ইসির আত্মহত্যাঃ গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনিশ্চিত
লিখেছেন লিখেছেন আবরার ৩১ জুলাই, ২০১৩, ০৬:০৫:৫৪ সন্ধ্যা
ইসি [ নির্বাচন কমিশন ] আত্মহত্যা করেছে । ৩০/৭/১৩ তারিখের জাতীয় গুরুত্বপুর্ন পত্রিকাগুলো সে কথাই বলেছে । যেখানে নির্বাচন নিয়ে বড় ২ পক্ষ মুখোমুখি । অন্ধকার -অনাস্থা -হতাশা দুর হচ্ছে না । এক অনিশ্চিত পরিবেশ বিরাজ করেছে । সেখানে ইসি আত্মবিধবংসী কর্মে লিপ্ত । সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত । ব্যাপক বিতর্কিত ভুমিকায় নিয়োজিত । ষড়যন্ত্রের ছকে উলটা পথে হাঁটছে ।
জাতীয় দৈনিকের হেড লাইন দেখুনঃ
===========================
****দৈনিক মানব জমিন ----ইসির বিতর্কিত যত সিদ্ধান্ত ।
**** দৈনিক প্রথম আলো ------নির্বাচন কমিশনকে দুর্বল করার পক্ষে সিইসির খোঁড়া যুক্তি ।
****দৈনিক যুগান্তর ----প্রার্থীতা বাতিলে স্ববিরোধী ইসি ।
***** দৈনিক আমার দেশ [ অন লাইন ]---নির্বাচনের আগেই অযোগ্য ইসি পরিবর্তন করতে হবে ।
দেশ বরেণ্য বিশিষ্ঠজন কি বলেন ? দেখুন ঃ
================================
**** সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী --- নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষমতা খর্ব করে আত্মহত্যা করেছে । নির্বাচন কমিশন আগে ছিল পোষ্যপুত্র , এখন ঠুটো জগন্নাথ ।
**** প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডঃ তালুকদার মনিরুজ্জামান --এই নির্বাচন কমিশনের অবাধ , সুষ্ঠ এবং গ্রহনযোগ্য জাতীয় নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই । সুতারাং জাতীয় নির্বাচনের আগেই এ নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন করা উচিত ।
**** কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ---আচরন বিধি ভঙ্গের জন্য প্রার্থীতা বাতিল করার বিধান আরপিও থেকে বাদ দেয়াসহ ইসি যে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাতে নির্বাচন কমিশন আরো দুর্বল হবে । একই সঙ্গে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং নির্বাচনে কালো টাকা -পেশী শক্তির ব্যবহার আরো বাড়বে ।
****সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ---- বর্তমানে তাদের হাতে যেটুকু ক্ষমতা আছে সেটুকুঅ বিসর্জন দিচ্ছে । অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন আত্মবিধবংসী কাজ করছে ।
*****বিশিষ্ট আইন-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ আসিফ নজরুল ---- এ নির্বাচন কমিশন সরকারের একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান । এর কোন স্বাধীন চরিত্র নেই ।
***** ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ পিয়াস করিম ----অবাধ , সুষ্ঠ এবং গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান কমিশনের উচিত সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া । অন্যথায় পরিস্থিতি আরো জটিল হবে ।
মুলত আওয়ামী লিগকে ক্ষমতায় বসাতে ইসি উঠেপড়ে লেগেছে । নীলনকশার নির্বাচনের '' ষড়যন্ত্র তত্ত্ব '' মা-বেটার তৈরী যা মুখ ফসকে বেটা ফাঁস করে দিয়েছে । ইসি মা-বেটার ডিজিটাল ইঞ্জিনিয়ারিং পথে এগিয়ে যাচ্ছে ।
*** বিএনপির ধানের শীষের আদলে গমের শীষ প্রতীক বরাদ্ধ দিয়ে বিএনএফকে নিবন্ধনভুক্ত করে বিএনপিকে ভাংগা এবং ভোটারদের চোখে ধোকা দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইসি ।
*** নির্বাচনের দায়িত্বে সেনাবাহিনী থাকবে না ।প্রতিহিংষার এই দেশে ইসির এই সিদ্ধান দেশের মানুষ মানে না । সেনাবাহিনী হবে পুতুল ।তাইলে নির্বাচনটা হবে কেমন ? তা পাগলেও বুঝে । এমন নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নিতে পারে না ।
***** এখন প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী-এমপিরা রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগকরে জনগনের নিকট ভোট চান যা খুবই আপত্তিজনক । নির্বাচন চলাকালিন সময়ও সেই সুবিধা যাতে ভোগ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে ইসির প্রার্থীতা বাতিলের ক্ষমতা খর্ব করার উদ্যোগ ইসি নিজেই নিয়েছে ।
*****দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবে না । এটা ব্যক্তি স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপ । অগনতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত । ইসি এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ।
***** জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে ষড়যন্ত্র আগবাড়িয়ে সিইসি ঘোষনা দিলেন । যা নির্বাচন আচরন বিধি লংঘনের সামিল ।
এই বিতর্কিত - দলীয় আজ্ঞাবহ ইসি শুধু বিতর্কিত নির্বাচন জম্ম দিবে । সাথে দেশময় সংঘাত-সংঘর্ষ ছড়িয়ে দিবে । পুরা সেট পুরাপুরি বদল করা জরুরী । এমন ইসি নিষ্প্রয়োজন । দুনিয়ার সমস্ত ফয়সালা যখন আদালতকে করতে হবে । তখন নির্বাচনের দায়িত্বটাও আদালতকে দিয়ে দিন । তাতে ক্ষমতাসীনদের বেশী সুবিধা । আদালত বিষয়টা ১০ বছর ঝুলিয়ে রাখলে '' শেখ হাসিনার ১০ বছরের মধ্যে নির্বাচন হবে না ঘোষনা '' ১০০% ভাগ কার্যকরী হতে পারে । ইসিও বেচে গেল ।
বিষয়: বিবিধ
১২৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন