বঙ্গবীরের কথা
লিখেছেন লিখেছেন পত্রিকার পাতা থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৩৫:২৬ সকাল
কাদের সিদ্দিকীর একটি গুরুত্বপূর্ন কলামঃ
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যে বয়সের, বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য প্রধানমন্ত্রীর বিয়াই মোশারফ হোসেনও সেই বয়সের। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী চিটাগাংয়ে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ঠিক তেমনি বৃহত্তর ফরিদপুরের সম্ভ্রান্ত জমিদার নুর মিয়া ফরিদপুর জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ছেলে হিসেবে বাবার প্রতি অনুগত মোশারফ হোসেন যতটা সম্ভব বাবাকে সমর্থন করেছেন, সাহায্য করেছেন। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও তার বাবাকে সাহায্য করেছেন। তাহলে শুধু একজনের বিরুদ্ধে মামলা হবে কেন? সবকিছু কেমন যেন সাজানো নাটকের মতো মনে হচ্ছে।
অন্য জায়গায় তিনি লিখেছেনঃ
ব্লগার রাজীব মারা গেছে, তার জানাজার যদি দরকার হয় তাহলে কেন জাতীয় ঈদগাহের মতো পবিত্র স্থানে করা হলো না, শাহবাগ চত্বরে কেন? একনাগাড়ে ১২ দিন জনসমাগম হলে পায়খানা, পেশাব, থু থু ফেলে জায়গাটি কি নোংরা হয়নি? নোংরা জায়গায় নামাজ চলে না। জানাজা কোনো মশকারি নয়, জানাজা ফরজে কেফায়া, চার তাকবিরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। কোন সে টেডি ইমাম তিন তাকবিরে নামাজ শেষ করলেন? নামাজ পড়বেন অজু করবেন না, কয়জন সেখানে অজু করতে পেরেছিল? নারী-পুরুষ, হিন্দু, মুসলমান একসঙ্গে জানাজা হয়? কেন এমন করা হলো? জায়গাটা একটু ঝাড়পোছ করে সবাই অজু করে নিলে কী এমন ক্ষতি হতো? হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের জানাজা থেকে আলাদা করা দরকার ছিল। যত আধুনিকই হন পবিত্র ইসলাম পরপুরুষের পাশে কোনো নারীর অবস্থান অনুমোদন করে না। কোনো মুর্দার চারদিকে জানাজা হয় না। এটা কোনো কাবাঘর নয়। কেন এমন হলো? অনেকেরই এখন কেবলা ঠিক নেই, ইমান দুর্বল হয়ে গেছে। আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধুর বাড়ির মসজিদের কেবলাও উত্তর-পশ্চিমে। যতক্ষণ বেঁচে আছি কেবলা নিয়ে বাঁচব, একচুল নড়চড় করতে পারব না।
কাদের সিদ্দিকী--
http://www.bdtomorrow.net/columndetail/detail/58/1632
বিষয়: বিবিধ
১৭৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন