প্রধানমন্ত্রী ভোটারদের শাস্তি দেয়ার হুমকি দিলেন
লিখেছেন লিখেছেন আবরার ২০ জুলাই, ২০১৩, ০৫:৪৭:৫০ বিকাল
প্রধানমন্ত্রী ৫ সিটিতে '' দুধ-মধুর নহর '' খনন করে দিলেন । ভোটারদের বাড়ীর আঙ্গিনায় নীল আকাশের স্নিগ্ধ সামিয়ানা বিছিয়ে দিলেন । বিজলির চমকে সব আলোকিত করলেন । ঘরে ঘরে চাকরি দিলেন । ১০ টাকা সের চাল খাওয়ালেন । এখন ৫ সিটি ডিজিটাল সিটিতে রুপ নিয়েছে । প্রতিষ্টিত মেয়র ছিলেন ধোয়া তুলশি পাতা । খাটি দেশপ্রেমিক । ৫ সিটি উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছিল । মানুষ নিরাপদে দরজা খুলে ঘুমাত । এমন সুযোগ সুবিধার পরও ভোটাররা ভোট না দেন । তাইলে ভোটাররা শাস্তি পেতে বাধ্য ।
প্রধানমন্ত্রী যাকে ভোট দিতে বলেন তাকে ভোট দেয়া '' ভোটারের দায়িত্ব '' । গাজীপুরে প্রধানমন্ত্রী জাহাংগীরকে ভোট দিতে নিষেধ করলেন । নিজ দলের ৩৫০০ ভোটার জাহাংগীরকেই দিল । বড় বেঈমানী কাম । প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্থ ছিলেন তার মনোনীত প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটে বিজয়ী হবে । কিন্তু ফল হল উলটা । ভোটাররা প্রধানমন্ত্রীকে '' লাল কার্ড '' দেখিয়ে দিলেন ।
নেত্রী রাগে-ক্ষোভে জ্বলে তিলে তিলে পুড়তে থাকলেন । অব্যক্ত বেদনা নিয়ে নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানালেন । ২/১ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশিত হল । প্রতিহিংষার আগুন জ্বলে উঠল । তিনি ভোটারদের হুমকি দিলেন । ঈদের পর ৩/৪ দিন বিদ্যুৎ বন্ধ করে অন্ধকারে রাখার ঘোষনা দিলেন । নির্বাচিত মেয়রদের চোর-ডাকাত-সন্ত্রাসী-খুনী বলে আখ্যায়িত করলেন । যে ভোটাররা এমন চরিত্রের মেয়র বানায় তারাও সেই পর্যায়ের মানুষ । তাই তাদের শাস্তি পেতে হবে ।
যে সকল মেধাবী ভোটার কোটা বিরুধী আন্দোলন করেছে তাদের চাকুরী হবেনা বলে ঘোষনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী । তবে মেধাবী কেউ যদি আওয়ামী হয় তাতে সমস্যা নেই । তারা খুনি হয়ে বা আদালতে বিচারকের বিরুদ্ধে দরজায় লাথি মারতে পারলে সরাসরি হাইকোর্টের বিচারক হতে পারবে । এই ব্যাপারে শেখ হাসিনা যা বলবেন তাই আইন । তাই বলবত হবে ।
মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা । আপনি শুধু আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নন । আপনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী । সরকার প্রধান । আপনার নিকট মানুষ দায়িত্বসুলভ কথা এবং আচরন কামনা করে । আয়নায় নিজেকে দেখুন । পরাজয়ের কারন খুজছেন ? ১০০০ ওয়াট বাল্ব জ্বালিয়েও দেখবেন না । আপনার দলে এমন সাহসী নেতা কি আছে যে বলবে -- '' মাননীয় নেত্রী আপনার জ্বিহবা নিয়ন্ত্রন হলে সব ঠিক হয়ে যাবে , আপনার একক নেতৃত্ব এবং কতৃত্বই ভরাডুবির মুল কারন '' । চমক মন্ত্রীসভার রিনিক-ঝিনিক '' বাচাল , দেশপ্রেমিক , ধবাক্কা তাত্ত্বিক , গুমতাত্ত্বিক , ঠেংগানী বিশারদ , চাপাবাজ, চক্ষু উত্তোলন সার্জন , ডিজিটাল মন্ত্রী মহরতিগন '' নৌকা শুধু ডুবাইনি দেশটাকেও ডুবিয়েছে । ৩ মাস না গেলে পুরাপুরি বুঝবেন না । খামাকা পাগলামী করে লাভ হবে না । সিধা পথে হাটুন । বাঁকা পথে শুধু আশান্তি । জেল -নির্যাতন । এক ঘরে একা একা জীবন । কি লাভ ?
বিষয়: বিবিধ
১০১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন