আমার ইরানী জীবন, চলছে যেমন (পর্ব-১)

লিখেছেন লিখেছেন উমাইর চৌধুরী ১০ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৩৭:১৮ সন্ধ্যা

সাইমুম সিরিজ এর আহমদ মুসা আর আহমদ মুসার সিংকিয়াং-উরুমচি....

আজকে সকালে ক্লাসে ঢুকতেই দেখি আমার ইয়েমেনী বন্ধু عمرو المعافري এর সাথে এক চীনা আরবীতে কথা বলছে।

আমিতো অবাক ! এদের ফার্সি শিখতেই বারোটা বাজে আবার আরবী !

সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ফার্সিতেই যে কোন শহর থেকে এসেছে, আরবীই বা কোথায় শিখল আর মুসলমান কিনা, জবাবে ভাংগা ভাংগা ফার্সিতে জানালো মাত্র ১ মাস হল ইরানে এসেছে আর বাড়ি হল চীনের সিংকিয়াং এ এবং সবচেয়ে বড় কথা সে উইঘুর মুসলিম ও কুরআনের হাফেজ।

আমার ক্যাম্পাসে বন্ধুদের মধ্যে ফিলিস্তিন-ইরাক-আফগান-সিরিয়া-সোমালিয়া-সুদান-কাশ্মিরসহ বিশ্বের নিপীড়িত মুসলিমদের দেখা পওয়া যায় খুব সহজেই তবে আজ এক উইঘুর ভাই এর সাথে পরিচিত হতে পেরে অন্যরকম ভাল লাগছে। এখানে প্রায় ৪০-৫০ জন চীনা আছে আর আমারও অনেকদিনের কৌকুহল ছিল যে এদের মধ্যে নির্যাতিত উইঘুর কেউ আছে কিনা তা জানার এবং তাদের নিজ মুখ থেকে কাদের জীবন কাহিনী শোনার। আলহামদুলিল্লাহ এখন মাঝে সাঝেই সুখ-দু:খের গল্প হবে হয়ত।

অনেকে হয়ত সিংকিয়াং বা উইঘুর এ সম্পর্কে শোনেননি। আমিও এক সাইমুম আর সংগ্রাম এর আন্তর্জাতিক পেজেই যা পড়েছি। আসলে চীনের প্রাচীর ডিংগিয়ে নাকি কোন খবর আসতে পারেনা বাইরে তবে গত রমজানে বেশ কিছু অত্যাচারের খবর এসেছিল, যেমন ইফতার বা তারাবী পড়তে না দেয়া, রোজা রেখেছে জানলে চাকরী থেকে বের করে দেয়া এসব। প্রতি বছরই হান নামক একটা হিংস্র উগ্র চীনা গোষ্ঠী অসহায় উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্মম নিপীড়ন চালায় এবং এদেরকে নিজ ঘর-বাড়ি তে আগুন লাগিয়ে সেখান থেকে বের করে দিচ্ছে এবং হত্যা করছে। অনেকটা ইজরাইলিদের স্টাইলে occupying এবং Ethnic cleansing চলে। এবং চীন সরকারের সহায়তায় সেনাবাহিনী বা পুলিশও এই কাজে নগ্ন ভূমিকা রাখে। বিশ্বের যেসব দেশ নির্যাতিত মুসলিমদের কথা জোরেসোরে বলে তারাও চুপ মেরে যায় কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা চিন্তা করে।

উইঘুর মুসলিমদের ইতিহাস এবং অবস্থা জানতে হলে সাইমুম এর সাইটে (http://www.saimumseries.blogspot.com/) ঢুঁ মারতে মারেন। ১ ও ৮ নম্বর বই এ পাবেন এবং ১০ এর পরের দিকে আরও একটা আছে কিন্তু ওটা এখনো আপলোড হয়নি বোধহয়।

বিষয়: বিবিধ

১৫০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File