলে যেভাবে যত্ন নেন সে ভাবে ছাত্র-ছাত্রীর পাশ-ফেল-মেধা মুল্যায়নে যথেষ্ট ঘাটতি আছে নির্ধিধায় বলা যায় । শ্রেনীতে পাঠদানে অধক্ষ্যতা , অমনযোগী , শিক্ষায় বানিজ্যিক চিন্তাচেতনা , দায়িত্ব ফাকী , নিজের বিষয়টি শ্রেনী কক্ষে যথাযথভাবে শেষ করার মানসিকতা না থাকা , করতে না পারায় বেতন হালাল হচ্ছে না এমন ধারনা পোষন না করায় শিক্ষায় চরম ধস নেমে আসার অন্যতম কারন । শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ববোধ অকেজো হয়ে আছে । আমি বাস্তব অভিজ্ঞতা হতে বলছি ।

অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ ক্ষেত্রে '' যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ '' হয় না । হাজার হাজার টাকা নিয়ে অগা-বগা আত্মীয়-দলীয় লোকের বেকারত্ব দুর করা হয় । একটি বিদ্যালয়ের বিষয় শিক্ষক হিসাবে ইন্টারভিউতে কোন দিকদিয়ে বিবেচিত হলেন না অথচ এই লোকটি অপর একটি হাই স্কুলের হেড মাষ্টার হয়ে গেলেন । তার সাথে আমি কলেজ হতে বের হয়ে ছিলাম । তাই তার ভিতরের খবর জানতাম । এই পেশায় ২০ বছর ছিলাম ২০০৩ সালের মে পর্যন্ত । ঝাঁঝালো অভিজ্ঞতা জমা আছে ।

******শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অযোগ্যতা ******

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানুষ তৈরীর কারখানা । শিক্ষক হলেন কারিগর । দেখা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠান হল '' সার্টিফিকেট '' জোগার করে দেয়ার হাতিয়ার । বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি আছে । তাদের দরকার হয় , শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ-বহিস্কার , বেতন বৃদ্ধি , বিল্ডিং তৈরী , বার্ষিক অনুষ্ঠানে । আসল কাজে তাদের ডাক পরে না । বিদ্যালয়ের আসল কাজ বুজা এবং সেই কাজের দেখাশুনার দায়িত্ববান সদস্য পরিচালনা কমিটিতে নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান আগ্রহী নন ।

শিক্ষকদের নিয়ে ভর্তি কমিটি , পরীক্ষা কমিটি , ক্রীড়া কমিটি সব প্রতিষ্ঠানে থাকে । থাকে না শিক্ষার মান পর্যালোচনা কমিটি । ২ বছরে একজন শিক্ষার্থী কতটুকু প্রস্তুত হলো ফাইনাল পরীক্ষার জন্যে তা বুজাতে প্রিটেস্ট -টেস্ট পরীক্ষার আয়োজন । সমিতির ছাপানো সস্তা দামের প্রশ্নে চলে এসকল পরীক্ষা । যারা ৩/৪ বিষয় ফেল করে তাদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা করা হয় । তারপর শুরু হয় কোচিং বাণিজ্য । '' পাস গ্র্যান্টি '' ব্যবসা । বেশী সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের চিত্র আরো ভয়াবহ । পাসের হার বাড়াবার প্রতি্যোগিতা আছে । কিন্তু মান বাড়ানোর উদ্যোগ নেই ।

*****শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের চরম গাফলতি *****

শিক্ষা বোর্ড প্রশ্ন তৈরী-সরবরাহ , পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা এবং সার্টিফিকেট ইসু করবেন । স্কুল-কলেজ পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানে যাবেন কাগজ-পত্র দেখবেন -রিপোর্ট লিখবেন , অনুমোদনের ব্যবস্থা করবেন । শিক্ষা ভবন '' ঘুষ '' নিয়ে এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক -কর্মচারীর বেতন নিশ্চিত করবে । শিক্ষামন্ত্রনালয় নুতুন নতুন পাঠ্যপুস্তক আবিষ্কার করবেন, নতুন নতুন রাইটার-সম্পাদক -বিজ্ঞানী-সাহিতিক-ইতিহাসবীদ নিয়োগ দিবেন ,ফলাফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা দেখাবেন এবং কখনও কখনও শিক্ষামন্ত্রী কেঁদে দিবেন । প্রয়োজনে ফলাফল খারাপ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের বিল বন্ধ করে শিক্ষক-কর্মচারীকে ভাতে মারবেন । বদলী-প্রোমশনের ব্যবস্থা করবেন । নতুন নতুন আইন বানাবেন । এই গুলো সব বোর্ড-মন্ত্রনালয়ের কাম । তারা অবশ্য আরো অনেক কাজ করেন । বাম্পার ফলাফল প্রদান করেন । জ্যামিতিক হারে পাস এবং জিপিএ-৫ দেন । খালি শিক্ষার্থীর মানটা বাড়াতে পারেন না ।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় গণহারে ফেল কেন ? এর উপযুক্ত জবাব আছে কি ? শিক্ষাবোর্ড বলবে মানবৃদ্ধির কাজটাতো আমাদের দায়িত্ব নেই । আমরা উত্তর পত্র মুল্যায়ন করে ফলাফল দেই । উত্তর পত্র মুল্যায়নে আমাদের নির্দেশনা

হলঃ

১] বেশী নম্বর দিবেন না ।

২] ভুলকে সঠিক মনে করে নম্বর দিবেন না ।

৩] কোন শ্রেনীর উত্তর পত্র মুল্যায়ন করেছেন তা বিবেচনায় রেখে নম্বর দিবেন ।

এই বক্তব্যের সাথে পরীক্ষকের বক্তব্যের কোন মিল নেই । বোর্ড যদি এমন নির্দেশ লিখিতভাবে পরীক্ষককে দেয় তাইলে পরীক্ষক উদারভাবে ফেল করলেও পাস নম্বর দিতে পারেন না । একটু লিখলেই নম্বর দিতে পারেন না । নিজে খাতা না দেখে ছাত্র/বন্ধু-বান্ধব দিয়ে খাতা দেখাতে পারেন না ।

শিক্ষা বোর্ড এবং মন্ত্রনালয় মনে করে , সৃজনশীল পদ্ধতি -লাখ লাখ শিক্ষক প্রশিক্ষন -কোটি কোটি টাকার বই বিনামুল্যে বিতরন করায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ বৃদ্ধি পেয়েছে । শিক্ষার্থীরা আগের তুলনায় এখন বেশী স্বচেতন । শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার মান উন্নত হয়েছে । বাস্তব ক্ষেত্রে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তা প্রমান করতে পারেনি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তা প্রমানিত হয়েছে ।

ছাত্র-ছাত্রীরা এই ভাবে গণহারে পাস এবং জিপিএ-৫ পেলে তাদের লিখাপড়ার আগ্রহ থাকবে না । নিজেকে যোগ্য হিসাবে গড়তে ব্যর্থ হবে । অনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকবে । মেধাবীরাও চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে । ভর্তি বাণিজ্যের শিকার হবে । কোন প্রতিযোগিতায় টিকবে না । ৫বিষয় ফেল করেও অনার্সের শিক্ষার্থীরা ২য় বর্ষে উর্ত্তীন সংবাদ জাতির জন্যে খুবই ভয়ানক ঘটনা হিসাবেই ইঙ্গিত করে । শিক্ষায় এই ধস ঠেকাতে না পারলে এক কঠিন সংকট -মহাবিপদ আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছে । তার মোকাবিলা কারা করবে ? শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়কেই এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে । সমস্ত দায়ভার তাদের । শিক্ষায় ব্যর্থতা -ধস-বিপর্যয় এবং সফলতা তাদের উপর নির্ভরশীল ।

**** তথ্য সুত্র ঃ দৈনিক মানব জমিন ।***

বিষয়: বিবিধ

২০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File