হলিউড-বলিউড আর মিডিয়ায় ইহুদীবাদ এবং ইহুদীরা
লিখেছেন লিখেছেন উমাইর চৌধুরী ১৫ জুন, ২০১৪, ০১:০৫:১০ দুপুর
হলিউডের অনেক বিখ্যাত সিনেমা দেখে আমরা হাত তালি দিই, কিন্তু জানতেও পারিনা যে এসব সিনেমাতে কলকাঠি নেড়েছে ইহুদীরা এবং অভিনয় করেছে ইজরাইেলর পাঠানো ইহুদী কন্যারা। যেমন জনপ্রিয় মুভি Iron Man এর স্কারলেট জনসন, V For Vendetta'র প্রধান অভিনেত্রী নাটালিয়া পোর্টম্যান কিংবা Fast and Furious 6 মুভির গ্যাল গ্যাডোট রা সবাই ইহুদী এবং ইহুদীবাদী। এরা ইজরাইলী ডিফেন্স ফোর্স IDF এর হয়ে ফিলিস্তীনীদের বিরুদ্ধে রুটিন অস্ত্র ধরেছে, গুলিও চালিয়েছে। প্রশিক্ষিত ইহুদী কন্যাদের দিয়ে খৃষ্টানদের এ ব্যবসা নতুন কিছু না, হাজার বছরের পুরোনো।
এছাড়া পাশের ইন্ডিয়ার বলিউড গড়ে উঠেছিল ইহুদীদেরই প্রচেষ্টায়। সেই প্রথম দিকে যখন ভারতের হিন্দু-মুসলিম কোন সমাজই মেয়েদেরকে কাপড় ছেড়ে নাচতে দিতে চাইতনা সেসময় এগিয়ে আসে ইহুদী কন্যারা আর ভারতের ইহুদী কম্যুনিটি। তারা ভারতকে শিখিয়ে দেয় মগজ ধোলাই এর কৌশল। ধর্ম,জাতীয়তাবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের দর্শনে হিন্দু এবং ইহুদীদের মিল থাকায় ইহুদীদের গুরু মেনে চলতে শুরু করে ইন্ডিয়া, ইহুদীদের সাথে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। এ বন্ধুত্ব মোসাদ-র থেকে বলিউড পর্যন্ত। যেমন সেই ৩০/৪০ এর দশকের বিখ্যাত অভিনেত্রী প্রমিলা, সুলোচনা বা নাদিরাদের মত ইহুদীকন্যাদের পারফরমেন্সের উপর ভর করেই বলিউডের ভীত নির্মিত হয়। প্রচার-প্রসারের স্বার্থে এরা কৌশলে প্রত্যেকেই নিজের আসল ইহুদী নামের উপরে ছদ্মনাম নেয়, যেমন সুলোচনার আসল নাম ছিল রুবি মেয়ার্স কিংবা প্রমিলার এসথের আব্রাহাম। এমনকি ফিরোজা বেগম নামের এক নায়িকা বিখ্যাত ছিলেন যার আসল নাম ছিল সুসান সলোমন। আর এসব সিনেমাতে বুদ্ধি-অর্থ দুটোরই বিনিয়োগ করতে থাকে ইহুদীররা তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। সম্ভবত এখনও মুম্বাই এর বেশ কিছু স্টুডিও এবং পরিচালক ইহুদী তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় ইজরাইল ছাড়া সবার কাছে গোপন থাকে সবসময়ই।
এ নিয়ে একটা বিখ্যাত ডকুমেন্টারি আছে যার শিরোনাম Shalom Bollywood
আরেকটা ছোট্ট তথ্য দেয়, আপনার বাড়ির মা-বোন-স্ত্রী যে চ্যানেলগুলোর পাগল, যাদের সিরিয়াল ছাড়া তাদের দিন যায়না, মগজ ধোলাই এর সেসব বিখ্যাত চ্যানেলগুলোও ইহুদীরা নিয়ন্ত্রন করে। স্টার মিডিয়া গ্রুপের যত চ্যানেল আছে যেমন স্টার জলসা, স্টার প্লাস এগুলো সবই ইহুদী মালিকানায় চলে। ব্রিটেনের মিডিয়া মুগল এবং ইহুদী ধনকুবের রুপার্ট মারডককে তো চিনেন এবং নামও শুনেছেন বোধহয়। যদিও সে নিজেকে খৃষ্টান বলে দাবী করে, কিন্তু তার রক্তে ইহুদী মা এর রক্ত বইছে। ইজরাইল এবং ইহুদীবাদীদের সাথে তার সম্পর্কও প্রমাণ করে সে ইহুদীবাদকেই বেছে নিয়েছে মিডিয়া সাম্রাজ্যের বিস্তারে। স্টার মিডিয়া গ্রুপের বেশীরভাগটাই মানে, প্রায় ৬৪% শেয়ার কিনে নেয় রুপার্ট মারডক ১৯৯৩ সালে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে। তার সে বিনিয়োগের লাভ সে পাচ্ছে এখন, তেলআবিবকে সে নিয়মিতই তার আর্থিক এবং সাংস্কৃতিক যুদ্ধ জয়ের রিপোর্ট করে যাচ্ছে।
মুসলমানের বাচ্চারা টাকা পেলে আগে কিনবে রোলস রয়েস বা মার্সিডিজ বেঞ্জ। আর আরও টাকা পেলে কিনবে বিমান নাইলে বানাবে বুর্জ খলিফা। তাতে না পুষালেও সোনা দিয়ে গাড়ি বানাবে 'ফকিন্নির পুতেরা' আর বসে বসে মদের গ্লাস হাতে ইহুদী কন্যাদের মৌজ দেখবে।
বিষয়: বিবিধ
২৭৮৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিছু জানতে পারলাম
লিখে যান আপনার
মতো
||
মন্তব্য করতে লগইন করুন