জুতাবৃষ্টির মুখে পালালেন লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার আ’লীগ এমপি নদভী

লিখেছেন লিখেছেন পত্রিকার পাতা থেকে ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:২০:৪১ সকাল



লোহাগাড়া ::জুতাবৃষ্টির মুখে সীরাত মাহফিলের মঞ্চ থেকে পালালেন চট্টগ্রাম-১৫(লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের নব নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. মাওলানা আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এম পি। শুক্রবার রাত সাতটার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতিতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ১৯দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (সঃ) মাহফিলের শেষ দিনে মাওলানা লুৎফর রহমান তকরীর পেশ করেছিলেন। এ সময় আবু রেজা নদভী এমপি মঞ্চে উঠলে প্রতিবাদে মুসল্লীরা দাড়িয়ে যায়। এরপরও তিনি মঞ্চের চেয়ারে গিয়ে বসলে শুরু হয় জুতা নিক্ষেপ। বিক্ষুদ্ধ মুসল্লীদের শত শত জুতার মুখে তিনিসহ মঞ্চের সবাই সরে যান। পুলিশের সহায়তায় দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন এম পি। পরে অন্যান্যরা মঞ্চে ফিরে এলেও সংসদ সদস্যকে আর দেখা যায়নি। ঘটনার পর ড. মাওলানা ইশা শাহেদী মাইকে দাড়িয়ে মুসল্লীদের শান্ত হবার অনুরোধ জানান একই সাথে মুসল্লীদের মনের অবস্থা বুঝে কতৃপক্ষকে মঞ্চে মেহমান আনার পরামর্শ দেন।

মুসল্লীরা জানান, এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘ইউরোপে তারেক বিন যিয়াদ অস্ত্র দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার কারনে বর্তমানে সেখানে ৫ শতাংশ মুসলিমও নেই।’ এমন বক্তব্যে মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মুসল্লীরা দাড়িয়ে যায়। এ সময় মাহফিল কতৃপক্ষ চিরকুট দিয়ে বক্তব্য শেষ করানোর তাগিদ দিলে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্ত হয়।

এর কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্চে উঠলে জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে মঞ্চে আসেন সীরাত কমিটির লোকজন। লক্ষাধিক মুসল্লীকে শান্ত করতে কতৃপক্ষ বিশেষ বক্তব্য রাখেন।

বিষয়: বিবিধ

১৬৫৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

171323
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৩
আমি মুসাফির লিখেছেন : যারা আলেমদের হত্যা করে নামাজরত অবস্থায় ধরে নিয়ে যায় যারা ইসলামের ঘোর বিরোধী তাদেরতো ইসলামী কোন ামহফিলে যাবার কোন অধিকার নেই তারা মুনাফিক মুসলমান তাদের জুতা বরন করাটাই সঠিক।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৯
125087
পত্রিকার পাতা থেকে লিখেছেন : তাদের কপালে জুতায় জুটবে।
171329
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৬
আমি মুসাফির লিখেছেন : পবিত্র কুরআন হাদিস পড়ে যদি সমাজ রাষ্ট্রে ইসলমা প্রতিষ্ঠার কাজ না করার চেষ্টা করলাম তাহলে এই আলেম দিয়ে কি লাভ ??

তাবলিগরা কেন বিশ্ব এজতেমায় এই কথাঘোষণা করেন না তাহলে দেখা যেত তাদের কত বড় এলেমী জ্ঞান আছে।
171330
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৭
বিন হারুন লিখেছেন : আপনিও দেখছি নষ্ট মিড়িয়ার মতো তাকে এম.পি বলা শুরু করলেন. ভোট ছাড়া এম.পি হয় কেমন করে? বড় জোর বলা যায় বাকশাল ক্লাবের সদস্য.
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩১
125089
আমি মুসাফির লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
125090
পত্রিকার পাতা থেকে লিখেছেন : ওরা এখন বাআল এর এমপি..জনগনের নয়।
171331
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৯
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
125091
পত্রিকার পাতা থেকে লিখেছেন : এই ঘটনার পর মনে হয় আর এলাকায় যাবার সাহস পাবে না।
171334
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩১
ফেরারী মন লিখেছেন : জামাত শিবির পরিকল্পিতভাবে এইসব কাজ করছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
125092
বিন হারুন লিখেছেন : ঠিক বলেছেন. পুরো দেশটাই মনে হয় জামাত শিবির হয়ে গেছে. যেখানে যাই সেখানে জুতো. দামি, ছেঁড়া ইত্যাদি রকমের
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
125093
পত্রিকার পাতা থেকে লিখেছেন : ভাল কাজ করেছে।
171338
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
আল সাঈদ লিখেছেন : জুতা লীগ! ভালোতো ভালনা---
171345
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৫১
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : গতকাল সন্ধ্যার সময় একটু আভাস পেয়েছিলাম সাতকানিয়ায় ধমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে এভাবে মূষলধারে জুতা বৃষ্টি হবে সেটা কেউ কল্পনাই করতে পারেননি। বিশেষ করে যিনি এই বৃষ্টিতে গোসল করতে নেমেছিলেন তিনিও আচ করতে পারেননি এভাবে ভয়ানক মূষলধারে জুতা বৃষ্টির বণ্যায় ভেসে যাবেন।
171365
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : এক সময়কার চট্টগ্রামের জুনিয়র কাউমী মাদ্রাসা দারুল মা'য়ারিফ আল ইসলামিয়ার শিক্ষক ও পরবর্তীতে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পরিচিতি হয়ে উঠলেও জনাব আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর কোন সরকার স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক সনদ নেই। তিনি পড়াশুনা করেছেন চট্টগ্রামের আরেকটি বিখ্যাত কাউমী মাদ্রাসা জামেয়া ইসলামী পটিয়া মাদ্রাসায়। সম্ভবত আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন তিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য অবশ্যই তাকে সরকার স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক। সরকার কর্তৃক স্বীকৃত আলিয়া ধারার মাদ্রাসার কোন সনদও অর্জন করেননি। কিন্তু জনাব আবু রেজা নদভীর ক্ষেত্রে এজাতীয় কোন সনদ নেই। তিনি পটিয়া মাদ্রাসা থেকে পাশ করার পর ভারতের লক্ষ্মনৌতে অবস্থিত নদওয়াতুল উলুম মাদ্রাসায় উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন বলে জাহির করে থাকেন। ইদানিং নামের শুরুতে প্রফেসরের পাশাপাশি নিজেকে ডক্টরেট হোল্ডারের তকমাও ব্যবহার করছেন। তিনি পিএইচডি ডিগ্রী কোত্থেকে কিভাবে অর্জন করলেন তাও রহস্যজন। ২০০৪ সালে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে লেকচারার হিসেবে চাকরী করছিলেন সেখানে ফেনীর এক ছেলে বিয়ারার হিসেবে চাকরি করতো। এই ছেলেটির সাথে জনাব আবু রেজার সাথে সমকামিতার অভিযোগ উঠলে ব্যায়াপক রসালো কাহিনী ছাত্র শিক্ষক সবার মূখে মূখে ছড়িয়ে পড়ে। দারুল মায়ারিফ মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায়ও জনাব আবু রেজার বিরুদ্ধে লাওয়াততের অভিযোগ ছিল।
171389
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
বেআক্কেল লিখেছেন : তাকে দেখতেও ফাজিল আর বান্দরের মত লাগে। হেরে জুতা মাইরা জুতার সম্মান না কইরা, বলদ পিটানোর বেত দিয়ে কয়েকটা মাইরা দৌড়াইয়া দিলেই তো হইয়া যাইত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File