'' টিকফা '' চুক্তি স্বাক্ষর করে দেশ এবং জাতিকে সাম্রাজ্যবাদের শিকলে বন্দী করবেন না ।

লিখেছেন লিখেছেন আবরার ১৫ মে, ২০১৩, ০৬:৩৫:১৭ সন্ধ্যা

ভুরাজনৈতিক দিক হতে বাংলাদেশ এক গুরুত্বপুর্ণ আবস্থানে আছে । বিশেষকরে ভারত , চীন এবং যুক্ত্রাষ্ট্রের নিকট খুব গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ । অর্থ এবং রাজনৈতিক কারনে এই তিন শক্তিই বঙ্গোপসাগর -ভারত মহাসাগরে স্থায়ী আধিপত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় । তাতে অতি সহজে দক্ষিনপুর্ব এশিয়ার দেশগুলো তাদের ছায়াতলে থাকবে । এই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি ভারত - আমেরিকার আসহ্য । বাংলাদেশের সাথে চীন অথবা আমেরিকার প্রত্যক্ষ সংযোগ এবং বঙ্গোপসাগরে আবস্থান ভারত চায় না । ভারত চায় বাংলাদেশ দিল্লীর রাডারের নীচে থেকে

চীন-আমেরিকার সাথে সাম্ভাব্য সম্পর্ক রক্ষা করবে । তাই ভারত বার বার তাদের বন্ধু সরকার গঠনে উলঙ্গ হয়ে যায় । এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কি করবে ? এই তিন বৃহৎ শক্তির সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করবে বাংলাদেশ । আন্তর্জাতিক চুক্তি হবে দেশ এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে । গোপন চুক্তিতে দেশের স্বার্থ রক্ষিত হয় না । চুক্তির বিষয়াবলী সংসদে খোলামেলা আলোচিত হবে । দেশের মানুষ জানবে । সংবিধানে বিষয়টি স্পষ্ট করে লিখা আছে । '' বিদেশের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে এবং রাষ্ট্রপতি তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন ঃ তবে শর্ত থাকে যে , জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট অনুরুপ কোন চুক্তি কেবল মাত্র সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করা হইবে ।''

*****টিকফা চুক্তি গোপন রাখার সুযোগ আছে কি ? ********

** টিকফা ----প্রথম ছিল টিফা -TIFA- Trade and Investment Framework Agreement [বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতা চুক্তি ] । এই চুক্তির খসড়ার সুচনা ২০০১ সালে । ১৩ ধারা ৯ প্রস্তাবনা । একাধিক বার সংশোধিত হয়েছে । বিভিন্ন মহল হতে সমালোচনা আপত্তি তোলায় চুক্তিটি চুড়ান্ত হয়নি । মাঝখানে Co-operation শব্দটি সংযোজিত হয়ে TICFA-Trade and Investment Co-operation Framework Agreement [ বাণিজয এবং বিনিয়োগ সহযোগীতা সংক্রান্ত কাঠামোগত সমযোতা চুক্তি ] নামে রুপান্তরিত হয়েছে । চুক্তিটি তৈরী করেছে আমেরিকা । একাধিক রাষ্ট্রের সাথে তাদের এই চুক্তি রয়েছে । বাংলাদেশের সাথে আমেরিকা এই চুক্তি চুড়ান্ত করতে চায় । বিএনপি জোট সরকার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেনি । আওয়ামী জোট সরকার করেনি ।

চুক্তি স্বাক্ষরের চাপ চলেছে ক্রমাগতভাবে । আমেরিকা কেন এই চুক্তি করতে বেশী আগ্রহী ? বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের আড়ালে গোপন কিছু আছে কি ? চুক্তির বিষয় বস্তু জনসম্মুখে প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন ? সংসদে কেন পেশ হচ্ছে না ? বাণিজ্য -বিনিয়োগে দেশের উন্নতি হলে সংসদে আলোচনা হতে আপত্তি কেন ? জনগন জানতে চায় এই চুক্তি কার স্বার্থ রক্ষা করবে ?

সংসদকে পাশ কাটিয়ে চুক্তি চুড়ান্ত হলে জনগন অন্ধকারে থাকবে । আমেরিকা অবশ্যিই তার স্বার্থ আগে দেখবে । তাদের বহুজাতিক কম্পানী গুলো '' বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ '' এ সহযোগিতা করবে । উভয় দেশের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে । বাজার উম্মুক হবে । দেশের সেবা খাত বেসরকারীকরন হবে । প্রাইভেট সেক্টর বিকশিত হবে । আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-বিনিয়োগে উদার নীতি গৃহীত হবে । বাণিজ্য মন্ত্রী জি এম কাদের বলেছেন, যুক্ত রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ '' টিকফা '' চুক্তি স্বাক্ষর আমেরিকার বাজারে ''জিএসপি '' সুবিধা অক্ষুন্ন রাখার জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে । যে চুক্তিতে বাংলাদেশের এত লাভ তা এক যুগ ঝুলে থাকল কি কারনে ? কারন গুলোর সমাধান কি হয়েছে ? দেশের বিজ্ঞ অর্থনীতিবীদগন যে সকল আপত্তি -সমস্যা উত্থাপন করেছেন তার আবসান ঘটেছে কি ? এই চুক্তি চুড়ান্ত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন [১৫/৫/১৩ ] আমেরিকায় অবস্থান করছেন বলে কালের কন্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ।

***** দেশবাসীর ভয় এবং আশংকা ******

চুক্তি নিয়ে চরম গোপনীয়তা । সংসদে আলোচনা হয়নি । মিডিয়ায় প্রকাশ পায়নি । পররাষ্ট্র -বাণিজ্য মন্ত্রনালয় কোন ব্রিফিং করেনি । তাই সর্ব মহলে ক্ষোভ , ভয় -আশংকা দেখা দিয়েছে । দৈত্যের সাথে বানরের কুস্তি । নির্ঘাত বানরের পরাজয় । দৈত্যের প্রাধান্য -আধিপত্য বানর রুখতে সক্ষম হবে না । একতরফা দৈত্যের স্বার্থই সুরক্ষা পাবে ।

**** দেশের সেবা খাত বহুজাতিক কোম্পানীর হাতে চলে যাবে ।

***** ঢালাওভাবে বেসরকারীকরন করে অধিক মোনাফাখোরদের প্রাধান্য বিস্তারের পথ সুগম হবে ।

***** দেশীয় শিল্প-কোম্পানীর সুবিধা সংরক্ষন নীতি কোন কাজে আসবে না ।

******মার্কিন বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বা অর্জিত মুনাফার উপর কর আরোপ করা যাবে না ।

****** দেশের গুরুত্বপুর্ণ সেবা খাত -- জ্বালানী , গ্যাস , বিদ্যুৎ , বন্দর , টেলিযোগাযোগ , শিক্ষা , স্বাস্থ্য , পরিবহন ,ঔষধ শিল্প বহুজাতিক কোম্পানীর জন্যে উম্মুক্ত করে দিতে হবে ।

**** মেধাসত্ব আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে । নিজস্ব পণ্য উৎপাদন -বাজারজাতে রয়েলিটি-ট্যাক্স গুনতে হবে । এই আইনের মাধ্যমে তারা গরীব দেশের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জ্ঞান কুক্ষিগত করে তাদের উপর নির্ভরশীল রাখতে চায় ।

***** বর্তমানের ৫ % ভাগ কৃষি ভুর্তুকি আরো হ্রাস করতে হবে । কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন -বিপনন চরম ভাবে বাধাগ্রস্ত হবে ।

******* দরিদ্র-সাধারন মানুষ কম মুল্যে সেবা হতে বঞ্চিত হবে । তাতে অর্থনৈতিক - সামাজিক নিরাপত্তা হুমকীর সম্মুখিন হবে ।

******* দেশের বানিজ্য সংরক্ষন নীতি বিলুপ্ত হবে ।

******* বাংলাদেশ তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারে পরিনত হবে ।

****** আমাদের মত গরীব অনেক দেশ আমেরিকার বাজারে ৯৭ পণ্যের জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে । কিন্তু এই পণ্যের তেমন চাহিদা আমেরিকায় নেই । এই চুক্তির পরও আমাদের পোষাক রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা পাবে না । আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত সর্বোচ্চ ১২% ভাগ শুল্কের জায়গায় বাংলাদেশ আমেরিকায় পোষাক রফতানিতে শুল্ক দিচ্ছে ১৫ ভাগ । চীন দিচ্ছে মাত্র ৩ % ভাগ । এ বছর বাংলাদেশ আমেরিকাকে শুল্কবাবদ দিয়েছে ৫৬০০ কোটি টাকা । পোষাক খাতে জিএসপি সুবিধা প্রাপ্তি অনিশ্চিত ।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কথা মানুষ ভুলেনি । পৃথিবীর বৃহত শক্তি গুলো বহুজাতিক কোম্পানীর মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে । '' বানিজ্য-বিনিয়োগের নামে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করে । বড় বড় মাথা খরিদ করে । অনুতপাদন খাতে বিনিয়োগ করে । নানামুখী শর্ত চাপিয়ে দেয় । গরীব দেশের স্বার্থ ভুলন্ঠিত হয় । মাথা উঁচু করে দাড়াতে পাড়ে না । গলায় পড়িয়ে দেয়া হয় পরাধীনতার শিকল । ফাঁদের পরে ফাঁদ । ফাঁসের পরে ফাঁস । এই ভাবেই চলবে দেশের সর্বনাশ ? কেউ শুনবে না জনগণের হা হুতাশ । চলতে থাকবে স্বদেশের বিনাশ ? কাউকে ক্ষমা করবে না ইতিহাস ।

ভুরাজনৈতিক দিক হতে বাংলাদেশ এক গুরুত্বপুর্ণ আবস্থানে আছে । বিশেষকরে ভারত , চীন এবং যুক্ত্রাষ্ট্রের নিকট খুব গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ । অর্থ এবং রাজনৈতিক কারনে এই তিন শক্তিই বঙ্গোপসাগর -ভারত মহাসাগরে স্থায়ী আধিপত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় । তাতে অতি সহজে দক্ষিনপুর্ব এশিয়ার দেশগুলো তাদের ছায়াতলে থাকবে । এই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি ভারত - আমেরিকার আসহ্য । বাংলাদেশের সাথে চীন অথবা আমেরিকার প্রত্যক্ষ সংযোগ এবং বঙ্গোপসাগরে আবস্থান ভারত চায় না । ভারত চায় বাংলাদেশ দিল্লীর রাডারের নীচে থেকে

চীন-আমেরিকার সাথে সাম্ভাব্য সম্পর্ক রক্ষা করবে । তাই ভারত বার বার তাদের বন্ধু সরকার গঠনে উলঙ্গ হয়ে যায় । এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কি করবে ? এই তিন বৃহৎ শক্তির সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করবে বাংলাদেশ । আন্তর্জাতিক চুক্তি হবে দেশ এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে । গোপন চুক্তিতে দেশের স্বার্থ রক্ষিত হয় না । চুক্তির বিষয়াবলী সংসদে খোলামেলা আলোচিত হবে । দেশের মানুষ জানবে । সংবিধানে বিষয়টি স্পষ্ট করে লিখা আছে । '' বিদেশের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে এবং রাষ্ট্রপতি তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন ঃ তবে শর্ত থাকে যে , জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট অনুরুপ কোন চুক্তি কেবল মাত্র সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করা হইবে ।''

*****টিকফা চুক্তি গোপন রাখার সুযোগ আছে কি ? ********

** টিকফা ----প্রথম ছিল টিফা -TIFA- Trade and Investment Framework Agreement [বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতা চুক্তি ] । এই চুক্তির খসড়ার সুচনা ২০০১ সালে । ১৩ ধারা ৯ প্রস্তাবনা । একাধিক বার সংশোধিত হয়েছে । বিভিন্ন মহল হতে সমালোচনা আপত্তি তোলায় চুক্তিটি চুড়ান্ত হয়নি । মাঝখানে Co-operation শব্দটি সংযোজিত হয়ে TICFA-Trade and Investment Co-operation Framework Agreement [ বাণিজয এবং বিনিয়োগ সহযোগীতা সংক্রান্ত কাঠামোগত সমযোতা চুক্তি ] নামে রুপান্তরিত হয়েছে । চুক্তিটি তৈরী করেছে আমেরিকা । একাধিক রাষ্ট্রের সাথে তাদের এই চুক্তি রয়েছে । বাংলাদেশের সাথে আমেরিকা এই চুক্তি চুড়ান্ত করতে চায় । বিএনপি জোট সরকার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেনি । আওয়ামী জোট সরকার করেনি ।

চুক্তি স্বাক্ষরের চাপ চলেছে ক্রমাগতভাবে । আমেরিকা কেন এই চুক্তি করতে বেশী আগ্রহী ? বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের আড়ালে গোপন কিছু আছে কি ? চুক্তির বিষয় বস্তু জনসম্মুখে প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন ? সংসদে কেন পেশ হচ্ছে না ? বাণিজ্য -বিনিয়োগে দেশের উন্নতি হলে সংসদে আলোচনা হতে আপত্তি কেন ? জনগন জানতে চায় এই চুক্তি কার স্বার্থ রক্ষা করবে ?

সংসদকে পাশ কাটিয়ে চুক্তি চুড়ান্ত হলে জনগন অন্ধকারে থাকবে । আমেরিকা অবশ্যিই তার স্বার্থ আগে দেখবে । তাদের বহুজাতিক কম্পানী গুলো '' বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ '' এ সহযোগিতা করবে । উভয় দেশের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে । বাজার উম্মুক হবে । দেশের সেবা খাত বেসরকারীকরন হবে । প্রাইভেট সেক্টর বিকশিত হবে । আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-বিনিয়োগে উদার নীতি গৃহীত হবে । বাণিজ্য মন্ত্রী জি এম কাদের বলেছেন, যুক্ত রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ '' টিকফা '' চুক্তি স্বাক্ষর আমেরিকার বাজারে ''জিএসপি '' সুবিধা অক্ষুন্ন রাখার জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে । যে চুক্তিতে বাংলাদেশের এত লাভ তা এক যুগ ঝুলে থাকল কি কারনে ? কারন গুলোর সমাধান কি হয়েছে ? দেশের বিজ্ঞ অর্থনীতিবীদগন যে সকল আপত্তি -সমস্যা উত্থাপন করেছেন তার আবসান ঘটেছে কি ? এই চুক্তি চুড়ান্ত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন [১৫/৫/১৩ ] আমেরিকায় অবস্থান করছেন বলে কালের কন্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ।

***** দেশবাসীর ভয় এবং আশংকা ******

চুক্তি নিয়ে চরম গোপনীয়তা । সংসদে আলোচনা হয়নি । মিডিয়ায় প্রকাশ পায়নি । পররাষ্ট্র -বাণিজ্য মন্ত্রনালয় কোন ব্রিফিং করেনি । তাই সর্ব মহলে ক্ষোভ , ভয় -আশংকা দেখা দিয়েছে । দৈত্যের সাথে বানরের কুস্তি । নির্ঘাত বানরের পরাজয় । দৈত্যের প্রাধান্য -আধিপত্য বানর রুখতে সক্ষম হবে না । একতরফা দৈত্যের স্বার্থই সুরক্ষা পাবে ।

**** দেশের সেবা খাত বহুজাতিক কোম্পানীর হাতে চলে যাবে ।

***** ঢালাওভাবে বেসরকারীকরন করে অধিক মোনাফাখোরদের প্রাধান্য বিস্তারের পথ সুগম হবে ।

***** দেশীয় শিল্প-কোম্পানীর সুবিধা সংরক্ষন নীতি কোন কাজে আসবে না ।

******মার্কিন বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বা অর্জিত মুনাফার উপর কর আরোপ করা যাবে না ।

****** দেশের গুরুত্বপুর্ণ সেবা খাত -- জ্বালানী , গ্যাস , বিদ্যুৎ , বন্দর , টেলিযোগাযোগ , শিক্ষা , স্বাস্থ্য , পরিবহন ,ঔষধ শিল্প বহুজাতিক কোম্পানীর জন্যে উম্মুক্ত করে দিতে হবে ।

**** মেধাসত্ব আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে । নিজস্ব পণ্য উৎপাদন -বাজারজাতে রয়েলিটি-ট্যাক্স গুনতে হবে । এই আইনের মাধ্যমে তারা গরীব দেশের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জ্ঞান কুক্ষিগত করে তাদের উপর নির্ভরশীল রাখতে চায় ।

***** বর্তমানের ৫ % ভাগ কৃষি ভুর্তুকি আরো হ্রাস করতে হবে । কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন -বিপনন চরম ভাবে বাধাগ্রস্ত হবে ।

******* দরিদ্র-সাধারন মানুষ কম মুল্যে সেবা হতে বঞ্চিত হবে । তাতে অর্থনৈতিক - সামাজিক নিরাপত্তা হুমকীর সম্মুখিন হবে ।

******* দেশের বানিজ্য সংরক্ষন নীতি বিলুপ্ত হবে ।

******* বাংলাদেশ তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারে পরিনত হবে ।

****** আমাদের মত গরীব অনেক দেশ আমেরিকার বাজারে ৯৭ পণ্যের জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে । কিন্তু এই পণ্যের তেমন চাহিদা আমেরিকায় নেই । এই চুক্তির পরও আমাদের পোষাক রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা পাবে না । আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত সর্বোচ্চ ১২% ভাগ শুল্কের জায়গায় বাংলাদেশ আমেরিকায় পোষাক রফতানিতে শুল্ক দিচ্ছে ১৫ ভাগ । চীন দিচ্ছে মাত্র ৩ % ভাগ । এ বছর বাংলাদেশ আমেরিকাকে শুল্কবাবদ দিয়েছে ৫৬০০ কোটি টাকা । পোষাক খাতে জিএসপি সুবিধা প্রাপ্তি অনিশ্চিত ।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কথা মানুষ ভুলেনি । পৃথিবীর বৃহত শক্তি গুলো বহুজাতিক কোম্পানীর মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে । '' বানিজ্য-বিনিয়োগের নামে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করে । বড় বড় মাথা খরিদ করে । অনুতপাদন খাতে বিনিয়োগ করে । নানামুখী শর্ত চাপিয়ে দেয় । গরীব দেশের স্বার্থ ভুলন্ঠিত হয় । মাথা উঁচু করে দাড়াতে পাড়ে না । গলায় পড়িয়ে দেয়া হয় পরাধীনতার শিকল । ফাঁদের পরে ফাঁদ । ফাঁসের পরে ফাঁস । এই ভাবেই চলবে দেশের সর্বনাশ ? কেউ শুনবে না জনগণের হা হুতাশ । চলতে থাকবে স্বদেশের বিনাশ ? কাউকে ক্ষমা করবে না ইতিহাস ।

বিষয়: বিবিধ

২০৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File