আসুন চিনে নিই এ শতাব্দীর মুসলিম নেতাদের ‪#শহীদ‎শাইখআহমেদইয়াসিন‬ পর্ব:১

লিখেছেন লিখেছেন উমাইর চৌধুরী ২০ মার্চ, ২০১৪, ০৭:১০:২৪ সন্ধ্যা

ফিলিস্তীন তখন ব্রিটিশদের অত্যাচার চলছে। প্রথম বিশ্বযুদ্বের পর ওসমানীয় খেলাফতের সমাপ্তি ঘটে এবং ফিলিস্তীনসহ আরবের বিরাট অংশ চলে যায় ব্রিটিশদের আন্ডারে। ১৯৩৭ এর কোন একদিন বর্তমান ইজরাইলের দখলকৃত আশকেলন শহরেরর এক গরীব মহল্লায় জন্ম নেন এক নবজাতক। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী ইজরাইলের গলায় কাটার মত বিঁধে যান যিনি, যাকে নিয়ে বহু রাত নির্ঘুম কাটিয়েছে মোসাদের দূর্ধর্ষ এজেন্ট আর অপারেটররা এবং যার উত্তরসূরীরাই মূলত তেলআবিবের মাথাব্যাথার প্রধান কারণ এখন।

জন্মের মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় পিতাকে হারান, বাড়ির পাশের এক স্কুলে পড়েন ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। ১৯৪৮, ফিলিস্তিনী নকবা বা বিপর্যয়ের বছর। বনি ইসরাইলের অবাধ্য সন্তানেরা উড়ে এসে জুড়ে বসে গোটা আলকুদসের আশপাশে। একের পর এক শহর গ্রাম জ্বালিয়ে দিতে থাকে, নিজ বাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকে মুসলমানেরা। সে ধারাবাহিকতায় আহমেদ ইয়াসিনের পরিবার বাড়িঘর তালা মেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলে যান গাজায় এক রিফিউজি ক্যাম্পে। বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে একটা অসহায় পরিবার, কিছুদূর যেয়ে ফিরে ফিরে চাচ্ছে এক বালক সে পরিত্যক্ত বাড়ির দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখের সামনে বুলডোজার দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হলো তার শৈশবের ভালবাসার উঠোন। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে বালক, মুঠো শক্ত হয়ে গেছে ১০ বছরের আহমেদ ইয়াসিনের। তখন ইজরাইলের কেউ যদি এ বালকের মনের আগুনের আঁচ টের পেত তবে বাড়িঘর বাদ দিয়ে তার উপরেই বুলডোজার চালিয়ে দিত।

ফিলিস্তিনসহ গোটা আরবের মুসলমানদের উপর এ অত্যাচার দেখে বসে বসে কাঁদেননি এ কিশোর। চোখে তার জ্বলে ওঠে আগুন। এ আগুন প্রতিরোধের, এ আগুন প্রতিশোধের।

সে আগুনেই পরবর্ততে বহুবার জ্বলেছে ইজরাইল। দীপ্ত কণ্ঠে বলেছেন তিনি, 'ফিলিস্তিনের সমস্যা আমাদের, আমাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে। অস্ত্র ধরে প্রতিরোধে নামতে হবে। আমাদেরকে আরবের কোন দেশ বা আন্তর্জাতিক কেউ সাহায্য করতে আসবেনা।'

সত্যিই তাই, হামাসের প্রতিষ্ঠার পর তা অক্ষরে অক্ষরে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

গাজায় একদিন বন্ধুর সাথে কুস্তি খেলতে যেয়ে আঘাত পান মেরুদন্ডে। ৪৮ দিন প্লাস্টার নিয়ে পড়ে রইলেন বিছানায়। এরপরও বহুদিন চলল চিকিৎসা। কিন্তু শেষমেশ ডাক্তার জানিয়ে দিল পিচ্চি এ বালককে কুস্তি খেলার শাস্তি সারাজীবন ভোগ করতে হবে।

কিন্তু ডাক্তার জানতনা, যে পিচ্চির মনে ইজরাইলের সাথে কুস্তি লড়ার শখ সে কি এত সহজেই দমে যাবে ! বিছানা আর হুইল চেয়ারে বসে বসেই ইজরাইলেী সন্ত্রাসীদের সাথে লড়াই এর নকশা আঁকে সে বালক। হোক না পংগু, তাতে কি ! আল্লাহ চাইলে তো সবই সম্ভব।

চলবে...



তথ্যসূত্র: ইখওয়ানওয়েব, কাসসামব্রিগেডসাইট, হামাসসাইট, ইলেক্ট্রনিক ইন্তিফাদা, উইকি,

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১১৬৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

195332
২০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৬
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
২০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
145637
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : ওআলাইকুমুসসালাম। আপনাকেও আল্লাহ উত্তম জাজাহ দিন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। Happy
195341
২০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
145666
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ার জন্য। Happy
195388
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২৯
শেখের পোলা লিখেছেন : নেতাদের বলে একজনেই শেষ করলেন৷ তবুও ধন্যবাদ রইল৷
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
145662
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : পর্ব শুরু করেছি, অপেক্ষায় থাকেন। আসবে ইনশাআল্লাহ যতটুকু পারি । Happy
195389
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২৯
মদীনার আলো লিখেছেন : জাজাকাল্লাহুল খাইরান
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
145664
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : Happy ওইয়্যাফিক । ধন্যবাদ পড়ার জন্য
195409
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
পুরাটা দিতে পারতেন একসাথে।
২১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৪
145745
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : পড়ার জন্য ধন্যবাদ, পুরোটা লেখা হয়নি। লিখে লিখে পর্ব আকারে দিতে হবে। প্রতি জুমুআর দিন একটা করে পোস্ট দেবার ইচ্ছা ইনশাআল্লাহ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File