পত্রিকার পাতা থেকেঃ- রেসিডেন্সিয়াল মডেলের ছাত্রদের পর্নো ভিডিওতে ঝোঁক, শৌচাগারে তালা
লিখেছেন লিখেছেন পত্রিকার পাতা থেকে ০৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:০৮:৪৬ দুপুর
পর্নো ছবির ঝোঁক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীদের বিরত রাখতে শৌচাগারে তালা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে শৌচাগারে যেতে না পেরে শ্রেণীকক্ষেই মূত্র ত্যাগে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিক্ষকবৃন্দও ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার নামীদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। গত এক সপ্তাহ ধরে কলেজটির শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত সকল শৌচাগার বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ডে শিফটের ভাইস প্রিন্সিপাল ফেরদৌস আরা বলেন, বাচ্চাদের দুরন্তপনা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্যই বাথরুমগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে প্রথম পিরিয়ড ও টিফিন পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে দু’ দফায় বাথরুম খুলে দেয়া হয়। তারপরও কোন শিক্ষার্থীর জরুরি প্রয়োজন হলে শ্রেণী শিক্ষকের স্লিপ নিয়ে বাথরুম ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। শ্রেণীকক্ষে ‘মূত্র ত্যাগ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলেজের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, বর্তমানে এই কলেজে ৪৯০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। সে তুলনায় তাদের কর্মকাণ্ড নজরদারির তেমন সুব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী দুরন্তপনার নামে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করছে। বাথরুম ব্যবহারের নাম করে শ্রেণীকক্ষের বাইরে গিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। কেউ ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাথরুমে বসে মোবাইল ফোনে গান শোনে। কেউ ধূমপান করে। আবার ২০-২২ জন শিক্ষার্থী একটি বাথরুমে একত্রিত হয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পর্নো ছবি দেখতে থাকে।
কলেজের একজন ভাইস প্রিন্সিপাল বলেন, আমি নিজে উপস্থিত হয়ে একটি বাথরুম থেকে একসঙ্গে ২১ শিক্ষার্থীকে বের করে এনেছি। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছি। পরে জানতে পেরেছি, তারা মাঝে-মধ্যেই বাথরুমে একত্রিত হয়ে পর্ণো ছবি দেখে।
==============================
স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের হাতে ভিডিও অপশনযুক্ত মোবাইল দেয়া উচিত নয়। জরুরী প্রয়োজনে কথা বলার জন্য একটি সস্তা সেট দেয়া যেতে পারে। আমার মনে হয় স্কুলে মোবাাইল ফোন নিষিদ্ধ করা উচিত।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন